Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2014

আরও ভালো

বই ভালো, তবে বইয়ের চেয়েও ভালো বই বুকে সোফা-ঝিমুনি। বেগুনি ভালো, তবে বেগুনির চেয়েও ভালো হল ঠোঙ্গার তলানিতে নুন মাখা বেসনের খসে পড়া ঝুড়ি।

প্রথম পেগ

-    এটা কী? -    মদ। -    মদ? -    মদ। -    তুই খাস দাদা? -    আজ থেকে তুইও খাবি। -    পাগল না কী? -    দাদাকে পাগল বলছিস?

বন্ধু

-    খোকা, এদিকে এসো। এসো। -    তুমি কে? -    আমি? মিতুলদাদু। -    কে মিতুলদাদু? -    তোমার বন্ধু মিতুলদাদু। -    আমার তিনজন বন্ধু। রাজা। অপু। ফুটু। -    আমি চার নম্বর তাহলে। -    তুমি তো অনেক বড়। তোমার চুল সব সাদা। আমি ক্লাস টু’তে পড়ি। -    বড় হলে কি বন্ধু হওয়া যায়না খোকা?

প্রোজেক্ট

-      সন্দীপনবাবু। -      কে? -      আমি। অনিন্দ্য। -      ও। এসো। -      আপনি ডেকেছিলেন।

হারমোনিয়াম

সে সময়টা সপ্তাহে অন্তত তিনদিন সন্ধ্যাবেলা মা গাইতে বসতো। সন্ধ্যাবেলা, সন্ধ্যে দিয়ে।বিছানার এক কোণে মা। সামনে হারমোনিয়াম। ডায়াগোনালি অন্য কোণে আমি, বাবু হয়ে বসে। ক্লাস সিক্স বা সেভেন। হাফ প্যান্ট। ঘরের কোণে চেয়ারে ঠাকুমা। ঢুলছে। শ্রীকৃষ্ণের একশো আট নাম আধোঘুমেও বিড়বিড় করে চলতো। আমার ডাকনাম দিয়েছিল গোপাল। হরিনাম যত মুখে আসে তত নাকি ভালো। স্নেহ উথলে উঠলে গোপালের আগে নাড়ু প্রি-ফিক্স হয়ে যেত। স্মৃতির ছক সাজাতে বসলে মায়ের কালচে সবুজ ছাপার শাড়িটাই মনে পড়ে। বাটিক প্রিন্টের বিছানার চাদর। ঘরময় ভারতদর্শন ধুপের সাথে অল্প ধুনো মেশানো মেজাজ। মায়ের হারমোনিয়ামের বয়স আমার চেয়ে অনেক বেশি, মা ছোটবেলায় ওটাতেই গান শিখেছিল। বিয়ের পর বাক্স-প্যাঁটরার সাথে ওটাও মায়ের সাথে এ বাড়িতে আসে। হারমোনিয়ামের ওপর খোলা মায়ের গানের খাতা। খাতাটাও মায়ের ছোটবেলার – আধ-ছেঁড়া, লাল বাঁধাইয়ের।

গানের মানে

লিরিসিস্ট দত্তবাবু আত্মহত্যা করেছেন গতকাল। পুলিশ বলছে সোজা সাপটা আত্মহত্যার কেস। মিসেস্‌ দত্ত বলেছেন তার লেখা গানের কথার বাজার পড়তির দিকে থাকায় ফ্রাস্ট্রেশনে ভুগছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। সুইসাইড নোটে বেমক্কা গান লিখে গেছেন, নির্দিষ্ট কোন কারণ দেখিয়ে যাননি। কিন্তু বটু গোয়েন্দা তো আর সাধারণের দলে পড়েন না। সুইসাইডের নোটে লিখে যাওয়া গানখানা বার দুই পড়েই ইন্সপেক্টর সামন্ত কে সাইডে নিয়ে এসে বললেন- -    “ইন্সপেক্টর সাহেব, মিসগাইডেড হবেন না। এটা আত্মহত্যা নয়। খুন”।