Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2020

অনুরাগের লুডো

অনুরাগবাবু আমার অত্যন্ত প্রিয়৷ তার মূলে রয়েছে "বরফি"। লোকমুখে ও বিভিন্ন রিভিউয়ের মাধ্যমে জেনেছি যে বরফিতে ভুলভ্রান্তি ও গোলমাল যথেষ্ট রয়েছে৷ কিন্তু গাম্বাট সিনেমা দেখিয়ে হিসেবে আমি বেশ বুঝেছি যে নিজের ভালোলাগাগুলোকে বুক বাজিয়ে আঁকড়ে থাকাটাই কর্তব্য৷  বরফি কতবার দেখেছি তার ইয়ত্তা নেই৷ সিনেমার টেকনিকালিটি বুঝি না - শ্রুতিদেবীর ছলছলে চোখের পাশাপাশি বরফি আর ঝিলমিলের প্রতি তাঁর অপত্য স্নেহ, ও'তেই এস্পারওস্পার হয়েছি, বারবার। মোদ্দা কথা হল, সিনেমাটি যে আগাগোড়া প্রবল যত্ন আর ভালোবাসায় তৈরি - সে সম্বন্ধে কোনও সন্দেহ থাকেনা। সে'খানেই অনুরাগবাবুর ভক্ত হয়ে পড়া৷  (আদতে হয়ত অনুরাগবাবু প্রবল অযত্ন আর অ-ভালোবাসায় বানিয়েছিলেন ছবিটা। তাতে আমার কী? আমার মনে হয়েছে 'বরফি'র ফ্রেমে ফ্রেমে রয়েছে স্নেহ, ভালোবাসা আর জ্বরে-জলপটি-মার্কা যত্ন৷ সেই মনে হওয়ার দামই তো লাখ টাকা)।  যাকগে৷ এতটা পাঁয়তারা কষলাম এ'টা জানাতে যে "লুডো" দেখেছি৷ অনুরাগবাবুর সিনেমার ব্যাপারে আমার একটা বায়্যাস থাকবে, সে সম্ভাবনাও  উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ কাজেই গোড়াতেই বলে দি যে সিনেমাটা আমার বড়

মনখারাপের দিন

- এই যে ভায়া, মনটন খারাপ নাকি? - হুম? - মনখারাপ? - আমার আবার মনখারাপ৷ ইট পাথর সিমেন্ট বালি আলকাতরা ট্র‍্যাফিক লাইট দোকান বাড়ি প্রমোটার মেট্রোরেল ফ্লাইওভার রাস্তায় তৈরী কেঠো চীজ আমি..আমার আবার মন খারাপ। - তা'তে কী?শহরদের স্নেহ থাকতে নেই? মনখারাপ থাকতে নেই? - আমাদের কি আর ফুলফুল প্রিন্টেএ ওয়াড় পরানো নরম বালিশ আছে ভাই? যে'খানে মুখ গুঁজে স্বস্তি পাব? আছে কী? বলো? - মেঘলা আকাশ চলবে? ভাই কলকাতা? - আর রুমাল? বালিশে ডাইরেক্ট ফ্যাঁচফোঁচ করাটা আনহাইজেনিক। - পুরনো ছবি আছে৷ দেব? - দেবে? - আর একবার জিজ্ঞেস করেই ফেলি না হয়৷ আজ মনখারাপ নাকি? ভাই কলকাতা? - একটা টলটলে ভালোবাসা, জানো। টলটলে। আর ছলছলে মনকেমন৷ ছলছলে। (১৫.১১.২০২০)

মিত্র

- আপনি টিকটিকি মিট্টার নন? - আর কতবার বলব? আমি ও নামে কাউনে চিনি না। - ফেস সেম টু সেম৷ ভয়েস সেম টু সেম৷ ভেরি ফিশি মিস্টার মিট্টার। ভেরি ফিশি। - কাল সন্ধ্যে থেকে বলে যাচ্ছি আমার নাম অপূর্ব। আমি আপনার ওই মিত্তির নই৷ আর আপনার সঙ্গে এর আগে আমার কখনও দেখা হয়নি। - বেনারস আপনি ভিজিট করেননি? - আমি সে'খানে থেকেছি ক'বছর৷ তাও অনেক ছেলেবেলায়। - ওয়েব অফ লাইজ৷ উ বিজনেস হামার আছে মিস্টার মিট্টার৷ ইউ আর অ্যান অনেস্ট ম্যান৷ খামোখা ঝুট বলে রেপুটেশন নষ্ট করা কেন? হোয়াই? এখন বলবেন কাঠমাণ্ডুতে ভি হামাদের মোলাকাত হয়নি। - কাঠমাণ্ডু? নেপালে?  - আরে৷ ইউ আর ফলিং ফ্রম স্কাই। - দেখুন, বিশ্বাস না হয় আমার বন্ধু পুলুর ঠিকানা দিচ্ছি৷ তার কাছে গিয়ে যাচাই করে আসুন। - পুলু? আঙ্কিলের নয়া নিকনেম? - আমায় ছেড়ে দিন।  - ফর ওয়ান ফাইনাল টাইম৷ ইউ আর নট প্রাইভেট ডিটেকটিভ মিট্টার? - ছোটখাটো একটা চাকরী করি। ক্লার্কের৷ সে'টাও খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন৷ ও'সব গোয়েন্দাগিরিটিরি আমার ধাতে সইবে কেন? লেখালিখির একটা বাজে অভ্যাস আছে বটে কিন্তু..। যাক গে৷ মগনলালবাবু, আমায় ছেড়ে দিন। - ছাড়তে পারি। অন ওয়ান কন্ডিশন। অ

ভূতচতুর্দশীর বাজে গল্প।

- ভূতের গল্প? - হ্যাঁ মামা। ভূতচতুর্দশীর রাতে একটা জমজমাট গা ছমছমে ভূতের গল্প না হলেই নয়। - জমজমাট? গা ছমছমে? - এগজ্যাক্টলি৷  - একবার হয়েছে কী, একটা স্কন্ধকাটা গিয়ে পড়েছে টুপির দোকানে..। - যাহ্৷ এতে গা ছমছম কই? - স্কন্ধকাটার সিচুয়েশনটা ভাব ভাগনে৷ চারদিকে হাজার হাজার টুপি..অথচ সে ব্যাটা ঠুঁটোজগন্নাথ হয়ে দাঁড়িয়ে৷ ঠিক যেন কেউ কাঁটাচামচ দিয়ে স্যুপ খেতে বসেছে।  - আহা, এতে ট্র‍্যাজেডি আছে৷ কিন্তু গা ছমছম কই?  - বেশ৷ বেশ৷ অন্য প্লট। - ইরশাদ। ইরশাদ। - একবার হয়েছে কী..একটা মেছোভূত গিয়ে পড়েছে এক ভিগানের বুফেতে৷ আর তারপর ব্রকোলি কালিয়ার গন্ধে গা গুলিয়ে সে মূর্ছা যায় আর কী...। - মামা, তুমি গল্প বলার ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছ না।  - কেন রে? সাফিশিয়েন্টলি গা ছমছমাচ্ছে না বুঝি? - ধুর৷ ভিগান বুফেতে মেছোভূত৷ এ'টা ভূতের গপ্প না জ্যোমাটোর ট্যুইট? - তুই বড় খুঁতখুঁতে ভাগনে। - মামা, আর একটু তলিয়ে ভাবো। - বেশ। শোন মনে দিয়ে৷ অ্যাটেনশন। কেমন? - টোটাল ফোকাস নিয়ে বসেছি। - একবার হয়েছে কী..একটা শিব্রাম ভক্ত শাঁকচুন্নির মাথায় পানের ভূত চেপেছিল। হাজার রকম পদের মধ্যে থেকে সে শুধু শাক বেছে নিয়ে গাইত

বিধুবাবুর কেল্লাফতে

- কে? কে? - এসেছি ভায়া, এসেছি।  - কে আপনি? - পরিচয়টা তো বড় কথা নয়৷ এসেছি৷ এ'টাই বড় কথা৷ তাই না বিধুশেখর?  - আইশ্লা! মার দিয়া কেল্লা! নামিয়েছি৷ আমি ভূত নামিয়েছি। প্ল্যানচেটের জোর আছে৷ আছে! - আলবাত আছে। তোমার কনসেন্ট্রেশনের জোরেই তো এলাম। - বেয়াল্লিশ বছর ধরে চেষ্টা করছি, জানেন৷ বেয়াল্লিশটা বছর৷  শর্টসার্কিট বিধু,  ভূতপাগল বিধু, প্ল্যানচেট পাগলা- এমন কতশত বদনাম বয়ে বেড়াচ্ছি৷ পাড়ার লোক পাত্তা দেয় না, আত্মীয়স্বজন এড়িয়ে চলে৷ তবু, তবু আমি হাল ছাড়িনি৷  - সাবাশ ব্রাদার! - হিয়ার ইজ মাই সাকসেস৷ ভূত! আপনি! - চা'টা অফার করবে না হে? বিধুশেখর? - চা?  - ভূতেরা চা খায়না বটে৷ তবে এই যে তোমার সোফায় এসে বসলাম, এ'টুকু সৌজন্য আমি আশা করতেই পারি৷ তুমি অফার করবে, আমি রিফিউজ করব। - চা খাবেন স্যার? - নো, থ্যাঙ্কস। - ইয়ে, আপনার নামটা? জানতে না পেরে কেমন খচখচ করছে৷ আপনাকে ঠিক দেখতেও পারছি না যে৷ কেমন আবছা আবছা সমস্তটা৷  - দেখবেটা কী করে! এখনও পুরোপুরি তৈরি হতে পারিনি তো৷ এখনও ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস। - ঠিক ইয়ে, ধরতে পারলাম না স্যার..। পুরোপুরি তৈরি হননি মানে? - মানে, যে ব্যাটা মরে আমি..সে পুরোপ

নিউনর্মালে লোকালে

আমার দুই মামা চাকরীর পাশাপাশি যে'টা করে সে'টা হল ডেলি প্যাসেঞ্জারি৷ ছোটমামা মাঝেমধ্যেই বলে যে তাঁর চাকরীর একভাগ অফিস আর তিনভাগ ডেলিপ্যাসেঞ্জারি৷  সারা বছর লোকাল ট্রেনের ভীড় সামাল দিয়ে কলকাতা পৌঁছে তাদের 'অফিস-করা'৷ লোকাল ট্রেনের চলাচল মফস্বলের মানুষজনের জন্য ধানচাষের মতই জরুরী, কলকাতার চাকরী ধরে রাখতে এই লোকাল ট্রেনের ডেলিপ্যাসেঞ্জারিই অজস্র সংসারের ভরসা। মাসের পর মাস সেই ট্রেন চলাচল বন্ধ আবার ও'দিকে ঠুনকো প্রাইভেট ফার্মের চাকরী। করোনার দুর্বিপাকে পড়ে বেশ কিছু দিন প্রবল অনিশ্চয়তার মধ্যে কেটেছে৷  বিশ্রী একটা ধুকপুক নিয়ে ফের শুরু হয়েছে লোকাল ট্রেনের যাওয়া-আসা৷ খানিকটা স্বস্তি এসেছে, যাতায়াতের একটা সুরাহা হল, চাকরীটা হয়ত টিকিয়ে রাখা যাবে৷ কিন্তু তার পাশাপাশি রয়েছে প্রবল শঙ্কা- মুণ্ডু গেলে খাবোটা কী?  নিয়মিত কলকাতা যাতায়াতের সহজতম পথটা যেমন চালু হল, তেমনই এর পাশাপাশি বহুগুণ বেড়ে গেল ট্রেনের ভীড় এবং অসতর্কতায় কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার দুর্বিষহ ভয়৷  এই অসহায় পরিস্থিতিটা বুঝিয়ে বলাটা নেহাৎ সহজ নয়৷   আমি শুধু জানি যে দু'জন সাধাসিধে সরল মানুষ সংসারের

এখন অবসন্ন যারা

- ও নিতাইদা, টুয়েন্টি নাইন হবে নাকি? ভজা আর রতন রেডি৷  - না রে মধু। এই সবে অফিস থেকে ফিরলাম। বড় ক্লান্ত৷ ভাবছি সাততাড়াতাড়ি ডিনারটা সেরে লম্বা হব।  - আজ মেসে নতুন রাঁধুনি এসেছে৷ তার হাতে ডাল আর ঝোলের নাকি একদর।  - অমিয়বাবুর কাছে এ'বার একটা প্রটেস্ট না জানালেই নয়। মাস গেলে এতগুলো টাকা দিই আমরা। অথচ আজ ছ'মাস হল একটা ভালো রাঁধুনি জোগাড় করতে পারছেন না উনি?  - মাথা গরম করে আর কী হবে গো নিতাইদা। - সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর মেসে ফিরে যদি তৃপ্তি করে ভাত মাছেরঝোলটুকুও না খেতে পারি, মেজাজ ঠিক থাকবে কী করে। ধুরছাই।  - বড় ক্লান্ত তুমি। তাই না নিতাইদা? - কাজের যা চাপ রে মধু। আর ভাল্লাগেনা।  - তোমার মেজাজটা ঠিক..উঁহু৷ শুধু কাজের চাপ তো নয়। মনখারাপ নিতাইদা? বাড়ির জন্য? - কদ্দিন বাড়ি যাইনা বল দেখি। কদ্দিন।  - খোকা কত বড় হল? - এই পৌষে ছয়ে পড়বে। - ফোনে কথা হয় তো ওর সঙ্গে রোজ৷ তাই না? - খোকার গায়ের মিষ্টি গন্ধ কী আর ফোনে পাওয়া যায় রে মধু। তাছাড়া কদ্দিন তোর বৌদির পাশে বসে তার সঙ্গে প্রাণ খুলে গপ্প হয়না৷ আমার ভাই সামনের মাসে পার্ট টু পরীক্ষা দেবে, সে ব্যাটা কেমন প্রিপেয়ার করছে, সে'খ

ফেরা

- এই যে ভায়া৷ এই যে। - রবিদা? আপনি? - আমি ট্রেন ধরতে আসিনি।  - আমায় ধরতে এসেছেন? - তুমি তো আর চোর-ডাকাত নও৷ তোমার মাথার ওপর তেমন কোনও ইনামও নেই যে পাকড়াও করে দু'টো বাড়তি টাকা পিপিএফে রাখতে পারব৷  - তবু। আপনার কাছে হাজার তিরিশেক টাকা ধার রয়ে গেছে। এখুনি চাইলে কিন্ত দিতেও পারব না। তবে, টাকাটা মেরে দেব না৷ কোনও না কোনও ভাবে ঠিক..। তা সে আমি যে'খানেই থাকি। - ইয়ং জেনারেশনের এ এক মস্ত বড় অসুবিধে হে৷ গিভ অ্যান্ড টেক ছাড়া কিছুই দেখতে পাওনা। আমি ধান্দাবাজ হতে পারি, তবে চশমখোর নই।  - ছি ছি রবিদা৷ বাবা মারা  যাওয়ার পর এমন অথৈ জলে পড়েছিলাম৷ চাকরীটাও ছাই এমন সময়..। রবিদা, আপনি সে'সময় পাশে এসে না দাঁড়ালে..৷  - তা, এমন ভরদুপুরে..পাততাড়ি গুটিয়ে কোথায় যাওয়া হচ্ছে? আমার এজেন্ট খবর দিলে তুমি আন্ডারগ্রাউন্ড হওয়ার তাল করছ৷  - মুঙ্গেরে একটা চাকরীর সম্ভাবনা আছে৷ বিশুর মামা সে'খানে কন্ট্রাক্টরি করছেন৷ উনিই ডাকলেন তাই..। - তা, তোমার তো ছাত্র পড়ানোয় বেশ রেপুটেশন তৈরী হয়েছে আজকাল৷ আর বেঙ্গলে তো আজকাল টিউশনিই হল ইন্ডাস্ট্রি৷   আচমকা সে'সব ছেড়ে মুঙ্গেরে আবার কেন। - রবিদা৷ আমি সত্যিই

দড়ি

- ও দাদা..দাদা গো৷ ও দাদা। - কী চাই? - ওই দড়িটা..একটু ধরব? - সে কী৷ ভূতের মুখে রামনাম যে৷ তা, তোমার এই দড়িতে কাজ কী? তুমি তো বিপক্ষ শিবির৷ উলটে তোমার তো উচিৎ  আমাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া।  - বিপক্ষে? তা বটে। পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া? সে'ও হবে'খন৷ তবু৷ তার আগে৷ দাদা গো, একটু ধরে দেখব? দড়িটা? - মতলবটা কী বলো তো ভায়া? তোমার ভাবগতিক তো সুবিধের ঠেকছে না। - দড়িটা বড়..বড় ভালো৷ ধরি না একটু। একটু ছুঁয়ে দেখব। - বেশ৷ ধরো। তবে ধান্দাবাজি ফলালে ভালো হবে না। - আমার কলজেতে জোর নেই৷ ধান্দাবাজি ছাড়া আমার গতিও নেই৷  তবে দড়িটা একটু ছুঁয়ে না দেখলেই নয়। মনটা বড় হ্যাঁচোড়প্যাঁচোড় করছে গো দাদা  - বেশ৷ এই ধরো৷ হাত লাগাও ভায়া। - এই৷ এই যে৷ আহ্৷ ছুঁয়ে এক্কেবারে ঝিলিক লাগছে যে হাতে৷  - জোরসে ধরো না হে৷ জোরসে৷ লজ্জা কীসের। - লজ্জার কিছুই নেই৷ তাই না?  - কিছুমাত্র না৷ এই তো চাই। - শুধু কলজেটা বুঝলে দাদা..কলজেটা একটু কেঁপে কেঁপে উঠছে..।  - কলজেই তো৷ শিখিয়ে পড়িয়ে নিলেই হবে'খন৷ খামচে ধরো দেখি দড়িখানা৷  - ধরি৷ জোর লাগিয়ে৷ কী বলো? - একদম। - ইয়ে দাদা..টেনে দেখব? - দড়িতে টান? সে'টা কলজেতে সইব

ব্যস্ত নাকি?

"ব্যস্ত নাকি"? অফিস-পরিসরে এই প্রশ্নটা অত্যন্ত বিপদজনক। মামুলি দায়সারা উত্তর দিয়ে এ'সব প্রশ্ন পাশ কাটাতে গিয়ে বহু রথী-মহারথী ধরাশায়ী হয়েছেন৷ মনে রাখবেন, এই প্রশ্ন যাঁরা করেন তাঁরা উত্তর নয়, সুযোগসন্ধানে ব্যস্ত।  হয়ত সত্যিই আপনি কোনও জরুরী কাজে ব্যস্ত। সাদা মনে কাদা নেই তাই টপাৎ করে বলে দিলেন "হ্যাঁ দাদা, ব্যস্ত আছি বটে। শ্বাস ফেলবার সময় নেই মাইরি"। আবারও বলি, প্রশ্নকর্তাটি আপনার ব্যস্ততা বুঝতে চেয়ে প্রশ্ন আদৌ করেননি৷ তিনি আপনার সহকর্মী,  পাড়ার বন্ধু নয় যে আপনি ব্যস্ত না থাকলে আপনাকে জোর করে নিয়ে গিয়ে স্টেশন রোডের ধারের মহেশদার চাইনিজ স্টল থেকে মোমো খাওয়াবে। আপনি কাজে ব্যস্ত না মনে মনে টুয়েন্টিনাইনের স্ট্র‍্যাটেজি সাজাতে ব্যস্ত, তা জেনে আপনার সহকর্মীর কোনও লাভ নেই৷ প্রশ্নটা নেহাতই প্রি-কাঁঠালভাঙা-মাথায়-হাতবুলোনো। কোনও দরকারেই আপনার কথা তাঁর মনে পড়েছে। কাজেই আপনি ব্যস্ত আছেন, সে'টা শুনলে ওঁর হাড় জ্বলবে৷ আর তিনি যদি 'ওপরওলা' হন, তা'হলে সেই হাড় জ্বলা গন্ধ আপনার নাকেও এসে ঠেকবে। তিনি মুখে হয়ত বলবেন " ওহ, আই সী" কিন্তু মনে মনে ভাববেন "কী