প্রেম ব্যাপারটা বাঙালি চিরকালই ভুল এক্সেকিউট করে এসেছে। রবীন্দ্রনাথ থেকে শক্তি টেনে হিঁচড়ে, নন্দন টু নলবন এফোঁড়-ওফোঁড় করে, ইন্টারনেটের পিণ্ডী চটকে - ছিমছাম একটা প্রেম আমরা ম্যানেজ করতে চাই বটে কিন্তু ছাদনা তলায় ল্যান্ড করার আগেই কত বিলিয়ন প্রেম যে লটকে যায় তার ইয়ত্তা নেই। তাও বুঝতাম গলাগলি থেকে গোলা-গুলি মার্কা ঝগড়াঝাঁটিতে প্রেম গচ্চা গেল; বাঘের বাচ্চার মত প্রেম-ট্র্যাজেডি; তা নয়। বাঙালির মধ্যে প্রেমে সস্তা-শহীদ বনে যাওয়ার যে কি মারাত্মক টেন্ডেন্সি আছে; ওই ল্যাদেই দেশ ঝুলে গেল। কেন জানি মনে হয়, উত্তম-সুচিত্রার এ দেশে, পার ক্যাপিটা ইলোপমেন্ট রেট হয়তো দুনিয়ার যে কোন প্রান্তের চেয়ে কম। মনে হয়। অমিত রে রা গান-কবিতা বেঁধেই খালাস হলে, বানভাসি হতে পারলে না। উদাহারণ স্বরূপ - পাড়ার হুতুমদা। মিন্টুর চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। পাশেই খোলা বুথে দাঁড়িয়ে হুতুমদা ফোনে ফ্যাঁসফেসিয়ে কথা বলে যাচ্ছিল। অন্যপ্রান্তের কথা অবশ্যই কানে আসছিল না, শুধু হুতুমদার হাহাকারটুকু বুকে সেঁধিয়ে গেছিল। হ্যালো ? হ্যালো ? হ্যালো ? ধুত্তোর, লাইনটা বার বার ঝুলে যাচ্ছে। তোমাদের ওদিকে সিগন্যালের এত প্রবলে
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ