Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2021

অশ্বিন ও ভদ্দরলোকের ক্রিকেট - অনুবাদ

আরে! আজ নাকি #WorldTranslationDay ! অতএব, রইল অনুবাদ। ***'ভদ্দরলোকের ক্রিকেট'*** - রবিচন্দ্র অশ্বিন। ১। ফিল্ডার বল ছুঁড়েছে দেখেই আমি রান নেওয়ার জন্য ছুটেছিলাম। ঋষভের গায়ে যে বল লেগেছে, সে'টা আমি দেখতে পাইনি৷ ২৷ যদি সে'টা আমার দৃষ্টিগোচর হত, তা'হলেও কি আমি রান নিতাম? আলবাত নিতাম৷ কারণ সে'টা বেআইনি নয়। ৩। মর্গান আমার ব্যবহারকে লজ্জাজনক বলেছেন৷ তাই কি? আলবাত নয়। ৪। আমি কি ঝগড়া করছিলাম? না৷ সোজাসাপটা কথাগুলো মাথা উঁচু করে নিজের হয়ে নিজেকেই বলতে হয়। নিজের বাপ-মা আর বড়দের থেকে আমি অন্তত সে শিক্ষাই পেয়েছি৷ আর পারলে নিজের ছেলেমেয়েদেরও সে'টাই শেখান, তা'তেই মঙ্গল। মর্গ্যান বা সাউদির কাল্পনিক ক্রিকেট জগতের ভালোমন্দ নিয়ে আমার বলার কিছুই নেই। কিন্তু তাই বলে তারা অকারণ কলার টেনে জ্ঞান দেবেন বা খিস্তি করবেন, সে'টা ঠিক হজম করা যায় না৷ আরও অবাক হই,  যখন দেখি এই সাদামাটা ঘটনার মধ্যেও মানুষজন ভালোমানুষ বা ভিলেন খুঁজে হদ্দ হচ্ছেন৷ যাক গে, 'ক্রিকেট ভদ্দরলোকের খেলা' বলে যাঁরা গলা ফাটাচ্ছেন, তাঁদের বলি; অসংখ্য ক্রিকেটার প্রতিদিন ক্রিকেট মাঠে জান

পুজোর ক্লিশে

- এই যে গুরুদেব। - কী ব্যাপার চ্যালা..। মনটন খারাপ নাকি? - আরে সাংঘাতিক মনখারাপ গুরু। - ও'টা বোধ হয় থার্ড পেগের এফেক্ট। - নেশার ঝিমঝিম যে লেগেছে সে'টা ডিনাই করছি না, তবে এ মনখারাপ মাতলামোর নয় গো। - নতুন করে প্রেমেট্রেমে পড়োনি তো? মাঝবয়সে এসে অমন ছুকছুক একটু হতেই পারে। - আরে না না। এ বয়সে নতুন করে প্রেমের চেয়ে ওই গৃহপালিত এক্সারসাইজগুলোই বেশি এন্টারটেনিং। এনগেজিং। এই যেমন ধরো গিন্নী লুচি বেলে চলেছে আর প্যারালালি আমি ভেজে চলেছি। পার্ফেক্ট রিদমে। সব ক'টা লুচি নিখুঁত, কোনও এ'দিক ও'দিক নেই। ওই নতুন প্রেমের 'ওগো-হ্যাঁগো-তোমায় ছাড়া দুনিয়া ব্ল্যাকহোল-গো'..ও'সব আর এই বয়সে সইবে কেন বলো গুরু।  - তা'হলে চ্যালা, হোয়াই দ্য মনখারাপ? - জীবনের ট্র‍্যাজেডিটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে গুরু। সে জন্যেই হাহাকার। - কী'রকম? - এই ধরো পুজো আসছে। ছেলেবেলার এক্সাইটমেন্টটা ট্রিগার করতে চাইছি কিন্তু কিছুতেই হচ্ছে না। ভাবছি এন্তার খাওয়াদাওয়া করব। বিরিয়ানিতে সাঁতার কাটব, চপ-কাটলেটে ভেসে যাব। ভেবে যেমন আনন্দ হচ্ছে, তেমনি বুক শুকিয়ে যাচ্ছে রিয়েলিটির কথা ভেবে৷ আজকাল সল্টেড বাদাম চিবুলেও বুক

হুলো বনাম গুল্টে

- এই যে। হুলোদা, বড্ড লেগেছে নাকি গো? - শুয়ার৷  - আহ্৷ চটছ কেন৷ চটছ কেন৷  - দু'দুটো গুলি লেগেছে রে হারামজাদা। - বাহ্ রে৷ গুলি যেন একা আমি চালিয়েছি? তুমি বুঝি আমার দিকে তাক করে ফুচকা ছুঁড়েছিলে? মাস্তানদের এ'দল ও'দলের মধ্যে এমন একটু ইন্টুপিন্টু না হলে কি চলে বলো হুলোদা? তবে দু'টো গুলির একটা তো তোমার দাবনায়৷ অন্যটা পেট ঘেঁষে বেরিয়েছে৷ চিন্তা নেই গো। - দাঁত ক্যালাচ্ছিস কেন রে গুল্টে? হুলো গুণ্ডা ঘায়েল হয়ে পড়ে রয়েছে, মাটিতে গড়াগড়ি যাচ্ছে..সে'টা দেখে খুব ফুর্তি! তিলে তিলে কষ্ট না দিয়ে শেষ না করলে পয়সা উসুল হবে না, তাই না?  - মাইরি বলছি হুলোদা৷ তুমি অন্য দলের হোঁতা হতে পারো, কিন্তু তোমায় দিনে একবার মনে মনে সেলাম না ঠুকলে আমার চলেনা৷ কী নিশানা তোমার হাতের পিস্তলে গুরু৷ আর কী র‍্যালা তোমার! বাজারে সবাই হুলো মাস্তানের নাম শুনলেই বমকে যায়৷  - আমার বডিতে গুলি ঠুসে দিয়ে এখন বলছিস আমায় সেলাম না ঠুকলে চলে না?  - আরে গুলি ঠোকাটা লাইনের কাজ৷ ব্যবসা।  সেলামটা তো বুকভরা ভালোবাসা৷  - বাজে ভাট না বকে দে'না দু'টো গুলি আমার খুলিতে পুরে৷ বেঁচে যাই৷ বড্ড যন্ত্রণা রে৷ দে না আর দু'

ক্রিকেট, পৃথিবী, ভালোবাসা

"কতটা পেরোলে পরে পথিক বলা যায়"৷ গানের কথাগুলো লেখার সময় সুমন একটা লাইন ফস্ করে লিখে ফেলার পর নির্ঘাৎ কেটে দিয়েছিলেন, " কতটা ক্রিকেট বুঝলে তবে ক্রিকেট রসিক বলা যায়"? অন্যান্য সব জটিল ও বেয়াড়া প্রশ্নদের মত, এরও কোনও সদুত্তর জোটানো সম্ভব নয়৷ সদুত্তর দেওয়া কেন সম্ভব নয়? সে পোয়েট্রি দু'জন মানুষের নিজেদের জীবন ও মৃত্যু দিয়ে বুঝিয়ে গেছেন৷ একজন বিলিতি সাহেব হ্যারি থম্পসন৷ অন্য জন শ্রীলঙ্কার ডাব্লু জি করুণাসেনা৷ তাঁদের মধ্যে প্রচুর অমিল৷ একজন রক্তে মাংসে বেঁচেবর্তে ছিলেন, অন্যজন নেহাতই এক টুকরো কল্পনা৷ একজনের জন্য আনন্দধারা বহিছে ভুবনে, অন্যজন কপাল-দিয়ে-পেরেক-ঠোকা বিটকেল মেজাজের মানুষ৷ একজন শখ-শৌখিনতায় ভরপুর, অন্যজন ধ্যাত্তেরিকাঁচকলায় দিন গুজরান করা বান্দা৷ একজনের সেন্স অফ হিউমরে পালকের সুড়সুড়, অন্যজনের সেন্স অফ হিউমরে বিছুটি আর চিমটির খুনে কম্বিনেশন; কিন্তু দুইই অব্যর্থ৷ দু'জনের যোগাযোগ শুধু একটাই বিন্দুতে; ক্রিকেটের প্রতি অদম্য ভালোবাসায়৷ হ্যারি একটা ক্রিকেট দল তৈরি করেছিলেন৷ ক্যাপ্টেন স্কট একাদশ৷ সে দলের যাত্রা শুরু এমন একদল ক্রিকেটারদের নিয়ে যাদের বেশিরভাগের ক্

স্মৃতি ও স্বাদ

স্বাদবোধ, সঙ্গীতপ্রেম, সাহিত্যপ্রীতি। এ'সবকিছুই যদি স্প্রেডশিট আর আইনকানুন মেনে হত তা'হলে তো জীবনের প্রতিটি কণাই পিরিওডিক টেবিলের মত অমোঘ হয়ে রইত। অতি সাধারণকে 'এইটা আমার' বলে আঁকড়ে ধরার দুঃসাহস মানুষের আছে বলেই আমাদের ভালোবাসা এখনও অ্যালগোরিদমে বাঁধা পড়েনি৷। স্বাদ প্রসঙ্গেই বলি৷ এক্সাইড ব্র ‍ ্যান্ড আর রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে মোমোর এক নিবিড় যোগাযোগ; সে'টা আজও দিব্যি টের পাই৷ প্যাভলভের কুকুর ঘণ্টার টুংটাং শুনলেই সুস্বাদু মাংসের কথা ভেবে লালা ঝরাতো৷ আর আজকাল কোথাও ভালো মোমো চাখা মাত্রই আমার মনের মধ্যে ভেসে ওঠে কলেজ-বয়সের এক্সাইড-রবীন্দ্রসদন মোড়ের ছবি৷ সবুজ বা লাল প্লাস্টিকের প্লেটে মোমো আর কন্ট্রাস্টিং লাল বা সবুজ প্লাস্টিকের বাটিতে সাদা জলজলে স্যুপ৷ আমার প্রথম মোমো খাওয়া সে'খানেই৷ সে মোমোর আদত স্বাদ তেমন মনে নেই, মনে থাকার কথাও নেই। কিন্তু ওই; সুখস্মৃতি তো আর মিলিটারি নিয়মে কুচকাওয়াজ করে চলাফেরা করে না। জুলাই মাসের খতরনাক গরম আর ফুটপাথের প্রবল ঠেলাঠেলি উপেক্ষা করে হুসহাস করে আগুন গরম স্যুপ খাচ্ছি আর কলজে কাঁপানো ঝাল লঙ্কার সসে মোমোয় মাখিয়ে মুখে চালান করছি; এই হাই-ভ

কী অত বিচার করা

আমার মোবাইলে মান্না দে 'ও আমার মন যমুনার' গাইছেন৷ আমার হাতের কাছে আধবাক্স উত্তম-হাসি পাওয়ারের হাইক্লাস মাইসোর-পাক৷ খাটের পাশেই এক বোতল জল, যে'টা আধঘণ্টা আগে ফ্রিজ থেকে বের করা হয়েছে আর এখন ঘেমেনেয়ে নিখুঁত টেম্পারেচারে রয়েছে৷ নাকের কাছে খোকার গন্ধ আর বুকের কাছে পাশবালিশ৷ মাথার কাছে আধখোলা একটা জমজমাট বই, শেষের দিকে৷ দুম করে শেষ না হয়ে যায়, তাই ধীরেসুস্থে শেষের পাতাগুলোয় এগোতে হচ্ছে। কাল সকালের অ্যালার্ম দেওয়ার নেই৷ এত ভ্যানতারা না কষে সোজাই বলে দিতে পারতাম; আমিই সুপারম্যান৷

রিপোর্টনগরী

- সান্যাল, ক্যুইক৷ একটা ছোট রিপোর্ট চাই৷ অন দ্য মার্কেট প্রস্পেক্টস অফ আওয়ার নিউ প্রডাক্ট৷ - ওকে স্যর৷ ইয়ে, কত ছোট রিপোর্ট? - নট মোর দ্যান আ পেজ৷ এক পাতার বেশি কেউ আজকাল পড়তে পারে না৷ হাফ পাতা হলে আরও ভালো। - বেশ বেশ৷ তা কবে চাই? - কবে কী৷ আজই৷ আধ ঘণ্টার মধ্যে৷ - বেশ৷ তা, প্রডাক্ট সম্বন্ধে কিছু ইনপুট যদি পাওয়া যেত স্যর..। - অফকোর্স। এই ফাইলে সব আছে। - এই ফাইলে? - এই ফাইলে। - এই ফাইলে অন্তত পাঁচশো পাতা রয়েছে তো। - ছ'শো এগারো৷ - আধ পাতা লেখার জন্য ছ'শো পাতার ইনপুট? আধ ঘণ্টায়? - কুড়ি মিনিটে হলে ভালো হয়। - কিন্তু..। - ব্রাইট ইয়ং চ্যাপদের মুখে কিন্তু শব্দটা বড্ড বেমানান সান্যাল। - কিন্তু স্যর..। - ক্যুইক৷ ক্যুইক। গেট গোয়িং৷ জানো তো সাইমন সাইনেক কী বলেছেন? - কর্পোরেট কোটেশনে মোটিভেশন সইবে না স্যর৷ আমি রিপোর্টটা বানিয়ে আনছি। - বাহ্। সাইমন সাইনেকের নামে বেশ কালীর মানতের স্ট্রেন্থ আছে দেখছি। কেমন হাতে গরম মোটিভেশন পেলে বলো..। ** - সান্যাল, রিপোর্ট তো দিব্যি হয়েছে৷ কিন্তু এইসব প্রজেকশন আর নম্বর তো গুল। রিপোর্টে এত গুল দেওয়া কি ঠিক হল? - গুল? - ডাহা গুল৷ এক্কেবারে নির্জলা গুল। টেনিদাকেও

সামান্য

স্টেজ ১ঃ "অল্প ভাত, হাফ বাটি৷ অল্প ঝোল৷ অল্প তরকারি৷ ফিটনেসের দিখে নজর রেখেছি, বুঝলে তো"৷ স্টেজ ২ঃ "খাওয়াদাওয়ার আধঘণ্টা পর সামান্য মিষ্টি কিছু হলে যেন ভালোই হয়৷ মানে, জরুরী নয়৷ তবে ওই যৎসামান্য হলে ক্ষতি কী৷ তা, সামান্য বোর্বোন বিস্কুট হলেই চলবে৷ এক পিস৷ তার বেশি নয়"। স্টেজ ৩ঃ " গল্প করতে করতে যা হয় আর কী৷ কোন ফাঁকে যে খান পাঁচেক ক্রিমবিস্কুট উড়ে গেল৷ আসলে এই জন্যেই এক পিস মিষ্টি থাকলেই ভালো, নয়ত ডজন ডজন বিস্কুট গিলেও তৃপ্তি পাওয়া যাবে না৷ বুদ্ধি করে মেপে খেতে হবে৷ এক পিস সন্দেশ, তা'তেই হবে৷ নয়ত বোর্বোন ক্যালামিটি ঘটে যাবে"। স্টেজ ৪ঃ "জোম্যাটোয় সন্দেশ দিচ্ছে৷ আর কী চাই৷ এক্কেবারে অল্প আনানো হোক৷ এক্কেবারে অল্প৷ পারলে আধখানা ভেঙে খাব'খন৷ তবে অর্ধেক কোনও রসের মিষ্টিও চেখে দেখা যেতেই পারে৷ ওই, পরিপূর্ণ তৃপ্তির জন্য যে'টুকু দরকার"৷ স্টেজ ৫ঃ " না, না, না! কিছুতেই না৷ তিনটে সন্দেশ আর চারটে রসগোল্লা? তাও আবার অতগুলো ক্রিম বিস্কুটের পরে? জাস্ট ক্রিমিনাল৷ ক্রিমিনাল! আর একটাও নয়৷ একটাও নয়"। স্টেজ ৬ঃ "মুখটা কেমন বিস্বাদ ঠেকছে৷ বলছ

সিলেকশন

- আমি অরূপ দত্ত। - আমি সুনীল গাভাস্কার। - আজ্ঞে? - আপনার নাম জেনে আমাদের কী হবে? - ও। সরি। আসলে ইন্টারভিউয়ের জন্য এসেছি তো..। - কী ভাবলেন। আপনার নাম উত্তমকুমার বা হরিদেবপুর হলেই আপনাকে চাকরীতে বহাল করা হত? - সরি। - দেখুন। এপলজেটিক মানুষজনকে দিয়ে এ কাজ হবে না। - ওহ, না না। ঠিক সরি বলতে চাইনি..। আসলে..। - ফের আমতা আমতা। আবার দু'নম্বর কাটা গেল। - কত নম্বরের পরীক্ষা? - বাহাত্তর। - বাহাত্তর? - অপছন্দ? - না না। বাহাত্তর বেশ তো। তা, কত নম্বরে পাশ? - সাতানব্বই। - বাহাত্তরে সাতানব্বই পেতে হবে? - গেল বছর একজন দু'শো বাইশ স্কোর করেছিল। - ওহ। - নার্ভাস লাগছে? - অল্প। - ফের নম্বর কাটা গেল। - আর কাটবেন না প্লীজ। - যে কাজের জন্য আবেদন করেছেন, সে'টা সম্বন্ধে পড়াশোনা করে এসেছেন? - অবশ্যই। হপ্তাখানেক ধরে নিয়ম করে বিভিন্ন বই জার্নাল ঘেঁটে। - আপনার দ্বারা হবে না, বুঝলেন। আপনি আসুন। - এ কী স্যার! পড়াশোনা করে ভুল করেছি? - বাদ দিন। আপনার স্ট্যাটিসটিকসে আগ্রহ আছে? - থাকা উচিৎ কি? - উম। হিসেব কষে পালটা প্রশ্নের বাতিক আছে দেখছি৷ ফের নম্বর কাটা গেল। - কিন্তু শুনুন...। - ইতিহাসে আগ্রহ আছে? - আছে। নেই।

বংপেন, ওয়ারেন হেস্টিংস এবং গুপ্তধন

প্রকাশকের অফিস থেকে ফোন। - তন্ময়? - বলুন। - একটা জরুরী ব্যাপার! - বংপেন ৭৫য়ের এই এডিশন শেষ? - হে হে হে। রিল্যাক্স৷ - বংপেন আরও ৭৫য়ের এই এডিশন খতম? - মুড়ি চপ নিয়ে বসেছি ভাই, অমন হাসিও না প্লীজ৷ - তা'হলে ওই জরুরী ব্যাপারটা..। - বলছি৷ ব্যাপারটা ইয়ে..একটু কনফিডেনশিয়াল..। - ও। - গুপ্তধনের ব্যাপারে ইন্টারেস্ট আছে? - ইয়ে, কীসের ব্যাপারে? - গুপ্তধন৷ বাক্স বাক্স হীরে, বস্তা বস্তা স্বর্ণমুদ্রা..। - হ্যাঁ মানে, সে তো বেশ রহিসি ব্যাপার৷ - ওয়াল্টার হ্যামন্ডের গুপ্তধন সম্বন্ধে কোনও দিন কিছু শুনেছ? - ওয়াল্টার হ্যামন্ড? ওই নামটাই আমি শুনিনি৷ - স্বাভাবিক৷ কারণ তার নাম মুছে দেওয়া হয়েছে ইতিহাস থেকে৷ স্বয়ং হেস্টিংস তাকে মুছে সাফ করে দিয়েছেন৷ - হে..হেস্টিংস? - ওয়ারেন হেস্টিংস৷ গভর্নর জেনারেল। এই ওয়াল্টার সাহেব হেস্টিংসের পার্সোনাল সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছে বছর তিনেক৷ ওল্ড ট্র ‍ ্যাফোর্ডের মানুষ৷ ভারী করিতকর্মা৷ অবশ্য, সরকারি দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে দেখলে সে নাম আর দেখতে পাওয়া যাবে না। - হেস্টিংস৷ হ্যামন্ড৷ গুপ্তধন৷ কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে৷ - স্বাভাবিক৷ সহজে বুঝিয়ে দিই৷ এই ওয়াল্টার হ্যামন্ড সাহেব গুপ্তধনের হদি