- আরে! এ'টা কী? - একটা সাধারণ রিমোট চিনতে অসুবিধে হচ্ছে হে? - না মানে, আপনার ঘরে তো টিভি বা রিমোটচালিত কিছুই নজরে পড়ছে না..। - রিমোট বলতেই টিভি মনে পড়ে। এই না হলে নাইনটিজ কিড। নাহ্, তোমাদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া মানে চানাচুর জলে ভিজিয়ে খাওয়া। - বলুন না, কীসের রিমোট এ'টা? - ও'টা দিয়ে আমি সেল্ফি তুলি। - সেল্ফি? কিন্তু আপনার মোবাইল...। - আমি মোবাইলে সেল্ফি তুলব? আমি? হাসালে। - তবে? তা'হলে এই রিমোট দিয়ে..? - ওই রিমোট দিয়ে আমি ড্রোন ওড়াচ্ছি। সে ড্রোন গোটা দুনিয়া অবজার্ভ করে চলেছে আর আমায় খবর পাঠিয়ে চলেছে। ঘোরাঘুরির বয়স তো আর নেই, সে ড্রোনের দেওয়া খবরাখবরের ওপর নির্ভর করেই বিভিন্ন সমস্যার সমাধান বাতলে দিতে হয় আজকাল। তা সেই খবর দেওয়ার কাজটা সে ড্রোন বাবাজী বেশির ভাগ সময় আড়াল থেকেই করে। আর মাঝেমধ্যে বিভিন্ন মোলায়েম অ্যাঙ্গেল থেকে আমার ছবি তুলে আমায় পাঠাচ্ছে। আমার ছবি তোলার সময় অবশ্য সে ড্রোনকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। - কিন্তু মেসের কেউ তো সে ড্রোন..। - দেখেনি। জানি। তোমরা দেখতে পাওনি, সে'টাই তো স্বাভাবিক। ঘনশ্যাম দাসের ড্রোন তো আর ছেলেমানুষ
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ