চলন্ত মিনিবাস থেকে হুড়মুড় করে নামতে গিয়ে ধাক্কা লাগলো রবীন্দ্রনাথের সাথে। ভদ্রলোকের দাড়ির আড়াল থেকে ফিক হাসি স্পষ্ট দেখা গেল। "ডাব্লু টি এফ", বলে মাথা চুলকে নিলাম খানিকটা। একটা পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের ওপর আর্টিকল পড়তে পড়তে চোখ লেগে এসেছিল। এখন হয় কন্ডাক্টর এসে ঘুম ভাঙাবে অথবা...। শিউরে উঠতে হলো। অথবা আমি সত্যিই চলন্ত বাস থেকে নেমেছিলাম কিন্তু...। স্পটডেড না স্বপ্ন? ধ্যেত্তেরি, ভদ্রলোকের দাড়ি কাঁপানো মিচকে হাসি তবু থামে না। ** বাইশ বছর ধরে কন্ডাক্টরি করছেন অনন্ত হালদার। কত রকমের প্যাসেঞ্জারই না দেখলেন। কিন্তু এই প্রথম কেউ তাকে টিকিট ফাঁকি দিয়ে কেটে পড়লে। খানিক আগেও বাঁ দিকের দ্বিতীয় সারির জানালায় নীল হাফশার্ট পরা ভদ্রলোককে দেখেছিলেন, গোলপার্ক থেকে উঠেছিলেন সম্ভবত। মৌলালির হট্টগোলে হাওয়া। নীল হাফশার্টের ভদ্রলোকের বদলে যিনি এখন সে'খানে বসে তিনি দিব্যি রবীন্দ্রনাথের সেজে বেরিয়েছেন। থিয়েটারের লোক? দাড়িটাড়ি তো প্রায় রিয়েল বলে মনে হয়। জব্বর মেকআপ। ** ও'দিকে ততক্ষণে রবীন্দ্রনাথের মিচকি হাসি হাওয়া, গলা শুকিয়ে কাঠ।
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ