Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2014

শব্দান্বেষী : একটি অল্প-বিজ্ঞান-মূলক সাক্ষাৎকার

-           প্রোফেসর দত্ত, প্রথমেই আপনাকে আমাদের পত্রিকার তরফ থেকে বলি ; কংগ্রাচুলেশনস । -           অনেক ধন্যবাদ। -           ভারত এবার জগত সভায় সত্যিই একটা পেল্লায় কিছু করে দেখালে । আর করে যে দেখালে, তা  একজন বাঙালির হাত ধরে। আপনার হাত ধরে। দু হাজার বত্রিশের নোবেল তো পাচ্ছেনই, পৃথিবীর একশো বত্রিশটি দেশ আপনাকে নাগরিকত্ব দিয়ে নিজেদের ধন্য মনে করছে। -           হে হে হে । -           আমরা ভীষণ গর্বিত আপনাকে নিয়ে। -           হে হে হে । -           আপনার আবিষ্কার পৃথিবীর মোড় ঘুরিয়ে দিতে চলেছে। ইন্ধন ও জ্বালানির সমস্যা সম্পূর্ণ উবে যাবে। এই উলুবেড়িয়ায় বসে, এমন ম্যাজিক করলেন কি করে ? তাও সামান্য সমস্ত শব্দ কে হাতিয়ার করে ? -           সামান্য ? সামান্য কি বলছেন ? ব্রহ্মাণ্ড ইমার্স্‌ড রয়েছে স্রেফ একটা শব্দের মধ্যে; ওঁ। একবার ওম বলে দেখুন না মশায়। বুকের ভেতর অক্সিজেন সাপ্লাই কেমন আলগোছে বেড়ে যায়। -           আপনার আবিষ্কারের ব্যাপারে একটু খুলে বলুন। আপনার এই অ্যাকউস্টিক-পাওয়ার-জেনারেটর দিয়ে গোটা পৃথিবীর জ্বালানি সমস্যা কি ভাবে মিট

আসল জাদুর গল্প

এখন-১ ছয় দিন হয়ে গেল বাবা বাড়ি ফেরেনি। মা কেঁদে কেঁদে হয়রান। কিন্তু কাজের খবর বলতে কিচ্ছুটি নেই। ভয়ে, দুঃখে মা’র সাথে কথা বলা তো দূর, মায়ের কাছে ঘেঁষতে ভয় পাচ্ছে ওসাং। সে জানে যে এ সমস্ত তার দোষেই হয়েছে। তারই দোষ। কিন্তু তাঁর কথা এখন কে বিশ্বাস করবে ? বাবাই যে নেই। **   বেশ কিছুদিন আগে -১ ওসাং জানে ভ্যানিশ করে দেওয়ার ম্যাজিক সত্যিই আছে। তার ছয় বছরের জীবনে সে তার বাবাকে অন্তত তিনশো বার দেখেছে কিছু না কিছু ভ্যানিশ করতে। লুডোর ছক্কা, পাউডারের কৌটো, বদ্রি পাখি থেকে শুরু করে হাত টানা রিক্সা পর্যন্ত। এমনকি বেশ কয়েকবার তো স্টেজের ওপর ওসাং’য়ের মাকেও ভ্যানিশ করে দিয়েছে ওর বাবা। বাবা মস্ত বড় জাদুকর কি না। বেইজিং শহর শুধু নয়, পুরো চিন জুড়ে খোঁজ চালালেও ওসাং’য়ের বাবার মত জাদুকর পাওয়া দুষ্কর। ভ্যানিশ হয়ে যাওয়ার খেলা দেখতে যে কী ভালো লাগে ওসাং’য়ের। সেও যদি অমন ভাবে জাদু করতে পারতো বেশ হত। পারলে; সবার আগে স্কুল-বাড়িটাকে হাপিশ করে দিত ওসাং। ** বেশ কিছুদিন আগে -২ লিসাং’য়ের বুক ভরে যায় যখন তাঁর ছয় বছরের ছোট্ট ছেলেটা কলকলিয়ে হেসে ওঠে তাঁর

প্ল্যান

তিনি -  আমার হাতে সময় একদম নেই। বৈজ্ঞানিক - শান্ত হন। যানটি প্রস্তুত প্রায়। তিনি - এটা মাঝ পথে বিগড়ে যাবে না তো ? নয়তো সত্যিই আমায় আত্মহত্যা করতে হবে বৈজ্ঞানিক... বৈজ্ঞানিক - কি বলছেন স্যার ? ম্যানহ্যাটন প্রজেক্ট অমন বাঘা জিনিষ তৈরি করছে জেনেও আপনি এই মহা-গোপন প্রোজেক্ট থেকে আমাদের সরিয়ে বোমা বানানোয় নিযুক্ত করেননি। আপনার বিশ্বাসের অমর্যাদা হয়নি। যন্ত্রটি নিশ্চিন্তে কাজ করবে। আপনার পাত্তা আর কোনও দিন কেউ পাচ্ছে না। তিনি – আমার স্ত্রীও যাবেন আমার সাথে...জেনারেল...ব্যবস্থা সব ঠিকঠাক ? জেনারেল – অবশ্যই। আপনার ও আপনার স্ত্রীর ডামি দুজনকে তৈরি রাখা হয়েছে। আপনাদের যাত্রা শুরু হলেই সেই ডামি দুজনকে বাধ্য করা হবে আত্মহত্যা করতে। তিনি – গুড। জেনারেল, মনে রাখবেন যুদ্ধ এখানেই শেষ নয়। আমেরিকার এই বেলেল্লাপনার জবাব আমি দেবই। আমার ল্যান্ডিং’য়ের প্ল্যান তৈরি তো ?