কাঁচালঙ্কা এমন একটা ভালো ব্যাপার যে বুঝেসুঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে হাইক্লাস কেল্লাফতে হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই যেমন ইন্সট্যান্ট নুডলস; তা সে ব্যাপারটা আজকাল মোটের ওপর কমই খাই। কিন্তু যখন খাই, তখন কাঁচালঙ্কার দরাজ ব্যবহারটা খুবই প্রয়োজনীয় বোধ হয়।
আজকাল আবার নতুন স্ট্র্যাটেজি ধরেছি। এক প্যাকেট ম্যাগি খাই ডবল মশলা (টেস্টমেকার) দিয়ে। অতএব পরের প্যাকেটটা খাই মশলা ছাড়া (চাউমিন স্টাইলে)। তা ডবল টেস্টমেকার দিয়ে সিঙ্গল ম্যাগির ক্ষেত্রে কয়েকটা ব্যাপার আমায় মাথায় রাখতে হয়ঃ
প্রথমত, সেদ্ধ ব্যাপারটা বেশির দিকে যাওয়ার থেকে কমের দিকে থাকা ভালো। আর জল অতি সামান্য, সুতোগুলো অতি সামান্য নরম করে নেওয়ার জন্য যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়েও সামান্য কম।
দ্বিতীয়ত, মাখনের পরিমিত ব্যবহার। তাল তাল নয়, প্লীজ। পরিমিত মানে কতটা? বলাই বাহুল্য আমার হিসেব আপনার হিসেবের সঙ্গে মিলবে না।
তৃতীয়ত, ওই। কড়াই থেকে তুলে নেওয়ার আগে ম্যাগিতে ফেলে দেওয়া খান চারেক পেট চিরে দেওয়া কাঁচালঙ্কা। কুচিকুচির চেয়ে দেখেছি ম্যাগির মধ্যে এই পেট চেরা গোটা লঙ্কারা বেশি এফেক্টিভ।
এই ব্যাপারগুলো দোকানের কেনা ম্যাগিতে কিছুতেই পাওয়া যায় না। চীজটীজ ক্যাপসিকাম-ট্যাপসিকাম হাজাররকম জিনিস গুঁজে দেওয়াই যায়, কিন্তু ইনস্ট্যান্ট নুডসল ব্যাপারটাই হচ্ছে সহজ অঙ্কে এগিয়ে যাওয়ার খেল। কোনো রকমের বাড়াবাড়ি সে'খানে চলবেনা। অতএব পাহাড়ে গেলেও, ম্যাগির দোকান নয়; ম্যাগির প্যাকেট হাতে স্টোভ খুঁজে হন্যে হতে হয়।
No comments:
Post a Comment