Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2020

কচুরীয়

১। বারো কি বাহাত্তর বছর আগের ব্যাপার। ২। গল যোদ্ধা লেভেলের অদম্য বয়সের দু'জন মানুষ। ৩। ময়দান ঘেঁষা হাঁটাহাঁটি আর পার্ক স্ট্রীটের রেস্টুরেন্ট রোমাঞ্চ বাদ দিয়ে তারা দেখা করেছিল দক্ষিণেশ্বরে।  ৪। সে ডেট-য়ে তাদের টেনে নিয়ে গেছিল হিংয়ের কচুরী।  ৫। এটাসেটামিক্স গোছের কচুরী দাদার হাত থেকে ভক্তিভরে তারা গ্রহণ করেছিল কচুরীর প্লেট আর ডালের বাটি।  ৬। একজন অপরের ডালের বাটিতে নিজের কচুরীর টুকরোটি ডুবিয়ে নেওয়ায়র মনোমালিন্য যেমন ছিল, তেমনি ছিল কল্পতরু কচুরীদাদার আশ্বাস; "ডাল যত চাইবে পাবে, চিন্তা কীসের গো"।  ৭। সে হিংয়ের কচুরীর সুবাসে "আবার কবে দেখা হবে" ছিল; পরের প্রতিটি 'আবার কবে দেখা হবে"তে সে সুবাস ঘুরে ফিরে এসেছে।  ৮। প্রেমে হাবুডুবুফিকেশনের জন্য কি উত্তম-সুচিত্রা মাখানো 'এই পথ যদি না শেষ হয়' গোছের সুর জরুরী?  আদৌ নয়৷ কোয়ালিটি হিংয়ের কচুরীর স্পর্শ পেলে "সকলই তোমারই ইচ্ছে'তেই এস্পারওস্পার সম্ভব। মাইরি, সম্ভব; সেই দু'জন মানুষ প্রসেসটা টের পেয়েছিল; ওই বারো কি বাহাত্তর বছর আগে।

ভিক্টোরিয়ার স্বপ্ন

- ভিক্টোরিয়া? - ভিক্টোরিয়া। স্বপ্নে একেবারে জ্বলজ্বল করছিল। - একে করোনায় গৃহবন্দী মনমেজাজ খারাপ। সবই বুঝি। কিন্তু তাই বলে স্বপ্নেও ক্লীশে ঘষবে গো? - দ্যাখো বউ, হতে পারে ক্লীশে। তবু স্বপ্নটি জেনুইন৷ - জেনুইন? - ছোটবেলার সুবাস নাকে এলো৷ এক্কেবারে মনকাড়া অ্যাফেয়ার। - স্বপ্নে? সুবাস? - তবে আর বলছি কেন। সে সুবাস রীতিমতো নাকের ভিতর সুড়সুড় করে গেল। - তা সেই সুবাসের নেচারটা ঠিক কীরকম? - ওই যে। বাগানের বেঞ্চিতে বসে  স্টিলের টিফিন বাক্স খুলে লুচি আলুভাজা বের করার যে মনমাতানো গন্ধ? সেইটা। - হবে না। - ও মা। কী হবে না? - এ'সব স্বপ্নের বাহার আমি বুঝি না ভেবেছ? রাতে চিকেন স্টু আর ভাত। গিলতে হয় গেলো, নয়ত ভিক্টোরিয়ার বেঞ্চিতে গিয়ে ছেলেবেলার কথা মনে করে বাতাস পকোড়া খাওগে। - অমন কড়া সুরে বলতে নেই বউ৷ আলু আমি ভাজব। ময়দাও আমিই মাখব৷ তুমি শুধু বেলে দিও। গতজন্মে কী ভয়ানক পাপই না করে এসেছি; আমার হাতে বেলা লুচি কিছুতেই ছাই ফুলতে চায় না। সে এক ট্র‍্যাভেস্টি।  - উফফ। যত্তসব। একে লকডাউন তার ওপর যত আজেবাজে নেকু স্বপ্ন। প্রাণ ওষ্ঠাগত।  - শোনো বউ, রিয়েল এস্টেট যে'ভাবে ক্র‍্যাশ করছে তা'তে  চার

গর্বোদ্ধত

কলকাতা ও বাংলা নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই। আমাদের সংস্কৃতি,  আমাদের ঐতিহ্য ইত্যাদি। আবার আমাদের খবরের চ্যানেলগুলোকে চীনের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে শহরের চায়না টাউনে ছুটে যেতে হয় সে'খানকার চীনে রেস্তোরাঁর মালিকদের প্রশ্ন করতে; "চীনের আক্রমণ সম্বন্ধে আপনারা কী ভাবছেন"? আমাদেরই সহনাগরিকরা যে বিদেশী আক্রমণ বরদাস্ত করছেন না; সে'টাও খবর। সে খবর আমরা কনজিউম করি। সে আশ্বাস টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে ভেসে না এলে আমরা স্বস্তি পাইনা।  আমাদের গর্বের শেষ নেই।

যুদ্ধযাত্রা

- সরাইখানায় নতুন বলে মালুম হচ্ছে? - হুঁ। - আমার নাম কার্লোস। বসি এ'খানে? - আমি আন্দ্রে। - বয়সে তো তুমি আমার খুড়োর বয়সী গো। তা, একটু না হয় আবদার নিয়েই বলি। এক গেলাস বিয়ার খাওয়াও না। - বেশ তো..। - বাঁচালে কার্লোস খুড়ো৷ গলা এক্কেবারে শুকিয়ে কাঠ। এই যে ভায়া, দু'টো বিয়ার এই টেবিলে। - একটাই বলো না হয়। - ও মা। তুমি খাবে না নাকি?  - নাহ্। - তা'হলে তাই হোক। তবে দু'টো বিয়ার আসছে যখন আসুক না। আমি না হয় দু'টোই...। কিন্তু ইয়ে খুড়ো...তাই বলে আমার পানপাত্রটি খালি হওয়ার আগে কেটে পড়ো না যেন। সন্ধ্যের মেজাজটি তা'তে নষ্ট হবে।  - বেশ। - খুড়ো, তুমি বড় অল্প কথার মানুষ দেখছি।  - তুমি একাই তো দিব্যি আড্ডা জমিয়েছ। আমার আর বেশি কথায় কাজ কী বলো। - শোনো খুড়ো, চুপ করে বসে থাকলে কিন্তু কিছু হবেনা। এ'বার গর্জে না উঠলেই নয়। - গর্জন? - গর্জন। এক্কেবারে হালুম। দেশের ঘাড়ে যুদ্ধ এসে পড়েছে আর আমরা মিউমিউ করব; এ'টা তো মেনে নেওয়া যায়না খুড়ো।  - তা তো বটেই। - যাক, বিয়ার এসেছে।  - গলা শুকিয়ে গেছে বলছিলে। চুমুক দাও। - চিয়ার্স। আহ্। বুঝলে খুড়ো, এ'বার কিন্তু আমাদের দেশের প্রতিটি না

সারকাজমে বঙ্কিম

- বুঝলে দাদা, বড় মুশকিলে পড়েছি। - মুশকিল? সিরিয়াস কিছু? - রীতিমতো।  - কী'রকম? - আমি সারকাজমে বঙ্কিম; এ ধারণা নিয়ে এতদিন দিব্যি সুখে ছিলাম। - এই কনফিডেন্সিটাই তো চাই ভায়া। এ'টাই তো চাই। - কিন্তু কনফিডেন্সটায় সামান্য খোঁচা লাগল যে। -  সে কী! কনফিডেন্সে খোঁচা? হাউ? -  এইত্তো। গতকাল ভোরের দিকের স্বপ্নে খোশমেজাজে অন্যের নিন্দেমন্দ করছিলাম। এমন সময় স্বপ্নের ফ্লো নষ্ট করে বঙ্কিমবাবু এসে বলললেন; আমার সারকাজম বাকি কীবোর্ডের মাধ্যমে অনবরত ইটপাটকেল ছোঁড়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। - এ'কথা বঙ্কিম বললে? - নিজের কানে শুনেছি। আর মাইন্ড ইউ, স্বপ্নটা কিন্তু ভোরের..। - বঙ্কিমটা একটা ইডিয়ট। - আস্ত ইডিয়ট, তাই না? তাই হবে। ঠিক বলেছ৷

ভ্যাক্সিন

- ভাই হবস। বুকের ভিতরটা কেমন...। - কেমন? - হ্যাঁচোড়প্যাঁচোড়। - অ। - কেমন যেন..অস্বস্তি। - মনখারাপ ভাই ক্যালভিন? - ঠিক তা নয়। - মনকেমন? - হবে হয়ত। - বলো স্পেসম্যান স্পিফ। বলো। -  তুমি আছো তাই বাঁচোয়া। - আমি তো শুধু শুনি। কিছুই তো করিনা। - সেটুকুই তো ভ্যাক্সিন। 

স্যুপ

- নুনের ডিবেটা এগিয়ে দেবেন প্লীজ? - হুঁ। - থ্যাঙ্ক ইউ। এ'খানে খাবারদাবার এত ব্ল্যান্ড..। - হুঁ। - অবশ্য, হসপিটালের ক্যাফেটেরিয়াতে এর চেয়ে বেশি কিছু আর আশা করিই বা কী করে বলুন। - হুঁ। - ইয়ে, আপনার স্যুপটা কিন্তু ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে..। - হুঁ। - শুনুন...এই যে...শুনছেন? - হুঁ? আমায় বলছেন? - অবভিয়াসলি।  বলছি, আপনার স্যুপটা সেই তখন থেকে নিয়ে বসে আছেন কিন্তু এক চামচও মুখে তোলেননি। ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে তো। - ও। না, ঠিক আছে। - সে কী। ঠিক আছে মানেটা কী। স্যুপের স্বাদের অর্ধেক তো টেম্পারেচারে।  - ইচ্ছে নেই। থাক। - তা'হলে নিলেন কেন? এ'দের ক্যাফেটেরিয়ায় জিনিসপত্রের যা দামটাম, দামী কফিশপকে হার মানায়। - প্লীজ। আপনি আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। তবু বলছি। ডোন্ট মাইন্ড, আমার মনমেজাজটা ভালো নেই। কথাবার্তা বলতে চাইছিনা। - আপনার পেশেন্টের সিচুয়েশন বুঝি..। - আমি বরং পাশের টেবিলে গিয়ে বসছি। - প্লীজ না, তারপর স্যুপের বাটি ফেলে একটা একাকার কাণ্ড হোক আর কী।  - দেখুন মিস্টার...। - দত্ত। অমিত দত্ত। আর আপনি? - দেবজ্যোতি সিনহা। অমিতবাবু, প্লীজ স্পেয়ার মী। - শিওর। শিওর। - থ্যাঙ্ক ইউ। - স্যুপটা? - ওকে।

গোল্লায়

- আমায় ডেকেছিলেন স্যার? - এসো শ্যামল। এসো। বসো। - জরুরী কিছু কী? - ব্যাপারটা সিরিয়াস। - বিট্টু স্কুলে কোনও গোলমাল করেছে? - না। স্কুলে বা ক্লাসে কোনওরকমের গোলমাল করার ছেলে সে একেবারেই নয়। হি ইজ ভেরি ওয়েল বিহেভড। কথাবার্তায় নম্র। ইন ফ্যাক্ট, ওকে দেখে আমার তোমার কথা মনে পড়ে। ক্লাসে তুমিও ততটাই শান্তশিষ্টই ছিলে। সে'দিক থেকে স্বভাবগুলো সেও বাপের মতই পেয়েছে। - তা'হলে কী ব্যাপার স্যার। আপনাকে দেখে বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছে। - ব্যাপারটা দুশ্চিন্তার তো বটেই শ্যামল। - নেশাটেশা কিছু করছে নাকি বিট্টু? বিড়ি খেতে গিয়ে ধরা পড়েছে স্কুলে? ক্লাস ইলেভেনে উঠে শেষ পর্যন্ত এইসব শুরু করেছে? - দু'টো বিড়ি ফুঁকলে লাংসের ক্ষতিটতি হয় বটে। বিড়ির চেয়ে ভালো কোয়ালিটির চানাচুরের নেশা বরং অনেক বেশি প্রগ্রেসিভ। কিন্তু না হে শ্যামল, সে'সব লঘু ব্যাপারে আমি গার্জেন কল করিনা।  - তবে স্যার? একটু খুলে বলুন প্লীজ। ওই একটি মাত্র ছেলে। যা যুগ পড়েছে, আমি আর ওর মা মাঝেমধ্যেই নার্ভাস হয়ে পড়ি৷ গোল্লায় যাওয়ার এত কল চারদিকে..। - এখনই সামাল না দিলে সে গোল্লায় যেতে পারে বটে। ব্যাপারটা খুব ক্রিটিকাল জায়গায় পৌঁছে গ

মিস্টার সেনের থেরাপিস্ট

- এক্সকিউজ মী? - বিলীভ মী। বানিয়ে বলছি না। - আমি আপনার থেরাপিস্ট। ডেফিনিটলি আপনাকে অবিশ্বাস করছি না মিস্টার সেন। তবে...। - তবে? ডাক্তার? - না মানে...ব্যাপারটা বিষম খাওয়ার মতই। - শুনেই আপনাকে বিষম খেতে হচ্ছে৷ তাহলে আমার কী অবস্থা সে'টা ভাবুন। - আর একবার আমায় নিশ্চিত হতে দিন মিস্টার সেন৷ আপনি বলছেন আপনি আজ রাত্রে ঘুমোতে গেলেন। কিন্তু যেই সকালে আপনার ঘুম ভাঙবে সে'টা আগামীকালের সকাল নয়, গতকালের। - এগজ্যাক্টলি। সঠিক বুঝেছেন।  - আর এমনটা হচ্ছে গত মাসখানেক ধরে? - রাইট ডাক্তার। আমি রোজ একদিন করে পিছিয়ে চলেছি। আমি আজ থেকে গতকালে পিছিয়ে যাচ্ছি। রোজ। - কী সাংঘাতিক। - আজ জুন মাসের নয় তারিখ, তাই তো? একমাস আগে আমি জুলাইয়ের নয়ে ছিলাম। - অ। - আপনি অবিশ্বাস করতে পারেন। আমি মাইন্ড করব না। - বিপুলা এ পৃথিবী। এটসেটেরা এটসেটেরা। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দায় আমার নয়।  - আজকে ইন্ডিয়া জিম্বাবুয়ের ওয়েনডে হচ্ছে তো?  - হচ্ছে। - মোবাইলে লাইভ স্কোর চেক করুন দেখি ডাক্তার। - গোটা সেশনের টাকা দিয়েছেন। যা বলবেন শুনব। যা করতে বলবে করব। এই যে...টসে জিতে ইন্ডিয়া ব্যাট করছে। বাইশ নম্বর ওভারে একশো বেয়াল্লিশ এ

দিবাকর মুন্সীর ফর্মুলা

* ব্যাপারটা তেমন কঠিন নয়৷ হোমিওপ্যাথির চারটে বড়ি এক  গেলাস জলে মিশিয়ে দেওয়া। ব্যাস, কাজ শেষ। কাচের গেলাসটা শৌখিন কাঠের টেবিলের ওপর রাখা থাকবে, সকালের দিকটায় এ' ঘরে কেউ থাকবেও না। গেলাসের জলে সে বড়ি মিশিয়েই মনোহরের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ার কথা। ঘরটা আদতে স্বনামধন্য লেখক অমল চৌধুরীর অফিসঘর। মনোহর বেরিয়ে যাওয়ার আধঘণ্টা পর অমলবাবু  সেই ঘরে ঢুকবেন, নিজের টেবিলে বসবেন আর কিছুক্ষণের মাথায় নিশ্চয়ই সেই গেলাসে চুমুক দেবেন৷  সেক্রেটারি হিসেবে কাজটা করতে একদমই মন সরছিল না মনোহরের। কিন্তু এই সামান্য কাজের জন্য দিবাকর মুন্সীর আড়াই লাখটাকার অফারটা ফিরিয়ে দেওয়া গেলনা। অমল চৌধুরীর সেক্রেটারি হিসেবে দেড় বছর চাকরী করেও এত টাকা আয় করতে পারেনি সে। দিবাকর মুন্সী প্রকাশক, অমলবাবুর বেশির ভাগ বই উনিই ছাপেন। সম্প্রতি কী একটা ব্যাপার নিয়ে দু'জনের মধ্যে মন কষাকষি শুরু হয়েছিল বটে। কিন্তু দিবাকরবাবু যে আড়ালে ডেকে এমন একটা অফার দিয়ে বসবেন, সে'টা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি মনোহর। অবশ্য অমলবাবু মানুষ হিসেবে তেমন সুবিধের নন, পয়সাকড়ির ব্যাপারে বেশ চশমখোরই বলা চলে। কিন্তু তবু এমন গোলমেলে একটা কাজ করতে যে সে

নন্দর তন্ত্রসাধনা

ব্যাপারটা যে আগাগোড়াই গোলমেলে তা নিয়ে আর নন্দর কোনও সন্দেহ রইলনা। বারুইপুর স্টেশনের কাছে চটিবইয়ের দোকান থেকে বাইশ টাকায় ১০১ তন্ত্র টোটকার মেডইজি গাইডবইটা কিনেছিল সে; নেহাত শখেরই বশে। এমন শিক্ষামূলক বইপত্র সে মাঝেমধ্যেই কিনে থাকে। ম্যাজিকের সহজপাঠ, জার্মান পদ্ধতিতে বাঙালি মাংস রান্না অথবা চটজলদি হোমিওপ্যাথি; এমন চিত্তাকর্ষক বই সে মাঝেমধ্যেই কিনে আনে। আর সে'সব বই পড়ে পড়েই তো পাড়ার ক্লাবের সান্ধ্য আড্ডায় নন্দর সবসময় একটা দাপুটে উপস্থিতি থাকে।  পোস্টঅফিসের ক্লার্কের চাকরীটায় থিতু হওয়া সত্ত্বেও এখনও বিয়েটা সেরে ফেলা হল না। আজ নন্দর বাপ-মা বেঁচে থাকলে হয়ত একটা সম্বন্ধ দেখেশুনে একটা হিল্লে করে ফেলতেন; বত্রিশ বছর বয়সে তাঁকে এমন একা থাকতে হত না৷  যা হোক, একা থাকায় বিস্তর সুবিধেও আছে৷ এই যেমন তন্ত্রসাধনার বইয়ের খানচারেক পাতা পড়ার পরেই কেমন একটা নেশা ধরে গেল। গত তিনদিন সিকলীভ নিয়ে বাড়িতে বসে দিব্যি এ বই থেকে বিভিন্ন মন্ত্রতন্ত্র প্র‍্যাক্টিস করে যাচ্ছে সে। মনের মধ্যে বেশ কেমন একটা চনমনে ভাবও তৈরি হচ্ছে৷ একশো বারো পাতার বই, প্রথম দিন ঝড়ের গতিতে পড়ে শেষ করে ফেলেছিল সে। তারপর থেকে প্