বন্ধ ব্যাপারটা নিয়ে দু’টো কথা আছে। ১। বন্ধ খারাপ। ২। বন্ধ ভালো। ওই এক নম্বরে যেটা বললাম, সেটা স্পষ্ট। এ যুগে বন্ধ ততটাই উপযুক্ত পলিটিকাল হাতিয়ার; যতটা বুধবারের চিত্রহার বা একটা ক্যাসেটে বারোটা গান বা ইনল্যান্ড লেটার। তবে ভেজা গাব্বা পিচে ইনকিলাবি স্কুপ শট খেলতে রাজনৈতিক দাদা-দিদিরা অতীব পটু; তারা জানেন যে ভোটে বিদ্রোহী আই-পি-এলো মেজাজটা ছড়িয়ে দিতে পারলেই পাবলিক খাবে। ওসব উন্নয়ন-টুন্নয়ন লম্বা ইনিংসের খেললে জুটবে কাঁচকলা; টেস্ট ম্যাচে আজকাল সকলের সুপরিকল্পিত অরুচি। কাজেই তারা বন্ধ রাখবেনই, আর আমরা ছুটি হ্যাংলারা ডাইভ দিয়ে ল্যাদ লুফে নেবই। ওটাই আমাদের ধর্ম- বাঙালি ধর্ম। হুজুগ হল ঈশ্বর, ড্যাং ড্যাং হল নৃত্য পুজো। কিন্তু এসব করে আর ক’দিন? বুড়ো বাঙালি বাপ-মায়েরা বোধ হয় চিরকালই ফ্রি ওয়াইফাইতে বাঙ্গালরে চেন্নাইতে দিল্লীতে বম্বেতে বসে থাকা চাকুরীরত ছেলেমেয়েদের সাথে স্কাই চ্যাট করে যাবন। এইবারে। ইয়ে। এক নম্বরের ব্যাপারটা রইলো। ঠিক আছে। সত্য কথা। উন্নয়ন আদ্দির পাঞ্জাবীর মতই জরুরী। তবে কী না...বন্ধ থাকবে না? বাঙালি স্রেফ জিডিপি জিডিপি করে শেষ হয়ে যাবে? হুজুগ ফুর্তি হঠাৎ তুর্ক
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ