১ কফি হাউসের দেওয়ালে টাঙানো ফ্রেমের ওপার থেকে রবীন্দ্রনাথ গাইছিলেন। “আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাইনি তোমায়”। টোস্টটা বিস্বাদ। দুপুরটার মতই। অনমিত্র নিজের অস্বস্তি চেপেচুপে কোনোক্রমে বসেছিলেন। কিন্তু সুরটা ক্রমশ তাঁর গায়ে আঁচড় কাটছিল যেন। ওয়েটারকে বিল দিতে বলে নোটবুকটা বন্ধ করে সাইডব্যাগে ঢুকিয়ে রাখলেন তিনি। এ’বারে কফি হাউস আসাটা বন্ধ করতে হবে। এতদিন কেটে গেল অথচ একদিনের জন্যেও মিতার দেখা পাওয়া গেল না। কিন্তু একসময় এ’দিকে মিতার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সে সবই ওর সাহিত্যিক বন্ধুদের হাত ধরে অবশ্য। মিতা নিজেও একসময় লেখালিখি করত। গত বছর দশেকে রিসার্চের কাজে এত ব্যস্ত হয়ে পড়লো মেয়েটা। তবু সময় সুযোগ করে মাঝেমধ্যেই চলে আসত কফি হাউস। অথচ কতদিন হয়ে গেল মিতার দেখা নেই। ধুস্। কফিহাউস থেকে বেরোতে বেরোতে বিকেল চারটে বেজে গেল। অনমিত্র রোজকার মত হাঁটতে হাঁটতে মেডিক্যাল কলেজের পিছনের দিকটায় চলে গেল। এখন ভাঁটার সময়, ঢেউ কম। আকাশ আর সমুদ্রের ফ্যাঁকাসে রঙ মিলেমিশে একটা অদ্ভুত গা ছমছম তৈরি করে; সে’টা দিব্যি লাগে অনমিত্রর। কলেজ স্কোয়্যারের দিক থেকে ঘটিগরমওলারা
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ