Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2015

বন্‌ধের ব্যাপারে দু'টো কথা

বন্‌ধ ব্যাপারটা নিয়ে দু’টো কথা আছে। ১। বন্‌ধ খারাপ। ২। বন্‌ধ ভালো। ওই এক নম্বরে যেটা বললাম, সেটা স্পষ্ট। এ যুগে বন্‌ধ ততটাই উপযুক্ত পলিটিকাল হাতিয়ার; যতটা বুধবারের চিত্রহার বা একটা ক্যাসেটে বারোটা গান বা ইনল্যান্ড লেটার। তবে ভেজা গাব্বা পিচে ইনকিলাবি স্কুপ শট খেলতে রাজনৈতিক দাদা-দিদিরা অতীব পটু; তারা জানেন যে ভোটে বিদ্রোহী আই-পি-এলো মেজাজটা ছড়িয়ে দিতে পারলেই পাবলিক খাবে। ওসব উন্নয়ন-টুন্নয়ন লম্বা ইনিংসের খেললে জুটবে কাঁচকলা; টেস্ট ম্যাচে আজকাল সকলের সুপরিকল্পিত অরুচি। কাজেই তারা বন্‌ধ রাখবেনই, আর আমরা ছুটি হ্যাংলারা ডাইভ দিয়ে ল্যাদ লুফে নেবই। ওটাই আমাদের ধর্ম- বাঙালি ধর্ম। হুজুগ হল ঈশ্বর, ড্যাং ড্যাং হল নৃত্য পুজো। কিন্তু এসব করে আর ক’দিন? বুড়ো বাঙালি বাপ-মায়েরা বোধ হয় চিরকালই ফ্রি ওয়াইফাইতে বাঙ্গালরে চেন্নাইতে দিল্লীতে বম্বেতে বসে থাকা চাকুরীরত ছেলেমেয়েদের সাথে স্কাই চ্যাট করে যাবন। এইবারে। ইয়ে। এক নম্বরের ব্যাপারটা রইলো। ঠিক আছে। সত্য কথা। উন্নয়ন আদ্দির পাঞ্জাবীর মতই জরুরী। তবে কী না...বন্‌ধ থাকবে না? বাঙালি স্রেফ জিডিপি জিডিপি করে শেষ হয়ে যাবে? হুজুগ ফুর্তি হঠাৎ তুর্ক

কোল্যাটেরাল

তার প্রতিশ্রুতির দম কতটা? সে যদি বলে “আমি বন্ড পেপারে লিখে দিতে পারি”, জানবেন হিসেবে গরমিল আছে। সে যদি বলে “মাইরি বলছি”, জানবেন সে আলগোছে সিরিয়াস, হালকা অছিলায় ফসকে যেতে পারে। সে যদি “তিন সত্যি” দিয়ে বলে, তার তিনটে বালখিল্য সত্যি নিয়ে জাগ্‌লিং খেলতে পারেন। সে যদি “মা কালীর দিব্যি” দিয়ে আশ্বাস দেয়, তাহলেও বেসিকালী কোন গ্যারেন্টি নেই। দিব্যি-টিব্যি কলিতে দিব্যি আউটডেটেড হয়ে পড়েছে। সে যদি বলে “গড প্রমিস”? শুনুন, এ যুগ গডফাদারের যুগ। গড যে আমজনতার ব্যক্তিগত ব্যাপারে খুব একটা নাক গলাতে পছন্দ করেন না, এটা এখন সর্বজনবিদিত। সে যদি এই বলে ভরসা দেয় যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা না হলে আপনি তার “মরা মুখ” দেখবেন, জানবেন সে ডাকওয়ার্থ লুইসে খেলতে চাইছে। চোখের জলে যুক্তির পিচ ভাসল বলে। আপনি হতবাক ম্যাকমিলানের মত এক বল খেলতে নামছেন বাইশ রান করার জন্য। সে যদি বলে “মায়ের দিব্যি”, জেনে নিন কার মা। শেষে দেখলেন তার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে আপনার মাকে নিয়ে টানাটানি শুরু হল। সে যদি গা ছুঁয়ে বলতে চায়? ভালো না লাগলে সাবান কেনার খরচা চান। ভালো লাগলে জড়িয়ে ধরুন, প্রতিশ্রুতির দরকারটা কী? কো

ইলিশিয়

আসল রুপো কি খনি থেকে উঠে আসে? উঠে আসে পদ্মা আর গঙ্গার বুক চিরে; ইলিশের গায়ে ঝিক্‌মিক্‌ করতে করতে। সাঁঝের গড়িয়াহাটের মাছের বাজারের বাল্বের আলোর হলুদ মখমল সেই রুপোর তবকে মিশে গলগলে সোনা তৈরি হয়। এই অ্যালকেমির সূত্র শুধু বাঙালির মানিব্যাগের রক্তে লেখা থাকে। আদত পদ্মার মায়াময় স্বাদ পেতে হলে অন্তত কিলো প্রতি কড়কড়ে দু’টো পাঁচশো আর একটা একশো টাকার নোটকে ভাসিয়ে দিতে হয়। কিন্তু এই হ্যাশট্যাগের যুগে কেষ্টর জন্য কষ্ট করার চেয়ে ইলিশের পিছনে মনোনিবেশ করা ঢের ভালো।  আড়াআড়ি একে অপরের বুকে শুয়ে থরে থরে রুপোমাখা বাজার মোহিনীর দল। বুড়ো আঙুল আর তর্জনী দিয়ে মেপে নেওয়া পেটির পরিসর, সামান্য টিপে পদ্মা পরবর্তী বরফ বন্দী জীবনের দৈর্ঘ্য বুঝে নেওয়া; ইলিশবিলাসী হওয়া সহজ নয়। ইলিশ চেনার আর্ট হারিয়ে যাচ্ছে। ইলিশ চেনার নিরিখে দাদু ছিলেন শরদিন্দুর ব্যোমকেশ, বাবাকে বাসু চ্যাটার্জির ব্যোমকেশ বলা যায়। আমি বোধ হয় দিবাকর ব্যানার্জির বিয়োমকেশ। দাম বুঝে কোয়ালিটি মেপে নিতে হয়। বড় দুঃখ। বাজার থেকে দ্রাবিড় ভেবে আনি, আর এদিকে বাড়ি এসে ইলিশ ব্যাটা সাদাগোপান রমেশ হয়ে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে অকারণ খোঁচা দিয়ে চলে।  কিন্তু খা

নিরো

-     তুমি জানো তুমি কী বলছো অনিন্দ্য ? -           জানি। -           না তুমি জানো না। তোমার মগজে গণ্ডগোল দেখা দিয়েছে। -           আমি আপনাকে জোর করে বিশ্বাস করতে বলছি না প্রফেসর সেন। আমি আপনাকে ডাকিনি। আপনিই এখানে এসেছেন আমার খোঁজে। -           হ্যাঁ, এসেছি কারণ ইউনিভার্সিটি থেকে দু ’ দিন ধরে তুমি নিখোঁজ। হস্টেলে ফেরোনি। রিসার্চ টিমের কেউ তোমায় দেখেনি। তোমার বাড়ির লোকেরা তোমার খোঁজ করে পাচ্ছে না। তুমি কারোর কল রিসিভ্‌ করছো না। ঝাড়া দু ’ দিন পর মাঝ রাত্তিরে তোমার ফোন পেলাম আর সেখানে এমন আবোল তাবোল বকলে তুমি । ভেবেছটা কী ? রাত দু ’ টোর সময় সমুদ্রের ধারে এমন হদ্দ হয়ে বসে আছো। চোখ দু ’ টো দেখে মনে হচ্ছে নির্ঘাত নেশা-টেশা করেছো। -           আমি কোন নেশা করি না প্রফেসর। আপনি সেটা জানেন। আমি আপনাকে ফোন করে বলেছি কারণ কথাটা নিজের মধ্যে আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। আমার মনে হয়েছিল অন্তত আপনি ব্যাপারটা বুঝবেন। আপনার অন্তত কথাটাকে আবোল-তাবোল মনে হবে না। -           ওকে। বেশ। তুমি বলছো যে তোমার এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে ? ইনফ্যাক্ট , তোমার কথা অনুযায়ী ভিনগ্রহের প্রাণীরা নিজে তোমার