Thursday, May 29, 2014

এগরোল ঘটিত



-              দাদা, এগরোলটা একটু মন দিয়ে ভাজবেন
-              কড়া না নরম ?
-              না কড়া না নরম
-             
-              তাই বলে আবার মাঝামাঝি ভাববেন না
-              মানে ?
-              মানে ঠিক কড়া আর নরমের মাঝামাঝি ভেজে দেবেন না কড়া ঘেঁষা ভাজবেন না নরম ঘেঁষা ভাজবেন, তবে নরম নয়
-              কি ?
-              মানে রুটির গায়ে লালচে ছোঁয়াচ জমাট বাঁধলেই ওর বুকে ডিম ছড়িয়ে দিন কালো ফোস্কা পড়তে দেবেন না
-              ধুর এমন বাতিক থাকলে নিজে বাড়িতে ভেজে খাবেন
-              তা কি হয় বাবা আমি সংস্কৃতে এম- বলে কায়স্থ হয়েও পূজো করবো ? বামুনের রোল বামুনেরই থাকবে তোমার ছোঁয়া আর এই পাবলিক চাটুর সারফেস না পেলে এগরোল যে আলুনী ডিম-রুটিতে কনভার্ট হয়ে যাবে ভাজো ভাজো আমি বলে দেব কখন থামতে হবে
-              কি মাল মাইরি আপনি
-              শিখে নাও মাল

Thursday, May 1, 2014

পিতার ভোট

পিতা গতকাল ভোট দিতে গেছিলেন। এই, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ। হাসি হাসি মুখ। বুক পকেটে ভোটার আই-ডি। ডান হাতে ছাতা, বাঁ হাতে আনন্দবাজার। মাথার ওপরে ডাইরেক্ট মাঝ-বৈশাখের রোদ্দুর। বুথের সামনে প্যাঁচালো লাইন।

পিতা বুদ্ধের স্ট্যামিনা ধরেন। এ মাগ্যির যুগে সন্তান পালন করেছেন,  তাঁর কাছে রোদ্দুরে ভোটের লাইন তো নস্যি। প্রতিবেশী ও ভোটের-লাইন-অগ্রজ ভৌমিকবাবুকে “পলিটিকাল ডিসিপ্লিন”য়ের ওপর ঝাড়া চল্লিশ মিনিট ধরে দারুণ ঝকঝকে সমস্ত কথা বলে চললেন লাইনে দাঁড়িয়ে।  ভৌমিক-বাবু এক সময় মনস্থ করে ফেললেন দরকার নেই ভোট দেওয়ার। কিন্তু পিতৃদেব তাঁকে লাইন কেটে বেরোতে দিলেন না। ভৌমিক-বাবু কে সপাট জানিয়ে দিলেন “ এই আপনাদের মত আয়েসি মানুষের জন্যেই আজ দেশের কপালে নেতা জোটেনা, ফচকে নাগর অল অ্যারাউন্ড। অ্যান্ড ফিউ জোকার্‌স। খবরদার! ভোট না দিয়ে সরে পড়লে ভালো হবে না”। ব্যাজার মনে দাঁড়িয়ে রইলেন ভৌমিক-বাবু। পিতা সহাস্য মেজাজে ফিরে গেলেন “ পলিটিকাল ডিসিপ্লিনের” ক্লাস নেওয়ায়।
পাক্কা এক ঘণ্টার মাথায় ভৌমিকবাবুর দুঃখ ঘুচল। তিনি ভোট দিয়ে সরে পড়লেন। পিতা সগর্বে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে নিজের ভোটার আই-ডি মেলে ধরলেন।
-   “ইয়ে, জেঠু। আপনি ভোট দিয়ে দিয়েছেন”

পিতা আকাশ থেকে পড়লেন রাশি রাশি জং ধরা পেরেকের ওপর। মেজাজে তৎক্ষণাৎ সেপটিক।