উত্তমবাবু বিড়বিড় করে চলছিলেন। একটানা। "রজনী নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে, তিনিই উত্তম যিনি চলেন তফাতে"। ডিনারে ইলিশের পেটি রিফিউজ করে আর এক রাউন্ড কাঁচকলার ঝোল চাইলেন তিনি। ** - কী হয়েছে বলো তো উত্তমবাবুর? কাজে মন নেই। সে'দিন অ্যাকশন বলতেই দেখি চমকে উঠলেন। কথাটা প্রথম শুনছেন যেন। - জনশ্রুতি, ভদ্রলোক ভূত দেখেছেন। - আহ। গুজব! - হবে হয়তো। তবে মরা হাতি আর ছিটগ্রস্ত উত্তম...। - লাখ টাকা? ** উত্তমবাবু লিপস্টিক আর বাইকের যোগসাজশ নিয়ে সুতীব্র ভাবনাচিন্তা করছিলেন। বেআক্কেলে লোকটা মাঝেমাঝেই "অ্যাকশন" বলে চিন্তার সুতো ছিঁড়ে দিচ্ছিল। মহা আপদ। ** - কুছু কোরেন। কুছু কোরেন। পিলিজ। - এতো হাইপার হচ্ছেন কেন বলুন তো? - হাইপার হোবে না? গজব কা মুসিবত। উর উপরে আমার থার্টি ল্যাখস রাইড কোরছে। থার্টি। অউর সিরিফ আমার পরেশানি নহি। বাজার মে ক্রোর ইনভেস্টেড আছে। - হুঁ। ব্যাপারটা এতটাই সিরিয়াস? - ভেরি সিরিয়াস। কল হামি স্কচ অফার করলেম, উ বললে চাখনা মে রোস্টেড কচু কঁহা? - রোস্টেড কচু? - জি হাঁ। - ব্যাপারটা সিরিয়াস যা বুঝছি। - বহুত। সিরিয়াস। কন্সট্যান্ট বড়বড়; উত্তম রজনী, রজনী
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ