Thursday, December 4, 2025

দেখা হ্যায় পেহলি বার


এ ছবিটা ঢাকুরিয়ায় তোলা। অফিস-ঘেঁষা চায়ের দোকানে। দোকানি দাদাটির বড় গুণ ছিল যে তার মধ্যে ছিঁটেফোঁটাও তাড়াহুড়ো ছিলো না। ডিমটা ফাটাতেন ধীরেসুস্থে। পাউরুটি ফালি করতেন মিহিমেজাজে। অফিসটাইমের দৌড়ঝাঁপ অথবা খদ্দেরদের ব্যস্ততা তাকে স্পর্শ করতে পারতো না।

তেল সঠিক লেভেলে গরম না হলে চাটুতে ডিম পড়তো না। স্টোভের আঁচ গনগনে রাখতেন না ডিম ভাজার সময়, কড়া তাপে ডিমের সেনসিটিভিটি ম্যানেজ দেওয়া যায় না। পাউরুটির গায়ের ডিম নির্ভুল লালে পৌঁছনো পর্যন্ত তিনিও চাটুর দিকে দেখছেন আর্টিস্টের মেজাজে, আমিও চাটুর দিকে চেয়ে আছি ভক্তের চোখ নিয়ে। তারপর সে ডিমপাউরুটি তুলে নেওয়া হবে পরিষ্কার প্লেটে, ছড়িয়ে দেওয়া হবে সামান্য মশলা ও নুন। সামান্যই; সে'টাই হলো ব্যালেন্স।

সকাল-সকাল অমন ভালো ডিমপাউরুটি পাতে পেলে যাবতীয় দায় বুকপকেটে নিয়েও অনায়াসে বিশ্বজয় করা যায়।

No comments: