Skip to main content

Posts

Showing posts from 2007

পিতা পুত্র

রাত দু'টো। ডিসেম্বর।  পরের দিন অঙ্ক পরীক্ষা। বাতাসে কেমন পানিপত পানিপত গন্ধ। হাফ ইয়ার্লিতে নাকটা ঘ্যাচাং করে উড়ে গেছিল। ফাইনালে গোলমাল বাঁধলে বোধ হয় বাবা মাথা আস্ত রাখবে না। বাকি সব সাবজেক্ট তাও গোঁজামিলে উতরে যাওয়া যায়। কিন্তু অঙ্কে বারফাট্টাইয়ের সুযোগটুযোগ তেমন নেই। বাঘের চেয়ে ট্রিগোনোমেট্রি কামড়ালে বেশি রক্ত ঝরবে, এ আমি নিশ্চিত।  নেমন্তন্ন বাড়িতে পনীরের কোপ্তা আর ভেজ মাঞ্চুরিয়ান দিয়ে সোনামুখ খেয়েদেয়ে ওঠা তাও সম্ভব, কিন্তু বাবার কাছে অঙ্ক ফেলের খবর নিয়ে হাজির হওয়ার চেয়ে বেশি গিলোটিনিও কাজ আর কিছু নেই। বাবা মাঝেমধ্যেই দরাজ গলায় বলেন, "যে অঙ্ক বোঝেনা, সে পৃথিবীর বোঝা। যার নম্বর নিয়ে  হাবুডুবু খায়, তারা এস্কেপিস্ট, যে কোনও দিন কোনও ডেসট্রাক্টিভ ডায়রেকশনে ঝুলে যাবে"।  নিজের মুখে নিজের ডেস্ট্রাক্টিভ ডিরেকশনে যাওয়ার খবর বাবাকে জানাতে বুকের পাটা লাগে। হাফইয়ার্লির মার্কশিট বাবার হাতে দিয়ে দৃষ্টিকে বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুল আর ডান পায়ের বুড়ো আঙুলের মধ্যে অসিলেট করাচ্ছিলাম। বাবা টেবিল চাপড়ে বলেছিল; "আমার ছেলে অঙ্কে ফেল? একশোয় বাইশ? তুমি একটি জেনেটিক এমব্যারাসমেন্ট। হাজার

চলে যাওয়া

চলে যাওয়ায় স্পর্শ আছে, দু;এক আউন্স ভালোবাসা থাকলেও থাকতে পারে।  সেই ভালোবাসাটা মাঝেমধ্যে অনুভব করার চেষ্টা করেন তপন হালদার।  ছোটবেলায় যখন শীতের রাত্রের ছাদে দাদু কস্টেলেশন চেনাতেন, তখন টের পেতেন দাদুর মৃদু কণ্ঠস্বরের বাইরে একটা জমজমাট নিস্তব্ধতা আছে। সেই নিস্তব্ধটা অনুভব করতে চেষ্টা করছিলেন তিনি। তখন ফার্স্ট ইয়ারে। পাড়ার গুরুতুতো দাদা মান্তু এক বিকেলে দড়াম করে পিঠে চাপড় মেরেছিল। গুরুস্নেহ মনে করে সে'সব আলপটকা চাপড় মাঝেমধ্যেই হজম করতে হত। সে'দিন আচমকা মান্তুদা জানান দিয়েছিল "চললাম রে, পাশটাশ করিস ঠিকমত। আর ইয়ে, বোলিংয়ের লাইন লেন্থ একটু ঠিক কর। গাঁকগাঁক করে বল ছোঁড়া মানেই বোলিং নয়"। "কোথায় চললে" জিজ্ঞেস করায় মিইয়ে গেছিল মান্তুদা। বিপ্লব ছাড়া চলবে না, চাকরী না করলে চলছে না, সংসারে বড়  অভাব, বৌদি আর দাদার চোপা আর বরদাস্ত করা যাচ্ছে না; এ'মন সাতপাঁচ মিশিয়ে কিছু একটা বলেছিল। মান্তুদার সঙ্গে সেই শেষ দেখা।  মান্তুদার আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে স্টেশন পর্যন্ত গেছিল তপু। সমস্তিপুর ফাস্ট প্যাসেঞ্জারের ভিড়ে মান্তুদা মিলিয়ে যাওয়ার সময় বড় অসহায় লেগেছিল। স্ট্যাটিস্টিক্সে

Yes Sir

Ek dol maanush achhen jara holen jaake bole Inside Out Hyper Realist. Realist ei jonnyei je era bojhen modhhyobitty'er protibaad'e Politics hoy , Coffe House hoy, Kobita hoy, Aspirin hoy kintu kaaj'er kaaj kissu hoyna; Net Output constant zero. Eder dhaal bolun talowar bolun sob'i saahebi ketay jhokjhoke, to the point : "Yes Sir". School e tukli korbaar jonnye ektaana 3 din kneel down! "Yes Sir" Ekbaar'o mukh fute berlona je tukechhe onnyo keu, je ekhon bijoyi haashi haschhe. Baajar'er taaka haat-safai'er daay'e Pitaa'r kachhe bedhorok Bokuni "Yes Sir" Bola holo na je Takaa ta ek Bondhu ke na dile tar ma'er jonnye osudh kena hoto na. Premikaa'r Pitaa'r charom hoomki "Stay away from my Daughter, you Scoundrel" "Yes Sir" Bola holo na je Bhalobaashi eke-oporke, nipaat, nikhaad Bhalobaasha! Office e Boss'er bharikki gola, "Compromise korte sekho, akhere labh h

বাপটুদার প্রেম

এক সময়ে অনেকের প্রেমে পড়া দেখেছি। স্কুলে কলেজে তিন ভাগের দু'ভাগ ছেলেরা যেমন ভাবে বাকি এক ভাগের প্রেমে সাঁতরানো দেখে মুখে বাহবা আর মনে মনে দুয়ো দেয় আর কী; সে'ভাবেই।  সুগন্ধি চিঠি, 'দিল' চিহ্ন দেওয়া ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড, কাচের বুদ্বুদে বলডান্স করা দম্পতি থেকে পালিয়ে হাফ বিয়ে, ব্লেডে হাত কেটে নাম লেখা। কিন্তু সে সব প্রেম বাপটুদার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি। বাপটুদা আমার চেয়ে মাত্র দু'ক্লাসে ওপরে পড়ত,  এবং আমায় নিয়ম করে কেমিস্ট্রি পড়াত। বলা ভালো আমায় টেনেটুনে পাস করাত।  সেই বাপটুদার চাবুক কলেজ প্রেম নিয়ে চারটে কথা টুকে রেখে দেওয়া উচিৎ।  ওর বাইশ নম্বর চিঠি যখন নিমকি-দি না ছিঁড়ে মিচকি হাসল, সে'দিন থেকেই বাপটুদা বাউল বনে গেছিল। মাঝেমধ্যেই অন্যমনস্ক হয়ে সোফার কুশন-কভার চিবিয়ে মায়ের কাছে বিস্তর গাঁট্টা খাচ্ছিল। আমায় বলে দিয়েছিল "কেমিস্ট্রিফেমিস্ট্রি পড়ে কী হবে রে? পূর্ণেন্দু পত্রী পড়। সময় কম। পড়ে ফেল"। বুঝেছিলাম কেমিস্ট্রিতে পাস করার ব্যাপারটা ঝুলে গেল।  যা হোক। বাপটুদার মুখে সেই প্রথম শুনেছিলাম "ফোকাস ছাড়া প্রেম দাঁড়াবে না। কমিটমেন্টে এস্পারওস্পার নেই

Baatik Bangali O Delhi

Kichhu manush achhen jaara bhuru knuchke,naak nachiye dibbi jibon guchhiye beriye gelen. Baatik-Birokti chhoriye, public'er sozhyo shokti'r opor istiri chaliye era dapot'e prithibi shashon kore jaan! Eraa ek-ek jon Genetic Chamok! Taraa din'e 4 baar dnaat brush koren, Aam 2.5 ghonta jol'e chubiye khaan carbide dhuye felte, Daari-waala manush dekhle kidnapper thauraan , Train'e-Bus'e sahojaatri beshi jayga nichhe bhebe nirlipto gaal thoken Muscle dekhle steroid bhaaben Australian maatro Chapell bole aantke othen, Sahokormi promotion pele tel-baaj haaken, Fuckhka khaoar aage Gelusil kenen.. Emon maanush era! Emoni ekjon amaader para'r BotkuDaa. BotukDaa kichhudin aage Delhi ghure gelen.Aashar aager Din phone korlen; "Agaami kaal pouchhochhi Delhi. Station e chole aschhis, train 11'tay....tui 10'tay chole ashish, bola jaay na..train jodi early in kore?" Eheno Botukda jakhon Baksho-Pyatra somet train theke naamlen, aam

পিতা-কন্যা

এ'দিকে পিতা , ও'দিকে কন্যা । পিতা ক্লাসিকাল ; নিয়ম-কানুন , মর্নিং ওয়াক , ক্যালকুলাস , সর্ষের-তেল স্নান , নিম-বেগুন , আর্নিকা , সতিনাথ ভাদুড়ী , ভীম সেন যোশী মেশানো প্রাচীন বাঁধুনি । কন্যা পোস্ট-মডার্ন । জিন্স , শুক্তো , হার্ড রক , সন্ধ্যা মুখার্জী , ডট কম , ফেমিনিজ্ম , ও শক্তি চাটুজ্যের সম্মিলিত লাবড়া ।বারান্দায় শরতের আদুরে রোদের মত ছলছলে। প্রাচীন অঙ্ক মেনেই ; যেই কন্যা জীবনমুখী ; অমনি পিতা রথের চাকা বসে যাওয়া সৈনিক।  কন্যা প্রেমে হাবু-ডুবু , পিতা অক্সিজেনের নল-কাটা ডুবুরি। তবুও:  পিতার হালুম  ,  কন্যার আধো-ম্যাও । পিতা : প্রেম করছ  ? কন্যা: ওই আর কী।  পিতা: ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে ডজ করবে না...।  কন্যা: হ্যাঁ প্রেম। পিতা: শেম! কন্যা: বাবা! পিতা: বুচি! কন্যা: আই অবজেক্ট। পিতা: ওভাররুল ড। কন্যা: আগে শুনবে তো....  পিতা: কী শুনবো ? প্রেম-ট্রেম গুরুপাক ব্যাপার। আমি ভেটো করছি। যার ডিমাণ্ড কার্ভ আঁকতে গেলে এখনো হাত কাঁপে , সে করবে প্রেম ? পাগল না পার্লামেন্ট ? কন্যা: তুমি আনরিসনেবল হচ্ছো। পিতা: আন-রিসনেবল ? আমি আনরিসনেবল

রিটায়ারমেন্ট

অনুপবাবু চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন। পাশে তখন সহকর্মীরা একে একে স্যালুট জানিয়ে চলেছে।  এই গতকাল পর্যন্ত যারা পিছন পিছন কাঠি হাতে ঘুর ঘুর করেছে তাঁদের গলা আজ বুজে আসছে।  কেউ বুঝল না। কেউ চিনল না। অনুপবাবুর বুক হুহু করে ওঠে। সদ্য পাওয়া শালটা খামচে ধরে নিজেকে সামলে নেন তিনি। গাড়ি নাকি এক ড্রাইভারের হাতে থাকলে সুস্থ থাকে, অথচ আজ মনে হচ্ছে বহু হাত ঘোরা হয়ে গেছে। অফিস গসিপ, বসের খিচিরমিচির, সম্পর্কগুলোর থেকে মিউচুয়াল মাখন দেওয়ানেওয়া; আচমকা অফিসের দেওয়াল ঘড়িতে বিকেল পাঁচটার ঘণ্টা শুনে বড় মন কেমন হয়ে গেল।  প্রভিডেন্ড ফান্ড ব্যাপারটায় যে কত ধানে কত চাল সে'টা এবার ঠাহর হবে। সকাল বেলা বাস ট্রামের ভিড়ে হদ্দ হতে হবে না সে'টা ভেবে কিছুদিন বেশ চনমনে লাগছিল বটে। কিন্তু চোখের সামনে হঠাৎ হাজার হাজার রোববার দেখতে পেয়ে কেমন অস্বস্তি শুরু হল। ডিমিনিশিং মার্জিনাল ইউটিলিটি এমন ভাবে কলার টেনে ধরলে যে বুকের মধ্যে হঠাৎ একটা বিশ্রী হাঁসফাঁস শুরু হল। ওদিকে তখন হিউম্যান রিসোর্সের শেখরবাবু "শেখরবাবুকে ছাড়া আমাদের অফিস অন্ধকার" বলে একটা মায়া জড়ানো আবহাওয়া তৈরি করে ফেলেছেন। অনুপবাবুর কিছুতে

শহরে বৃষ্টি

প্রবল গরম ধুয়ে মুছে সাফ করে দেওয়া বৃষ্টি।  মিনিবাসের ঠাসাঠাসি সব মাথায় "ঝর ঝর মুখর বাদর দিনে" লেভেল বৃষ্টি।  বাতাসে ডাব-সরবতি ফ্লেভার এনে দেওয়া বৃষ্টি।  খিচুড়ি মামলেটের ক্লিশেতে মন দোলানোর বৃষ্টি।  ইলিশের কার্পেটে মাছের বাজার মুড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বয়ে আনা বৃষ্টি।  সব মিলে মাখনের ঢিপির মধ্যে দিয়ে মখমলে ছুরির ডগা বেশ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছিল বটে, শুধু ঠোক্কর খেল উত্তর কলকাতার হাঁটু জলে। কলেজ স্ট্রীট টু হ্যারিসন রোড, সর্বত্র নাকানিচোবানি। কলেজ স্ট্রিটের ফুটপাতে দাঁড়ানো উচিৎ না ভাসা উচিৎ সে'টা নিয়ে ভেবে মিনিট দুই থুতনি চুলকানো যেতেই পারে।  তবে ইয়ে, আমাদের ক্ষমতা আছে হাঁটুজলের ঘায়ে নস্টালজিয়ার বোরলিন লাগানোর।  ইনফ্রাস্ট্রাকচার করে বেশি লাফালাফি করলে রোম্যান্সে চোনা পড়তে পারে। অন্তত তেমনটাই বলেছেন দিল্লী প্রবাসি বান্ধবি। কফি হাউস  থেকে কাটলেটি মেজাজ নিয়ে বেশ মৌজ করে বেরিয়েছিলেন। আমি ভাবলাম লম্বা স্কার্ট রাস্তার জলে ছপরছপর করলেই মুডের ফুরফুর চুপসে যাবে।  কিন্তু ওই। নস্টালজিয়ার বোরোলিন।  ভাসা ভাসা চোখ নিয়ে তিনি জানালেন; "আমার বড় ইচ্ছে এমন জলজমা রাস্তার ধারে একটা

মিস্ড কল

মিস্‌ড কলকে অনেকে বেশ মর্সকোডের মত ব্যবহার করছেন। অবশ্য টকটাইম কিনতে গেলে যে ভাবে পকেট টকে যাচ্ছে, তা'তে এই দুরন্ত ইনোভেশনে নিজেদের সঁপে না দিয়ে কোনও উপায় নেই। বিশেষত পড়ুয়া প্রেমিক প্রেমিকারা মিস্‌ড কলকে অন্য পর্যায় নিয়ে যেতে পেরেছেন। সমস্ত কল কোডেড। ভর দুপুরে হাফ-বার বেজে থেকে গেল। প্রেমিকা নির্ঘাত খটমট মেজাজে।  বার চারেক বাজল। প্রেমিক নিশ্চয়ই ভর দুপুরে পার্কের বেঞ্চে অপেক্ষা করে করে হদ্দ হয়ে পড়েছে। রাতের বেলা মিস্‌ড কলে বালিশের তলায় রাখা ফোন একবার ভাইব্রেট করে চুপসে গেল। প্রেমিকার মন কেমন। মিনিবাসের ভিড়ে নকিয়া টিউন টুপ করে বেজেই স্পীকটি নট। সেও ফুলবাগান পৌঁছল বলে। প্রত্যেক জোড়ার আলাদা আলাদা ম্যানুয়াল। রাত দু'টোর সময় যে মিস্‌ড কল আদতে এনকোডেড গোপন চুমু, ভরদুপুরে সেই মিস্‌ড কলই বিকেলের হাঁটতে যাওয়ার প্রপোজাল। মাঝেমধ্যে গোলমাল পাকিয়ে যায় বটে। এই যেমন সে'দিন। মান্তুদা বড় রাস্তার মোড়ে চিতপটাং হয়ে শুয়ে। বুকে মাঝে মধ্যেই নীল মোবাইলটা কেঁপে কেঁপে উঠছে। নীলাদির দুদ্দাড় মিস্‌ড কল, ওর টিউশন শেষ হয়ে গেছে। এ'বার ঘাটের দিকে দেখা হওয়ার কথা। এ'দিকে বেরসিক

বং প্রেম

প্রেম ব্যাপারটা বাঙালি চিরকালই ভুল এক্সেকিউট করে এসেছে। রবীন্দ্রনাথ থেকে শক্তি টেনে হিঁচড়ে, নন্দন টু নলবন এফোঁড়-ওফোঁড় করে, ইন্টারনেটের পিণ্ডী চটকে - ছিমছাম একটা প্রেম আমরা ম্যানেজ করতে চাই বটে কিন্তু ছাদনা তলায় ল্যান্ড করার আগেই কত বিলিয়ন প্রেম যে লটকে যায় তার ইয়ত্তা নেই।  তাও বুঝতাম গলাগলি থেকে গোলা-গুলি মার্কা ঝগড়াঝাঁটিতে প্রেম গচ্চা গেল; বাঘের বাচ্চার মত প্রেম-ট্র্যাজেডি; তা নয়। বাঙালির মধ্যে প্রেমে সস্তা-শহীদ বনে যাওয়ার যে কি মারাত্মক টেন্ডেন্সি আছে; ওই ল্যাদেই দেশ ঝুলে গেল। কেন জানি মনে হয়, উত্তম-সুচিত্রার এ দেশে, পার ক্যাপিটা ইলোপমেন্ট রেট হয়তো দুনিয়ার যে কোন প্রান্তের চেয়ে কম। মনে হয়। অমিত রে রা গান-কবিতা বেঁধেই খালাস হলে, বানভাসি হতে পারলে না।  উদাহারণ স্বরূপ - পাড়ার হুতুমদা। মিন্টুর চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। পাশেই খোলা বুথে দাঁড়িয়ে হুতুমদা ফোনে ফ্যাঁসফেসিয়ে কথা বলে যাচ্ছিল। অন্যপ্রান্তের কথা অবশ্যই কানে আসছিল না, শুধু হুতুমদার হাহাকারটুকু বুকে সেঁধিয়ে গেছিল।  হ্যালো ? হ্যালো ? হ্যালো ? ধুত্তোর, লাইনটা বার বার ঝুলে যাচ্ছে। তোমাদের ওদিকে সিগন্যালের এত প্রবলে

ব্লগ-বাজ

আর চিন্তা নেই । বাঙালিকে আর রোখা যাবে না । আর সামান্য (সম্ভবত কিঞ্চিত গোলমেলে ) কবিতা ছাপাবার জন্যে সম্পাদক কে তোল্লাই দিতে হবে না । আর প্রেমে লটরপটর হয়ে ডায়েরি লিখে প্রাণপাত করতে হবে না। পলিটিক্স কে পাবলিক-জন্ডিস বলে গাল দেওয়ার জন্য আর “প্রিয় সম্পাদক” বলে আনন্দবাজারের ঠ্যাং ধরতে হবে না। কেন ?  হোয়াই? বাঙালি ব্লগিং শিখে গ্যাছে যে। ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং করে শাণিত তলোয়ারের মত “ পোস্ট”-সমূহ জনতার ইন্টেলেক্ট এসপার-ওসপার করে দেবে ; হাতে-গরম গায়ে-কাঁটা। বাঙালি মননের নব্য জিস্পট ; ব্লগ-স্পট । কে বলে যে বাঙালি ব্রিগেডে বুক্তুনি দিয়ে আর ফুটবল মাঠে খেউড় করে খতম হয়ে গ্যাছে ? কে বলে যে বাঙালির ঘিলু কফি হাউসে ভাত ঘুমে মগ্ন ? বাঙালিকে একবার ব্লগখোর হতে দিন , সমস্ত অভিযোগ ভ্যানিশ হয়ে যাবে । পোপ থেকে পরশুরাম ; ডেঙ্গু থেকে মশাগ্রাম ; বং-ব্লগের দাপট রইবে সর্বত্র । বাঙালির সমস্ত আশা-ভরসা-জিজ্ঞাসা এইবারে ব্লগ মারফত্‍ পৌছে যাবে ট্যাংরা ট্যু টেক্সাস । তোপসে মাছের স্প্যানিশ ঝোলের রেসিপি কী ? বাঙাল-ঘটি মিল মহব্বত-হয়ে গেলে কি বাঙ্গালিয়ানা চটকে যাবে ? নেতাজী কি এখ