Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2020

মামার বাড়ি

- এই দ্যাখ...। - মামা...মামা গো..এ'টা?...মানে...মামা...! - দো'তলা। দেড়হাজার স্কোয়্যারফুট নীচে, দেড়হাজার স্কোয়্যার ফুট ওপরে। মার্বেল ফ্লোরিং। দু'টো মডিউলার কিচেন। টোটাল চারটে বাথরুম, একটায় আবার নীল রঙের বাথটাব। দু'টো চমৎকার ব্যালকনি..। - মামা...কিন্তু এ'টা তো...। - সাউথ ওপেন রে। আহা, বড় ব্যালকনিতে বসলে চানাচুরের স্বাদ ডবল হয়ে যায়, মাদুরে পশমের ছোঁয়া পাওয়া যায়..। - কিন্তু মামা, এ যে...। - জানি। এত সস্তায় এমন দাঁও মারতে পারব ভাবিনি।  - তুমি কিনে নিয়েছ?  - নয়ত কী? শ্যামনগরের জমিটা বেচে দিলাম....।   - তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে মামা? - জিনিয়াসকে পাগল বলার বদ অভ্যাসটা সমাজ আর ত্যাগ করতে পারবে বলে মনে হয়না রে ভাগ্নে।  - মামী জানে? - মামী কি এমন ব্যালকনি মূল্য বুঝবে রে? নাহ্।  শ্যামনগরের জমিতে টমেটো চাষ করার বিটকেল স্বপ্ন নিয়েই সে মরল। ধেত্তেরি।  - মামা গো...কিন্তু তাই বলে এই...। - তবে বগলাকে ক্রেডিট না দিলে পাপ হবে৷ রাতে তান্ত্রিক হলে কী হবে, দিনেদুপুরে ওর মত করিতকর্মা রিয়েলএস্টেট এজেন্ট মেলা ভার।  খবরটা চোরাগোপ্তা সেই জোগাড় করে এনেছিল। ইনফ্যাক্ট,রাতারাতি শ্যামন

পথের দাবী ও ভারতী

  ২০১৯ শেষ করেছি আর একটা রী-রীড দিয়ে। "পথের দাবী" ফের পড়ার মূল কারণ ছিল গোরার পাশাপাশি পথের দাবীর অপূর্ব আর সব্যসাচীকে যাচাই করে নেওয়া। তা দেখা গেল সনাতন ভারত সম্বন্ধে কিছু আলগা ধারণা ছাড়া অপূর্বের সঙ্গে গোরার বাস্তবিকই কোনো যোগাযোগ নেই।  ইদানীং একটা বড় শিক্ষা আত্মস্থ করার চেষ্টা করছি; কন্টেম্পোরারি সামাজিক ফিল্টারে বসিয়ে ঐতিহাসিক চরিত্রদের বিচার করার দুরূহ কাজটা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই উচিৎ। কাজটা সহজ নয়, সবসময় সম্ভবও নয়; তবে চেষ্টা করতে ক্ষতি নেই৷ গোরা আর অপূর্বর মধ্যে বেশ কয়েক দশকের তফাৎ রয়েছে; সে অর্থে একই ছাঁচে ফেলে তাদের ধর্ম-বিশ্বাসের তুলনা চলে না। তাছাড়া চারিত্রিক দৃঢ়তায় গোরা পালঙ্ক হলে অপূর্ব হল ক্যাম্পখাট। অপূর্বর ধর্ম বিশ্বাস এবং আচারবিচারে নিষ্ঠা তলোয়ারহীন নিধিরামের হাতের ঢালের সঙ্গে তুলনীয় কিন্তু গোরার বিশ্বাসের আগুনে লোহা গলানো যায়। তবে গোরার সে বিশ্বাস যে নেহাৎ  অন্ধ এবং নিরেট নয় তা প্রমাণ করতে এক প্রকাণ্ড নভেল ফাঁদতে হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে।  বরং গোরা আর সব্যসাচীর তুলনা করে চমৎকৃত হতে হয়৷ কোনো নির্দিষ্ট মতবাদের গণ্ডীর মধ্যে থেকে  ভারতবর্ষকে একটা 'কন

বিটকেল ছাত্রের দল

শিক্ষা এবং তারুণ্যর মিশেল বড় বিরক্তিকর। ইতিহাস নির্মমভাবে বারবার প্রমাণ করেছে যে ধান্দাবাজির স্বর্ণযুগে বারবার আলকাতরা হয়ে ঝরে পড়েছে এই আপদ ছাত্ররা। যুগে যুগে ধান্দাশ্রেষ্ঠদের অনাবিল স্বপ্নে রাক্ষসের মত ধেয়ে এসেছে এই বিটকেল ছাত্ররা। রাক্ষুসে এই ছাত্রছাত্রীগুলোর নখের ডগায় যুক্তির বিষ আর তাদের দাঁতে প্রশ্নের ধার ; এরা মেগা-ডেঞ্জারাস। অদরকারী মানুষজনের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে নির্ভীক ভাজা-মাছ-উল্টোতে-না-পারা ধান্দাবাবুরা দু'দণ্ড আয়েশ করবেন, রাক্ষসগুলোর জ্বালায় তারও কি ছাই উপায় আছে? ছাত্ররা টপাটপ পাশ দেবে আর চটাপট চাকরীতে ঢুকবে; এই সামান্য ডিসিপ্লিনটুকু থাকলেই ল্যাঠা চুকেবুকে যেত। তা না, এরা প্রশ্ন করে।  প্রশ্ন করে।  আরে বাবা পিকনিক কর, ফেস্টে ব্রেকডান্স কর, ক্যান্টিনে গান  কর...কিন্তু প্রশ্ন করবি কেন?  প্রশ্ন; কী বিতিকিচ্ছিরি ব্যাপারটা। আর প্রশ্ন করছিস কর, তার আবার জবাবও দিতে হবে? মেধা আছে যখন; তা দিয়ে সওদাগরি অফিসে লেজার লিখলেই হয়, তাই বলে ধান্দাধর্মে ব্যাঘাত?  ছাত্রদের এই বজ্জাত প্রশ্নগুলোকে জুতোর তলে না রাখতে পারলে ধান্দা-দুনিয়া অন্ধকার আর সে দমবন্ধ করা অন্ধকারে ধান্দা-প্রাণ ভালোমানুষদের

বুক-ফাটা হুহু

এমন টনটনে 'বুক হুহু' না থাকলে সমস্ত গান আর কবিতাই মিথ্যে হয়ে যেত বোধ হয়। তবে শুধু প্রেমে হোঁচট খেলেই বুঝি বুকে এমন 'হুহু' সুরের সানাই বাজবে? নাহ্ তা নয়।  বুকফাটা 'হুহু'র অন্যান্য কারণগুলোঃ ১। সাধের বিরিয়ানিতে কড়াইশুঁটি-সবুজের উঁকি।  ২। প্লেট আলো করা ফিশফ্রাইতে মেগা-কামড় বসিয়ে টের পাওয়া যে তাতে ভেটকির বদলে রয়েছে বাসা। ৩। শৌখিন এগরোলে টমেটো কুচি আবিষ্কার। ৪। রবিবারের বাতাসে পাশের বাড়ির লুচি ভাজার সুবাস আর নিজের জলখাবারে কর্নফ্লেক্সের বাটি।  ৫। ক্যাসুয়াল লীভ-সকালের সোফা-সাধনা বিগড়ে দেওয়া বসের ফোন।  ৬। "একবার বলো উত্তমকুমার"য়ের উত্তরে "ন্যাকা হনুমান কোথাকার" শোনা। ৭।  ট্রেনের টিকিট না পেয়ে পুরী প্ল্যান ক্যানসেল করে ব্যান্ডেলে পিকনিক করতে যাওয়া। ৮। মৌজ করে ক্রিকেট দেখতে বসার দু'মিনিটের মধ্যেই শচীনের আউট হওয়া  ('৯০ দশক স্পেশ্যাল)। ৯। নেমন্তন্ন-বাড়িতে খেতে বসে টের পাওয়া যে মাছ-মাংসের ভালো পিসগুলো পড়ছে পাশে বসা হাড়-জ্বালানো বন্ধুটির পাতে।  ১০। বিনে পয়সায় নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশন পাওয়ার লোভে অচেনা নাম্বারে মিসড কল দিয়ে জানতে পারা যে এ'সবই আ

ব্লু লোটাস

এ'টা পোস্ট করার উদ্দেশ্য একটাই৷ গোটা টিনটিন সিরিজ যে ফের একবার মন দিয়ে পড়ব বলে ঠিক করেছিলাম, সে'টা ভুলিনি। বরং দেখলাম বাড়তি সময় নিয়ে টিনটিন পড়ার সুবিধে হল এই যে ইচ্ছেমত গুগল করে ছোট ছোট কনটেক্সগুলো নিয়ে নতুন ভাবে ভেবে দিব্যি মাথা চুলকোনো যায়। দুঃসাহসী টিনটিনের বুদ্ধির ঝিলিক ও আর থমসন-থম্পসনকে নিয়ে পাঠকের ফুর্তিটুকুই যে এই বইগুলোর শেষ কথা নয় তা মোটের ওপর সর্বজনবিদিত কিন্তু প্রতিবারই অত কনটেক্সচুয়াল জাবর না কেটে সুটসাট বই শেষ হয় যায়৷ কিন্তু এ'বার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ; টিনটিন পড়ার সময় আর তাড়াহুড়ো নয়।  '৩৩য়ে লীগ অফ নেশনস থেকে জাপানের হুট্ করে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা মোটের ওপর অ্যাকিউরেটলি দেখানো হয়েছে '৩৬য়ে প্রকাশ হওয়া 'দ্য ব্লু লোটাস'য়ে। তবে মাঞ্চুরিয়া দখলে রাখার ব্যাপারটা অবশ্যই সোজাসুজি আলোচিত হয়নি।  এই প্রসঙ্গ ধরে ইউপিআই-য়ের আর্কাইভ থেকে একটা বেশ মশলাদার নিউজরিপোর্ট পড়া গেলো।  তা থেকে সোজা কোট করি বরং; "The stunned international conclave, representing almost every nation on earth, sat in silence while the delegation, led by the dapper Yosuke Matsuok

গোস্বামী

বহুদিন পর গোস্বামীবাবুর 'ডিবেট' শুনলাম কিছুক্ষণ। মুগ্ধ না হয়ে থাকা যায়না। প্যানেলিস্ট ১- আমার কথা..। গোস্বামীবাবু - শেষ। প্যানেলিস্ট ১- শেষ..। গোস্বামীবাবু - আমিও তো বলছি, শেষ। প্যানেলিস্ট ১- হয়নি। গোস্বামীবাবু - কী হয়নি? প্যানেলিস্ট ১- আমার..। গোস্বামীবাবু - এত আমার আমার করছেন কেন? সেই তখন থেকে শুধু আমার আমার আমার..। প্যানেলিস্ট ২ - আমার মনে হয়..। গোস্বামীবাবু - আপনার মনে হয় না। প্যানেলিস্ট ১ - আমার কথাটা..। গোস্বামীবাবু - কী ভেবেছেনটা কী? সেই শুরু থেকে একটানা বকে চলেছেন...এবার চুপ করে আমার কাউন্টার কোশ্চেন শুনুন..। প্যানেলিস্ট ১- আমি কী বলেছি যে আপনি কাউন্টার করবেন? গোস্বামীবাবু - সে'টাই তো আপনাদের মত মানুষ চায়, আপনারা বলে যাবেন আর সাধারণ মানুষ মুখবুজে সব শুনবে।  প্যানেলিস্ট ১- কিন্তু আমি যে..। গোস্বামীবাবু -  সেই "আমি" "আমি" রোগ৷ দেশকে তো চিনলেন না, চিনতে চাইলেনও না।  প্যানেলিস্ট ১৭ - আশ্বিনের শারদ প্রাতে...। প্যানেলিস্ট ১ - কথাটা তো শুনুন..। গোস্বামীবাবু - সাধারণ মানুষের বুকে পা রেখে আর কদ্দিন কথা শোনাবেন? আর কদ্দিন? আজ দেশের হয়ে আমি আপনা

পলিটিক্স

- দেশলাই? - আছে।  - সিগারেট? - সোজা সিগারেট চাইলেই হত।  - খারাপ দেখায়।   - তাতেই বা কী। ফ্রি সিগারেট তো আর রিফিউজ করবেন না।  - সিগারেটই চেয়েছি,এক গেলাস দুধ তো নয়। আপনার উপকারই করছি।  - আপনি পলিটিক্সে আসুন না।  - ইউ মীন, পার্লামেন্টে আসুন, তাই তো? পলিটিক্সে কে নেই বলুন।

চুপ

- অ্যাই প্রজা! চুপ করে বসে যে বড়? - আজ্ঞে, দুপুরবেলা কিনা। ভাতটাত খেয়ে একটু জিরোচ্ছিলাম মন্ত্রিমশাই! - মহারাজ দেশের জন্য দশের জন্য খেটে মরছেন আর তুই সিডিশাস কাজকর্ম করছিস? - আমি? ও মা! কই,কিছুই করিনি তো! আমি তো চুপটি করে বসে! - আজ মহারাজের প্রশংসা না করে চুপটি বসে। কাল আড়ালে নিন্দে করবি, পরশু রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে গলা ফাটাবি। আমি কিছু বুঝি না ভেবেছিস? শালা ট্রেটার!

রাজনৈতিক তর্ক

কলকাতার শীতের মতই রাজনৈতিক তর্কে যুক্তির পরিমাণ আশঙ্কাজনক ভাবে কমে এসেছে। অন্যদের সমালোচনা করে কূলকিনারা পাইনা বটে, তবে কালেভদ্রে নিজের স্বীকারোক্তিটুকু টেবিলের ওপরে সাজিয়ে দেওয়াটা উচিৎ বৈকি। (অবশ্য সমস্ত উচিৎ কাজ করতে চাইলেও সমূহ বিপদ, কিন্তু সে আলোচনা অন্যদিন)। ফেসবুক থেকে টুইটার; নিজের টাইমলাইন মোটের ওপর যে'ভাবে সাজিয়ে নিয়েছি তা'তে এক জবরদস্ত ইকো-চেম্বার তৈরি হয়েছে। আমি বলি "ওহে শোনো, অমুকচন্দ্র আসলে একটি মূর্তিমান শয়তান"। অমনি চতুর্দিক থেকে ইকো ফিরে আসে 'বঢিয়া বোলিয়াছেন', 'এমন করে সোজা কথা সহজ ভাষায় বলতে পারার জন্য অভিবাদন', 'ঘ্যাম বলেছিস' ইত্যাদি। এ'দিকে আমার 'কাস্টোমাইজড' টাইমলাইনও তখন অমুকচন্দ্রের যাবতীয় শয়তানিগুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণে পরিপূর্ণ; সে'সব পড়ে আমারও বারবার মন হচ্ছে 'বঢিয়া', 'সাবাশ', 'ঘ্যাম' ইত্যাদি। অমুকচন্দ্রের শয়তানি সম্বন্ধে কেউ সামান্যতম সন্দেহ প্রকাশ করলেও মনে মনে সে ভিন্নমতাবলম্বীর টুঁটি টিপে ধরছি।  পলিটিকাল ডিসকোর্সে অবশ্য এমন 'ইকো চেম্বার' ব্যাপারটা আধুনিক ফেনোমেনা নয় বলেই

এগরোলিও

এগরোলের আস্বাদনের প্রসেস নিতান্ত সরল নয়; চিবিয়ে খাওয়াটুকু তো সে প্রসেসের আইসবার্গের মুণ্ডু মাত্র। খামচে ধরে ইয়াব্বড় কামড় বসালাম; তেমন মনোভাব নিয়ে হীরক রাজের মূর্তি বানানো চলে, চরণদাসের গান বাঁধা যায়না। এগরোলের স্বাদ স্পর্শ করতে হলে এগরোল দাদার চাটুর ও'পাশে ভীরু প্রেমিকের মত দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। সদ্য বেলে নেওয়া পরোটা যখন চাটুর তেলে বসবে তখন এক মৃদু আরামদায়ক কাঁপুনি ঝর্ণার জলের মত শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে আসবে। সেই কাঁপুনির সুরকে চিনতে না পারলে এগরোল মিথ্যে।  চাটুর তেলের ওপর সে পরোটা নেচে বেড়াবে আর তার বুকে  থইথই করবে ডিম। সেই পরোটা ভাজার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সে ভীরু প্রেমিক কখন যে অঙ্কভুলের ভয় কাটিয়ে শ্যামল মিত্রের সুর আঁকড়ে ধরবে; তা সে নিজেও টের পাবে না। সম্বিৎ ফিরবে চাটু থেকে পরোটা নামানোর 'থ্যাপ' শব্দে। আরামদায়ক কাঁপুনি কেটে গিয়ে তখন বুকের মধ্যে মৃদু আনচান; মনে ঘোরাঘুরি করবে ওল্ড মঙ্কের সুবাস আর ময়দানে শীতের বিকেল মেশানো বেপরোয়া স্নেহ। পেঁয়াজকুচি, নুন, লেবু মিলেমিশে পূর্ণ হবে আয়োজন; সুমনের সস্নেহ ফিসফিস মনের ছাতে মাদুর পেতে বলবে "হে আমার আগুন, তুমি এ'বার ও

৩১শে ডিসেম্বর

-  এই যে মিস্টার মুকর্জি।  - আরে আপনি...।  - অবাক হচ্ছেন? বিদেয় করতে পারলে বাঁচেন?  - ও মা। না না। বসুন। ইয়ে, চা খাবেন? - চিনি ছাড়া।  - শ্যিওর। তবে ফ্লাস্কের কিন্তু।  - চলবে।  -  এই যে । - থ্যাঙ্ক ইউ মিস্টার মুকর্জি। - কেমন লাগছে? - চলে যেতে কেমন লাগছে?  - রিফ্রেজ করি। এতদিন ছিলেন, কেমন লাগল।  - ইউ হ্যাভ লেট মি ডাউন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে।  - সরি।  - কিন্তু সেগুলোই শেষ কথা নয় মুকর্জি।  ইউ হ্যাভ অলসো সারপ্রাইজড মি অ্যাট টাইমস। ইন আ গুড ওয়ে।  - তাহলে আপনাকে আগাগোড়া হতাশ করিনি বলছেন? - আমায় আপনি হতাশ করবেন মিস্টার মুকর্জি? ছাপোষা চাকুরে, ইন্টারেস্ট রেট কমে যাওয়ায় কেঁপে ওঠা মানুষ আমায় হতাশ করবে? যাক গে, আমার কথা বাদ দিন। আমি আজ আছি কাল নেই। ফর আ চেঞ্জ আপনার কথা শুনি। কেমন দেখলেন? আমায়? - ইউ হ্যাভ লেট মি ডাউন । কিছু কিছু ক্ষেত্রে।  - হেহ হেহ।  - তবে আগাগোড়াই হতাশ করেননি।  - আমার আবার ওই হতাশাগুলো জানার দিকেই বেশি ইন্টারেস্ট। কারণ ওতেই গল্প জমে ভালো।  - বটে? - ডেফিনিটলি। কই বলুন, হতাশাগুলোর ব্যাপারে ঝেড়ে কাশুন।  - কত কিছু পড়া হল না।  - এসব ইনিয়েবিনিয়ে কথা বলে আর কদ্দ

সংখ্যালঘুর দলে

প্রতিবাদ মঞ্চের সামনে তাপসবাবু যখন হন্তদন্ত হয়ে গাড়ি থেকে নামছেন তখন বেলা প্রায় এগারোটা। আজও পৌঁছতে দেরী হয়ে গেল। অবশ্য রাস্তাঘাটে আজকাল যা জ্যাম ; পাংচুয়াল হওয়ার কি আর উপায় আছে ? আর যত নষ্টের গোড়া ওই রিকশা , ভ্যান , অটো আর সাইকেলওলারা ; গোটা রাস্তা জুড়ে তো ওই ইতরগুলোরই রাজত্ব। ভদ্রলোকের উপায় কী যে দামী গাড়ির গা বাঁচিয়ে দু ’ কিলোমিটার নিশ্চিন্তে এগোবে।   সাধারণত শহরের রাস্তায় কিছুক্ষণ কাটানো মানেই তাপসবাবুর মেজাজ এক্কেবারে সপ্তমে থাকবে ; থেকে থেকেই শহরের ভিড়ের দিকে তাকিয়ে “ ডিসগাস্টিং ” বলে ওঠাটা তাঁর বহুদিনের অভ্যাস। কিন্তু জ্যামে হদ্দ হয়েও আজ কিন্তু তাপসবাবুর মেজাজ মোটেও খিঁচড়ে নেই , বরং ড্রাইভার সুদীপকে গাড়ি পার্ক করতে বলে তাঁর ট্রেডমার্ক মিচকি হাসি ছুঁড়ে দিয়ে বললেন “ একশোটা টাকা দিলাম , লাঞ্চটা ভদ্র জায়গায় সেরে নিস আজ , কেমন ”?    তাপসবাবু প্রতিবাদ মঞ্চের দিকে যেতেই হুড়মুড় করে এগিয়ে এলো সুরেশ পাল। সুরেশের বয়স চল্লিশের নীচে। উ