Skip to main content

Posts

Showing posts from October, 2014

বেলুবিস্লিপুনিকাস্পেনিস

-    বেলুবিস্লিপুনিকাস্পেনিস। -    হুঁ? -    বেলুবিস্লিপুনিকাস্পেনিস। -    এই বড়িটার নাম? -    আমার দেওয়া। লাতিন, প্রাচীন ইজীপ্সিয়, আধ-পুরনো জার্মান আর ইনকা মেশানো নাম। -    মানে? -    কাঁচকলা। -    কাঁচ...? -    কলা। -    এ বড়ি খেলে হবে কি ? -    কাঁচকলা। -    অর্থাৎ? -    কিস্যু না। তাই কাঁচকলা। -    স্বাদ? -    স্বাদহীন। -    তবে লোকে এটা খাবে কেন? -    দুনিয়ায় কত বড়ি- ঘুমের বড়ি, সায়ানাইডের বড়ি,গর্ভ নিরোধক বড়ি, হজমি বড়ি। সব বড়িতেই কিছু না কিছু হয়। এই আমার আবিষ্কৃত বেলুবিস্লিপুনিকাস্পেনিসই প্রথম বড়ি যা খেলে কিস্যুটি হয় না। ভালো মন্দ কিস্যু না। এক্কেবারে নিরেট কাঁচকলা। উপকারও নেই, ক্ষতিও নেই। মধ্যম পথ। বুদ্ধ বেঁচে থাকলে নিজে এনডোর্স করতেন। উকিলবাবু,আপনাকে হেল্প করতেই হবে।

পাঁচটি মৃদু গল্প

একদিন হয়েছে কি, সল্টেড বাদামের প্যাকেটটা সবে দাঁতে ছিঁড়ে; দু চার পিস বাদাম মুখে ঢেলেছি।   আচমকা টের পেলাম আমি বাদাম দিয়ে দাঁত চেবাচ্ছি।

নিত্যযাত্রী

" কেউ ক্রিকেট খেলেন, কেউ রাইটার্সে ফাইল-বাজি করেন, কেউ গীটার বাজিয়ে আহা-উঁহু করেন, কেউ ভোটে দাঁড়ান, কেউ টিউশনি পড়ান। আমি করি ডেলি-প্যাসেঞ্জারি। ওইটাই হল আমার প্রফেশন বুঝলেন", সন্ধ্যে ছটা দশের আপ বর্ধমান লোকালে সদ্য আলাপ হওয়া দিলীপবাবু দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। আলাপের শুরু খবরের কাগজ আদান-প্রদান দিয়ে। দিলীপবাবুর কোথায় না হেসে পারলাম না। - " হাসছেন দাদা ?", পকেটের রুমাল বের করে ঘাম মুছতে মুছতে বললেন দিলীপবাবু, " আরে মশাই , " আমার তো মনে হয় মেমারি টু হাওড়াতেই জীবন বয়ে যাচ্ছে। সকালে দু বালতি জলে স্নান আর চাট্টি ডাল-ভাত, অফিসে দুটো ফাইল আর ওপরওয়ালার খিস্তি। ওদিকে বাড়ি ফিরে বাচ্চার ঘ্যান-ঘ্যান, গিন্নীর বায়না আর টেলিভিশনে গুলতানি। এ সব তো হুশ করে হাপিশ হয়ে যায়; কিন্তু প্রত্যেক দিন যেটা রয়ে যায় সেটা হচ্ছে সাড়ে দিন ঘণ্টার ট্রেন ঘষটানি। বুঝলেন ?"

খুচরো তফাৎ

কলেজ স্ট্রীটে ঘুর-ঘুর করছি সস্তায় পুরনো বই সটকাবার তালে। জুন মাসের বিকেল কিন্তু সদ্য বৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় চনমনে হাওয়া বইছে। মেজাজ শরিফ। জলের দরে খান দুই গপ্পের বই ব্যাগস্থ করে ফেলেছি। ভাবলাম বই ঘাঁটাঘাঁটি আলতো থামিয়ে রেখে একটু চা-টা খেয়ে নেওয়া যাক। মেডিক্যাল কলেজের উল্টো দিকে; ফুটপাথের একটা চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে বসে বললাম-  -“ এক কাপ চা আর একটা ডিম-টোস্ট”।  আমার পাশে এক মাঝবয়স্ক ভদ্রলোক বসেছিলেন। আমার দিকে চেয়ে ভারি অমায়িক হাসলেন। হাসি ফেরত দিলাম।

পুজোর আট - ২০১৪

ক্রস-পোস্ট ১ । -    মহালয়া কি ডাইরেক্ট ক্যাচ করবেন বলে ঠিক করেছেন মিত্রবাবু ? -    কেন ? -    না মানে অফিস রয়েছে কি না , অত ভোরে উঠলে আবার গোটা দিন গা - ম্যাজম্যাজ ... বেলা বাড়লে বরং ... আজকাল তো মহালয়ার সিডি পাওয়া যাচ্ছে -    শুনুন মশাই , বাসি মহালয়া ইজ লাইক চালানি কাতলার ট্যালট্যালে ঝোল । ও অমৃত আমার রুচবে না । ভদ্রবাবু কাক ভোরে মেরুদণ্ডে পালক বুলিয়ে দেবেন , তবেই না থ্রিল । ২ । -    পুজোয় আমার আবার একটু বেড়িয়ে না আসলে চলে না । মনটা আঁকুপাঁকু করে । পাহাড় , সমুদ্র বা জঙ্গল । নিদেন পক্ষে বোলপুরে গিয়ে চার দিন । তা না হলে আমার চলে না , বুঝলেন কী না । আপনার বোধ হয় তেমন বাতিক নেই , তাই না ? -    আমি ? পুজোয় আমার সমুদ্দুর বলতে খিচুড়ির বালতি , পাহাড় বলতে দুপুরের জগদ্দল ঘুম আর জঙ্গল বলতে পাড়ার মণ্ডপের ভিড় ।

পুজো ডায়েরি ২০১৩

---- Coolকাতা'তে প্রকাশিত  ( @ maamatimanush.tv )---- প্রথম কিস্তি ঃ মহালয়ার ব্যাপার-স্যাপার মহালয়া। সলিড ভাবে ডেভেলপ করতে হবে। এক্কেবারে মার কাটারি লেভেলে  জেগে উঠবো। তবেই না বাঙালি, তবেই না সোনার বাংলা। ছেলেবেলায় মনে আছে দাদু মহালয়ার আগের রাতে মন দিয়ে জোগাড় করে রাখতেনএই কটা জিনিষ: -        টর্চ ( অন্ধকার থাকতে উঠতে হবে, সুইচ বোর্ড পর্যন্ত পৌঁছোবার জন্যে) -        রেডিও -        অ্যালার্ম ঘড়ি -        এক প্যাকেট চানাচুর -        চায়ের ব্যবস্থা ভেবে দেখলাম মোবাইল ফোনে অ্যালার্ম রয়েছে। রেডিও’ও রয়েছে। এমনকি তাতে টর্চও মজুত ।  তোফা। চেক লিস্ট সহজ হয়ে  এলো ।  অফিস ফেরতা এক প্যাকেট চানাচুর , গরম জলের ফ্লাস্ক আর টি ব্যাগ্‌স নিয়ে এলাম ।  ভোর বেলা বউকে চা বানাতে বললে আমার কোপ্তা হয়ে যাওয়ার গভীর সম্ভাবনা রয়েছে। রাত্রি বেলা চাট্টি কাতলা ঝোল  ভাত খেয়ে ফুরফুরে মেজাজে নিদ্রা গেলাম। ব্যাটাচ্ছেলে ইমবেসাইল মোবাইল; অ্যালার্ম বেবাক ধোঁকা মেরে দিলে! এ-এম পি-এম’য়ে গড়বড় ঘটে যাওয়ায় ঘুম ভাঙল বেলার সাড়ে সাতটায়; বউ’য়ের ধমকানি তে। ধড়ফড় করে উঠে দেখি বীরেন্

মেহেরের অ্যাডভেঞ্চার

১  মেহেরের বুকটা ঢিপঢিপ করছিল। অনধিকার প্রবেশ ব্যাপারটা বেশ গোলমেলে। যদিও পেল্লায় ভাঙাচোরা এই সাতপুরনো বাড়িটার ধারেকাছেও কেউ ঘেঁষে না। সিকিউরিটি বলতেও তেমন কিছুই নেই; কাজেই ঢুকতে বিশেষ ঝামেলা পোয়াতে হয়নি তাকে। রামেসি ঠিক যেমন ভাবে বলেছিল তেমন ভাবে এগিয়েই ঢুকে পড়তে পেরেছিল মেহের। চিন্তা একটাই,  ধরে পড়লে মোটা ফাইন গুনতে হবে।  বাড়ির সামনের খোলা জায়গাটায় খানিকক্ষণ   দাঁড়িয়ে রইলে মেহের। রামেসি আসবে, সদর দরজা খোলার চাবি রয়েছে তার কাছেই। রামেসি ভদ্রলোকটির এলেম আছে বটে। সে ভদ্রলোকের বয়সেরও গাছপাথর আছে বলে মনে হয়না। এসব পুরনো ডিজিট্যাল-বাড়িগুলোর সমস্ত খবর তার নখদর্পণে। বুড়োর ব্যবসাই হচ্ছে এ সব জায়গায় বেআইনি ভাবে লোকজনদের ঘুরিয়ে আনা। শুরুর দিকে মেহের ভেবেছিল যে তার মত সতেরো বছরের কচি মেয়েকে রামেসি হয়ত পাত্তাটাত্তা দেবে না। কিন্তু আগাম টাকা হাতে পেয়ে বুড়ো দিব্যি রাজী হয়ে গেল। রামেসি যা প্রণামী চেয়েছে তাতে মেহেরের এ মাসের পকেটমানির অর্ধেকটাই বেরিয়ে যাবে। কিন্তু মেহেরের উপায় ছিল না। এ বাড়িতে তাকে ঢুকতেই হত। তার বংশের সাথে সবিশেষ ভাবে জড়িয়ে এই বাড়িটা, সে'টা সে সদ্য জেনেছে। সরকারের কাছে দরখাস্ত ক