সকাল সাড়ে সাতটা।
প্লেন আর খানিকক্ষণ পরে বম্বেতে নামবে। আইল সীটে গা এলিয়ে বসে আছি, পাশের মিডল সীটখানা ফাঁকা তাই একটু ছড়িয়ে থাকা যাচ্ছে। উইন্ডো সীটে বসা বৃদ্ধ আধঘুমে ঢুলছেন। আর জানালা দিয়ে বড় চমৎকার নরম রোদ্দুর এসে পড়ছে আমার কোলের ওপর রাখা বইয়ের পাতায়।
লীলা মজুমদারের লেখাও ওই শীতের সকালের নরম রোদ্দুরের মত সুন্দর। ধবধবে সাদা চীনেমাটির প্লেটে রাখা আধখানা হাফবয়েল ডিমের মত ওম সে'খানে। আচ্ছা, লীলা মজুমদারকে ভালো না বাসা সম্ভব? লীলা মজুমদারের লেখা পড়তে পড়তে প্রেমে না পড়া সম্ভব? অবশ্য সস্তা নেশার টানে প্রেমের ডেফিনিশনটাই আমরা এত নষ্ট করে দিয়েছি; আমাদের গান সাহিত্য তাই সহজ হতে পারে না, গভীরে যেতে চায় না। লীলা মজুমদারকে সে সমস্ত নষ্টভাব ছুঁতে পারে না। এই প্লেনের জানালার ও'পাশের নীল আকাশের সাদা মেঘের টুকরো ভেদ করে আসা নরম রোদ্দুরের মত। বললাম তো, লীলা মজুমদারকে না ভালোবেসে থাকা যায় না।
No comments:
Post a Comment