Monday, February 21, 2022
বাংলার ক্লাস
Friday, February 21, 2020
মায়ের ভাষা
Wednesday, May 23, 2018
সাধক আত্মারাম
- আপনি ভূত?
- আজ্ঞে।
- প্রপার?
- সাড়ে তিন বছর হল।
- অপঘাত?
- ন্যাচুরালি।
- নাম?
- জেমস বন্ড।
- য্যাহ্।
- রিয়েলি।
- সাহেব ভূত?
- বাঙালি। বজবজ।
- অথচ নাম জেমস বন্ড?
- নিজে দিয়েছি। ভূতের নাম বাদল চক্রবর্তী হলে মানায়?
- ও। আমি তান্ত্রিক। বহুদিন ধরে চেষ্টা করছি; আত্মা নামানোর।
- এই এক অদ্ভুত রোগ মানুষের। খালি ভূতের ন্যাজ ধরে টানা।
- লেজ?
- রেটোরিকাল। আপনি সত্যিই তান্ত্রিক?
- আজ্ঞে। সাধক আত্মারাম।
- মেটা নাম। তবে তান্ত্রিকটান্ত্রিকে আমার বিশ্বাস নেই।
- সে কী। ভূত হয়ে তান্ত্রিকে বিশ্বাস করেন না?
- ও'সব বুজরুকি মশাই।
- আপনি তো কম্পলিকেটেড ভূত দেখছি।
- খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তো? চট করে বশীকরণ, অর্শরোগ সারানোর মাদুলি; এ'সব অফার করেন নিশ্চয়ই?
- না করলে চলবে কেন?
- ওই কাগুজে বুজরুকি আমার ভালো লাগে না।
- বুজরুকি? ইয়ার্কি হচ্ছে? বুজরুকি হলে আপনার মত বজবজে ভূতকে আমার এই ড্রয়িং রুমে টেনে আনলাম কী করে? এ'টা অবশ্য ঠিক যে এত বছরে আপনাকেই প্রথম নামাতে পারলাম।
- নামালেন মানে?
- আমি। আপনাকে নামালাম। বহুদিনের সাধনার ফল।
- ধ্যুত। যত ন্যাকামো। আমি নিজে নেমে এসেছি।
- আমার মন্ত্রবলে আপনি নামেননি?
- নো স্যার। আমি আপনার মন্ত্রভুলে নেমেছি।
- মানে?
- এই আশেপাশে ঘুরঘুর করছিলাম, আচমকা আপনার বাড়ি থেকে সংস্কৃত শব্দের ভুল উচ্চারণ শুনে কেঁপে উঠলাম। উচ্চারণের কোয়ালিটি শুনে আমি বুঝতে পারি কার বানানের দৌড় কদ্দূর। এক রকমের সুপারপাওয়ার বলতে পারেন। জ্যান্ত থাকতেও এ কাজই করে বেড়াতাম। আপনার উচ্চারণ যা শুনলাম মশাই, আপনার ণত্ব বিধান ষত্ব বিধান তো ডেফিনিটলি ডকে। অন্যদিকে তো অনেক জল মেশানো আছেই।
- বানানটা আমার একটু কাঁচা বটে...।
- বললাম তো, একটুঠেকটু নয়। অত্যন্ত কাঁচা। এমন চলতে থাকলে খবরের কাগজে গোলমেলে বিজ্ঞাপন দিয়েই কাটাতে হবে। বুজরুকি ছেড়ে এ'বার কিছু একটা করুন।
- যাই বলুন। টেকনিকালি তো ভূত নামিয়েছি।
- আমি নেমেছি। ইচ্ছে করে।
- ভুল বানান, ভুল উচ্চারণের জোরে নেমেছেন।
- স্বেচ্ছায়।
- রাইট। তেনারা, আই মীন আপনারা, স্বেচ্ছায় নামতে না চাইলে তো নামানো যায় না।
***
- আপনি বাদল চক্রবর্তী?
- না।
- থুড়ি, আপনিই জেমস বন্ড?
- আজ্ঞে।
- ভূত?
- অবভিয়াসলি। আপনি?
- ভূত। অবভিয়াসলি। মনোজ হালদার। তা, আত্মারামের খাঁচায় আপনিও ভর্তি হলেন? আমার এখানে মাস ছয় হয়েছে।
- মহাফেরেব্বাজ। ইয়ে, এই খাঁচার ভূতের দল নিয়ে কি ব্যাটা সত্যিই ভূতের রেটোরিকাল থার্ড রাইখ বানাচ্ছে?
- নয়ত আপনার আমার মত গ্রামার নাজি ভূতদের ফাঁদ পেতে ধরছে কেন বলুন।
- মতলবটা কী?
- আর্মি মজবুত হলে সবাইকে লেলিয়ে দেওয়া সমস্ত ভুল বানানের দিকে। প্রতিটা বানান ভুল বেছে বেছে এলিমিনেট করা হবে। বিশ্বজোড়া স্পেলচেকের ফাঁদ। বানানভুল করা মাত্র ভূতে এসে কান মলে যাবে।
- মহা বিটকেল মানুষ তো। নমস্য। বেশ ভক্তি তৈরি হচ্ছে।
Tuesday, February 21, 2017
পিতৃভাষা বনাম মাতৃভাষা
Sunday, February 21, 2016
একুশ, বুল্টি ও বাঙালি
- দাদা।
- বুল্টি। আমার গলার মধ্যে যে কন্সার্ন, থুড়ি, যে চিন্তা মিশে আছে সে'টা টের পাচ্ছিস?
- আজ মা নিরামিষ রাঁধছে?
- সিরিয়াস বুল্টি। থুড়ি। ইয়ে। পরিস্থিতি গম্ভীর কিন্তু।
- ব্যাপার কী?
- আজকের দিনটা খেয়াল আছে?
- রোববার। তোর সকাল সকাল ওঠার কথা নয়।
- ধ্যার। ভাষা দিবস। একুশে। আমার ভায়ের রক্তে।
- ওহ। তাই তো।
- তাই তো মানে? আর কদ্দিন?
- কদ্দিন কী?
- কদ্দিন তুই বাংলা সাহিত্যকে অবহেলা করে অংবং ক্রিস্টি রোলিঙয়ে আটক থাকবি? সে'সব পড়। কিন্তু এবারে শরদিন্দু, বিভূতিভূষণ না পড়লে যে আর চলবে না।
- চলবে না?
- নাহ! আর যে যা করে করুক। আমার বোন বাঙালি হয়ে বাংলা পড়বে না, সে'টা আমার হজম হবে না। আর শোন। এ বিষয়ে তোর ইচ্ছে তৈরি করাটা জরুরী। কাজেই আমি দায়িত্ব নিয়ে কাল থেকে টেলিগ্রাফটা বন্ধ করে দিয়েছি। স্রেফ আনন্দবাজার।
- হোয়াট??
- হোয়াট নয়। বল "কী"।
- দাদা, প্লীজ।
- বুল্টি, তুই বাঙালি। ইংরেজিতে এত চমৎকার সব প্রবন্ধ লিখছিস। এবার বাংলায় লেখ! মানে লিখতেই হবে তোকে।
- কী মুশকিল। বাংলায় লিখতে আমি কমফর্টেবল নই। ইংলিশ মিডয়ামে পড়ছি বলেই হয়তো...।
- এক্সকিউজ.. থুড়ি...অজুহাত দিস না বুল্টি। ইংরেজি মাধ্যমে আমিও পড়েছি।
- আই অ্যাম রিয়েলি প্রাউড যে তুই বাংলায় এত ভালো দাদা। আমার পিছনে পড়লি কেন?
- প্রাউড? প্রাউড আবার কী? বাঙালি মেয়ে হয়ে গর্ব বলতে পারিস না? আরে বাংলার মত মিষ্টি ভাষা হয় না। বাংলাই সেরা।
- দাদা।
- বুল্টি।
- ল্যাঙ্গুয়েজ সুইটনেস ইনডেক্স আছে কোনও?
- এ আবার কেমন কথা?
- তুই ভারতীয়। তুই মানিস যে ভারতবর্ষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ?
- না।
- গুড। আমিও মানি না। আচ্ছা, তোকে কেউ যদি বলে রোজ বাইশবার তেরঙ্গার সামনে সেলাম ঠুকতেই হবে?
- আমার ইয়ে...তেরঙ্গায় অ্যালার্জি নেই। তবে কেউ হুকুম করলে গা জ্বালা করে।
- যদি কেউ বলে সকাল সকাল চার বার বন্দেমাতরম না বললে তোক জব্বর কানমলা দেওয়া হবে, তাহলে?
- আরে এ তো আমার ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
- বেশ। এবার হে স্বাধীন ব্যক্তি, আমার ইংলিশ ডেইলি যদি ইমিডিয়েটলি চালু না করেছ, তুমি দাদা বলে আমি তোমার বাঙালি কলারটা ছেড়ে দেব না।
Tuesday, September 16, 2014
বানান
Monday, February 4, 2013
আব্বেয়ার
Thursday, October 27, 2011
ভাষা-বোমা
Saturday, September 24, 2011
শুদ্ধ বাংলা বিশুদ্ধ বাংলা
