Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2015

বুড়ো আঙুল

- কথায় কথায় বুড়ো আঙুল দেখানো বন্ধ কর মার্ক, আমার গা জ্বলে যায়। - গা জ্বলার কী আছে রে মেয়ে? এটা তো থাম্বস আপ, বাহবা দেওয়া। - থাম। আমি তো আর তোদের মত নই, পাতি বাঙালি।  আমার শুধু মনে হয় কাঁচকলা দেখাচ্ছিস। - কাঁ...কাঁচকলা? - মানে তোদের থাম্বস আপ হল আমাদের থাম্বস ডাউন। কাজেই কথায় কথায় বুড়ো আঙুল দেখানো বন্ধ কর। আমায় ইরিটেট করে বড্ড। - ইরিটেট করে? রিয়েলি? - করেই তো। - দাঁড়া, এমন একটা জিনিষ বানাচ্ছি না যে শুধু তুই কেন, তোর চোদ্দ গুষ্টি, তোর দেশোয়ালি সক্কলে; এমনকি তোর দেশের প্রধানমন্ত্রীও বুড়ো আঙুল নাচিয়ে থাম্বস আপ বলবে। - ভাক। কাঁচকলা বানাবি তুই। - দেখিস। অ্যান্ড ইউ উইল লাইক ইট। প্রমিস।

অ্যানসার

- এই তোমায় নিয়ে গত দেড় বছরে সাত জন। - সাত জন কী? - অপঘাতে মৃত্যু।  সেভেন ইন ওয়ান অ্যান্ড হাফ ইয়ার্স। - কী বলছেন প্রেসিডেন্ট?  আপনার মাথা ঠিক আছে তো? - মাথা বেঠিক তোমাদের মত জনদরদী বায়োকেমিস্টের হয় মাঝে মাঝে। তবে তোমাদের আর দোষ দিই কী করে বল ডাক্তার। একদিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিঙের ঝাঁঝ আর অন্যদিকে এই তোমাদের পরোপকারের ভূত। মাথা ঠাণ্ডা রাখবে কী করে? - আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না প্রেসিডেন্ট। যুগান্তকারী আবিষ্কারের কথা নিয়ে আপনার কাছে এলাম আর আপনি এসব...। - থাম থাম। ইডিয়ট কোথাকার। বেওকুফ!! ক্যান্সার নির্মূল করার সস্তা ওষুধ আবিষ্কার করে কি মাথা কিনেছ? - কী বলছেন প্রেসিডেন্ট?  মানুষ আর অসহায় ভাবে মারা যাবে না। গরীব মানুষও এ সস্তা ওষুধের দু'দাগেই চাঙ্গা হয়ে উঠবে। মেডিকাল সায়েন্সে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে...। - চোপ! দিগন্ত না কচু। এ ক্যান্সারের আন্সার আবিষ্কার আজ থেকে তিরিশ বছর আগেই হয়ে গেসল। কার্লাইল। নাম শোনা নিশ্চই? তিনিই বানিয়েছিলেন।  - কার্লাইল?  ডক্টর নীল কার্লাইল? যিনি পঁচাশিতে  হেলিকপ্টার ক্র‍্যাশে...। - ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কারের সময় এখনও আসেনি ডাক্তার। কার্লাইল কে

মায়ের হেল্প

অবশেষে দেবীর দেখা পেয়ে নিশ্চিন্ত হলেন শ্যামাপদ। মায়ের চোখে ভালোবাসা উপচে পড়ছে। **   - "তুই এসেছিস মা?" - "তুই এমন ভাবে উপোস দিয়ে আমার কথা ভাবছিস। না এসে উপায় কী?" - "ভাবছি কি আর সাধে গো মা। বড় দুঃখ"। - "দুঃখ? কেন? অম্বলটা বড্ড বেশি জ্বালাচ্ছে বাবা?"। - "মা, মা গো! সেই আঠাশ বছর বয়েস থেকে অম্বল এ দেহে বাসা বেঁধেছে। এখন আমি তেপান্নোয়। মায়ার বাঁধনে পড়ে আছি মা। অম্বল না থাকলে মন কেমন করে। চোঁয়া ঢেকুর বই তো নয়, ওদিকে নজর দিও না গো দশভুজা মা আমার"। - "তাহলে কীসের এত কষ্ট বাবা শ্যামা?" - " মা সমস্যা যে তুমি মা"।   - "আমি? সমস্যা?"।   - "অক্টোবর এলেই গায়ে জ্বর আসে মা। বৌ যেতে চায় গড়িয়াহাট। মেয়ে সিক্কিম। হাড় হিম হয়ে আসে মা। গড়িয়াহাটের ভিড় দেখে গা গুলোয়। বোনাস এত্তটুকু আর হেইসা বাজারের ফর্দ। পুজোয় শিলিগুড়ির কনফার্ম টিকিট পাওয়ার চেয়ে ময়দানে চায়ের বাগান করা সহজ মা। বাঁচাও। কিছু একটা দাও। পরশপাথর বা আশ্চর্য প্রদীপ গোছের কিছু। ওয়ান স্টপ সলিউশন। আর পারা য

ভূত অ্যান্ড স্টাফ্‌

**** - জানা কথা তন্ময়।  - কী জানা? - এই, এই কনভার্সেশনটাকেও তুই পুরোপুরি হন্টেড অ্যাঙ্গেল দিবি। কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর ফাঁস হবে যে আমাদের মধ্যে একজনই মানুষ। আর এই কফিশপ হয়ত পাল্টে হয়ে যাবে নিমতলা। প্রেডিক্টব্ল। - ও। - কী?   - তাই তো। তা তুই বলছিস অমিত, যে রিয়েল সারপ্রাইজ হবে যদি দু'জনকেই ভূত হিসেবে রিভিল করি? এবং দ্যাট টু ইন সাদামাঠা সেটআপ? - হোয়াই নট? আফটার অল মানুষদের এক্সপেক্টেশন যাই থাক, সেটা নিয়ে তোর বদার্ড হওয়ার কোন কারণ নেই।   - বলছিস?   - আলবাত বলছি। ওরা এক্সপেক্ট করুক ভূত কফিনে বা রাত্রের শ্মশানে দাঁত খিঁচিয়ে ঘুরবে। কিন্তু ট্যুইস্টের খাতিরে ও'সব লুপহোল কেন এন্টারটেন করছিস প্লটে। এই যে আমরা ভরদুপুরে গোলপার্কের কফিশপে বসে কফিমাগ হাতে গুলতানি মারছি, আমাদের সেই পারাটাও ওরা জানুক। ওদের জানতে দে যে রাস্তাঘাটের ভীড়ে শুধু ওরাই একচেটিয়া নেই।   - বলছিস? - গো অ্যাহেড, গিভ ইট আ ট্রাই।

এলাহি

বেগম সে'বার এক নতুন রেসিপিতে পরোটা বানালেন। আকবর তো প্রথম কামড়েই আপ্লুত। হেঁসেলে থেকে বেগম সাহেবা হাঁকলেন "ক্যামন হয়েছে গো খেতে?" আকবরের মুখ তখন পরোটায় আটক। বিভোর সুরে আকবর বললেন: "গিন্নী, এলাহি"। বেগম শুধোলেন "কী? দীন ই ইলাহি?"। মোগলাই পরোটায় নির্বাণ প্রাপ্ত আকবরের কানে দীন ই ইলাহি যেন স্বপ্নাদেশের মত প্রবেশ করল। নতুন দিগন্ত আবিষ্কার করলেন সম্রাট।

ত্রিকোণ

- এটা ঠিক করলি ? - অনেস্টিটা দোষের?   - মেয়েটা ভালো। তোকে ভালোবাসে। তাকে এমন ভাবে রিজেক্ট করাটা...। - হোয়াট অ্যাবাউট মাই ভালোবাসা? আর এই অন্য মেয়েটাও যে আমার জন্য প্রাণ দিতে পারে, ওর ফিলিংস্‌টার ব্যাপারে কী বলার আছে তোমার? - সে'সবই বুঝছি। - তাহলে বারবার একই প্রশ্ন করে যাচ্ছ কেন?   - কারণ এই সেদিন পর্যন্ত তুই একটা মেয়ের সাথে ঘুরঘুর করলি আর আজ হঠাৎ...।   - হ্যাঁ হ্যাঁ এতদিন কেচাপের সাথে ডেট্‌ করেছি কিন্তু কাসুন্দিকে দেখে আমি বুঝতে পেরেছি সি ইজ মাই রিয়াল লাভ...সি ইজ দ্য ওয়ান...তোমরা আমায় বারবার একই প্রশ্ন করা বন্ধ কর...প্লীজ। - আহ্‌, আমি জাস্ট ক্যাসুয়ালি জানতে চেয়েছিলাম। তুই এত রেগে যাচ্ছিস কেন কাটলেট?

ফোন প্রেম

- তোমায় আজ পর্যন্ত দেখা হল না! শুধু ফোনের কথায় এই ভালোবাসা..অবিশ্বাস্য লাগে জানো? - অবিশ্বাস্য কেন? ফোনে প্রেম হয়। ফোনে লাভ মেকিংও হয়। জানো? - হয় তো। - তাহলে এত রাত্রে ফোন করে এমন নিরামিষ কথা বলছ কেন সোনা? সে সামথিং নাইস। - ইচ্ছে করছে পরতে পরতে তোমার আবরণগুলো খুলে তোমায় আবিষ্কার করি...ভালোবাসি...। - ও সোনা...প্লীজ...। - প্রথমে তোমার শাড়ির আঁচল সরিয়ে...। - উঁহু, প্রথমেই আঁচল সরানো নয়...। - কেন নয়? - প্রথমে কফিনের ঢাকনা সরিয়ে তবে না শাড়ির আঁচলে নেমে আসবে...।

প্রফেট

১। গান  - ঈশ্বর!! - অবাক হচ্ছ?   - ভাবতে পারছি না। - আমার জন্যেই তো এত তোড়জোড় তোমার, তাই না? - আমি তো নিমিত্ত। - যুদ্ধে চললে? - সংগ্রাম। ধর্মের হয়ে। আপনার হয়ে। এ শুধু যুদ্ধ নয়। আপনার পুজোও বটে। আশীর্বাদ করুন।   - বন্দুক কেন সাথে? - পুষ্পাঞ্জলির সময় আসবে ইশ্বর, এ সংগ্রামের অন্যদিকে। সমস্ত পাপের শেষে। ততদিন যে বন্দুকই যে আপনার চরণকমলে নিবেদিত। আশীর্বাদ করুন হে শ্রেষ্ঠ।   - বেশ। আশীর্বাদ করি তোমার বন্দুককে স্পর্শ করে। এসো কাছে, ও বন্দুক এগিয়ে দাও। - আমি ধন্য। বন্দুক ছুঁয়ে ইশ্বর গাইলেন -  " ...তুমি হও আমার মেয়ের ঘুমিয়ে পড়া মুখ তাকিয়ে থাকি,এটাও আমার বেঁচে থাকার সুখ"। পুচকে কবরের বুকে লুটিয়ে পড়লেন ভক্ত। বৃষ্টি নেমে ধুইয়ে দিল কবরের উপরের ধুলো, ভিজিয়ে দিলে পিঠের আলগা হওয়া বন্দুক। ভক্তের বুকে রয়ে গেল হাপুস কান্নার সুর -   "তুমি হও বেঁচে থাকার রসদ সবার কাছে", তার গালে স্মৃতির ধুলো, কাঁধে ট্রিগারের ভার, পিঠে ঈশ্বরের হাত। ২। উত্তর  - তুমি শেষ পর্যন্ত ওই দিবাকর

কে দেয় ?

- কে দেয় তোদের? - দেয়? কে দেবে? কী দেবে? কেন দেবে? - উফ, কে দেয় হচ্ছে অ্যান এক্সপ্রশন অফ সারকাজম। এটাও  বুঝিস না? মোরন! - কে দেয়? - রাইট। মানে এত বাড়তি এনথু পাস কোথা থেকে? কুল রিটর্ট। - ওহ। তেল বেড়েছে ব্যাপারটা বুঝি রাস্টিক হয়ে পড়েছে? - র‍্যামো:, ফেসবুকে লিখবি খুব তেল বেড়েছে? বরং কে দেয় কে ঘুরিয়ে যদি হু গিভস বলা যায়, ইট সাউন্ডস ইভেন কুলার। - ঢ্যামনামো কে কাউন্টার করতে "কে দেয়" বলে কুল সারকাজম ফ্লোট করানোর নেদু চেষ্টাটা সুপিরিয়র ফর্ম অফ ঢ্যামনামি নয়? সারকাজম দার্জিলিঙের ফাইনেস্ট চা, শুড নট বি ইন এভ্রিওয়ানস কাপ।   - নতুন আইডিয়াকে অ্যাক্সেপ্ট করতে বাঙালির যে কেন এত হেজিটেশন! - এ'সব আইডিয়া তোকে কে দেয়? হু গিভস?   - ধুর বা...। - এতক্ষণে বাঘের বাচ্চার মত কথা বলছিস।

রাতের খাবার

- রাতের খাবারে কী আছে রে কানাই? - ট্যাঙড়ার ঝাল। বেগুন পোড়া মাখা। - ডালে পেঁয়াজ ফোঁড়ন দিয়েছিস? - আজ্ঞে। - গুড বয়। খেতে দিবি কখন? - কখন দিলে সুবিধে হয় আপনার? - ঘণ্টা খানেক দে। ফ্রেশ হয়ে নিই। - ঘণ্টাখানেক দেওয়া যাবে না। ছোটদাদাবাবুর পেটে খিদে। খেতে চাইলেন বলে। ভূতের আবার ফ্রেশ হওয়া কী? এমনিতেই আপনার রক্ত খাওয়ার টাইমের সঙ্গে ছোটদাদাবাবুর ডিনারের সময় মেলাতে গিয়ে বড় ঝ্যামেলা হচ্ছে। ডিনারের সময় নিমগাছের দিকের জানালা খুললেই ছোটবাবু কেমন যেন সন্দেহ করছেন কিন্তু। - আরে বাবা জানালা খোলা না থাকলে ঝোলের গন্ধ, ডালের সুবাস আমার একঘেয়ে রক্তের স্যুপে মিশবে কী করে বাপ? ম্যানেজ কর। ম্যানেজ কর।

গণেশ পুজো

এক।  জীবনের বিভিন্ন ধাক্কায় পর্যুদস্ত নির্মলের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল যখন ডিভোর্সের ছ’মাসের মাথায় তার বার্ন্স অ্যান্ড বার্ন্সের সাধের চাকরীটাও গেল। নিষ্ঠাবান বামুনের ছেলে নির্মলের পরিবার সিদ্ধিদাতার ভক্ত। গণেশ কে প্রণাম না ঠুকে এক গেলাস জল পর্যন্ত মুখে তোলে না নির্মল। কিন্তু সিদ্ধিবিনায়ককে এত তোল্লাই দিয়েও যখন জীবনে এত দুরমুশ হয়ে পড়তে হল, নির্মলের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ল হাতি মাথা ইডিয়টের উপর। বাড়ির ঠাকুর ঘরের দরজা খুলে ঠাকুরের পেল্লায় সিংহাসনের সামনে গিয়ে গণেশ মূর্তির শুঁড় ধরে দিলেন বে দম ঠেলা; মূর্তি হেলে গেল। “শালার পো, এই জন্যে গোটা জীবন তোমার পুজো করে হন্যে হলাম? কত লাখ লাখ কিলো লাড্ডু ভোগে হাপিশ হয়ে গেল। এই নিয়ম ওই উপোষে প্রাণ জেরবার হয়ে গেল। আর এই তার আর ও আই? ভগবান না হাতি! একটা ডেডবডি কোথাকার”, উত্তেজনায় হুড়মুড় করে বলে গেল নির্মল। আরও দু’চারটে খিস্তি ঝাড়তে যাচ্ছিলেন নির্মল এমন সময় এক বিরাশি সিক্কার ধাক্কায় সোজা মেঝেয় লুটিয়ে পড়লে নির্মল। অজ্ঞান হওয়ার আগে নির্মল অস্পষ্ট শুনতে পেলেন যেন “শুয়ার, আমার নামে লাড্ডু এনে নিজের ব্লাড শুগার আমি বাড়াতে বলেছি? পরকীয়ায় ল্যাটপ্যাট হ

পান সম্মত

একটা পান সম্মত খুন করতে চেয়েছিল অমিত। একটা পান সম্মত খুন। অবশেষে পেরেছে। নিজেকে সাইকোপ্যাথ বলে ভাবতে খারাপ লাগে তার, বরং তার বিশ্বাস যে ফাঁসিতে চড়ার আগে অন্তত এ পৃথিবীতে পান সাহিত্যের হয়ে একটা জোরালো সওয়াল রেখে গেল সে। নাঃ, মাতাল হয়ে খুন করতে চায়নি সে। সে পানে খুন করতে চেয়েছিল। এবং পেরেছে। আহ:, নিশ্চিন্দি। পকেট থেকে রুমাল বের করে কপালের ঘাম মুছলে সে। পুলিশ আসতে এখনও অন্তত আধ ঘণ্টা। একটা সিগারেট ধরিয়ে ইজি চেয়ারটায় গা এলিয়ে দিলে সে। তিন হাত দূরে পড়ে মৃন্ময়ীর নিথর দেহ। মাথাটা থেঁতলানো। আহ, বড্ড রক্ত। বড্ড অল্প বয়েসে চলে যেতে হল মেয়েটাকে; থার্ড ইয়ার আর এমন কী? আর নিজের শ্যালিকা বলে নয়, অমিত জানে যে মেয়েটা সত্যিই ভীষণ ইন্টেলিজেন্ট ছিল। সান্ত্বনা এ’টাই, যে সে পানের বেদীতে বলি হয়েছে। ইজিচেয়ার থেকে সামনে মেঝের দিকে ঝুঁকে অস্ত্রটাকে কুড়িয়ে নিয়ে ফের গা এলিয়ে দিলে অমিত। পকেট থেকে রুমাল বের করে অস্ত্রের গা থেকে সযত্নে মৃন্ময়ীর রক্ত মুছে দিলে। অস্ত্র বলতে নারকোল তেল ভরা বড় ডিবেটা যা দিয়ে কয়েকশো বার মেয়েটার মাথার বাড়ি মারতে হয়েছে। কী খাটনি। তবে কাজের কাজ হয়েছে শেষ পর্যন্ত। গুণগুণ

ভালো শিঙাড়া

- ভালো মানুষ আর ভালো শিঙাড়ার। বড় অভাব। - ভালো মানুষে কাজ কী ভাই? তাকে পেলে চায়ের সাথে কামড়  দেবে না মুড়ি মাখা দিয়ে খাবে? - শিঙাড়া বেশি ইম্পরট্যান্ট বলছ? - ঘোড়া পিটিয়ে গাধা পসিবল। হারামি কে বুদ্ধ বা তস্য হারামির পাল্লায় ফেলে দাও, তার ত্যাঁদড়ামি কন্ট্রোলে চলে আসতে বাধ্য। কিন্তু সন্ধ্যার পিওর ক্ল্যাসিকাল মুডে যদি হানি সিংহ লেভেলের রদ্দি শিঙাড়া ইনসার্ট করেছ, তবেই ক্যালামিটি। - তবে বলি কি..। - কী? - যদি মনের মত মানুষই হয়, চা মুড়ির সাথে শিঙাড়ার প্যাশনে তাকে কামড় দিতেই বা ক্ষতি কী? যদি সে মানুষ বনলতাইস্ট ফ্লেভারে নিয়েই আসতে পারে ...। - মানুষ বনলতা? সে আলটিমেটলি তোমায় ট্রামের তলে টেনে নেবেই। ফিগারেটিভলি অর আদার ওয়াইজ। তাই তো বলি, কীপ ইওর ইনার জীবনানন্দ কাম অ্যান্ড অ্যাক্সেপ্ট শিঙাড়া অ্যাজ দ্য রিয়াল দু'দন্ড শান্তি।

হঠাৎ রাতের দুই

১ -কখন থেকে নক করছি মশায়। ঘুমিয়ে টুমিয়ে গেসলেন নাকি? -শুয়ে না ঘুমিয়ে কতক্ষণ থাকা যায়? -একটা কলিং বেল লাগাতে পারেন তো? -কলিং বেল দরজায় লাগে। ডালায় নয়। ২ রাত দু'টোয় ঘরে তিনটে মুর্গি দেখে আঁতকে উঠলেন বিভূতিভূষণবাবু। বালিগঞ্জে এমন মাঝরাত্রে দুম করে মুর্গি আসবে কোথা থেকে? কেউ মস্করা করেছে? ঘুমন্ত চোখ কচলে ভালো করে দেখলেন তিনি। ঠিক তিনটে মুর্গি; বেডরুমের মেঝে জুড়ে ছটফট করে বেড়াচ্ছে। ছটফট করছে যন্ত্রণায়, কারণ মুর্গিগুলোর আবার ডানা কাটা। মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ছে চাপ চাপ রক্ত। আর ঘরময় কর্কশ চ্যাঁ চ্যাঁ ডাক। মাথা ঝিমঝিম করে উঠলো বিভূতিভূষণবাবুর। অজ্ঞান হওয়ার আগে তার মনে পড়ল যে আজ বাড়ি ফেরার পথে এক প্লেট চিকেন উইং স্ট্রিপ নিয়ে এসেছিলেন প্যাক করিয়ে; কিন্তু খেতে বেমালুম ভুলে গেছেন।

প্রেমে পড়ার গল্প

- আপনার প্রেমে পড়ার গল্প শুনি। - বড় বেশি স্ট্রেট লাইনে, বড্ড ইউসুয়াল। - শুনি। - অ্যাম আ ব্যাড স্টোরি টেলার। - বাজে গল্প বলে, এমন প্রেমিক আছে? - কম প্রশ্ন করে, এমন প্রেমিকা আছে? - সে কী? এখনও খুঁজছেন? - কী? - এখনও প্রেমিকা খুঁজছেন? আরও প্রেমিকার প্রয়োজন? - নাহ, প্রেমের গল্প খুঁজছি, যেমন আপনি খুঁজছেন। - বেশ, বলতে শুরু করুন। - একটা কাজ করি; আপনাকে একটা নতুন প্রেমের গল্প বলি, মাত্র বারো লাইনের - কেমন?

মা আসছেন

-হাওয়ায় একটা ইয়ে টের পাচ্ছেন? - ইয়ে? - একটা শারদীয় ফিল আর কী। - আছে না কি? - অফকোর্স, মিহি ইয়ে একটা। রোদ্দুর কম্ফর্টেবল হয়ে আসছে।  - ও। - একটা এক্সাইটমেন্ট অনুভব করতে পারছি। - এক্সাইটমেন্ট? - মা আসছেন। মন ভালো হয়ে যাবে না? - মা আসছেন? - অক্টোবরের কুড়ি থেকে সপ্তমী। আসছেন তো বটেই। - আই সি, আপনার মা আসছেন।ওল্ড এজ হোম কি পুজোর ক'দিন বন্ধ-টন্ধ থাকে নাকি?

স্মল স্টেপ জায়ান্ট লিপ

নীল চাঁদে নামতেই গমগমে আওয়াজে কেঁপে উঠলো তার ওয়্যারলেস রিসিভার। - ওয়েলকাম নীল। ওয়েলকাম।  - কেমন আছেন স্যার।  - উজ্জীবিত। মাচ নিডেড ব্রেক।  - যাক। আপনাকে ফিরে পেয়ে রাষ্ট্রনেতারা আপ্লুত হবেন।  - তারা তো আপ্লুত হবেনই। এমন সস্তার প্রব্লেম সল্ভার কি সহজে জোটে? সিগারেট আছে? - সরি স্যার। মানে...চাঁদে তো।  - অ। তাই তো। যাক গে। ভেবেছিলাম ছেড়ে দেব। তবে কাউকে দেখলেই...বুঝলে কী না...বাতিক। যাক। সে ব্যাটাকে এনেছ? - আজ্ঞে হ্যাঁ স্যার। অফ কোর্স। - ইঞ্জেকশন? - দেওয়া। অজ্ঞান। টোটালি। ফর গুড। - গুড। লুনার ক্যাম্পে শুইয়ে দাও ওকে। ও এখানেই থেকে যাবে।  - জানি স্যার। ইন্সট্রাক্‌শন চলে এসেছে। তবে ইয়ে। আপনি নতুন ইমেজ নিয়ে ফিরে যাবেন গোচরের আড়ালে থাকতে সে'টা তো বুঝলাম। কিন্তু আপনার মত চোস্ত বাঙালি কিনা ফিরে যাবে দক্ষিণ ভারতীয় সেট আপে? দক্ষিণ ভারতীয় পরিচয়ে? - চাঁদকে গ্রীনরুম বানিয়ে এত বছর মেকআপ নিলাম। এত ম্যারাথন মেকআপের পর যদি বাঙালির ব্যাটা বাঙালি হয়েই ফিরি তবে আর থ্রিল কোথায়?  - তা বটে। মেকআপ জব্বর হয়েছে স্যার। ঠিক যেন উনিশ বছরের দক্ষিণ ভারতীয় যুবক। কে বলবে আপনার বয়স সত

ইন্টারভিউ স্নিপেট্‌স

১।  -নিজের ব্যপারে কিছু বলুন -আলুর দম ভালোবাসি -এটাই আপনার সবার আগে মনে এল? -ভুল? -নয়? -সরি।  -ইউ শুড বি। আগে লুচি বলুন।তবে তো। ২। -আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? -পাঁচ বছরে এমন জায়গায় থাকতে চাই যাতে সিজন এলে হপ্তায় পাঁচ দিন পাতে ইলিশ থাকে। ৩। -নিজের দু'টো স্ট্রেন্থ বলুন।  -এক ব্লেডে দু হপ্তা নিখুঁত ভাবে চালিয়ে নিতে পারি। মিহিদানা দিয়ে মুড়ি মাখা খেয়ে চার দিন কাটাতে পারি।  ৪। -নিজের দুটো উইকনেস? -শাল পাতার দোনা ছাড়া ফুচকা এক্সেপ্ট না করতে পারা। বিজয় দশমীতে সিদ্ধি। ৫। -দেশের পলিটিকাল সিচুয়েশন সম্বন্ধে আপনার মতামত? -ঘেঁটে ঘ। -ইন্ডাস্ট্রি? -চেটে চ। -নেগেটিভ শোনাচ্ছে। -আসুন হিমসাগর নিয়ে গল্প করি

পুজো ট্যুইট সিরিজ

ক্রস-পোস্ট ১ “Go ভিড়ে যাও, আরও Go ভিড়ে যাও…” – পুজো শপিং’য়ের মরশুমে গড়িয়াহাট মোড়ে দাঁড়িয়ে অনুপম রায়। ২ হনুমান। সে একটি বার হনুমান বলে ডেকে, মিচকি হেসে, আঁচল ভাসিয়ে, মণ্ডপ আলো করে চলে যাবে। এ আশায় জিন্দেগী বয়ে গেল। ৩ প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে। তখন মণ্ডপে ঢাকের বাদ্যির সে এমন তেজ, পেটো পড়লেও টের পাওয়া যেত না। হু দ্য হেল ইজ প্রেম। ৪ -আড্ডা-চেক।খাওয়াদাওয়া-চেক।মণ্ডপে আড্ডা-চেক।ল্যাদ-চেক।পুজোসংখ্যা-চেক।অ্যাম রেডি ফর পুজো। -দেবীদর্শন? -ঝাড়ি? -দুর্গাঠাকুর বে -ওহ সরি ৫ আমি বিজলিগ্রিলের কর্ণধার হলে বছরে চারদিন নিজের সংস্থার নাম পাল্টে পুজোলিগ্রিল রাখতাম। গিমিক্‌টা পাবলিকে খেত।

বাবারা

- বাবা হবি? - ইন ফিউ মান্থস। - রেডি? - একদম। প্যারেন্টিংয়ের ওপর খানতিনেক বই অলরেডি পড়ে ফেলেছি। - বইতে পারফেক্টলি মলাট দিতে শিখেছিস? - মলাট? - সেনসিটিভ বাবাদের এসেনশিয়াল কোয়ালিটিগুলোর একটা। - বইয়ে মলাট দেওয়া? - অফ কোর্স।   - রিমি ভালো মলাট দেয়। ও সামলে নেবে। - নো। স্পার্ম যার মলাট তার। মায়েরা মলাট দেওয়া বইতে বিউটিফুলি লেবেল সেঁটে ছেলে বা মেয়ের নাম ক্লাস সাবজেক্ট লিখবে। - কোন শাস্ত্রে বলা আছে?   - মামাকে চ্যালেঞ্জ করছিস? - তোমায় তো কোনদিন মলাট দিতে দেখলাম না। তোমার ছেলেরা তো দিব্যি বেরিয়ে গেল স্কুল ডিঙিয়ে। - আমি সেনসিটিভ বাবা নই। প্র‍্যাক্টিকাল বাবা। - প্র‍্যাক্টিকাল বাবারা বইয়ে মলাট দেয় না?   - না, প্র‍্যাক্টিকাল বাবাদের প্যারেন্টিং মোটো হচ্ছে ম্যানেজ ইওর ওউন হ্যাপা। - আমায় তাহলে প্র‍্যাক্টিকাল বাবা না হয়ে সেনসিটিভ বাবা হতে বলছ কেন?   - কারণ তোর নেচার সেনসিটিভ বাপ হওয়ার জন্য টেলর-মেড। - হাউ?   - তোর গুপী গাইন বাঘা বাইন বেশি ভালো লাগ