Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2021

এক্সেলেন্স

- স্যার, বলছিলাম যে..। - কিছু বলার দরকারটা কী দত্ত? - না মানে...। - তিনটে রিপোর্ট আজ সন্ধ্যের মধ্যেই চাই। - আসলে তিনটেই এত দেরী করে হাতে পেলাম..। - ওরে আমার  নেকুচন্দ্র ঘ্যানঘ্যানবাহাদুর রে৷ রিপোর্টের ফরমায়েশ নাকি দেরী করে হাতে পেয়েছেন। শোনো, বড়সাহেবকে তো তোমায় জবাবদিহি করতে হয় না, আমায় করতে হয়৷ রিপোর্ট তিনটে আজকেই চাই...। যেমন ভাবে খুশি কাগেরঠ্যাংবগেরঠ্যাং সাজিয়ে দাও, কিন্তু দিতে হবেই৷  - না মানে বলছিলাম যে..। - আবার! আবার বলবে? কাজ ফেলে এত গপ্পগুজবের সময় পাও কোথা থেকে? - ইয়ে, গল্পগুজব নয়৷ একটা জরুরী পার্সোনাল দরকারে..। - অফিসে পার্সোনাল দরকার টেনে আনার দরকারটাই বা কী? দেখো দত্ত, তিনটে রিপোর্ট আমার মেলে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চাই..। - কিন্তু রিপোর্টগুলো ভালোভাবে তৈরি করতে তো সময় দরকার। ব্যাপারগুলো কম্পলিকেটেড..। - এই শুরু অজুহাত।   - কিন্তু এক্সেলেন্সের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে..। - ও'সব শৌখিন ইংরেজি কফিহাউসের দেখনাই ফিল্ম ক্রিটিসিজমে ঝেড়ো দত্ত। অফিসে নয়। আর এক্সেলেন্সের ঝোল দিয়ে বরং কাল দুপুরে ভাত মেখে খেয়ো৷ এখন দয়া করে রিপোর্ট তিনটে ইমিডিয়েটলি জমা করো নয়ত বড়সাহেব আমায় আস্ত

আশ্রয়

- এসেছো সমরদা? উফ, কদ্দিন পর দেখা বলো তো৷ অন্তত তিনমাস তো বটেই? - আরে অনন্ত৷ কদ্দিন পর তোমায় বাড়ি এলাম ভায়া৷ কদ্দিন পর।  - বিধুকে বলি আগে দু'কাপ চা দিতে৷ কেমন? আপনার পছন্দের আর্লগ্রে আনিয়ে রেখেছি৷ - বিধুকে বরং দু'কাপ চা দিতে বলো৷ আর্লগ্রে আছে? - ওহে বিধু দু'কাপ চা দিয়ে যা৷ ওই কাবার্ডে একটা নতুন চায়ের প্যাকেট রাখা আছে৷ সে'খান থেকে পাতা নিয়ে নে৷ তারপর সমরদা! খবরটবর সব ভালো? - আমি তো অনেকদিন থেকেই বলছি ভায়া৷ তোমার এ বসার ঘরে আলো বড় কম৷ টিউবদু'টো চেঞ্জ না করলেই নয়।  - আপনি দিল্লী গেলেন ছেলের কাছে কিছুদিন কাটাতে৷ এ'দিকে আমি এক্কেবারে একাবোকা৷ গোটাদিন অফিসের খ্যাচম্যাচ, আর ফিরে এসে বিধুর গজরগজর৷ আমাদের উইকলি আড্ডার অক্সিজেন ছাড়া নাভিশ্বাস উঠছিল যে।  - তা অবশ্য ঠিক৷ আজকাল নিউজচ্যানেলগুলো দেখলেই বদহজম হয়৷ - এদ্দিন পর আপনি আসায় যেন বুকে বল পেলাম। কী ভালো যে লাগছে৷ ফ্রিজে মৌরলা আছে, বিধুকে মুচমুচে করে ভাজতে বলি? - সে'টা অবশ্য ভুল বলোনি অনন্ত৷ যত নষ্টের গোড়া এই পলিটিক্স৷  - অ্যাই বিধু, ফ্রিজ থেকে মৌরলাটা বের করে রাখ৷ ভাজা খাব। তা সমরদা, দিল্লী শহরটা বৌদির ক

প্রিয় ফুল

- ইয়ে,তোমার কোন ফুল পছন্দ যেন? - ফুল? - বলো না৷ - তোমার শরীরটরীর ঠিক আছে? এতবছর পর আজ হঠাৎ প্রিয় ফুলের খোঁজ নিচ্ছ যে বড়? - আহ, বলই না৷ তোমার সবেতেই একটা ইয়ে..। - এই শোনো, ঝেড়ে কাশো দেখি৷ - মানে ওই৷ আসলে, এদ্দিনের ওই ঝুলে থাকা প্রমোশনটা শেষ পর্যন্ত হচ্ছে৷ বড়সাহেব আজ কনফার্ম করলেন৷ মেয়ের জন্য একটা জবরদস্ত কলম কিনলাম৷ ওই যে, যে'টা ও গত হপ্তায় দেখেছিল৷ ফাউন্টেন৷ তারপর ভাবলাম তোমায় সারপ্রাইজ দিয়ে যদি এক গোছা..কিন্তু ফুলের দোকানে এসে সব গুলিয়ে গেল। এত কিছু এ'খানে, অথচ আমি ওই জবা, রজনী, গাঁদার বাইরে কিছুই ঠিক ঠাহর করতে পারিনা৷ - ভালো মাফলারটা নিয়ে যেতে ভুলে গেছ আজ,শীতের সন্ধ্যেয় টইটই করে না ঘুরে সোজা বাড়ি ফেরো দেখি৷ আজ একটা ট্যাক্সি নিও বরং৷ আর শোনো, ভালো ফুলকপি উঠেছে আজকাল৷ দু'জোড়া এনো, কেমন?

ডিসিপ্লিন

কিছুদিন আগেই টের পেলাম যে কথায় কথায় কারণে-অকারণে রোজ রোজ সন্দেশ রসগোল্লা খাওয়া হয়ে যাচ্ছে৷ ব্যাপারটা আদৌ স্বাস্থ্যকর নয়। আবার মিষ্টি একদম ঘ্যাচাং করে বাদ দিলেও মন আনচান করবে৷ কাজেই বাড়িতে এলো তালমিছরি। একটুকরো মুখে দিলেই আনচান কেটে যাবে। রোজ রোজ সন্দেশ-রসগোল্লা খাওয়ার যে বিশ্রী অপরাধ-বোধ; সে'টাও পাশ কাটানো যাবে। এক্কেবারে কম্পাস-বসানো হিসেব। তাই বলে রোজ রোজ তালমিছরি খাব? সামান্য 'ভ্যারাইটি' না হলে কি চলে? বেশ, ঘরে এলো পাটালি। রাতের খাবার পর, একটা ছোট্ট টুকরো - নিজেকে কথা দিলাম। তোফা। এ'বার গত দিনচারেক ধরে গুড়ের রসগোল্লার পাশাপাশি পাটালি আর তালমিছরি একসঙ্গে নিজের ওপর ফায়্যার করে চলেছি। মুক্তি নেই। নেই।

ব্যস্ত

- কী রে৷ এত রাত হল, খেয়ে নে৷ - উঁ। - কই ওঠ৷ খেতে চ'। - উঁ? - আরে, সেই সন্ধ্যে থেকে শুয়ে আছিস। ওঠ। - উঠতেই হবে রে মেজদা? - খেতে হবে না? - আমি ব্যস্ত। - ব্যস্ত? - আই অ্যাম ল্যাদগুইশিং। - ল্যাদগুইশিং? - ল্যাদ খেয়ে খেয়ে ল্যাংগুইশিং। - তোর হবে। - টু কোট চন্দ্রবিন্দু; কে জানে বাবা কবে।

নির্ভুল

গিজার অন করলাম। বাহ্৷ দু'টো শ্যামল মিত্রের গান শুনলাম, এ সময়ে জল যথেষ্ট গরম হওয়া দরকার। নির্ভুল জানুয়ারিস্ট স্ট্র ‍ ্যাটেজি। বোনাসে শুনলাম মান্নাবাবুর "এ নদী এমন নদী"৷ জল এক্কেবারে ঘ্যাচাং-গরম চাই৷ বহুত খুব। এরপর সেই মখমলে সুরে ভেসে ভেসে বাথরুমে গেলাম৷ দু'টো সুপরিচিত নল৷ তবে আগে মিনিট দুই গিজারের জ্বলন্ত লাল আলোটার দিকে তাকিয়ে থেকে গাইলাম "এখনও ডুব না দিলে হায়গো স্নান করবে কবে"? গানের সুর স্তিমিত হয়ে আসার আগেই নল চালু করলাম। বালতি ভরল৷ তারপর ঝপাৎ স্পীডে আধ-মাইক্রোসেকেন্ডে কয়েক মগ স্ট্রেট-টু-তালু৷ ঠাণ্ডা জলের নল খুলেছিলাম৷ পরাস্ত বিধ্বস্ত বরফকুচি মাখানো দেহটাকে কোনও মত টেনে হিঁচড়ে সুইচ বোর্ডের কাছে গিয়ে গিজার বন্ধ করে বেরিয়ে এলাম৷

জননেতা

- ভায়া, নমস্কার। - আমি আপনার ইয়ারদোস্ত নই৷ বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। জননেতা৷ ভায়া আবার কী? স্যার বলুন৷ নিদেনপক্ষে দাদা। - ওহো৷ সরি, সরি৷ হে হে৷ নমস্কার স্যার দাদা৷ - আহ৷ হয় স্যার নয় দাদা। - বেশ বেশ৷ নমস্কার হয়স্যারনয়দাদা। - ধের৷ যাকগে। তা আমার অফিসে কী মনে করে? কী চাই? - আজ্ঞে, হয়স্যারনয়দাদামশাই। আমিও লাইনের লোক৷ - আপনিও লাইনের লোক? এর মানেটা কী? - মানে ওই৷ কী বললেন যেন? রাজনীতিবিদ৷ - মস্করা হচ্ছে? বেশি ফচকেমো করলে ছেলেদের ডেকে দেব দু'ঘা! - আরে মাইরি৷ আমিও রাজনীতিবিদ৷ আপনার অফিসের বাইরে দু'টো টেম্পো ভরে আমার ছেলেরাও অপেক্ষা করছে৷ আপনার ছেলেরা লাফালাফি করলেই তারাও নেত্য শুরু করবে৷ - এত পাঁয়তারা না কষে নিজের পরিচয়টা স্পষ্টভাবে দিন। - হয়স্যারনয়দাদা, উত্তেজিত হবেন না প্লীজ৷ জননেতারা মেজাজ হারালে কী চলে? আরে সে কাজ তো তাদের পোষা মাস্তানদের। যাক গে, আমার নাম মনোহর ধর৷ অমুক পার্টিতে রয়েছি৷ - অমুক পার্টি? মানে আমাদের তমুক পার্টির আর্চ রাইভাল? কিন্তু আপনাকে তো কোথাও দেখেছি বলে..। - আজ্ঞে আমি ব্যাকএন্ডের মানুষ৷ আপনার মত জননেতা আমায় দেখবেনই বা কেন৷ - ব্যাকএন্ড? - ওই৷ হেডহান্টার৷ ডীল ক্লোজ

ভ্যাকেশনে ভাগ্নে

- মামা, চললাম ভ্যাকেশনে৷ - ভ্যাকেশন? - ইয়েস স্যার৷ ঝাড়া দু'হপ্তা৷ - অফিস ছুটি দিলে? - আরে ছুটি নিতেই হবে বলে বসের কী ঝোলাঝুলি৷ ক'দিন কোথাও ঘুরে না আসলে নাকি আমার প্রডাক্টিভিটি অপটিমাইজ করা যাবে না৷ - তা চললি কোথায়? - বহু দূর৷ ক'টা দিন আরামে কাটানো যাবে - এই অসহ্য নিস্তব্ধতা থেকে হাজারখানেক মাইল দূরে৷ এ'কদিন শুধু হইচই গোলমাল আর হট্টগোল৷ - আহ! পিসফুল৷ ডেস্টিনেশনটা কোথায় রে ভাগ্নে? - কী হিংসে হচ্ছে নাকি মামা? তবে আরও শোনো। সে'খানে বাতাস এমন ম্যাড়মেড়ে নয়৷ এ'খানের বাতাসে শ্বাস নেওয়া যায় নাকি ছাই? শুধু অক্সিজেন আর অক্সিজেন৷ ধুর ধুর৷ ক'দিন একটু ধুলোবালি বুকে নিয়ে রিল্যাক্স করব৷ আর সবচেয়ে বড় কথা মামা, বুক ভরে নিঃশ্বাস নিলেই টের পাবো পোড়া পেট্রোলের সুবাস৷ - এক্সটিক ব্যাপার তো রে। - অফ কৌর্স৷ তাছাড়া এত নিরিবিলি মামা, প্রাণ এক্কেবারে হাঁপিয়ে উঠছিল৷ আর মাইলের পর মাইল হেঁটে গিয়েও মানুষজনের দেখা মেলেনা এখানে৷ ছ্যাঁহ্৷ ছুটিতে গিয়ে ভীড় ছাড়া একটি পা'ও এগোনো নয়৷ - আরিব্বাস ভাগ্নে৷ শহর চললি নাকি? - যে'সে শহর নয় মামা। এক্কেবারে মেট্রোসিটি৷ সে'খানে কয়েকদিন স্রেফ রিল

প্রেম-ফ্রেম

- প্রেমে দাগা খাওয়ার যন্ত্রণা...সে যে অসহ্য। - তা ঠিক, তবে কী জানো ভায়া, দাঁতের ব্যথার কাছে সে যন্ত্রণা হল নেকু সুড়সুড়ি মাত্র। *** - বাতাসে একটা বেশ, প্রেম প্রেম ইয়ে, তাই না? - রিল্যাক্স। পাশের বাড়ির পিসিমা বোধ হয় ফুলকপির শিঙাড়া ভাজছেন ভাই। বাতাসের ইয়ের সোর্স ওটাই। *** - শীতের কলকাতা। সন্ধ্যে নাম্বার ঠিক আগে ময়দানে বসা প্রেম আর আড্ডা। তার যে কী রোম্যান্স...উফ! - প্রসেসটা বইয়ে পড়লে রোম্যান্টিক ভায়া। সমস্যা হচ্ছে ময়দানের খচ্চর মশারা সেসব বইকে তেমন পাত্তা দেয় না। *** - ভালোবেসে দেবদাসের মত নিজেকে ভাসিয়ে দিতে চাই।সমস্ত ধান্দাবাজি ভুলে, নিজের ভালোমন্দ ভুলে, উজাড় করে দিয়ে, স্রেফ নিজেকে ভাসিয়ে দিতে চাই। - ভেরি গুড। তবে নিজের ভালো ভুলে ভেসে যাইতে চাইলে তার চেয়েও একটা সরেস অপশন আছে ভায়া। গোলবাড়ির কোলেস্টেরলে ভেসে যাওয়ায় মুনাফা বেশি।

বুকমার্ক

ঝুলছি৷ মানে..কী অদ্ভুত! পা'দুটো নাইলনের দড়ি দিয়ে কষে বেঁধে কেউ সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছে৷ হাত দু'টোও পিছমোড়া করে বাঁধা। কী সাংঘাতিক৷ এমন ভাবে বেশিক্ষণ ঝুললে মাথায় রক্ত উঠে যাবে তো৷ দুম করে এ'খানে এলামই বা কী করে৷ চিৎকার করতে গেলাম। লাভ হলো না৷ গলা শুকিয়ে কাঠ, জোরালো আওয়াজ বেরোলনা৷ থুতনির ঘাম চোখে এসে পড়ছে৷ বিশ্রী অবস্থা৷ চারপাশে নিরেট অন্ধকার৷ কিছুই দৃষ্টিগোচর হয়না৷ যা বুঝছি, এ'টা সম্ভবত স্বপ্ন৷ কিন্তু আচ্ছা হ্যাপা তো, স্বপ্ন না ভাঙা পর্যন্ত এমন বাদুড়ঝোলা হয়ে থাকাটাও তো রীতিমতো যন্ত্রণাদায়ক৷ স্বপ্নের মধ্যেই চেষ্টা করলাম সতেরার ঘরের নামতা পড়ে মনকে শান্ত করতে৷ লাভ হলো না। একুশের ঘরে পৌঁছনর পর একটা হিমশীতল কমল মিত্তির গোছের ধারালো পুরুষ কণ্ঠ কানে এলো৷ - ঠিকই ধরেছেন, এ'টা আপনার স্বপ্নই। তবে শাস্তিটা কিন্তু রিয়েল৷ - শাস্তি? - ইয়েস৷ আজকে খানিকক্ষণ ঝুলিয়ে রেখে ছেড়ে দেব৷ এর পরের দিন দেব গিলোটিনে৷ - আপনি কে বলুন দেখি? বড় চ্যাটাংচ্যাটাং কথা তো৷ - ইউনিয়নের নেতা, তেজ না থাকলে চলবে কেন? - ইউনয়ন? কীসের ইউনিয়ন। - আপনার বই-তাক-নিবাসী বইদের ইউনিয়ন। - কী? - আপনার বই-তাক-নিবাসী বইদ

দ্য ক্যালক্যাটাজ

"কী দেখছেন"? উত্তর ১ঃ কলকাতা। উত্তর ২ঃ ক্যালক্যাটা। উত্তর ৩ঃ ফোট্৷ ন্যাকাপনা৷ ক্লিশে৷ উত্তর ৪ঃ আর্কিটেকচারল ফিলোসোফিটা বুঝতে হবে ভায়া..এমারসন সাহেব যেমন তেমন লোক ছিলেন ভেবেছ? তবে শোনো..। উত্তর ৫ঃ কলোনিয়াল হিস্ট্রি তো তলিয়ে দেখলি না..। তোকে শুরু করতে হবে ফিফটিন্থ সেঞ্চুরি থেকে, বুঝলি৷ য়ুরোপে তদ্দিনে..। উত্তর ৬ঃ কদ্দিন কলকাতা যাইনি রে ভাই৷ কদ্দিন৷ কদ্দিন। মাস তিনেকের মধ্যে যাবই যাব। উত্তর ৭ঃ ডিসেম্বরের কলকাতা৷ মফস্বলি ড্যাবডেবে একজোড়া সরল চোখ, তারা 'আরিব্বাস কলকাতা'র স্লোগান তুলে যা পাচ্ছে তাই শুষে নিচ্ছে৷ দাদুর কাঁধের ঝোলা থেকে বেরোবে স্টিলের টিফিন বাক্স৷ ঠাণ্ডা লুচি, ঠাণ্ডা আলুরদম, জলভরা সন্দেশ৷ কাগজের প্লেটের ওপর পড়লেই সে'ঠাণ্ডা লুচি-আলুরদমের স্বাদ তুরীয় লেভেলে চলে যায়৷ লুচি সাফ হলে দাদুর সঙ্গে মেমোরিয়ালের ভিতর মিউজিয়াম দেখা, ধীরেসুস্থে,খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে৷ "বাঁ-দিক থেকে দেখা শুরু করে ক্লকওয়াইজ যাব আমরা৷ কেমন ভাই"? তারপর বাগানে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি৷ বাড়ি ফেরার পথে বেলুড়ে পিট-স্টপ, গঙ্গার ধারে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি, খণ্ডন-ভববন্ধনের সুরমাখানো সন্ধ্যারতি। হাতে

মিঠে পান ও ওষুধ

- এই যে দাদা, একটা ফার্স্টক্লাস মিঠাপান দিন দেখি৷ - স্পেশ্যাল বানিয়ে দিই? - দিন। তবে দেখবেন, স্পেশ্যালের নামে আবার গুলকন্দ ঠুসে ভরবেন না যেন৷ - তা অবিশ্যি ঠিক৷ কড়া মিঠে স্বাদে পান নষ্ট হয়৷ গোটা ব্যাপারটাই হচ্ছে সুগন্ধের খেলা। - করেক্ট৷ অতিরিক্ত মিষ্টি খেতে হলে দু'পা এগিয়ে হরেনদার দোকান থেকে দু'টো গরম রসগোল্লা খেয়ে নেব৷ তাই না? পান মিঠে হবে আলতো আভাসে, কলার টানা মিষ্টি হলেই কেলেংকারি৷ টেস্টের পাঁচদিন একটানা যদি শুধু সিধুবাবুর কমেন্ট্রি হজম করতে হয়, গোলমাল হবে না? - ঠিক৷ সুপুরি দেব তো? - সুপুরি বাদে পান? মোটরসাইকেলের দুলুনি বাদ দিয়ে এই পথ যদি না শেষ হয়? - হওয়া উচিৎ না, তাই না? - কভি নহি৷ - গোটা গোটা টুকরো করে কাটা সুপুরি না মিহি কুচনো সুপুরি? - চাঁদের পাহাড়ের অ্যাব্রিজড ভার্সন পড়তে নেই৷ মিহি কুচনো সুপুরির চলবে না৷ চেবানোর সাবস্ট্যান্স চাই। আর হ্যাঁ, এলাচের খোসাটা ফেলে শুধু দানাগুলো৷ কেমন? এ ব্যাপারে আমি একটু সেনসিটিভ। - বহুত খুব। আমি তো বারবার বলি, পান ব্যাপারটাই ওই..আপনি যে'টা বললেন...সেনসিটিভ। - এই যেমন আমার বাবা খান খয়ের ছাড়া সাদা পান৷ এক্সট্রা সুপুরি, অল্প এলাচ, সামানহ