Thursday, September 29, 2011

Boss কহিলেন



[এমন এক BOSS কে চিনি, যাকে তার দ্বারা Boss’ইতো জনগণ অসুর কুমার বলে ভক্তি-শ্রদ্ধা করে থাকেনসেই অসুর-কুমারএর বস-মুখি চিন্তা-ভাবনার এক খাবলা চুরি করে নীচে টুকে দিলামBoss-দু:খে যারা মরমে মরে আছেন, তাদের হাড়ে-হাড়ে এই ভাবনা-গুলোর পাল্স অনুভূত হবে, এ আমার বিশ্বাস ]
“এই যে পাহাড়ের মত চেয়ারটায় ওপর চড়ে বসে আছি, সেখান থেকে নিচের দিকে থাকলেই মাথাটা কেমন বন-বন করে ঘুরতে থাকে; কত্তসব ছুটকোছটকা অপদার্থের দল পোকা-মাকড়ের মত ঘোরাঘুরি করছে। আমি যে এতো খাটা-খাটনি করে এদ্দুর উঠে এলাম, সেই হার্ড-ওয়ার্কিং স্পিরিটের ভগ্নাংশও যদি এই গাধাগুলোর মজ্জায় থাকত তাহলে এর উর্বর মানুষ হয়ে উঠতো। কাজ-কর্মের বালাই নেই, গোটাদিন শুধু চাই-চাই-চাই’; ছুটি চাই, বোনাস চাই, লোন চাই,টি-এ/ডি-এ চাই! আরে? আমার অধস্তন বলে কি আমার স্তন পিষে নেবে নাকি

Tuesday, September 27, 2011

দুর্গা পুজো খাদ্য নির্ঘন্ট


সপ্তমী :
সকাল ৭ ঘটিকা – লুচি + ছোলার ডাল নারকোল দিয়ে + বেগুন ভাজা + ভীম নাগ সন্দেশ
বেলা ১১ ঘটিকা - দেবী প্রসাদ (চাল-কলা, শসা, আপেল ইত্যাদি) + কোকা-কোলা
দ্বিপ্রহর ২ ঘটিকা - নুন, লেবু, ভাত, বেগুনী, ঝুড়ি আলু ভাজা, সোনা মুগের ডাল, মাছের মাথা দিয়ে বাঁধা কপির তরকারী, রুই মাছের কালীয়া, মৌরলা মাছের ঝোল, খেজুরের চাটনি, ছানার পায়েস
বৈকাল ৫ ঘটিকা - লেবুর সরবত
সন্ধ্যে ৬ ঘটিকা - পাঁঠার ঘুগনি, ঘটি-গরম চানাচুর মিশ্রণ, দই-ফুচকা + ঠান্ডা পানীয়
রাত্রি ১০ ঘটিকা - রকমারি কাবাব, মুর্গ-মুসল্লাম, মাটন বিরিয়ানী, ফির্নি, কে সি দাসের রসগোল্লা, মিষ্টি পান

Monday, September 26, 2011

মহালয়া কান্ড

মহালয়া মানেই বাঙালির হাড়-গোড়ে কাঁপণ। আধুনিক বাঙালি আর কাশ-শিউলি-নীল আকাশে পুজো পুজো সিগন্যাল খোঁজে না।কলকেতিয়ে বঙ্গ-সন্তান হলে তো কথাই নেই। ট্র্যাফিক বাতির লাল-সবুজ, ট্যাক্সির হলুদ আর রাইটার্সএর লাল বাদে কলকাতার পাবলিক রঙ চেনে না।
বাঙালি এখন পুজোর হাওয়া চিনতে পারে পাড়ার দাদাদের চাঁদা তোলার হিড়িকে, ক্যালেণ্ডারের তারিখে, পূজা বার্ষিকীতে তথা পণ্য-বাজারের দুর্গা পূজা ধামাকা ডিসকাউন্ট অফার থেকে। আর এই পুজো-আনন্দ ছলকে ওঠে মহালয়া থেকে। ভোর রাত্রে বীরেন ভদ্রের প্যাঁপর যেই না বাজল অমনি বাঙালির গায়ে কাঁটা!
নিষ্ঠাবান বাঙালি মাত্রই ভোর ছটা থেকে দূরদর্শনের সামনে বসবেন কফি বা চা হাতে, সঙ্গে চানাচুর, নিমকি। নিষ্ঠা যদি অতিমাত্রায় জাগে তবে তিনি ভোর পাঁচটা থেকে শুনবেন আকাশবানীএবং পনেরো মিনিটে চা-টা হজম করে বসে বসে ঢুলবেনবীরেন্দ্র ভদ্র থকে গিয়ে ক্ষান্ত হলে, বাবু জেগে উঠবেন আহ! সাচ এ পীওর ট্র্যাডিশন’, বলে চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুম চালিয়ে যাবেন
-পূজা ইজ হিয়ার মায় বয়, লিসেন টু দ্য ম্যাজিকাল ভয়েস অফ ভিরেন্দ্রা কৃষ্ন্যা ভ্যাদ্রা”, সাউথ সিটির ৩৬ তলার পিতা তার পুত্রকে হেচড়ে তোলেন ভোর বেলা

Saturday, September 24, 2011

শুদ্ধ বাংলা বিশুদ্ধ বাংলা


প্রশ্ন: শুদ্ধ কি প্রকারে শুদ্ধতর হয় ? বাহ্যিক পরিবর্তন ছাড়াও সমূহ ব্যবহারিক পরিবর্তন কি ভাবে সম্ভব? দশটি উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো
উত্তর: শুদ্ধ হতে শুদ্ধতর হওয়া এবং বাহ্যিক পরিবর্তন ছাড়া ব্যবহারিক পরিবর্তনের যে পদ্ধতিটি, তার উত্তম প্রয়োগ-দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পারি আমাদেরই আপন মাতৃভাষায়
অতএব, বঙ্গ-ভান্ডার চষে দশ খানি বিবিধ-রতন নীচে লিপি-বদ্ধ করা হলো:
শব্দ ১- ব্যাপক:
প্রাচীন ব্যবহার : কলিকাতা শহরে ওলাউঠার প্রাদুর্ভাবে ব্যাপক হারে মানুষ মরিতে লাগিলো
আধুনিক ব্যবহার: ব্যাপক মেয়ে, সাধু ভাষায় যাকে বলে ডানা লেস পরি
শব্দ ২- আগুন:
প্রাচীন ব্যবহার : এত বেলা হয়ে গ্যাল এখনো উনুনে আগুন পড়ল না রে মুখপুড়ির দল?”
আধুনিক ব্যবহার: হোয়াট আ কভার ড্রাইভ, আগুন শট, জিও দাদা
শব্দ ৩- গুরু:
প্রাচীন ব্যবহার : তুমি গুরু তুমি রাম, তুমি ভগবান, তোমারি লগিয়া তাই কাঁদে মোর প্রাণ
আধুনিক ব্যবহার : ভ্যানতারা না মেরে একটা সিগারেট দাও দেখি গুরু

'তন্ময় মুখো'


২০০২।কলকাতা তখন কলেজে, থাকছি কলেজ স্ট্রীটের কাছে সীতারাম ঘোষ স্ট্রীটের এক মেস-বাড়িতেআমার তখনকার এপিক-আলস্যে ভরা জিন্দেগি নিয়ে, আমার সহ-মেসি বন্ধু, বর্তমানে বাংলা কবিতার একটা কংক্রিটে-নাম,অনিমিখ পাত্র, ওরফে আমাদের মেসের সার্বজনীন কবি’; হুট করে একটা ছড়া কষেছিল
আমার মত উলু-খাগড়ার যদি জীবনী হত, তবে এই ছড়াটাই হত উজ্জ্বলতম চ্যাপটার

****
"এটা মুখার্জি তন্ময়ের এককালের রোজনামচা, তার সৌজন্যেই আমার এ নশ্বর জীবনে শ্রেষ্ঠতম আলস্য দেখা হলো" - অনিমিখ পাত্র

Friday, September 23, 2011

টেলি-ভীষণ

টিভি দ্যাখা ব্যাপারটাকে মোটামুটি একটা ইণ্ডাস্ট্রিয়াল প্রসেসে নিয়ে এসেছিরীতিমত ঘাম ঝরিয়ে, মেরুদন্ড মচকিয়ে তবে আমার টিভির নাগাল পাওয়া যায়
প্রথমত, টিভির প্লাগ লাগিয়ে সুইচ অন করা
দ্বিতীয়ত, স্যাটেলাইট সেট টপ বক্সএর প্লাগ লাগিয়ে সুইচ অন করা
তৃতীয়ত, অতিরিক্ত সাউন্ড বক্সএর প্লাগ লাগিয়ে সুইচ অন করা।(পুওর ম্যানস হোম থিয়েটার)

চতুর্থত
, টিভির মূল বোতামটি টিপে যন্ত্রটিকে মন্ত্র-চালিত করা।
পঞ্চমত, টিভির রিমোট টিপে টিভি কে প্র্জ্জ্বল করে দেওয়া।

Thursday, September 22, 2011

বঙ্গ-জীবনের অঙ্গ

কিছু কিছু ব্র্যান্ড আদ্যোপান্ত বাঙালি, সে কোনও অমুক-লিভারের নয় বা কোনও তমুক-গ্যাম্বেলএরও নয়এই পণ্য-নামগুলো বাঙালির বাঙ্গালিয়ানা ঘিরে রয়েছে, অন্তত নব্বই দশক পর্যন্তও ছিলআর আমরা যারা এখন টি-টুয়েন্টি তথা ডিশ-টিভি তথা ফেসবুক-মগ্ন, তাদের কাছে এই নামগুলোর একক ডেফিনিসন হচ্ছে ছেলেবেলার গন্ধ’।


~ বোরোলীন: সুরভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রীমচ্যাটচ্যাটে, বাতাস ভারী গন্ধে ভরপুরতবু ঠোঁট-ফাটা থেকে ছড়ে যাওয়া হাঁটু, বোরোলীন ছিল সর্বত্রএখনো বোরোলিনের ছিপি খুললে মাএর কথা মনে আসে




~ মার্গো সাবান: সবুজভীষণ টেকসইচেটে দেখেছি, সত্যিই নিম-তেতোফ্যানা-ট্যানার পরোয়া নেই, এন্তার গায়ে-পিঠে ঘষে চলো




~ নাইসিল: আমার বাঙালি রক্ত আমায় দিয়েছে দুপুর রোদে ফুটবল, আর দিয়েছে ঘামাচি, ভাগ্যিস নাইসিল ছিলো



~

Wednesday, September 21, 2011

মদ্য পঞ্চ-প্রদীপ





মাতালের মদ্যপান নিতান্তই অকারণ, তাই সে মাতালকিন্তু আমরা Connoisseur, সুরা-উপভোগী, মদ্দ্যপ বেল্লিক-পনা আমাদের নয়আমাদের কারণ-সেবনে অতিশয় কারণ মিশে থাকে; তাই আমাদের মদ্য-স্পর্শে স্বয়ং ঈশ্বরের অমৃতরস প্রাপ্তি ঘটে।


কোন কারণ-গুলি স্পর্শ করে আমাদের গেলাসে ডুব?




১। বৃষ্টি : এ দেহ মৃত্তিকাবত, মাটিতে একদিন মিশে গিয়েই মুক্তিবর্ষা নেমে যখন মাটি ভিজিয়ে প্রকৃতিতে নরম স্পর্শ টেনে আনে, এ মেটে-শরীর তখন সুধা-মগ্ন হতে চায়অই, হূইস্কি, আইসো ব্রাদার, এ পচা কন্ঠ বাইয়া আনন্দ-বর্ষা হইয়া নামিয়া আইসো পঞ্জর জুড়িয়াবৃষ্টি নামলেই মশাই আমার হৃদয় এক মরণ-thirst জুড়ে বসে


২। শনিবার রাত: Weekend আমায় Weak করে তোলে বন্ধু।

Saturday, September 17, 2011

বং-প্যাকিং




-'প্যাকিং একটা আর্ট বুঝলি পচা, ইন ফ্যাক্ট খুবই আন্ডার-রেটেড আর্ট। তবে যেহেতু ঘুর-ঘুর করবার টেনডেন্সি বাঙালীদের মধ্যেই বেশি, সেহেতু কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে জিনিষপত্র গোছ-গাছ করবার ব্যাপারে আমাদের ফোকাসটা বেশি তীক্ষ্ণ হওয়া দরকার'- মেজোমামা ফি বছর পুজোর ছুটিতে ঘুরতে বেরোয়। ব্যাচেলর মানুষ, এক ঘুরতে বিশেষ ভালবাসে। এবার চলেছে সিক্কিম। দুপুরে খাওয়ার পর নিজের ব্যাগ গোছাতে গোছাতে আমার সাথে কথা হচ্ছিল। রাত্রি বেলা ট্রেন।


-'আর্ট কিরকম?', আমিও গ্যাঁজানোর মেজাজে ছিলাম।


-'ওয়েল, শিল্প, কারণ চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে, কী ভাবে তুই জিনিস পত্তর বয়ে নেওয়াটাকে অপ্টিমাইজ করতে পারবি যাতে তোকে মুটের মত না ঘুরতে হয়, আবার বেসিক জিনিস পত্রের অভাবে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাও যাতে ঘষে না যায়। অবশ্য আর্ট শুধু ব্যাটাছেলের লাগেজের ক্ষেত্রেই হতে পারে। মেয়েরা আর্ট-টার্ট মনে না। ওরা বোঝে কোয়ান্টিটি। ইউসলেস, মেয়েদের সঙ্গে কক্ষনও ঘুরতে যাওয়া নয়, ফার্স্ট রুল অফ প্যাকিং, বুঝলি?'


-'সেই জন্যেই বুঝি তুমি বিয়ে করলে না?'


-'সেটা একটা ফ্যাক্টর তো বটেই।'


-'তো প্রথম রুলটা বুঝলাম, নারী সঙ্গে সর্বনাশ, তারপর?'


-'তারপর! তারপর তোকে দেখতে হবে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যটা কি, তুই কি কোনও অফিশিয়াল ট্যুরে যাচ্ছিস নাকি ছুটি উপভোগ করতে। যদি অফিসিয়াল ট্যুর হয়ে, তবে অবশ্যই সঙ্গে একটা হালকা স্যুইট-কেস, এবং বাকি আবশ্যক জিনিস। ওটাও কোনও চ্যালেঞ্জ নয়, ধরা বাঁধা জিনিস পুরে নিলেই হল। আসল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যখন তুই যাচ্ছিস ভ্যাকেসনে, সাত-আট দিন জুড়ে, বাংলাদেশের এই শস্য-শ্যামলা কম্ফর্ট ছেড়ে কোনও তুবড়ি মার্কা জাগায়। যেমন আমি এবার চললাম সিক্কিমি বিরাশী-সিক্কার এক দুর্দান্ত ভ্রমণে। সাত দিনের ঘুরলি, চাট্টি-খানি কথা নয় পচা। যে লিষ্টি টা বানিয়েছি সেটা তোকে পড়ে শোনাই