Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2023

বিশ্বকাপ জয়ী দেশ থেকে বলছি

আমি খেলা দেখি খেলার ভালোমন্দ, ইতিহাস-ভূগোল, টেকনিক-বেটেকনিক বুঝি বলে নয়৷ দেখি, কারণ গ্যালারি (আহ্, টিভির সামনেটাও গ্যালারি) লম্ফঝম্পের সুযোগ করে দেয়। ওই লম্ফঝম্পই আমার জীবনের জিম।  আর আজ; পকেটে ওয়ার্ল্ডকাপ৷ রাত্রে বিরিয়ানি৷ ইয়ে, এ'টাই আমার দেখা প্রথম আন্ডারনাইনটিন ফাইনাল (না, এর আগে ছেলেদের আন্ডার নাইনটিন ফাইনালও দেখিনি)। আজ ম্যাচ দেখতে বসে জানলাম যে এই টীমে চুঁচুড়ার মেয়ে আছে। চুঁচুড়া; মানে তো প্রায়-পাড়া।  সেই তিতাস সাধু আজ ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়৷ দু'তিনবার ইন্টারভিউয়ের সময় আলাদা করে টিভিরে এলো; কথাবার্তা কী ঝকঝকে, ভাবনাচিন্তা কী সুস্পষ্ট৷ ম্যাচ শেষে আরও জানলাম; ওই নখ-চেবানো পরিস্থিতিতে জরুরী ইনিংস খেলা তৃষা নাকি ইন্ডয়ানঅয়েলের স্পোর্টস স্কলারশিপ হোল্ডার।  খেলাধুলোর এই একটা ব্যাপার; বুক বাজিয়ে বলা যায়; ওই দ্যাখো, ও আমার পাড়ার, আমার শহরের, আমার রাজ্যের, ইত্যাদি। ইত্যাদি৷ এইভাবে তাদের ভালোমন্দতে ব্যক্তিগত ইনভেস্টমেন্ট টেনে আনা।  আর ইনভেস্টমেন্টের ঠাকুর্দা? সুর করে "ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া" চেল্লামেল্লি৷ সে প্রসঙ্গে বলি; ক্যাপ্টেন শেফালি (শাফালি বলব?) ভার্মার প্রেজেন্টেশনের ইন্টার

মিস চ্যাটার্জীর চোখে

- এইত্তো! মিস চ্যাটার্জি! - আরে, মিস চ্যাটার্জি যে৷ সো গুড টু সি ইউ৷ অনেকদিন পর। তাই না? - অনেক, অনেকদিন পর। - ঘুমটা তা'হলে ভালোই জমেছে, তাই না? - ফার্স্টক্লাস৷ আচ্ছা, মিস চ্যাটার্জি, জাস্ট টু কনফার্ম। এ'টা স্বপ্নই তো? - স্পষ্ট টেবিলের এ'পাশ থেকে এই আমি টেবিলের ও'পাশে বসা আমির সঙ্গে কথা বলছি৷ স্বপ্ন না হয় যায় কোথায়৷ - তাও ঠিক৷ তবু, স্বপ্নের মধ্যে স্বপ্নকে স্বপ্ন বলে টের পাওয়াটা বেশ অস্বস্তিকর। - হতে পারে। তবে আপনার সঙ্গটা মন্দ লাগেনা৷ - সেম হিয়ার৷ আচ্ছা মিস চ্যাটার্জি, ঠিক কী সিচুয়েশনে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, সে'টা মনে আছে? - নাহ্৷ তা কী আর ট্রেস করা যায় স্বপ্নের মধ্যে। হয়ত অরিন্দমের কাঁধে মাথা রেখে। বা হয়ত, অফিস থেকে ফেরার পথে ট্রেনে ঢুলছি। অথবা হয়ত, ছুটির দুপুর৷ অরিন্দম তাসের আড্ডায়৷ আমি..থুড়ি..আমরা..একাই ঘুমিয়ে৷ আসল ব্যাপারটা ঘুম ভাঙলেই টের পাব। - হুম৷ স্বপ্নের এই একটা সমস্যা৷ কী জানেন মিস চ্যাটার্জি, খুব ইচ্ছে হয় যে স্বপ্নের মধ্যে একদিন হিসেব কষে বের করব যে আমরা ঠিক কী'ভাবে আর কোথায় ঘুমিয়ে আছি৷ - হিসেব? মানে, তদন্ত? - মন্দ কী মিস চ্যাটার্জি? আপনাকে দেখে তো বেশ স্মা

পুরীতে পল্টুবাবু

- এই যে, পল্টুবাবু। - যাহ্‌! - খামোখা ফাঁকি দিয়ে কোথায় আর যাবেন বলুন। - ধ্যাচ্ছাই। গেল, সব গেল। - এই, মদনমোহন খাবেন? - ধুত্তোর। কী কুক্ষণেই না...। - ওই যে ছোকরা যাচ্ছে? ওই ও'দিকে দেখুন। ওর নাম শ্রীনিবাস। স্বর্গদ্বারে যারা মিষ্টি বিক্রি করে, তাদের মধ্যে ওর প্রডাক্টই সবচেয়ে বেশি অথেন্টিক। - আরে ধ্যার্‌ রে বাবা। - অত বিরক্ত হচ্ছেন কেন পল্টুবাবু? - আমি মদনমোহন খেতে চাইনা। - মাছ ভাজা? মনোজ পাত্রের দোকানেই পাবেন ফ্রেশ মাছের গ্যারেন্টি। চলুন, মিনিট দুয়েক হাঁটতে হবে, ওই নীলাচলের দিকটায় মনোজের দোকান। খুব মাইডিয়ার ভদ্রলোক, মাছভাজার উপরি গপ্পআড্ডাও জুটে যাবে। - আমার বয়ে গেছে মাছভাজা খেতে। - মদনমোহন নয়। মাছভাজা নয়। বেশ, একটা মাঝামাঝি রফা করা যাক। চলুন, লেবু চা আর শিঙাড়া খাওয়া যাক। এদের শিঙাড়াগুলো চিমসে কিন্তু ভারি মুচমুচে। - দেখুন গোলকবাবু, আমি এই মুহূর্তে কোনও কিছুই খাওয়ার দরকার দেখছি না। - বেশ। তাহলে হাওয়া খাওয়াটাই হোক। আপনার পাশেই থাকি না হয় খানিকক্ষণ। - আমি কি রোমান্টিক নায়িকা? আমার পাশে থাকার কী হল? - আরে মশাই, পুরীতে দেখা হল। এরপর আমি চা শিঙাড়া পমফ্রেটভাজা সাঁটিয়ে ঘুরব, আর আপনি খিটমিটে ম

রোলের আমি

রোল বিষয়ক শুচিবাই এককালে ছিল৷ এখন আর তেমন নেই৷ বিভিন্ন রকমের রোলের বিভিন্ন ধরণের আবেদন৷ মোটা পরোটায় সঠিক পরিমাণে পেঁয়াজকুচি আর লেবু-লঙ্কা ইঞ্জেক্ট করলেই যেমন ম্যাজিক ঘটে যায়, শসা-সস দেওয়া পাতলা রুটির রোলেরও প্রয়োজন আছে৷ চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় হাঁটতে বেরোলে অনেক গজিয়ে ওঠা রোলের দোকান জুটে যায়; অনেক ক্ষেত্রে সে'সব 'ঠেলা' সামলান এমন মানুষজন যারা রোল ভাজায় তেমন পটু নন। অন্যদিনগুলোয় হয়ত তাদের জীবিকা আলাদা, পুজোর ক'দিন নেহাতই সুযোগ বুঝে ভিড়ের মাঝে চাটু আর স্টোভ নিয়ে বসে পড়েছেন৷ পাড়াগাঁ বা মফস্বলি মেলাতেও তাঁদের দেখা পাওয়াই যায়৷ সেই ব্যাপারটাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না; মোটা দাগে কাটা স্যালাড আর সস্তা কুমড়ো সসের আশীর্বাদধন্য সে এগরোলেও ঘ্যাম আছে। সে ঘ্যাম আস্বাদন করতে জানতে হবে৷ পাটনায় দিব্যি ভালো রোল পেয়েছি৷ এমন কি বেগুসরাই কটিহার কিষনগঞ্জের মত বিহারি মফস্বলেও রকমারি স্বাদের রোল পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেছি। বম্বের ফ্র ‍ ্যাঙ্কি না কী এক ঝোল দেওয়া রোলকেও ধৈর্য ধরে অ্যাপ্রিসশিয়েট করার চেষ্টা করেছি৷ আবার দিল্লী-নয়ডার বেশ কয়েক জায়গায় ডিম পরোটার ভিতর পাঁচমেশালি স্যালাডভাজা আর রকমারি

অচ্ছা সিলা

বন্ধুরা জানালে "অচ্ছা সিলা দিয়া তুনে মেরে পেয়ার কা" গানটার রিমেক হয়েছে। ভালো কথা। তবে এই ধরণের গানের রিমেক খুব ভালো হলেও এড়িয়ে থাকব, তেমনটাই ইচ্ছে। এই ধরা যাক "মেরা দিল ভি কিতনা পাগল হ্যায়"; ওটার রিমেকও করতেই পারে কেউ। সে'টা দুর্দান্ত হলেও হতে পারে। আমি শুনব না। গুরুদেবের বারণ আছে। "অচ্ছা সিলা"ও খানিকটা সে পর্যায় পড়ে। কাজেই বন্ধুদের পাঠানো গানের ইউটিউব লিঙ্ক ক্লিক করলাম না। এতক্ষণ পর্যন্ত ঠিকঠাক ছিল। এরপর বন্ধুরা জানালে যে "অচ্ছা সিলা দিয়া তুনে"-তে আইটেম নাচ ঢোকানো হয়েছে। এই ইনফরমেনশনটা পেয়ে কিঞ্চিৎ ঘাবড়ে গেছি। সোনু নিগম কাঁদাচ্ছেন, কৃষ্ণকুমার কেঁদে ভাসাচ্ছেন, স্কুল-প্রেমে লেংচে চলা বুক ফেটে চৌচির হচ্ছে। আমার কাছে এই হচ্ছে গানটার আর্কিটেকচার। এ'বার এই ট্র্যাজিক ত্রিভুজের মাঝে আইটেম ডান্স ঢোকানো চাট্টিখানি কথা নয়। এ গানের রিমেক শোনার ইচ্ছে নেই, অথচ এই মিস্ট্রিটাও মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা যাচ্ছেনা। সাংঘাতিক সমস্যা।

প্রেমে বাজারে

- প্রেমে পড়ে একসঙ্গে বাজার করতে যাওয়াটাকে নর্মালাইজ করা দরকার। - সে কী মামা৷ প্রেমে পড়ে বাজার করতে বেরোব? - একদম৷ সকাল সকাল৷ একজনের হাতে আমিষ আইটেম নেওয়ার নাইলনের ব্যাগ, অন্যজনের হাতে সবজির বওয়ার ঢাউস কাপড়ের থলে। হেলেদুলে বাজার করবি, দরদাম করবি, কানকো তুলে মাছ-বিচার করবি। সবই একসঙ্গে। আহা, ভাবতে ভাবতে আমার প্রাণেই গান বাজছে৷ "এ মন আমার হারিয়ে যায় কোনখানে, কেউ জানে না শুধুই আমার মন জানে..আজকে আমার হারিয়ে যাওয়ার দিইইইইইন"। - কী সাংঘাতিক৷ ও'দিকে ছোটকা বলে প্রেমে পড়ে ময়দানে হাঁটবি, দেলখোশার টেবিলে প্রেমিকার আঙুলের ডগায় লেগে থাকা কাসুন্দির দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবি৷ বাবুঘাটের জেটিতে একের পর এক লঞ্চ ছেড়ে দিয়ে বাদাম খাবি৷ এমন কত কী। - তোর ছোটকা একটা গাছ-বলদ৷ শোন, ও'সব সাহিত্যের ফর্মুলায় প্রেম ন্যাতপ্যাতে হয়৷ সম্পর্কে স্ট্রেন্থ বিল্ড আপ করতে চাইলে দু'জনে মিলে সকালবেলা বাজার করতে যেতে হবে৷ একসঙ্গে, নিয়মিত৷ - আরে! বাজারের ধ্বস্তাধস্তিতে প্রেম হয় নাকি? - প্রেম হল রিভার্স স্যুইং চাঁদু৷ বলের একটা দিক এবড়োখেবড়ো না করলেই নয়৷ আর তার জন্য সামান্য ধ্বস্তাধস্তি নেসেসারি৷ - কী'

আসছে শতাব্দীতে

"আসছে শতাব্দীতে"। সন্ধ্যার কণ্ঠ আর সুমনের কথা, সুর; এ'রা নেহাতই সহশিল্পীর দলে। মঞ্চ আলো করে দাঁড়িয়ে একজন অগোছালো কিশোর। যার কণ্ঠে সুর নেই, কবিতায় দখল নেই; কিন্তু গানের প্রতি ভালোবাসা আছে৷ সে কিশোর শ্রোতা, অথচ সমস্ত লাইমলাইট তারই ওপরে৷ কারণ সেই একমাত্র শ্রোতা, মায়েস্ট্রো সেই। সুমন আর সন্ধ্যায় ভর দিয়ে একশো বছর তফাতে থাকা একজন কেউ সেই ভ্যাবলাটে কিশোরের কাছে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। না না, গানের কথাটুকু ক্যামোফ্লাজ, সেই অন্য-সময় থেকে পাঠানো মেসেজ কোড করে রাখা আছে সুরে৷ সন্ধ্যা-সুমন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সে সুর সেই কিশোরের মনের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে, পারলে রক্তে চালান করে দিতে। কিশোরের ছটফট বেড়ে চলে৷ মনের ভিতর সে কী বিশ্রী অথচ ভালোলাগা আনচান৷ এ সুর এত চেনা কেন? এত ভালোবাসা কেন এই গানে? কে ডাকছে? সে ডাক এত মায়ার কেন? আহ, সে যে কী অপার্থিব স্নেহ। কী টান। *** - বুঝুলে ভাই আওদব্দভ্বহ৷ আশা একটা আছে৷ - আশা আছে বলছ আবাভ্ব ? - আছে। - গোটা ভ্যাকিওসমসে কেউ যদি পারে তুমিই পারবে৷ কিন্তু উপায়টা কি? কত হাজার বছর ধরে চেষ্টা করেও তো আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি৷ আজ হঠাৎ কী ফন্দি আঁটলে? - গ্রহটা

পোলাপানের মাইনেপত্তর

প্রথম মাইনে নিয়ে ছেলেবেলা থেকেই আকাশকুসুম কত কী ভেবেছি৷ এই করব, সেই করব৷ মা-বাবাকে দারুণ কিছু একটা কিনে দিয়ে তাক লাগিয়ে দেব৷ প্রেমিকাকে এমন একটা ইস্পেশ্যাল উপহার দেব যে সে মনেমনে বলে ফেলবে "এইত্তো আমার উত্তমকুমার"৷ নিজের জন্য এমন কিছু একটা নেব যে'টা চিরকাল থেকে যাবে। বুড়ো বয়সে বসে সে'টার দিকে তাকিয়ে বুকের মধ্যে তোলপাড় হবে; 'ফার্স্ট ইনকামের' আউটকাম বলে কথা৷ এ'বাদে একটু ভালোমন্দ খাওয়াদাওয়া, একটু নবাবী৷ এই আর কী৷ নবাবীটুকু মুলতুবি থাকলেও, প্রথম মাইনে দিয়ে সে'সব জরুরী ইচ্ছেগুলোর বাকেট লিস্টে বেশ কয়েকটা দাগ দেওয়া গেছিল। আসলে ওই বয়সের শখেরপ্রাণগড়েরমাঠ টেম্পারামেন্টটা যে কী দামী৷ তারপর যা হয় আর কী৷ ক্রমশ ওই, খামচাখামচির শুরু৷ জুড়ে যায় মিউচুয়ালফান্ডসহিহ্যায় গোছের অঙ্ক৷ আর বয়সের অলংকার হিসেবে আসে নিউ-জেনের প্রতি "আরে, এরা আর কী জানে" গোছের হিংসে-চাপা দেওয়া উষ্মা। তা এ অভিযোগটা একদম ভিত্তিহীন নয়৷ আমাদের কোম্পানির মধ্যপ্রদেশ অফিসের এই কিছু ছেলেছোকরাদের কথাই ধরা যাক৷ সদ্য কলেজ পেরনো দলবল; ক'দিন আগে এরা প্রথম স্যালারি পেলো৷ তা ফুর্তি কর, আমাজনের সেলে

মোক্ষম অস্ত্র

- এই যে ম্যাডাম! এ'বার ফিরতে বড় দেরী করলে যে..। তোমার মত সিনিয়র অপ্সরাও যদি এদ্দিন ডুব দিয়ে থাকে..। - আরে বলেন কেন দেবরাজ...। মর্তে এ'বার সে কী বিশ্রী রকমের হ্যারাসমেন্টটাই না হল। - হ্যারাসমেন্ট? পলিউশনের জন্য বলছ? ও একটু অ্যাডজাস্ট করে নিও। মাঝেমধ্যে একটু পচন না ধরালে জমবে কেন। পার্ট অফ দ্য প্ল্যান৷ - আরে না না। মর্তের পলিউশন আর আপনার বাতেলা এদ্দিনে আমার সয়ে গিয়েছে..। ও আমি মাইন্ড করিনা। - তবে কীসের হ্যারাসমেন্ট? - সে এক মারাত্মক লেভেলের হয়রানি দেবরাজ। যা বুঝছি, এ'বার মানে মানে আমার রিটায়ারমেন্ট নিয়ে নেওয়াই উচিৎ হবে৷ যে'টুকু যা ফিক্সড করে রেখেছি, তা দিয়ে দিব্যি কেটে যাবে। - ও মা! কচি মেয়ে বলে কিনা রিটায়ার করবে, ধুর ধুর। - মেঘেমেঘে বেলা তো কম হলনা। গত অগ্রহায়ণে সাড়ে বারো বিলিয়ন কম্পলিট করলাম। যৌবন তো পড়তির দিকে। স্নো-পাউডার দিয়ে আর কদ্দিন চালাবো..। - তুমি ভারি হাফ-গ্লাস-এম্পটি গোছের মানুষ কিন্তু। আরে তোমার রূপের ধারে আকচার কত দেব-দেবতাই যে মনে মনে কচুকাটা হয়ে পড়ে থাকছে; তা তুমি টেরই পাওনা। হে হে হে...। - থামুন মশাই। আপনাদের মত বুড়োভামদের চোখেই এখন আমার জেল্লা৷ এ'দিক

জীবনের জরুরী প্রশ্নগুলো

ঘুমিয়ে পড়লে নাকি?  ছুটিতে পুরী না ছাত? কত হাজার মরলে পরে মানবে তুমি শেষে..? এ'টা কি ২৪৪১১৩৯? বেণীমাধব তুমি কি আর আমার কথা ভাবো? মাগো আমার শোলক্ বলা কাজলা দিদি কই? চাঁদা না হয় পরে দেবেন, রসিদটা কেটে রেখে যাই? আপনি কি শুয়োর? আরে, মুরারিলাল না? চিঠি দিবি তো? চট করে দু'টো ভাতেভাত বসিয়ে দিই? মেনুতে বিরিয়ানি থাকছে তো? আপনি রোবট নয় তো? আসি, কেমন? যত্তসব ছাতারমাথা, কে বলেছে আমার মনখারাপ?