চলে যাওয়ায় স্পর্শ আছে, দু;এক আউন্স ভালোবাসা থাকলেও থাকতে পারে। সেই ভালোবাসাটা মাঝেমধ্যে অনুভব করার চেষ্টা করেন তপন হালদার। ছোটবেলায় যখন শীতের রাত্রের ছাদে দাদু কস্টেলেশন চেনাতেন, তখন টের পেতেন দাদুর মৃদু কণ্ঠস্বরের বাইরে একটা জমজমাট নিস্তব্ধতা আছে। সেই নিস্তব্ধটা অনুভব করতে চেষ্টা করছিলেন তিনি। তখন ফার্স্ট ইয়ারে। পাড়ার গুরুতুতো দাদা মান্তু এক বিকেলে দড়াম করে পিঠে চাপড় মেরেছিল। গুরুস্নেহ মনে করে সে'সব আলপটকা চাপড় মাঝেমধ্যেই হজম করতে হত। সে'দিন আচমকা মান্তুদা জানান দিয়েছিল "চললাম রে, পাশটাশ করিস ঠিকমত। আর ইয়ে, বোলিংয়ের লাইন লেন্থ একটু ঠিক কর। গাঁকগাঁক করে বল ছোঁড়া মানেই বোলিং নয়"। "কোথায় চললে" জিজ্ঞেস করায় মিইয়ে গেছিল মান্তুদা। বিপ্লব ছাড়া চলবে না, চাকরী না করলে চলছে না, সংসারে বড় অভাব, বৌদি আর দাদার চোপা আর বরদাস্ত করা যাচ্ছে না; এ'মন সাতপাঁচ মিশিয়ে কিছু একটা বলেছিল। মান্তুদার সঙ্গে সেই শেষ দেখা। মান্তুদার আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে স্টেশন পর্যন্ত গেছিল তপু। সমস্তিপুর ফাস্ট প্যাসেঞ্জারের ভিড়ে মান্তুদা মিলিয়ে যাওয়ার সময় বড় অসহায় লেগেছিল। স্ট্যাটিস্টিক্সে
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ