- এই যে। - এই! এ কী! দিদিইইইই...। - অত ভয় পেলে চলে অপুবাবু? আর কথায় কথায় দিদিকে ডাকা যে ভালো শোনায় না। - কিন্তু তাই বলে...। - তাই বলে কী? আমি স্টীমইঞ্জিন বলে কি আমার কথা বলা বারণ? সারাক্ষণ শুধু ভোঁসভোঁস করতে হবে? - কথা বলা ইঞ্জিন? - শুধু কথা বলাটাই দেখলে? রেললাইন ছেড়ে কাশবনে নেমে এসে দুদ্দাড় ছুটতে শুরু করলাম, সে'টা বুঝি কিছু নয়? - কী মুশকিল, কী ভয়ানক। - বাহ্, পাহাড় মহম্মদের কাছে ছুটে এলেই মুশকিল? - রেললাইন থেকে নামলেন কেন? - ফেরত দেওয়ার ছিল। - ফেরত? - হাতের শক্ত মুঠো। - দিদি? - দিদি আর কদ্দিন তোমায় মুঠোয় ধরে রাখবে অপুবাবু? এ'বার নিজের মুঠো শক্ত করো। খোকাকে নিয়ে এসো। আমি বেঢপ কয়লা কালো ইঞ্জিন হতে পারি কিন্তু সে খোকার কাজল কালো টলটলে চোখ। এক কাশবন ছুটোছুটি পড়ে রয়েছে, ফেরত নিয়ে এসো। কালকেই চলে যাও। - কাজল আসবে? - নয়তো ফেরত দিতে এ'লাম কেন? - আর দিদি? - সেই তো আমায় টানতে টানতে রেললাইন ছাড়িয়ে নিয়ে এলো, অপুকে দেখাতে। এখন আসি, কেমন?
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ