Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2011

Boss কহিলেন

[এমন এক BOSS কে চিনি , যাকে তার দ্বারা Boss’ ইতো জনগণ অসুর কুমার বলে ভক্তি-শ্রদ্ধা করে থাকেন । সেই অসুর-কুমার ’ এর বস-মুখি চিন্তা-ভাবনার এক খাবলা চুরি করে নীচে টুকে দিলাম । Boss- দু:খে যারা মরমে মরে আছেন , তাদের হাড়ে-হাড়ে এই ভাবনা-গুলোর পাল্স অনুভূত হবে , এ আমার বিশ্বাস ] “এই যে পাহাড়ের মত চেয়ারটায় ওপর চড়ে বসে আছি , সেখান থেকে নিচের দিকে থাকলেই মাথাটা কেমন বন-বন করে ঘুরতে থাকে ; কত্তসব ছুটকোছটকা অপদার্থের দল পোকা-মাকড়ের মত ঘোরাঘুরি করছে। আমি যে এতো খাটা-খাটনি করে এদ্দুর উঠে এলাম , সেই হার্ড-ওয়ার্কিং স্পিরিটের ভগ্নাংশও যদি এই গাধাগুলোর মজ্জায় থাকত তাহলে এর উর্বর মানুষ হয়ে উঠতো । কাজ-কর্মের বালাই নেই , গোটাদিন শুধু ‘ চাই-চাই-চাই ’; ছুটি চাই , বোনাস চাই , লোন চাই , টি-এ/ডি-এ চাই! আরে ? আমার অধস্তন বলে কি আমার স্তন পিষে নেবে নাকি

দুর্গা পুজো খাদ্য নির্ঘন্ট

সপ্তমী : সকাল ৭ ঘটিকা – লুচি + ছোলার ডাল নারকোল দিয়ে + বেগুন ভাজা + ভীম নাগ সন্দেশ বেলা ১১ ঘটিকা - দেবী প্রসাদ (চাল-কলা , শসা , আপেল ইত্যাদি) + কোকা-কোলা দ্বিপ্রহর ২ ঘটিকা - নুন , লেবু , ভাত , বেগুনী , ঝুড়ি আলু ভাজা , সোনা মুগের ডাল , মাছের মাথা দিয়ে বাঁধা কপির তরকারী , রুই মাছের কালীয়া , মৌরলা মাছের ঝোল , খেজুরের চাটনি , ছানার পায়েস বৈকাল ৫ ঘটিকা - লেবুর সরবত সন্ধ্যে ৬ ঘটিকা - পাঁঠার ঘুগনি , ঘটি-গরম চানাচুর মিশ্রণ , দই-ফুচকা + ঠান্ডা পানীয় রাত্রি ১০ ঘটিকা - রকমারি কাবাব , মুর্গ-মুসল্লাম , মাটন বিরিয়ানী , ফির্নি , কে সি দাসের রসগোল্লা , মিষ্টি পান

মহালয়া কান্ড

মহালয়া মানেই বাঙালির হাড়-গোড়ে কাঁপণ । আধুনিক বাঙালি আর কাশ-শিউলি-নীল আকাশে পুজো পুজো সিগন্যাল খোঁজে না।কলকেতিয়ে বঙ্গ-সন্তান হলে তো কথাই নেই। ট্র্যাফিক বাতির লাল-সবুজ , ট্যাক্সির হলুদ আর রাইটার্স ’ এর লাল বাদে কলকাতার পাবলিক রঙ চেনে না। বাঙালি এখন পুজোর হাওয়া চিনতে পারে পাড়ার দাদা ’ দের চাঁদা তোলার হিড়িকে , ক্যালেণ্ডারের তারিখে , পূজা বার্ষিকী ’ তে তথা পণ্য-বাজারের দুর্গা পূজা ধামাকা ডিসকাউন্ট অফার থেকে । আর এই পুজো-আনন্দ ছলকে ওঠে মহালয়া থেকে। ভোর রাত্রে বীরেন ভদ্রের প্যাঁপর যেই না বাজল অমনি বাঙালির গায়ে কাঁটা ! নিষ্ঠাবান বাঙালি মাত্রই ভোর ছটা থেকে দূরদর্শনের সামনে বসবেন কফি বা চা হাতে , সঙ্গে চানাচুর , নিমকি। নিষ্ঠা যদি অতিমাত্রায় জাগে তবে তিনি ভোর পাঁচটা থেকে শুনবেন আকাশবানী । এবং পনেরো মিনিটে চা-টা হজম করে বসে বসে ঢুলবেন । বীরেন্দ্র ভদ্র থকে গিয়ে ক্ষান্ত হলে , বাবু জেগে উঠবেন ‘ আহ ! সাচ এ পীওর ট্র্যাডিশন ’, বলে চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুম চালিয়ে যাবেন । - “ পূজা ইজ হিয়ার মায় বয় , লিসেন টু দ্য ম্যাজিকাল ভয়েস অফ ভিরেন্দ্রা কৃষ্ন্যা ভ্যাদ্রা ”, সাউথ সিটির ৩৬

শুদ্ধ বাংলা বিশুদ্ধ বাংলা

প্রশ্ন: শুদ্ধ কি প্রকারে শুদ্ধতর হয় ? বাহ্যিক পরিবর্তন ছাড়াও সমূহ ব্যবহারিক পরিবর্তন কি ভাবে সম্ভব ? দশটি উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো । উত্তর : শুদ্ধ হতে শুদ্ধতর হওয়া এবং বাহ্যিক পরিবর্তন ছাড়া ব্যবহারিক পরিবর্তনের যে পদ্ধতিটি , তার উত্তম প্রয়োগ-দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পারি আমাদেরই আপন মাতৃভাষায় । অতএব , বঙ্গ -ভান্ডার চষে দশ খানি বিবিধ-রতন নীচে লিপি-বদ্ধ করা হলো: শব্দ ১- ব্যাপক: প্রাচীন ব্যবহার : “ কলিকাতা শহরে ওলাউঠার প্রাদুর্ভাবে ব্যাপক হারে মানুষ মরিতে লাগিলো ” আধুনিক ব্যবহার: “ ব্যাপক মেয়ে , সাধু ভাষায় যাকে বলে ডানা লেস পরি ” শব্দ ২- আগুন: প্রাচীন ব্যবহার : “ এত বেলা হয়ে গ্যাল এখনো উনুনে আগুন পড়ল না রে মুখপুড়ির দল ?” আধুনিক ব্যবহার: “ হোয়াট আ কভার ড্রাইভ , আগুন শট , জিও দাদা ” শব্দ ৩- গুরু: প্রাচীন ব্যবহার : “ তুমি গুরু তুমি রাম , তুমি ভগবান , তোমারি লগিয়া তাই কাঁদে মোর প্রাণ ” আধুনিক ব্যবহার : “ ভ্যানতারা না মেরে একটা সিগারেট দাও দেখি গুরু ”

'তন্ময় মুখো'

২০০২।কলকাতা । তখন কলেজে , থাকছি কলেজ স্ট্রীটের কাছে সীতারাম ঘোষ স্ট্রীটের এক মেস-বাড়িতে । আমার তখনকার এপিক-আলস্যে ভরা জিন্দেগি নিয়ে , আমার সহ-মেসি বন্ধু , বর্তমানে বাংলা কবিতার একটা কংক্রিটে-নাম , অনিমিখ পাত্র , ওরফে আমাদের মেসের সার্বজনীন ‘ কবি ’; হুট করে একটা ছড়া কষেছিল । আমার মত উলু-খাগড়ার যদি জীবনী হত , তবে এই ছড়াটাই হত উজ্জ্বলতম চ্যাপটার । **** " এটা মুখার্জি তন্ময়ের এককালের রোজনামচা , তার সৌজন্যেই আমার এ নশ্বর জীবনে শ্রেষ্ঠতম আলস্য দেখা হলো" - অনিমিখ পাত্র

টেলি-ভীষণ

টিভি দ্যাখা ব্যাপারটাকে মোটামুটি একটা ইণ্ডাস্ট্রিয়াল প্রসেসে নিয়ে এসেছি । রীতিমত ঘাম ঝরিয়ে , মেরুদন্ড মচকিয়ে তবে আমার টিভির নাগাল পাওয়া যায় । প্রথমত , টিভির প্লাগ লাগিয়ে সুইচ অন করা । দ্বিতীয়ত , স্যাটেলাইট সেট টপ বক্স ’ এর প্লাগ লাগিয়ে সুইচ অন করা । তৃতীয়ত , অতিরিক্ত সাউন্ড বক্স ’ এর প্লাগ লাগিয়ে সুইচ অন করা ।(পুওর ম্যান ’ স হোম থিয়েটার) চতুর্থত , টিভির মূল বোতামটি টিপে যন্ত্রটিকে মন্ত্র-চালিত করা। পঞ্চমত , টিভির রিমোট টিপে টিভি কে প্র্জ্জ্বল করে দেওয়া।

বঙ্গ-জীবনের অঙ্গ

কিছু কিছু ব্র্যান্ড আদ্যোপান্ত বাঙালি , সে কোনও অমুক-লিভারের নয় বা কোনও তমুক-গ্যাম্বেল ’ এরও নয় । এই পণ্য-নামগুলো বাঙালির বাঙ্গালিয়ানা ঘিরে রয়েছে , অন্তত নব্বই দশক পর্যন্তও ছিল । আর আমরা যারা এখন টি-টুয়েন্টি তথা ডিশ-টিভি তথা ফেসবুক-মগ্ন , তাদের কাছে এই নামগুলোর একক ডেফিনিসন হচ্ছে ‘ ছেলেবেলার গন্ধ ’। ~ বোরোলীন: সুরভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রীম । চ্যাটচ্যাটে , বাতাস ভারী গন্ধে ভরপুর । তবু ঠোঁট-ফাটা থেকে ছড়ে যাওয়া হাঁটু , বোরোলীন ছিল সর্বত্র । এখনো বোরোলিনের ছিপি খুললে মা ’ এর কথা মনে আসে । ~ মার্গো সাবান : সবুজ । ভীষণ টেকসই । চেটে দেখেছি , সত্যিই নিম-তেতো । ফ্যানা-ট্যানার পরোয়া নেই , এন্তার গায়ে - পিঠে ঘষে চলো । ~ নাইসিল: আমার বাঙালি রক্ত আমায় দিয়েছে দুপুর রোদে ফুটবল , আর দিয়েছে ঘামাচি , ভাগ্যিস নাইসিল ছিলো । ~

মদ্য পঞ্চ-প্রদীপ

মাতালের মদ্যপান নিতান্তই অকারণ , তাই সে মাতাল । কিন্তু আমরা Connoisseur, সুরা-উপভোগী , মদ্দ্যপ বেল্লিক-পনা আমাদের নয় । আমাদের কারণ-সেবনে অতিশয় কারণ মিশে থাকে ; তাই আমাদের মদ্য-স্পর্শে স্বয়ং ঈশ্বরের অমৃতরস প্রাপ্তি ঘটে। কোন কারণ-গুলি স্পর্শ করে আমাদের গেলাসে ডুব ? ১। বৃষ্টি : এ দেহ মৃত্তিকাবত , মাটিতে একদিন মিশে গিয়েই মুক্তি । বর্ষা নেমে যখন মাটি ভিজিয়ে প্রকৃতিতে নরম স্পর্শ টেনে আনে , এ মেটে-শরীর তখন সুধা-মগ্ন হতে চায় । ‘ অই , হূইস্কি , আইসো ব্রাদার , এ পচা কন্ঠ বাইয়া আনন্দ-বর্ষা হইয়া নামিয়া আইসো পঞ্জর জুড়িয়া ’ । বৃষ্টি নামলেই মশাই আমার হৃদয় এক মরণ- thirst জুড়ে বসে । ২। শনিবার রাত: Weekend আমায় Weak করে তোলে বন্ধু।

বং-প্যাকিং

-' প্যাকিং একটা আর্ট বুঝলি পচা , ইন ফ্যাক্ট খুবই আন্ডার-রেটেড আর্ট। তবে যেহেতু ঘুর-ঘুর করবার টেনডেন্সি বাঙালীদের মধ্যেই বেশি , সেহেতু কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে জিনিষপত্র গোছ-গাছ করবার ব্যাপারে আমাদের ফোকাসটা বেশি তীক্ষ্ণ হওয়া দরকার '- মেজোমামা ফি বছর পুজোর ছুটিতে ঘুরতে বেরোয়। ব্যাচেলর মানুষ , এক ঘুরতে বিশেষ ভালবাসে। এবার চলেছে সিক্কিম। দুপুরে খাওয়ার পর নিজের ব্যাগ গোছাতে গোছাতে আমার সাথে কথা হচ্ছিল। রাত্রি বেলা ট্রেন। -' আর্ট কিরকম ?', আমিও গ্যাঁজানোর মেজাজে ছিলাম। -' ওয়েল , শিল্প , কারণ চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে , কী ভাবে তুই জিনিস পত্তর বয়ে নেওয়াটাকে অপ্টিমাইজ করতে পারবি যাতে তোকে মুটের মত না ঘুরতে হয় , আবার বেসিক জিনিস পত্রের অভাবে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাও যাতে ঘষে না যায়। অবশ্য আর্ট শুধু ব্যাটাছেলের লাগেজের ক্ষেত্রেই হতে পারে। মেয়েরা আর্ট-টার্ট মনে না। ওরা বোঝে কোয়ান্টিটি। ইউসলেস , মেয়েদের সঙ্গে কক্ষনও ঘুরতে যাওয়া নয় , ফার্স্ট রুল অফ প্যাকিং , বুঝলি ?' -' সেই জন্যেই বুঝি তুমি বিয়ে করলে না ?' -' সেটা একটা ফ্যাক্টর তো বটেই। &