ঝড় মাথায় করে উঠে দাঁড়ালেন রাজা। থুড়ি। ঠিক দাঁড়ানো নয়, ব্যাপারটা ওড়া আর ভাসার মাঝামাঝি। রাজা আলগা করে দিলেন মনের যত ছিটকিনিগুলো। আহ! বড়ই যন্ত্রণা। এত কিছু হলো, তবু যন্ত্রণা উড়ে গেলো না। খানিকক্ষণ বাতাসে পতপত করে ওড়ার পর একটা তালগাছের মাথায় ঠেকে খানিক ফোঁস করলেন তিনি। রাজা বলে কথা। রাজার দায়িত্ব কি কম? প্রজাপালন, দেশের ভালো, দশের ভালো, দশের ভালোবাসা, দশের মঙ্গল। আহা! এহেন রাজার কি দু'দণ্ড জিরিয়ে নেওয়ার যো আছে ভাই? কত কাজ তার! কত মন ভালো করা কাজ আছে রাজার হাতে। নাওয়াখাওয়ার সময় থাকবে না; নজরে শুধু এর ভালো আর ওর ভালো! তবেই না রাজা! তবেই না রাজার মত রাজা! তালগাছের মাথায় হাওয়া সামান্য বেশি, বাতাসের ভেজা ভাব সামান্য কম। অন্ধকারে নরমের ছ্যাঁত আরও বেশি। এ পরিবেশে চিন্তার দল পরিপুষ্ট হয় আর রাজার বুকের ভার টুপটাপ বেড়ে চলে। বেড়ে চলে আফসোস। "এ কী করেছি আমি? এ কী করেছি?", রাজার ছটফটানিতে তালগাছ মুচড়ে ওঠে। ** - আপনিই আমাদের নতুন রাজামশাই? - হ্যাঁ। আপনি ঝাও? - আজ্ঞে। আমিই। - ইয়ে, ঝাও ব্যাপারটা ঠিক কী? বলবেন একটু বুঝিয়ে? - আমরা! মানে ভূতেরা নিজেদের
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ