- আরে বাবা কেউ দরজাটা খোল, কখন থেকে কড়া নেড়ে চলেছি...বিশ্রি মানুষ তোরা...। - কে? - যাক,এতক্ষণে অন্তত কেউ ডাক শুনেছে , এ'বার দরজাটা খোল দেখি। - দরজা খোলার ভার যার ওপর সে কিছুক্ষনের জন্যে নেই। আপনি একটু অপেক্ষা করুন। তিনি এলেই...। - এই এলাম। ঘেমে-নেয়ে একাকার। এদ্দূর ঠেঙিয়ে আসা কি চাট্টিখানি কথা? একটু দরজাটা খুলে দিলে ভিতরে ঢুকে আগে জিরিয়ে নিতে পারি৷ - দরজা খোলার অধিকার যে আমার নেই ভাই। আর একটু দাঁড়াও, তাঁর আসার সময় হল বলে। আচ্ছা, তোমার কণ্ঠস্বর শুনে মনে হয় বয়স অল্প৷ তাই তুমি করেই ডাকছি, কেমন? - তুইও চলবে। তুই ব্যাপারটা আমার বেশ মিষ্টি লাগে৷ - তা'বটে৷ অসুবিধে নেই। - ইয়ে, তোর...মানে আপনার কন্ঠস্বরটা চেনা ঠেকছে। - তুই ব্যাপারটা চালিয়ে যেতে পারো ঋতুপর্ণ৷ আমার কিন্তু বেশ লাগছে৷ - মা..মাণিকবাবু? ওহ্..। - মনে হয় দারোয়ান-বাবুর সহজে পাত্তা মিলবে না। তোমার জন্যে নিয়ম ভাঙাটা অন্যায় হবে না। দাঁড়াও, দরজাটা খুলি৷ এত অল্ল বয়েসে এ অঞ্চলে ঢুঁ মারবে ভাবিনি। - বাঁচা গেল, এখানেও দেখছি কলকাতার মত ভ্যাপসা গরম।
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ