Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2012

পুজোর ছুটি ঘটিত

দত্ত: মে আই কাম ইন স্যার ? বস: দস্তুরের ফাইলটা কমপ্লিট করেছো ? দত্ত: ইয়ে স্যার , ওই আর ঘন্টা-খানেকে হয়ে যাবে স্যার বস: তাহলে ইয়ে দত্ত , তুমিও ঘন্টা-খানেক পরেই এসো দত্ত: ভারী আর্জেণ্ট স্যার! বস: দস্তুরের ফাইলের চেয়েও বেশি ? দত্ত: ইয়েস স্যার! বস: প্রমোশোন নিয়ে ন্যাকা কান্না জুড়বে না তো ? দত্ত: না স্যার । বস: কাম ইন । দত্ত: থ্যাঙ্ক ইউ স্যার । বস: কী ব্যাপার ? দস্তুরের ফাইলটা এখনো কমপ্লিট হলো না ? দত্ত: ওই যে বললাম , আর ঘন্টা খানেক... বস: তবে তার আগে এসেছো কেনো ? দত্ত: ইয়ে স্যার , ভারী জরুরি ব্যাপার! বস: জলদি বলে ফেলো , টাইম ইস মানি এন্ড মানি ইজ ইন দস্তুর ’ স পকেট

মনের বাইসেপ, হৃদয়ের ট্রাইসেপ

“এই যে স্যার , হ্যাঁ , এই যে , আপনাকেই বলছি স্যার , গুড মর্নিং , এই যে ট্রেড-মিলে ঝড় তুলে আপনি বেদম দৌড়চ্ছেন , এ তে আপনার মেদ ঝড়ছে ঠিকই , কিন্তু মগজের জং সাফ হচ্ছে কই ? হৃদয়ের ঝুল ঝাড়-পোছ হচ্ছে কই ? কলজেতে হাওয়া খেলছে কই ? চাবুক শরীরে খেন্তী-বুড়ির মন পুষে কী লাভ ? মাল্টি-জিম ছেড়ে মন ’ টি জিমে দিন । দৈন্য দূর করুন। রোল-কাবাবের তেলে রক্ত ভরিয়ে নিতে কসুর করবেন না ; জিহ্বা শাণিত হবে। দুম-ফটাস হাসতে গিয়ে আটকে যাবেন না ; হৃত্পিণ্ড অক্সিজেন পাবে। জমাটি প্রেম করুন , বউ-প্রেম , বিয়ণ্ড বউ-ভালো লাগা জড়ো করুন ; মনের শিকল আলগা হবে। হুইস্কি খান ; পাঁজড় কড়ক পাবে। মাসে একবার গাঁজা টানুন ; মগজে তিরিং যাবে। খিস্তি করুন ; ফুসফুস বল পাবে।

গৌরহরি বস্ত্রালয়

গৌরহরি বস্ত্রালয় । দেড় -তলার কাপড়ের দোকান। দোকানের মাথার গ্লো-সাইন আর মালিক মধু মল্লিকের চামড়ায় ভাঁজ ছাড়া , জন্ম হতে আজ তক ; দোকানটি কে একই চেহারায় দেখে অভ্যস্ত । হাজার শপার্স স্টপ এসেও এর হুলিয়া বদলাতে পারেনি বা এর ব্যবসায় চাকু বসাতে পারেনি। নিচের তলা জুড়ে শুধুই শাড়ি , এবং ওপরের হাফ-তলা জুড়ে “জেণ্টস কাম কিডস সেকশন” । ধবধবে গদিতে বসে মধুকাকু কর্মচারীদের ধোনী-ভঙ্গিতে চালনা করছেন এবং চকাম শব্দে মিঠে সুপুরি চিবুচ্ছেন , এ দৃশ্য অতি পরিচিত। দোকান-ময় ধুপ , ঘাম , কাপড় এবং পুরনো দেওয়ালের গন্ধ মেশানো একটা হাওয়া ঘুর-পাক খাচ্ছে সর্বক্ষণ কিন্তু তবুও সাবেকি রুচির ক্রেতাদের ভীড় লেগেই আছে ; “বেস্ট কোয়ালিটি এন্ড প্রাইস ইন দ্য টাউন” পিতৃদেবের মতে। পিতৃদেব বছরে দুইবার কাপড়-জামা কেনেন , পুজো এবং পয়লা বৈশাখ ; গুষ্টির সক্কলের জন্যে ; এবং জন্মাবধি দেখে আসছি যে প্রত্যেকের জন্যে একি ধরনের পোশাক প্রত্যেক বার। যেমন পয়লা বোশেখে আমার জোটে একটা ফতুয়া , একটা পাঞ্জাবি ও একটি কমন পায়জামা। পুজো এলে জোটে একটা চকমকে হাফ শার্ট , একটা গম্ভীর ফুল শার্ট এবং একটা ট্রাউজার। ক্লাস সিক্স থেক

বঙ্গ-জব

যাবতীয় বেকার সমস্যা সত্ত্বেও , বাঙালি অন্তত জব-লেস নয়। জোড়া জবে বাঙালির শৌখিন-ব্যস্ততা হিমালয় হয়ে থাকবে চিরকাল।     বঙ্গ-হৃদয় ’ য়ের ক্যালরি-ক্ষরণের সব চেয়ে বড় অস্ত্র: গুজব। প্রতিবেশীর বৌদির গোপন মনোভাব , মেদু-বাবুর নব্য-ভূড়ির রহস্য , অমুক অভিনেত্রী ’ র ঢল-ঢলে ঢল , ভোটের ফলের চোরা আভাস , ময়দানে গড়াপেটা , বিদেশী আক্রমন ; গুজবে পরিচয়তে । দুসরা বৃহত্‍-জব: আজব। বাঙালির ধড়াম-বুকে অবাক বনে যাওয়ার অভ্যেস চির-অমলিন । মাধ্যমিকে লেটার ? আজব! গড়িয়াহাটের ভীড় ? আজব! দেব ’ য়ের পাগলু একশন ? আজব! সুমন চাটুজ্যের সুর ; আজব! প্রেম: আজব। আমরা জাতিগত ভাবে আজবিয়া। পৃথিবীর সামান্যতম হেল-দোল আমাদের কাছে এক আজব-খেল। গুজব-আজব ’ ই বাঙালির হৃদিয়ানা জব ; বাঙালির আদি দুধ-ভাত। 

ফ্লপকার্ট

অনলাইন কেতাব খরিদের সুবিধে আমাদের জীবনে এক দৈবিক আশীর্বাদ । ফ্লিপকার্ট এক দেবদূত । শুধু বই কেন ? যাবতীয় খুচরো বিকিকিনি এখন কী মায়াময় ভাবে সহজ । একটা ক্লিক আর ফিক হাসি , দিব্যি কাজ হাসিল । বই , ব্যাগ , গানের সিডি বসন্তের আনন্দ বয়ে দরজায় হাজির । টেকনোলজির কাঁধে হাত রেখে বলতে ইচ্ছে করে , “সাবাস তোপসে” । নিজে কেনো , অন্যকে উপহার দাও। সহজিয়া ইজ দ্য ওয়ার্ড । শুধু কী ঘরে বসে খরিদ্দারী ? যেমন ভাবে খুশি দাম মেটানো ; নগদে , ক্রেডিট কার্ডে , এমনকি রয়েছে ক্যাশ-অন-ডেলিভারির হিমালয় মাফিক সুবিধে

ব্যর্থ বাংলা-বন্ধ, বমকানো বাঙালি

“বোল্টুদার বাড়িতে ডাকাত পড়েছে ”। হুড়ুম হল্লা । ব্যাপারটা অত সস্তা নয় । বোল্টুদা আমার প্রতিবেশী এবং পাড়ার রক-স্টার মাস্তান ।তোলা আদায় করতে , মড়া পোড়াতে , চোয়াল ভাঙ্গতে , চাঁদা তুলতে , রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতে , রক্তদান শিবির আয়োজন করতে ; বোল্টুদার কোনও জুড়ি নেই। লোকাল এম-এল-এ ’ য়ের ডান হাত। এক দিন নিজেই কাউন্সিলর হবে । এমন লোকের বাড়িতে ডাকাত ? বেরিয়ে এসে দেখি , ডাকাত নয় ; পাড়ার বিজুকাকু দমাদম লাথি কষাচ্ছেন বোল্টুদার বাড়ির দরজায় আর উদোম চিত্‍কার করে চলেছেন । বিজুকাকু রাগে-উত্তেজনায় থর থর করে কাঁপচ্ছেন , বোঝা যাচ্ছে অফিস ফেরতা সোজা চলে এসেছেন বোল্টুদার বাড়িতে । গায়ের হাফ-শার্ট ঘামে চপচপ , চুল উস্ক-খুস্ক আর একটানা গলা ফাটিয়ে চলেছেন : “বেরিয়ে আয় শালা বল্টে , আজ তোরই একদিন কী আমার , একটা এস্পার-ওস্পার না করে আমি হটছি না। কাম আউট শালা স্কাউন্ড্রেল” বিজুকাকুর কাছে গিয়ে কী ঘটেছে জানতে চাওয়াতে কেস স্পষ্ট হলো ;  “এই শালা বল্টে , একটা ইউজলেস রাস্কেল কোথাকার , এমন একটা দলের হয়ে লেজ নাড়ে যে যাদের মুরোদ নেই ডাল-ভাতের আর ঢেকুর তোলে বিরিয়ানির । শালা

নব্য বং প্রেম

রাত পৌনে এগারোটা বাজতেই বেবুলদা বৌদিকে ঘরে টেনে নিয়ে দরজায় খিল । -“একটা সারপ্রাইজ আছে সোনা” বৌদি তো অবাক , “এই রাত্রে আবার কিসের সারপ্রাইজ ?” বেবুলদা মিউ মিউ করে কইলে , “ একটা , মস্ত ব্যাপার বয়ে এনেছি” -    “কী গো ? লিলুয়া থেকে মেজপিসি বড়ি পাঠিয়েছে নাকি গো ?”, বৌদি উত্‍সুক। -     “দ্যুত , একটা রোমান্টিক ইয়ে তৈরি করছি , আর কোথা থেকে নিয়ে এলে লিলুয়া আর বড়ি” -    “ঈ: , চল্লিশ বছর বয়সে না গর হয়ে এলেন রোম্যান্স করতে , কবে থেকে বলছি রান্না ঘরে একটা নতুন চিমনী বসাতে , সে বেলা কোন খেয়াল নেই। আর আমার এদিকে তেলে-ঝুলে একাকার কান্ড” -    “উফ্ফ , হবে হবে। লেট আস ফোকাস ওন দ্য নাইট সোনা” -    “হটাত্‍ এত সোনা সোনা বাই কেনো ? ওদিকে মানতাশা গড়িয়ে দেওয়ার বেলায় অমন নেকু-কান্না কাঁদাই বা কেনো ?” -    “ওরে বাবা , আহা শুনবে তো কী এনেছি...” -    “কী জলদি বলো , আমার বাজে সময় নেই। মালতীর মা ’ কে কাল আবার ভোর আসতে বলেছি” -    “না মানে , তার আগে বলো , তোমার কী মনে হয় না যে আজকাল আমরা ইয়ে ব্যাপারটা একটু ইয়ে , কম ইয়েতে কর

নব-সাহিত্য সভা

অনাদি সেন : স্যার , বসবো ? গোলঞ্চ-বাবু : বসবে কেনো ? শোনো , যে বসে থাকবে , জেনো তার ভাগ্যও বসে থাকে । আর তুমি তো দেখছি ইয়ং ম্যান হে! ছোকড়া । বসবে কী ? বরং এই বেলা দু চারটে ডন বৈঠক দিয়ে নাও । অনাদি সেন : ডন-বৈঠক ? দেবো ? এখন ? গোলঞ্চ বাবু: না , না , এইটে ব্যায়াম করার জায়গা নাকি হে ? ডন বৈঠক মারতে হয় তো নেদু মল্লিকের আখড়ায় গেলেই পারো ? নব-সাহিত্যসভা ’ র আপিসে এসে ফচকেমো কেনো ?   আজ ডন-বৈঠক মারতে চাইছ , কাল এসে বলবে মুজরো করবো।আমি কী সম্পাদক না শতরঞ্চি ? অনাদি সেন: ইয়ে স্যার , আ...আমি তো ইয়ে , ডন বৈঠক মারতে আসিনি … গোলঞ্চবাবু: এ তো আচ্ছা ঝ্যামেলা , ওরে ও পঞ্চা , কতবার বলেছি আপিস ঘরে কাউকে ঢোকাবার আগে একটু ভালো করে ঝালিয়ে নিতে … অনাদি সেন: আঁজ্ঞে আমি অনাদি , অনাদি সেন।