Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2015

কচুরিয়

১। - আপনার আনন্দবাজারটা। দিয়ে গেলাম। বুড়ি নিয়ে গেছিল, বৌদির থেকে।আমাদের তো আবার টাইমস। মেষের আন্ডারে কী বলছে একটু চেক করার ছিল। আজ একটা কনসাইনমেন্ট কনফার্ম হওয়ার কথা কী না। - ও কনসাইনমেন্ট আপনার বাঁধা। - বলছেন? - অফ কোর্স। স্যাঙ্গুইন। আনন্দবাজারের প্রথম পাতায় স্পষ্ট দেখতে পারছি। এ দিন আপনার খারাপ যেতেই পারে না। - ফার্স্ট পেজে?   - একদম - মানে? - মানে ছোলার ডালের ফোঁটাটা যে ভাবে প্রাইম মিনিস্টারের কপালে ল্যাণ্ড করেছে দেখছি, কচুরি বেশ হাপুসহুপুসেই সাবড়েছেন। এ দিন আপনার খারাপ যাওয়ার কোন চান্সই নেই। ২।  - কোন এক হারিয়ে যাওয়া ভাষায় ক মানে নিশ্চই মন। ডেফিনিটলি। - ক মানে মন? - ডেফিনিটলি। - হঠাৎ? - হাউ এল্স ডু ইউ এক্সপ্লেইন দ্য ওয়ার্ড কচুরি?

সর্ষের মধ্যে

- আসুন। আসুন। ওয়েলকাম টু দ্য ল্যান্ড অফ ডেড। - বাহ! দিব্যি অ্যারেঞ্জমেন্ট কিন্তু মশাই। ইয়ে আপনি...? - অনিল সমাজপতি। এই অগস্টেই এসেছি। ব্রেনস্ট্রোক। - আমি নির্মল রায়। আমার আবার ইয়ে, কার্ডিয়াক। তা, এখেনে সবকিছু এমন কালচে কেন বলুন দেখি?আর একটা ঝাঁজালো গন্ধও পাচ্ছি সেই এসে থেকে। - সর্ষের মধ্যে প্রথম ক'দিন এমন লাগবে। পরে সয়ে যাবে।   - সর্ষে? - নয়তো আর বলছি কি। দেওয়াল সিলিং ছুঁয়ে দেখুন না মশায়। সর্ষে দানার ইন্টেরিয়র বিলক্ষণ ফিল করতে পারবেন। - রিয়েলি! আর বাহ! তাই তো! মানে ইয়ে, এখানে বোধ হয় স্বর্গ নরকের ব্যাপারটা নেই। মানে যেমন গপ্পগাছা শোনা যায় আর কী! তাই না? - স্বর্গ? নরক? অবভিয়াসলি আছে। খানিক পরেই ব্রশার আসছে। পড়লেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে। - ব্রশার? - মৃত্যুলোকের।   - তা স্বর্গ বা নরক চিজ কেমন? সেসব এই সর্ষের মধ্যেই? - আরে না না। এ তো বেসক্যাম্প। এখানে স্রেফ মাসখানেকের মামলা। তার মধ্যেই ফয়সালা আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। - ফয়সালা অফ স্বর্গ অর নরক? - এগজ্যাক্টলি। - তা নরক মানে তো শুনেছি অসম্ভব যন্ত্রণা। কড়া

নিখুঁত প্রতিশোধ

- ডাক্তার।  - কোথায় রাখলে? - ওটিতে।  - ভুল হয়নি তো? - সেই লোক ডাক্তার। হান্ড্রেড পারসেন্ট। আলেক্স রডরিগেজ। আই কার্ড আর ছবি মিলিয়ে দেখেছি। কাট মার্ক অন দ্য নি। কটা চোখ। নির্ভুল। - চোট? - যেমন কথা তেমন কাজ। বিন্দুমাত্র নেই। শুধু গভীর ঘুমে। আটচল্লিশ ঘণ্টার আগে জ্ঞান ফিরবে না।  - গুড।  - ওটি তৈরি করি? - কর। আমি সিগারেটটা শেষ করে আসছি। - ডাক্তার।  - বল। - এই আপনার ...।  - হুঁ। - আপনি নিশ্চিত?  - নিজের বাবা মা'র খুনিকে মনে রাখাটা বেশ সহজ কার্লোস। - খুন তো সহজেই করতে পারতেন । সহজ প্রতিশোধ। - যে প্রতিশোধ সহজে নেওয়া হয়, সে প্রতিশোধ দায়সারা।  - যন্ত্রণাবিদ্ধ করে মারতে চান? - যন্ত্রণাবিদ্ধ করতে চাই। তবে মারতে চাই না। সুস্থ ও জীবিত রাখতে চাই।  - কী অপারেশন করতে চাইছেন ডাক্তার?  - যে অপারেশনের জন্য আমার এই কুড়ি বছরের রিসার্চ।  - গোপন রিসার্চ।  - ঠিক।  - কীসের অপারেশন ডাক্তার? - দ্য মোস্ট কমপ্লেক্স ব্রেন সার্জারি ইন হিউম্যান হিস্ট্রি। - কী'রকম? - টেবিল তৈরি কর কার্লোস।  - রাইট ডক্টর।  ** - খোকা।  - ইউ আর আ পিস অফ ডার্ট আলেক্স। আ

বোঝা আর মাখা সন্দেশ

- দাদা, সবাই সব বোঝে? - না বোঝাটাই মঙ্গল। মাসলোর মগডালে বেশি লোকের ঘুরঘুর হলেই মুশকিল। - তুই সব বুঝিস যেন? - আমি মাসলোর পাদানিতে দোল্লা খাচ্ছি। আমার সব বুঝে কাজ কী?  - তুই দাদা বড্ড বেশি আনন্দবাজার পড়ছিস। খালি বাতেলা। - ভুল বিনু ভুল। আনন্দে আছি, বাজারে নেমেছি; সচ বাত। কিন্তু আনন্দবাজারে নেই। তা সবার বোঝা নিয়ে মেতেছিস কেন? - কবিতা লিখছি। - কেন? - কেন মানে? কবিতা পাচ্ছে। তাই। - প্রেম? - সুস্মিতা। সেকেণ্ড ইয়ার। আর্টস। হিস্ট্রি বোধ হয়। - এসব পেখম মেলা কাব্যি বস। মেটিং ডান্স। তোর ও লেখা কেউ পড়বে না। - ছিঃ দাদা। - চোপ। শুনে রাখ; সবাই বুঝবে না। গবেট মেজররিটির দুনিয়া। সবে প্রেমে পা চুবিয়েছিস। হাইয়ার ওয়েভলেন্থে ফ্লোট করছিস। কেউ বুঝবে না। ভাবিস না। - সুস্মিতা বুঝবে? - বুঝলেই মরলি। তবে যদি না বোঝে, সেদিন বুঝবি রিয়েল পোয়েট্রি কী! - বুঝব? বিরহ? হার্টব্রেক? মদ ধরতে হবে? - গবেট। হার্টব্রেক সারাই হয় গুপ্তিপাড়ার মাখাসন্দেশে। - গুপ্তিপাড়া? মিনুপিসির বাড়ি? - অফ কৌর্স। সুস্মিতা রিফিউজ করলে তোকে নিয়ে যাব। দু'দিনে দেড় কিলো পার হেড। ফাইনেস্ট ব্যথা ভোলানো কাব্যি। ক্লা

হ্যাশট্যাগ

- কী চাই? - ঠকঠক করে কাঁপুনিটা বন্ধ করুন। ফার্স্ট ডিমান্ড। - ন...নলের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁ...কাঁপুনিটা অটোমেটিক। ইনভলেন্টারি। - বন্দুকে এত ভয়? নিউজপেপার তো নিশ্চিন্তে বগলদাবা করে ঘুরে বেড়ান। যত ভয় এই বন্দুকে? - না মানে....। মানে...চাইছেনটা কী? - হ্যাশট্যাগ আইডিয়া অফ রোম্যান্স। - আ....আজ্ঞে? - মানে রোম্যান্স সম্বন্ধে আপনার আইডিয়া কী? - আ...আমার আইডিয়া? - বলুন। না বললেই নয়। - না বললেই বুঝি ঢি...ঢি...ঢি...। - ঢিশুম? ইয়েস। ঢিশুম। এবার বলুন। - রোম...রোম...। - বেহালা কাঁধ থেকে নামান ভাই নিরো। হোয়াট ইজ ইওর আইডিয়া অফ রোম্যান্স? - আমার? - নয়তো কি ডালহৌসির? - রোম্যান্স। রি...রিয়েল রোম্যান্স বলতে বিয়ে...। - বিয়ে? একশোয় বারো। - যে সে বিয়ে নয়। শীর্ষেন্দুর দিলদরিয়া চোরের সাথে শীর্ষেন্দুর মাই ডিয়ার পেত্নীর বিয়ে। - রিয়েলি? একশোয় একশো। - ঘোড়াটা সামলে স্যার। - এই নিন। এই রিভলভার এখন আপনার। মাই জব ডান। - মানে? - মানে এই বন্দুক অন্য কারুর কপালে ঠেকিয়ে  ‪#‎ IdeaOfRomance‬  য়ের পরের কিস্তি আপনাকে আদায় করতে হবে। যে দেশে যে ইয়ে। - মাইরি? এই বন্দুকটা আমার? এটা কোল্ট

শার্প

- বসুন।  - আপনার বোধ হয় সিগারেট...। - চলে না। তবে আপনি ধরাতেই পারেন। - ধন্যবাদ। - নার্ভাস লাগছে? - একটু। আর শীতটাও বাড়াবাড়ি রকমের। - বাইরে মাইনাস বারো। ব্র‍্যান্ডি দিতে বলেছি। - আসলে জায়গাটা সুন্দর অথচ দম বন্ধ করা অন্ধকার...। - এটা হিল স্টেশন নয়। আপনার কলকাতা তো নয়ই। - জানি। - জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে আসার কোন মানে হয়? আপনার ঝকঝকে সুন্দর জীবন। নরম, ভালবাসা মাখা। সেলিব্রেটি। আইকন। এই রুক্ষ খুনে পরিবেশে কেন এলেন?  - ব্রুসের কাছেও তো সবই ছিল। হি ওয়াজ অলসো অন টপ। - অন টপ? অন টপ? রিয়েলি? গথাম আর কলকাতা একই স্কেলে মাপছেন? - আর্টিস্টের কাছে সিটি অফ জয় বলে কিস্যু নেই। সমস্তটাই খুনোখুনি। অ্যান্ড আই ওয়ান্ট টু গো ওভার অ্যান্ড অ্যাভব অল দ্য র‍্যাট রেস। - আর তেমনটা কেমন ভাবে হতে চান? - আরও ধারাল হয়ে। - ধারালো? আপনি সুপারস্টার । আপনার হাজার ওয়াটের হাসি।  লেডি কিলার মেজাজ। মন ভোলানো ম্যানারিজমস। অগাধ পয়সাকড়ি। প্রতিপত্তি।  - সমস্ত। সমস্তই আছে হে ঘুল। নেই শুধু সেই শার্পনেসটুকু। সেই এফোঁড় ওফোঁড় করে দেওয়া কথার দুলকি। সেই ক্ষুরধার দৃষ্টি।  সেই জাদু হিউমরের ছুরি।  ওগো বধু সুন্দরীর সেট থেকে

অবিচুয়ারি

চোখ ডলতে ডলতে দরজা খুলে ব্যালকনিতে এলেন অনল। সানডে লেট মর্নিংটা হকের ব্যাপার। রোল পাকানো টাইমস অফ ইন্ডিয়াটা খুলে অভ্যাসবশত পাতাগুলো ফরফর করে একবার উল্টে গেলেন তিনি। বারো নম্বর পাতায় এসে চোখ গেল আটকে। নিচের দিকে ডান কোণে রয়েছে ব্যাপারটা। অবিচুয়ারি। ইন দ্য  লাভিং মেমরি অফ অনল সেন। বোঝ। সঙ্গে তার ছবি।  -অনলবাবু ভেতরে আসুন প্লীজ। ভুল ব্যালকনিতে রয়েছেন আপনি।  অনল অবাক হয়ে দেখলেন বেডরুমের ব্যালকনিতে এক অপরিচিত মুখ দাঁড়িয়ে।  - আরে ভেতরে আসুন না অনলবাবু। একরকম অনলের  হাত ধরে জোর করে ঘরের মধ্যে নিয়ে এলেন ভদ্রলোক। - আরে আপনি কে মশাই? হু আর ইউ? - দেখলেন তো অনলবাবু! কী গোলমালটাই না পাকিয়েছেন আপনি। - বেরোন। বেরোন বলছি। - যাব কোথায়? উপায় নেই তো। সব দোষ আপনার। - মানে? - মানে ওই ঘুমের চোখে ভুল দরজা খুলেই করলেন গণ্ডগোল। এখন বুঝুন ঠ্যালা। - এর মানে কী? আপনি উন্মাদ। রাখহরি! এদিকে। - আচ্ছা লোক মশাই আপনি। খুললেন গলত দরওয়াজা। এখন ডাকছেন রাখহরি। বলি সে এখানে আসবে কী করে? বোঝ ঠ্যালা। আরে আপনি তো ঘুমের চোখে দু'মাস পরের দরজা খুলে ফেলেছেন। - ননসেন্স। - কী মুশকিল। বিশ্বাস অবিশ্যি করবেনই

উইলের ব্যাপার

- জুতিয়ে মুখ ভেঙে দেব। - চাবকে পিঠের চামড়া তুলে নেব। - পেটে বোম মারব। - কান কেটে কুচি কুচি করে ডুবো তেলে ভাজব। - তুমি তাহলে আমার কথা শুনবে না দাদা? এত দেমাক? - তুই আমার কথা শুনছিস না। রাস্কেল ছেলে কোথাকার। - বাবার উইল কে রিফিউজ করছ? - বাবা ফাউল করেছে। মরার আগে চুপিচুপি উইল চেঞ্জ? বাবা গদ্দারি করেছে। - নিজের বাপকে গদ্দার বলছ? এই তোমার কালচার? - লুঙ্গি পরে ক্রিকেট খেলিস তোর কাছে কালচার নিয়ে লেকচার শুনব? শুয়ার।  - খবরদার। ভাষা সামলে। উইল তোমায় মানতে হবে। - চোপ। জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব। - ভুঁড়ি পাঙচার করে দেব। - ওই উইলে আমি ইয়ে করি। - দাদা বলে রেয়াত করব না। উইল তোমায় মানতেই হবে।  - আনফেয়ার উইল। বাবার ভীমরতি হয়েছিল। - বাবার ভীমরতি?  মানুষটা মারা গেছে দু'দিনও হয়নি। তুমি এমন ভাবে বলতে পারছ দাদা? - ফ্যাক্ট ইজ ফ্যাক্ট। ওসব আনফেয়ার ডিলের তোয়াক্কা আমি করি না। এই বাড়ি তিন তলা। দেড় তলা আমার, দেড় তলা তোর। - বাবা বলে গেছেন দু'তলা তোমার তো দু'তলা তোমার। একতলা শুধু আমার। এই বলে রাখলাম। - অসম্ভব। বাবার অবর্তমানে আমি বড়দাদা হিসেবে তোর গার্জেন। দেড় তলা দে

নিয়ার ডেথ্‌

-   নিয়ার ডেথ এক্সপিরিয়েন্স? -   আজ্ঞে। -   এখেনে বসলে? -   এখানে বসে, এই কাঁচের টুপিটা মাথায় দিয়ে তারপর ওই নীল সুইচ্‌টা দাবিয়ে দিন। -   তারপর? -   তারপরেই সেই ম্যাগনিফিসেন্ট ব্যাপার। -   ম্যাগনিফিসেন্ট? যন্ত্রণা নয়? -   ফিজিকাল যন্ত্রণার ওপারে রয়েছে মৃত্যু বুঝলেন। যখন মৃত্যু ল্যান্ড করবে তখন সমস্ত পিসফুল। -   পিসফুল। উদ্ভাসিত আলোয় তৈরি হবে ব্যাকগ্রাউন্ড। তারপর ভেসে আসবে সে। -   সে? ডেথ? -   সুবাস। -   সুবাস? -   একটা মনমোহিনী সৌরভ। সুবাস। সুবাতাস। বুক জুড়ে নেমে আসবে। -   সেটা কেমন? -   মৃত্যু আসলে গন্ধ...। -   সুগন্ধ বলুন স্যার। আর আমার এই যন্ত্রে বসে, সেই অপরূপ সুগন্ধ আপনি চেখে আসতে পারবেন। -   কীরকম সুগন্ধ মশাই ? -   একেক জনের একেক রকম। আপনার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় গন্ধগুলো মণ্ড পাকিয়ে আসে। আবেশের ভার চাপিয়ে সরে পড়ে। মানুষ স্তিমিত হয়ে আসে। -   উরিব্বাস। -   গতকাল যে কাস্টোমার এলেন তিনি পেলেন ফুচকার জলে গন্ধরাজ লেবুর গন্ধ। ঘাস, মাটন, মা; কত কিছুর গন্ধ পায় লোকে। -   কেউ ইয়ে...ওপারে চলে যায় না তো? -   ফি

বটুর অঙ্গীকার

ফুটপাথ জুড়ে হকার। কোনও মানে হয়? গিজগিজ করছে আচার বেচেনওলা থেকে সিডি বিক্রেতা থেকে চাওলা থেকে রোলের দোকান। পা ফেলা দায়। বিরক্তিতে সিগারেট ধরালেন অর্পণবাবু। একে ঘেমে নেয়ে একাকার কাণ্ড তাইতে এই ফুটপাথের ছোটলোকামো। সরকারগুলো সব ভোট ভিখিরি হলে দেশের প্রোগ্রেস হবে কী করে? ঘেন্না ভরে দু'একটা ধোঁয়ার রিং হাওয়ায় ভাসালেন অর্পণবাবু। ওদিকে মিহিরবাবুর মাথাটা আবার ধক করে গরম হয়ে গেল। এই ভীড়ে এই আদ্দামড়া ভদ্রলোক সিগারেট ধরালে; এই শালার সিভিক সেন্স? আবার রিং ভাসাচ্ছে? পাশেই রয়েছে বাচ্চা-বুড়োর দল। ব্যাটা নিজের ক্যান্সার নিয়ে নিজে মর, আর দশটা লোককে প্যাসিভ ইঞ্জুরি দেওয়ার কী মানে? অবিশ্যি আজকাল আবার পাবলিক প্লেসে সিভিক সেন্সের কথা বলাটাও পাপ, যার তার পকেটে চাক্কু।  রাগ আর ঘেন্নাটা গলা দিয়ে দলা পাকিয়ে ওঠায় মুখের পানটা ফুটপাথের এক কোণে থুঃ থুঃ করে ফেললেন তিনি। এত সবের মাঝেই গড়িয়াহাটের ভীড় আলো করে মিচিকি হাসলেন বটু গোয়েন্দা। রিভার্স পকেটমারির স্কিলটা এসব ক্ষেত্রে বড় কাজে আসে। অর্পনবাবুর সিগারেটের ছাই ভরা ব্যাগি প্যান্টের হিপ পকেট আর আধ চেবানো পানের পিকে ভিজে যাওয়ার মিহিরবাবুর খদ্দর পাঞ্জাবী

রোম্যান্স বলতে

১।  - লুচি সোম ডায়লুট করে জানিস? - 'তুই' ডাক বিয়ের গ্র‍্যাভিটি ডায়লুট করে। জানো? - তুই তুই ছাড়লি? - তুই লুচি ছাড়তে পারবি? তুমিতে একটা ট্রাই দিলাম জাস্ট। সুখা পাউরুটি রে। বাদ দে। ২।  দুপুর অফ শীত। কোণা অফ ছাত। পাটি অফ শীতল। বালিশ অফ পাশ। সঞ্জীব অফ রাবণবধ। বাটি অফ চানাচুর। অকেশনালি লাল ছাপার শাড়ি-কালো ব্লাউজ এলোমেলো চুলে খোসা ছাড়ানো কমলালেবুর কোয়া অফার করবে।

বন্ড ও সংস্কার

( ছবির সোর্স )    বুধবার। অফিস কাটা বুধবার, ইউনিভার্সিটি কাটা বুধবার; জোড়ায়। ছাতা। একটা ছাতা। ছাতার ওপরে স্বল্প ঝিরঝির। তার ওপরে মেঘলা আকাশ। নভেম্বরের বৃষ্টি কি না, তাই মৃদু শীত শীত ভাব। ছাতার চারপাশে হাওয়ায়, গাছের পাতায় ফিসফিস। বেঞ্চের অনুমতি। ছাতার নিচেও ঝাপসা মেঘ; এলোমেলো চুল। অফিস কাটতি ঠোঁটজোড়ার এবড়োখেবড়ো, ইউনিভার্সিটি কাটতি ঠোঁটজোড়ায় হালকা লাল। দু'জোড়ায় যুক্তি সাজাচ্ছে। যুদ্ধ, মিসাইল, ডায়রির ছেঁড়া পাতার তলোয়ার। মিলে মিশে ভিজে সপাট চুমুতে দুপুরের পেট এফোঁড় ওফোঁড় করে ছুরি। ইউনিভার্সিটি কাটিয়ের চোখে জল। অফিস কাটিয়ের বুকে দমাদম ধুকপুক, ভার হয়ে আসা গলা। ** সেন্সর জেম্‌স বন্ডের চুমুর দৈর্ঘ কেটে ছোট করেছে। অত লম্বা চুমু ইজ এগেইন্সট আওয়ার কালচার। আমরা ইজ এগেইন্সট আওয়ার কালচার। কালচার ইজ এগেইন্সট আমরা। উই আর এগেইন্সট আমরা। পার্কের বেঞ্চি আর চিলেকোঠার অন্ধকার যেদিন ভোট দিতে শিখবে, সেদিন বাকিটুকুও যাবে।

রিটার্ন অফ ধর্ম

- আজ থেকে আমার কোনও ধর্ম রইল না।  - সেটা আপনার মনে হচ্ছে।   - হোয়াট ডু ইউ মিন মনে হচ্ছে? নেই তো নেই। পৈতে ছাড়ছি। নো ফেজটুপি। এমন কি বুদ্ধ-টুদ্ধও নয়। - লেনিন? - না না। সেটাও হিরো ওয়ারশিপ। ওয়ারশিপ ব্যাপারটাই বাদ।   - আমি কেন ঈশ্বর বিশ্বাসী জানেন? - তুমি মুখ্যু বলে।   - হেহ! - আচ্ছা বলো কেন। হোয়াই ডু ইউ বিলিভ ইন গড!। হুইচ ইজ জাস্ট বাতেলা।   - কারণ ভদ্রলোক এমন ভাবেই ভিশিয়াস সাইকেলটা বেঁধেছেন ধর্মকে ছাড়তে আপনি পারবেন না। আর এই ধান্দাবাজির ক্রিয়েশনের পিছনে একটা ঘনাদা মার্কা ব্রেন থাকবে না সেটা হতেই পারে না।   - ধর্মকে ছাড়তে পারব না মান? ছাড়লাম তো। মন্দির মসজিদ চার্চ বয়কট। নাথিং। কিচ্ছু রইল না।   - নিজের নতুন ধর্মটা ঠাহর করতে পারছেন কি তাহলে? **  ঈশ্বর আজ দেরী করে ঘুম থেকে উঠবেন। সাড়ে দশটা থেকে অ্যলার্ম স্নুজ করে করে উঠতে উঠতে সাড়ে এগারোটা। উঠেই এক গেলাস লেবু সরবত ; হ্যাংওভার কাটাতে। খবরের কাগজে চোখ বুলোতে বুলোতে দাঁত মাজা। তারপর শাওয়ারে ধুয়ে নেবেন সমস্ত ক্লান্তি। তারপর বারান্দার মিঠে রোদে এসে গা এলিয়ে ব