- লাইফ আফটার ডেথ্য়ে বিশ্বাস থাকাটা বিজ্ঞান বিরোধী বলছ? - অফ কোর্স। যার প্রমাণ নেই, তার অস্তিত্ব নেই। - এক সময় তো আমাদের পরিচিত ভূমণ্ডলটারও কোন প্রমাণ আমাদের ল্যাবরেটরিতে ছিল না হে। - সেটা প্রাগৈতিহাসিক সত্য। কিন্তু তার পর থেকে বিজ্ঞানের প্রোগ্রেস্ অভাবনীয় গতিতে হয়েছে সেটা ভুললে চলবে না। এখন অন্তত আমাদের কাছে যুক্তির জমিটুকু তৈরি আছে। থিওরি বল আর কল্পনা, সমস্ত সেই জ্ঞানের জমির ওপরেই খাড়া করতে হবে তোমায়। আর মৃত্যুর পরের অস্তিত্ব সম্বন্ধে কোন থিওরি বা কল্পনা সেই যুক্তিগ্রাহ্য জমির ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। - কে জানে! সমস্ত সত্যই কী যুক্তির ওপর দাঁড়িয়ে? - আলবাত। থাকতেই হবে। - তর্ক করতে মন চায় না বাপু। - তর্কের যে স্কোপ আছে বলে তোমার মনে হচ্ছে, সেটাই আমায় অবাক করছে। এ এক অদ্ভুত প্রেজুডিস্। - আমার প্রেজুডিস? আর তুমি যে গোটা ব্যাপারটাকে একদম হতেই পারে না বলে উড়িয়ে দিচ্ছ, এটাও কী বিজ্ঞানভিত্তিক প্রেজুডিস নয়? - অর্থাৎ তোমার ধারণা আমরা মারা গেলে নশ্বর দেহ ধারণ করি; এই বোগাস আইডিয়াটা বেস্লেস অর্বাচীন নয়? - আপাত দৃষ্টিতে তাই।
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ