আমার জ্ঞান-স্ফেয়ারে, মিশর হাজার তিনেক বছর’এর তফাতে, পিরামিড’এর পর মুবারক-সাহেবের হাত ধরে প্রবেশ করল। মাঝে কিছু খুচরো এন্ট্রি ছিল বটে; এই যেমন নন এলাইনমেন্ট-পন্থী নাসের, টিনটিন’এর ফারওয়ের চুরুট খোঁজা অথবা প্রোফেসর শঙ্কুর মিশর-ভ্রমণ ইউ-এফ-ও’এর খোঁজে। ভাবলে অবাক হতে হয়, যে গ্লোবালাইজ্ড অর্থনীতি এবং টেকনোলজির যুগে, যখন গোটা পৃথিবীটা পকেটে চিরকুটের মত পড়ে থাক উচিত, আমি যে ইণ্টেলেকচুয়াল ডোবায় বাস করছি, তার রেডিয়াস’টাই সামান্য পাল্টেছে মাত্র। মিশরের মানুষ যে ওদিকে পিরামিডিও এক মানবিক যুদ্ধে নেমেছেন, তার খবরটা অন্তত আমার কাছে তখন পৌছল যখন বিস্ফোরণ ঘটে গ্যাছে, বাঁধ ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়ে গ্যাছে। এই সময়ই মনে হল, এই ‘গোটা পৃথিবী’ই এক’ গোছের কথা আদতে স্রেফ ফালতু-বাত। মুখ’এর সামনে এটলাস খুলে বসলে ঘাবড়ে যেতে হয় যে এই ইউনিভার্সাল ব্রাদারহুডের যুগেও আমরা আসলে আমাদের ব্রাদার-দিগকে আদৌ তেমন চিনে উঠতে পারিনি। অন্ততো যে কয়েকটি গুটিকয় দেশ সম্বন্ধে সামান্য যোগ অনুভুব করি, সেগুলো বিশ্লেষণ করলে মনে হয় ঝাঁপ দি। কোন কোন দেশ কে কি কি সূত্রে এবং কতটুকু জানি?বলি শুনুন: ১। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্