গৌতমবাবুর সঙ্গে দেখা বহুদিন পর । বাজারে । গৌতমবাবু ছিলেন আমাদের কেমিষ্ট্রীর শিক্ষক ।ভীষণ ভালো ফুটবল খেলতেন , পাড়ার ক্লাবের কোচও ছিলেন। ঢিপ করে প্রণাম করে নিজের পরিচয় দিলাম। চিনতে পারলেন । আমি জানালাম কোথায় আছি এখন , কীই বা চাকরি করছি ।গৌতমবাবু নরম হেসে বললেন: “চাকরি ? চাকরির একটি মাথা । দুটি কান , একটি নাক , একটা মুখ দুটো হাত , দুটো পা । একটি হৃদয় । চাকরি স্তন-বানও বটে ।চাকরির প্রতি এমন স্নেহ নিয়ে কৈশোর থেকে যৌবনের দিকে ট্র্যাভেল করেছো । পড়াশোনার কসরত্ করেছো , কেতা-অভ্যেস করেছো , বিবেকানন্দ পড়ে ডন-বৈঠক দিয়েছো , কথা বলার চাকুরিও-মায়াবী ভঙ্গিমা রপ্ত করেছো , নারী-প্রেম নিশ্চই তোমার ট্র্যাভেল-ট্র্যাকে বোম মেরেছে তবু তুমি লাইন-চ্যুত হওনি। এখন তুমি একজন পরিপূর্ণ যুবক! পকেট নিকোনো চাকরি। যার একটি মাথা , দুটি কান , একটি নাক , একটা মুখ , দুটো হাত , দুটো পা একটি কোলেস্টেরল-মাখা হৃদয় । জানি না তোমার সাথে আবার কবে দেখা হবে , তাই বলি । বিয়ে করেছো দারুন ব্যাপার । ইউ উইল বি আ ফাদার সাম ডে। সন্তান কে এমন শিক্ষা দিও যাতে সে শৈশবকে কফিনে সার্ভ করার আগে শৈশবের কপা
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ