Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2014

বটু গোয়েন্দা ও দুর্গা

-    তুই বটু ? বটু গোয়েন্দা ? -    আ...আ...আ... -    কি আ্‌ আ করছিস র‍্যা? চিনতে পারছিস না নাকি ? -    আ...আ...আ... -    কি রে? অমন করছিস কেন? মৃগীতে ধরেছে নাকি ? -    আ...আ...আপনি দেবী দুউউউউউউউউ... -    দুয়ো দুয়ো। দুউউউউ কি করছিস...হ্যাঁ রে হ্যাঁ আমিই দুর্গা... -    দশভুউউউউউউ... -    অহ...যত বাড়াবাড়ি তোদের। হ্যাঁ হ্যাঁ। দশভুজা। এই দশ খানা হাত ড্যাং ড্যাং করে তোর সামনে নাচাচ্ছি...তাতেও বিশ্বাস হচ্ছে না ?

ভীষ্ম

-    বিনোদবাবু ? -    কে ? নির্মল নাকি ? -    আজ্ঞে। -    এসো। ভিতরে এসো। বাইরে দাঁড়িয়ে কেন ? ভিতরে এসো। -    সাড়ে আটটা বাজে বিনোদবাবু। -    ও। তাইতো। আমার ব্যাপারটা কখন যেন ? -    নটা বেজে বত্রিশ মিনিটে। -    না না। দেরি হয়নি তাহলে। স্নান-টান সেরে রেডি হয়ে বসেছি। -    না না। তাড়াহুড়ো নেই। -    তা নেই। ছাদে কেমন ডালিয়া হয়েছে এবার দেখেছ তো ? দেখো। মাঝে মাঝে এসে দেখে যেও। -    আজ্ঞে। -    আর বাগানে ক্রিসেন্থিমাম লাগিয়েছিলাম, বিধু মালী কে বল যাতে ফাঁকি না দেয়। যত্নআত্তি করে। -    আজ্ঞে -    মিলু এসেছে ? -    উনি গাড়িতে রয়েছেন। -    বেচারাকে আজ অফিস কামাই করে কি ঝক্কিই না পোয়াতে হল। ভীষ্মর নাম শুনেছ বাবা নির্মল ?

বিনয়বাবুরা

বিনয়বাবু জানালা খুলতেই ঘাবড়ে গেলেন। জানালা ঘেঁষে গলি, আর গলির ওপারেই নিমুর চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে যে ভদ্রলোক গাল চুলকচ্ছেন সে যে বিনয়বাবু নিজে। অথচ বিনয়বাবু নিজেই নিজের বাড়ির জানালা খুলেছেন, যে জানালা গলির এক দিকে আর নিমুর চায়ের দোকান যার ঠিক উল্টো দিকে। মাথা বিগড়ে গেল বিনয়বাবুর। সকাল সকাল এ কেমন বেয়াড়া ব্যাপার। মাথা গরম হলে বিনয়বাবুর হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, এ বদনাম তার পাড়া জুড়ে। নিজের পায়ের থেকে এক পাটি হাওয়াই চটি খুলে সোজা ছুঁড়ে মারলেন গলির উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা তার নিজের দিকে। কিন্তু বিনয়বাবু কিছু টের পাওয়ার আগেই নিমুর চায়ের দোকানের দিক থেকে একটা হাওয়াই চটি উড়ে এসে; বিনয়বাবুর ঘরের জানালার শিক দিয়ে গলে; সোজা বিনয়বাবুর গালে সপাটে এসে পড়ল।

তুকতাক

ট্রিগার টিপলেন অনিল। সঙ্গে সঙ্গে মেঘলার বুক থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত। -    যন্ত্রণা হচ্ছে মেঘলা ? -    সোজা লাংসে এ মনে হচ্ছে। অমানুষিক যন্ত্রণা। রিভলভারে টিপ তোমার এমন শার্প তা তো আগে জানতাম না অনিল ? -    তলে তলে তুমি যে বিপিনের সঙ্গে এতটা এগিয়ে গেছিলে সেটাও তো এর আগে জানতে পারিনি। -    যাক। শোধ বোধ তাহলে। -    ভীষণ ছটফট করছ। -    মনে হচ্ছে বুক ফেটে যাচ্ছে। -    ফর এ চেঞ্জ, কথাটা ফিগার অফ স্পিচ নয়। তোমার বুক ফেটে সত্যিই রক্ত ঝরছে। ফিনকি দিয়ে। -    কমলার মা আট’টা রুটি করে গেছিল। সয়াবিনের তরকারি সাথে। আমার তিনটে রুটি নষ্ট হল। তোমার জন্যে। -    আমার জীবনের তিনটে বছর তুমি নষ্ট করেছ। -    যাক। শোধবোধ হল তাহলে। -    কতক্ষণ আর টানতে পারবে বলে মনে হচ্ছে মেঘলা ? -    দম আটকে আসছে। নট মোর দ্যান ফাইভ-টেন মিনিট্‌স আই সাপোস।

রোদ্দুর রায়

-  রোদ্দুর রায় ? তুমি ভাবতে পারো ? -    এত চটছো কেন ? -    তোমার বিশেষ কিছু এসে না যেতে পারে। আমার যায়। -    সে তো তোমার বাড়ি বয়ে এসে তোমায় গালাগাল দিয়ে যায়নি। -    গাল দিলে পাত্তা দিতাম না গো। ভূতের আবার গালাগালে আপত্তি কিসে। মুখ ভেংচে দিলেই ঝামেলা চুকে যেত। কিন্তু এমন ভাবে সঙ্গীত কে কচুকাটা করা...অপরাধ নয় ? -    সে বেচারা মনের সুখে প্রাণ খুলে গান গাইছে, নিজের গান অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছে। বিশ্বভারতীর মত ব্যবসা ফাঁদছে না। লোকে নিশ্চিন্তে পারে তার গান না শুনে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে। তাতে কার পাকা ধানে মই পড়ে শুনি ? আর আমি তুমি তো ভূত। পৃথিবীতে তে কে কী করছে তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা কেন ?

আমির আমি

“দেশের আমি। দশের আমি। তোমার আমি। । ছোটমামার আমি। ফজলির আমি। ছাতার বাঁটের খোঁচার আমি। আলু পোস্ত ঢেঁকুরের আমি। ফুটবল গ্যালারির বুক ভরা খিস্তির আমি। আমি যে কি মনোরম। আমার পাসপোর্ট সাইজ ছবি ল্যামিনেট করে নিজের মানিব্যাগে আমার রাখা উচিৎ। আমার হাসি আমার পেটের মেদ ঢেকে দেয়। আমার লুচি আদরের ক্ষমতা আমার বানান ভুলের হিসেব চুকিয়ে দেয়। আমি সুপার। আমি আমার বিছানার প্রধান মন্ত্রী, আমার সোফার ফাটা কেষ্ট, আমার ব্যালকনির হাওলা কেলেঙ্কারি। আমি নিজের থুঁতনি ছুঁয়ে বলছি; এমন সেকেন্ড পিস কহি নেহি”    এমন সব চমৎকার ভাবনা আর এক কাপ চায়ের মাখোমাখো মিলন ঘটবে এমন সময় মদনা এলে পূজোর চাঁদা চাইতে। সে বললে ‘পাঁচশো’ আমি বললাম ‘পঁচাত্তর’। আমি বললাম ‘প্লিজ স্যার’, মদনা বললে ‘ঢ্যামনা ব্যাটাছেলে’। আমি বললাম ‘একটু কনসিডার করুন স্যার,মাগ্যির বাজার’ মদনা বললে ‘প্যান্ট খুলে দেব ভাট বকলে’। প্যান্ট খোলার কথায় মেজাজ সড়কে গেল। ভীষণ রেগে গেলাম। আগুন।বিস্ফোরণ। সটাং করে একটা পাঁচশো কা নোট মদনার হাতে দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। মদনা মুখে বললে ‘আসছি’! আমি মনে মনে বললাম ‘হারামজাদা’। নব্বুই সেকেন্ডের মধ্যে নিজের ওপর কনফিডে