Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2021

ওই মেজদাদা

- এই যে, চাঁদু৷ ইদিকে এসো দেখি মাল৷  - আমায় ডাকছেন?  - ওরে আমার নেকুচাঁদ হুশিয়ার রে৷ রাস্তায় এখন আর আছেটা কে। আয় দেখি ইদিকে।  - কী ব্যাপার দাদা? - ওরে আমার সোন্টুমনা রে৷ "কী ব্যাপার দাদা"! ভোম্বলমণি আমার৷ তা বাবু, এই ভরদুপুরে এ পাড়ায় ঘুরঘুর করছ কেন? তুমি তো এলাকার ছেলে নও।  - ইয়ে, আসলে..। - আসল নকল আবার কী৷ এ পাড়ায় কী মতলবে সোনা? - না মানে, ওই একটা দরকারে এসেছিলাম..। - কী দরকারে? - থাক। তেমন কিছু নয় স্যার৷ এই আমি চলে যাচ্ছি।  - চলে যাবি? - এই এখুনি। আসি? - নাহ্৷ অত তাড়া কীসের৷ দাঁড়া, আগে একটু আপ্যায়ন করি৷  - না না। ও'সব পরে কোনওদিন হবে'খন৷ আমি বরং আজ আসি৷ হঠাৎ একটা জরুরী কাজ মনে পড়ে গেছে৷ ভালো থাকবেন, কেমন? আর ওয়েদার চেঞ্জের সময়৷ জামার বোতামগুলো খোলা রাখবেন না প্লীজ, চট করে বুকে ঠাণ্ডা বসে যেতে পারে৷ ঠিক আছে? আজ আসি৷  - শোনো ভাই ভিজেবেড়ালকুমার৷ ফের যদি এ পাড়ায় দেখি, তা'হলে একটা ঠ্যাং খুলে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেব রেখে নেব৷  - আমি..আমি..আমি..। - নেকুপুষুসুন্টুনিমুন্টুনি..কথাটা মনে থাকবে?  - আ..আ..আ..। - রোজ তুমি দত্তবাড়ির সামনে গিয়ে ঘুরঘুর করবে৷ আর রঞ্জন

খবরটবর

- এ কী! এ'সব কী দেখাচ্ছে মামা? - খবর পড়ছে।  - খবর? ও'টা খবর পড়া? - লেট নাইনটিন এইটিজ তো। তখন এ'টাই ছিল স্টাইল৷ - তুমি শিওর মামা? এ'টা খবরই পড়ছে? - হান্ড্রেড পার্সেন্ট। একসময় নিজের চোখে দেখেছি এ'সব৷ - নাহ্৷ কিছু একটা গোলমাল হচ্ছে৷  - স্পষ্ট শুনছিস তো৷ রয়েসয়ে খবরাখবর পড়ে জানাচ্ছে।  - এমন নিরামিষ মোডে? - সে'সব গোলমেলে সময় ছিল রে ভাগ্নে৷ পাতে তখন আমিষ থাকলে কেউ গাঁইগুঁই করত না, অথচ খবরে টোটাল নিরামিষ।  - স্ট্রেঞ্জ। রীতিমত অ্যানার্কি তো! - টোটাল৷  - এ'টা কোনও খবর পড়া হল? প্যানেলিস্ট কই? - নেই৷ শুধু নিউজরীডার। - লে হালুয়া৷ তা'হলে ঝগড়া-খামচাখামচি করবে কারা? - ও'সব ছিল না রে ভাগ্নে৷ স্রেফ ম্যাদা মেরে যাওয়া সুরে খবর পড়ে যাওয়া৷  - প্যানেলিস্ট না থাকলে, সঞ্চালক চেল্লাবে কার ওপর? চেল্লানো না হলে খবরটা স্মুদলি পরিবেশিত হবে কী করে! আউটরেজাস৷ আর মামা, সঞ্চালক রেগেমেগে কথা বলছে না কেন?  - কী আর বলব রে, সে'সব প্রিহিস্টোরিক এরা। ম্যাড়মেড়ে খবর পড়াই তখন রীতি৷ আদত ইভোলিউশন হল তো তার পরে৷ মিউমিউ খবরের ঘুমপাড়ানি কাটাতে এলো অ্যাকশন-প্যাকড, ঝগড়ায় ভরপুর- রগরগে

ইয়ের ইয়ে

সে যাকে বলে এক প্রি-হিস্টোরিক সন্ধ্যে৷ মগজ মাঝেমধ্যে স্মৃতির অ্যালবামে  ব্যাকগ্রাউন্ড-স্কোর জুড়ে দেয়, এ ক্ষেত্রে যেমন জুড়েছে পান্নালালের শীতলপাটি মার্কা গুনগুন - "যেথা আছে শুধু ভালোবাসাবাসি, সেথা যেতে প্রাণ চায় মা"।  সে'দিন৷ ঘাসের ওপর হাত-পা ছড়িয়ে, দু'চারজন বন্ধুর সঙ্গে বেশ রগরগে পলিটিকাল আড্ডা জমেছিল। সে ঘাসের গন্ধের সঙ্গে বিকেলের ফিনফিনে হাওয়া আর কাগুজে কাপের কফির সুবাস মিলেমিশে মনের মধ্যে আলসেমির এক প্রকাণ্ড ডাইনোসর তৈরী হয়েছে৷  দুম করে, গা-জোয়ারী গল্প-আড্ডা-তর্কাতর্কি থামিয়ে, পাশে বসা এক বন্ধু হঠাৎ বলে উঠেছিল "কলকাতা আমরা নিয়ে যতই গজরগজর করি, শহরটার মধ্যে বেশ আলাদাই একটা ইয়ে  আছে, তাই না রে ভাই"? এদ্দিন পর হঠাৎ সেই ইয়ের উল্লেখ মনে পড়ায় বুকের মধ্যে বেশ একটু মনোরম ইয়ে তৈরি হল। পাশাপাশি মনকেমন৷  প্রতিটি শহর, গাঁ, পাড়া, গলি, পার্কের বেঞ্চি, ঘাটের সিঁড়ি বা ছাতের কোণেরই একটা নিজস্ব ইয়ে রয়েছে, সম্ভহবত।  সে ইয়ের নাগাল একবার পেলেই ভালোবাসিয়েরা বর্তে যান, বরফিস্টরা গলে হদ্দ হয়ে বয়ে যান, পাথুরিয়াঘাটা-মুখো মিনিবাস কুসুমুপুরে এসে জিরোয়৷ সে ইয়ে স্পর্শ করতে