বুকে স্টেথো চেপে বসে রইলেন মাধব ডাক্তার। ঠায়। যদি ধুকপুকুনি ভেসে আসে। যদি। খানিক পর স্টেথো সরিয়ে কান চুলকে নিলেন তিনি। বয়েসের কান, বলা তো যায়না; নরম ধুকপুক যদি সহজে কানে টোকা না মারে? তারপর ফের মন দিলেন স্টেথোস্কোপে। "আয় ধুকপুক আয়, আয়, আয়, আয়"। বড় বেআক্কেলে বেয়াদপ বুক। হাজার ঠেলাতেও রা কাড়লে না। - আপনি ডাক্তার? - নয়তো কী? ময়রা? - ডাক্তার হলে হাতুড়ি কই? - যাব্বাবা! এ কী রসিকতা! এই যে। অ্যাই দ্যাখো স্টেথোস্কোপ। বুকের ধুকুরপুকুর চট করে মেপে বলে দিই হাল ক্যাইসন। - বটে? তা আমার লাশের হাল কেমন বুঝছ ভাইটি? - লাশ? মুখে ঝ্যাঁটা। দিব্যি ভুঁড়ি বাগিয়ে খোশ গপ্প করে যাচ্ছ, তোমার আবার লাশ হবে কেন? - আহা! আমি লাশ হতে যাব কেন? আমি তো বোধিসত্ত্ব। এই যার বুকে স্টেথো ধরে রয়েছ, সে আমার দু'জন্ম আগের শরীর। এখন দিব্যি লাশ। - ভূ....ভূ...। - নিজে লাশ হয়ে অন্য লাশ দেখে ভূতের ভয়? তোমার মাথা গেছে মাধব ডাক্তার। - ননসেন্স। ইস্টুপিড। আমি লাশের বুকে স্টেথো চেপে ধরেছি? আর আমি নিজেও লাশ? তুই লাশ। তোর বাবা লাশ। - চটছ কেন মাধব ডাক্তার! লাশ বলে কি মানুষ নও? তোমার ওপর আমার বড় মায়া। গত জন্মে আমি
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ