Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2019

মানিব্যাগ

কী গোলমালেই না পড়া গেল। তিন দিন ধরে চলেছে ব্যাপারটা। প্রথম দেড় দিন বেশ ভালোই লাগছিল সমস্ত কিছু; এমন জবরদস্ত উইন্ডফল, তা'তে প্রাণে যে ফুর্তির হাওয়া খেলে যাবে তা'তে আর আশ্চর্যের কী।  খুলেই বলি, কেমন? তিনদিন আগে অফিস যাওয়ার পথে বাসের ভাড়া দেওয়ার জন্য মানিব্যাগ বের করেছিলাম; একটা দশটাকার নোট বের করতে গিয়ে স্পষ্ট দেখেছিলাম মানিব্যাগে জ্বলজ্বল করছে তিনটে পাঁচশো টাকার নোট, চারটে একশো টাকা, দশ কুড়ি পঞ্চাশ টাকার কয়েকটা নোট আর কিছু খুচরো পয়সা। সব মিলে ওই হাজার দুয়েকের বেশিই হবে। তারপর গোটা দিন জুড়ে নগদ খরচাপাতি নেহাত কম হয়নি। অফিস ক্যান্টিনে লাঞ্চের জন্য কিছু খরচ হল, গুপ্তবাবুর ফেয়ারওয়েলের জন্য একটা মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হল (গুপ্তবাবু অত্যন্ত খিটখিটে, বদমেজাজি এবং পরশ্রীকাতর একজন সহকর্মী, পলিটিকাল করেক্টনেসকে উড়িয়ে দেওয়ার কলজে থাকলে ফেয়ারওয়েলটা ঠিক এড়িয়ে যেতাম), অফিসের পিওন বিশু কী একটা বিশেষ প্রয়োজনে শ'পাঁচেক টাকা ধার চেয়েছিল; আপত্তি করিনি। এ বাদেও সিগারেট বাবদ কিছু খুচরো খরচ মিলে গোটা দিনে হাজার বারোশো টাকা মত নিশ্চিত ভাবেই খরচ হয়েছিল। অথচ বাড়ি ফেরার সময় বাসের টিকিট কাটতে গিয়

মার্কেট শেয়ার আর নব জারগন

- ও দত্তদা!  - কী হল? - এ মাসের মার্কেট শেয়ার...।  - কত পার্সেন্ট রাইজ? - মাইনাস আড়াই পার্সেন্ট! ইয়ার অন ইয়ার।  - বলো কী হে সান্যাল! মাইনাস? - এই দেখুন না। এক্সেলে কেমন লাল রঙটা জ্বলজ্বল করছে।  - তাই বলে মাইনাস? - মাইনাস! - এ'টা মার্কেট শেয়ার না দেশের ইকনমি হে।  - গলাটা কেমন শুকনো শুকনো লাগছে।  - কাল রিভিউ। গলাটাই থাকবে না তো গলার শুকনো হওয়া।  - এ'বার কী হবে দত্তদা? - এক্সেলে জলটল মিশিয়ে দেখো দেখি।  - যা মেশানোর মিশিয়ে দিয়েছি। না মেশালে মাইনাস সাড়ে চারে যেত।  - উফ! ধনেপ্রাণে মারবে দেখছি। মাইনাসের খেল দেখলে বড়সাহেব আস্ত রাখবে ভেবেছ?  - চামড়াটামড়া গুটিয়ে নেবেনা তা ঠিক। তবে ভদ্রলোকের মুখের যা ভাষা দত্তদা, চামড়া গুটিয়ে নিলে যন্ত্রণা কম হত।  - যোগবিয়োগটা একটু মিলেও নাও হে সান্যাল। মাইনাসটা কি অকাট্য? - কাল সূর্য পশ্চিমে উঠতে পারে। গভর্নমেন্ট অপোজিশনকে জড়িয়ে "বেশ করেছিস নিন্দে করেছিস" বলতে পারে। কিন্তু এ মার্কেট শেয়ার পজিটিভে যাওয়ার নয়।  - কী কুক্ষণে যে এথেইস্ট হয়েছিলাম ভাই সান্যাল। একটু যে

খগেনবাবুর ফাঁদে

- নবেন্দুবাবু...। - কে...কে...।  - আমি খগেন।   - খ...খ...। - খগেনচন্দ্র দাস।  - খগেন...খগেনচন্দ্র দাস...। নামটা...নামটা...।  - নামটা আপনার অতি-পরিচিত। সে'টাই স্বাভাবিক। আপনি কেমন বোধ করছেন নবেন্দুবাবু? - আমি কোথায়...।  - আপাতত আমার বাড়িতে।  - আপনার বাড়ি...? - বাইশ নম্বর হরিসাধন মূখার্জী স্ট্রিট। আপাতত রয়েছেন আমার শোওয়ার ঘরে।  - গুলিয়ে যাচ্ছে...গুলিয়ে যাচ্ছে...।  - আপনি শান্ত হোন। ব্যাপারটা সহজ তো নয়। তাছাড়া কোনো মিডিয়াম ছাড়া আপনাকে সোজা টেনে নামানো হয়েছে...। এ'ভাবে টেনে আনাটা আপনার জন্য বেশ যাকে বলে...স্ট্রেসফুল...কিন্তু আমার কোনো উপায় ছিল না।  - আজেবাজে কথাগুলো এ'বার...।  - আজেবাজে নয় সে'টা আপনিও বুঝতে পারছেন। আগে বলুন তো...নিজের দেহটা অনুভব করতে পারছেন আদৌ? - নাহ, দিস মাস্ট বি সাম কাইন্ড অফ...ডা...ডার্ক-ম্যাজিক...।  - খগেনচন্দ্র দাসের পরিচিতি যে সে'খানেই নবেন্দুবাবু।  - রা...রাবিশ...। - রাবিশই যদি হবে...তা'হলে আপনি আপনার দেহ অনুভব করতে পারছেন না কেন? নিজেকে দেখতে পারছেন কী? - না...না