Sunday, March 16, 2025
সলজ্জ নিবেদন
Wednesday, December 6, 2023
ফাইনালের পরে
Tuesday, February 14, 2023
ভ্যালেন্টাইন বিরিয়ানি
Saturday, April 9, 2022
বিরিয়ানির টেক-আনবক্সিং
Sunday, February 27, 2022
বিরিয়ানির কবিগান
Friday, June 18, 2021
নিউনর্মাল বিরিয়ানি
Thursday, June 17, 2021
বোধদয়
Tuesday, October 13, 2020
মামা ও বিরিয়ানি রহস্য
Thursday, July 30, 2020
কবীরিয়ানি
Tuesday, May 19, 2020
বংঈটসের বিরিয়ানি রান্না প্রসঙ্গে
Sunday, November 17, 2019
পোয়েট
Thursday, January 24, 2019
ভাঙা প্রেম
প্রত্যেক ভাঙা প্রেমের শেষ দৃশ্যে এক থালা বিরিয়ানি থাকলে ভালো হয়৷ থালার একপাশে হেরো প্রেমিক, অন্যপাশে পর্যুদস্ত প্রেমিকা।
বিরিয়ানি সুবাসের পাশাপাশি ইতিউতি "খাচ্ছ না কেন?" ভেসে বেড়াবে বাতাসে। আর সরু চালচাপা-নরম আলুর মত ঘাপটি মেরে পড়ে থাকবে "আর দেখা হবে না, না?"র ধান্দাবাজ প্রশ্ন।
বিরিয়ানি আর ভাঙা প্রেমে তাড়াহুড়ো চলে না, সে'টাই বাঁচোয়া।
Sunday, June 3, 2018
রায়তা
- সঙ্গে রায়তা দেবে তো রে?
- কেন?
- বাহ্, বিরিয়ানি বললাম। সঙ্গে রায়তা দেবে না?
- ওহ্, দেবে।
- যাক।
- তবে ইয়ে।
- আবার কি? রায়তাটা অতটা ভালো নয়? বিরিয়ানির সঙ্গে আবার আমার কোয়ালিটি রায়তা ছাড়া চলে না।
- রায়তা দেয় বইকি। গেলাস ভরে রায়তা দেবে। আমি বলে দিয়েছি।
- গেলাসে দেবে? রায়তা?
- এ'টা একটু অন্য রকমের রায়তা ভাই। কালো রঙের, ঝাঁঝালো।
- কালো? ঝাঁঝালো? রায়তা?
- আমরা এ'দিকে থামস আপ বলি। রিয়েল বিরিয়ানি পাশে সেমি-ঘোলটোল থাকলে কেমন ঘোলাটে লাগে।
Wednesday, May 4, 2016
ফ্লাইং কার্পেট
- মামা!
- হুম।
- দেখেছো কাণ্ড!
- কী আর এমন ব্যাপার।
- ফ্লাইং কার্পেট! এমন কিছু ব্যাপার নয়?
- সায়েন্স কী বলে?
- ইম্পসিবল।
- ভুল। পসিবল।
- ফ্লাইং কার্পেটে আামাদের এমন ভাবে উড়ে চলাটা সায়েন্টিফিক।
- অনুভূতিটাটা সায়েন্টিফিক।
- মানে?
- মানে। এটা নিশ্চই স্বপ্ন।
- স্বপ্ন? হতে পারে।
- আকাশের রংটা দেখেছিস?
- ভ্যানিলা আইস্ক্রিমের মত মনে হচ্ছে।
- রাইট। ডেফিনিটলি স্বপ্ন।
- কিন্তু স্বপ্নটা কার মামা?
- তাই তো। আমার না তোর?
- নো ক্লু।
- মহামুশকিল। লাস্ট মেমরি কী আছে?
- ব্ল্যাঙ্ক। রিসেন্ট কোন অ্যাক্টিভিটি মনে পড়ছে না।
- ঝাঁপ দিয়ে দেখবি?
- না মানে...বাই চান্স যদি স্বপ্ন না হয়?
- ধের। আইপিএল দেখে দেখে আইকিউটা কমিয়ে ফেললি। যাক, আমি ঝাঁপ দিচ্ছি। স্বপ্নটার এস্পার ওস্পার হওয়া দরকার।
**
- পিলু।
- হুঁ।
- অ্যাই পিলু।
- হুঁ।
- ওঠ! টেবিল পাওয়া গেছে।
- হুঁ মামা?
- টেবিল পাওয়া গেছে।
- ও। ওহ। এটা তো আরসালান। ওয়েটিং। বিরয়ানির সুবাস ইনডিউসড ঘুম। এহ হে। মনে পড়ছে। মনে পড়ছে।
- জলদি। টেবল ফর টু। মিল গয়া। জলদি।
- না মানে আমি স্বপ্নে দেখলাম...। স্বপ্নটা মানে...এত খাজা। শুনলে হাসবে..।
- বাজে কথা বাদ দে।ভেতরে চ। বিরিয়ানি চাপ শেষ করেই একবার হসপিটালে ছুটতে হবে।
- হসপিটাল? কেন?
- কনুইটা ছড়েছে। হাঁটু টনটন। ফার্স্ট এড। এক্স রে বললে এক্স রে।
- কী করে?
- ফ্লাইং কার্পেট থেকে কেউ ঝাঁপ দেয়?
Sunday, February 14, 2016
১৪ই দুই
১।
মহামুশকিল। মহামুশকিল।
দীপিকার কোন এক বান্ধবীকে তার বন্ধু রক্তে সই করা চিঠি পাঠিয়েছে। তাই বলে অনীককেও তাই করতে হবে? এর কোন মানে হয়? অসহ্য আদেখলামো। অসহ্য।
কিন্তু ভ্যালেন্টাইন ডে-ফে বড় চাপের ব্যাপার। দুমদাম না বলা যায় না।
গোলাপি কাগজের ওগো হ্যাঁগো চিঠিতে রক্তে চোবানো আঙুলের ডগা দিয়ে সই করার সময় গা কাঁপছিল অনীকের।
কোনরকমে সইটা দিয়ে চটপট বেসিনে হাত ধুয়ে নিলে অনীক। কাতলাটা বোধ হয় চালানি ছিল, বিটকেল গন্ধ।
২।
- ওয়েটিং আছে। নাম লিখিয়ে নিন।
- কতক্ষণ লাগবে মনে হচ্ছে?
- অনেক লম্বা লাইন স্যার। ভ্যালেন্টাইনস ডে, বুঝতেই পারছেন। ডাবল বিরিয়ানি অর্ডারে টুয়েন্টি পারসেন্ট ডিসকাউন্ট অফারের জন্য আবার ভিড় ডবল হয়েছে। মিনিমাম এক ঘণ্টা।
- ম্যাক্সিমাম?
- দেড়। নাম লিখি?
- আরসালান যখন একটাই, তখন নাম না লিখিয়ে উপায় কী বলুন! লিখুন। এ চ্যাটার্জী।
- টেবিল ফর হাউ মেনি স্যার?
- ফর ওয়ান।
- ক'জনের জন্য বুক করব স্যার?
- বললাম যে, একজন।
- না মানে...আপনি একা? সাথে কেউ নেই?
- ইয়েস। একা। টেবিল ফর ওয়ান। তবে ডে অফ লাভ কে মার্ডার করব না। আই উইল অর্ডার ফর টু; ডাবল বিরিয়ানি।
- অহ।
- কই লিখুন। এ চ্যাটার্জি।
Tuesday, January 19, 2016
অ্যালিটারেশন
- বৌমা।
- হ্যাঁ মা।
- কিছু মনে করো না...একটা কথা ছিল।
- বলুন না।
- আমরা তো তোমার কোনও কাজেই বাধা দিই না, তবে...।
- তবে?
- বলছিলাম যে...বিধবা মেয়েমানুষের অত বিরিয়ানি বিরিয়ানি করলে সংসারে অমঙ্গল আসে।
- আসে?
- আসে বৈকি মা।
- যদিও মাছ খাওয়াও ঠিক নয়। সে না হয় তবু মেনে নিলাম। তবে অমন ভাবে বিরিয়ানি খাওয়াটা...।
- ওহ। পাপ হচ্ছে?
- রীতিমত।
- আপনার ছেলে কী বলত জানেন? ও বলত অ্যালিটারেশন গরুর ইউরিনের মত।
- কী রেশন?
- অ্যালিটারেশন। এই যেমন কানাইয়ের কাঁথা। শাশুড়ির শাসানি। সব শব্দের শুরুতে একই অক্ষর।
- ও।
- তাই বলছিলাম বিধবার বিরিয়ানিও চোনা। সমস্ত পাপ ধুইয়ে দেওয়া অ্যালিটারেশন। ক্ষতি নেই। বরং অ্যালিটারেশন ক্ষুণ্ণ করলে সে স্বর্গে বসেও কষ্ট পাবে।
- ও। আমি আসি বরং। সন্ধ্যে দেওয়ার সময় হল।
- আসুন। সন্ধ্যে হল। সন্ধ্যে হল।
Friday, December 25, 2015
বড়দিনের মোলাকাত
চার চেয়ারের এক চেয়ার আলো করে বসে দেবতা, তার সামনে অর্ঘ্যপাত্রে পাঁঠা বিরিয়ানি। তাতে বাড়তি ডিম ও বড়দিনের খোশবু।
উলটো দিকে চেয়ারে ঝকঝকে দেবী; একবাটি মুর্গীর চাপ আর খান দুই রুমালি আঁকড়ে। দেবীর পাশে দেবশিশু চুমুকুমার, ফির্নির বাটিতে ডুবে যার চুমুল্যাতপ্যাতে শ্রীমুখ।
বিরিয়ানিতে সোয়াদ নেই, চাপে চাপ। স্বাদ থাকবে কী করে? হাওয়ায় রিটার্ন টিকিটের বদগন্ধ, গলায় থার্মোকলের ড্যালা, মুখের কথা এ দেওয়াল ও দেওয়ালে বেমক্কা গোঁত্তা খেয়ে ফেরে। স্টেনলেস স্টিলের থালায় পাথরকুচি গড়িয়ে দেওয়ার শব্দে ইতিউতি "ভালো থাকিস"রা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।
পরকীয়াতে ছোটবেলা থাকে না, বিরিয়ানির বিস্বাদ থাকে না।
"তুই খাচ্ছিস কেন বাবু?" থাকে না।
"অমন করে না" থাকে না।
পুত্রস্নেহ থাকে না। ফির্নি মাখা শিশুমুখের ভ্যানিশ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
***
- বিরিয়ানি খাবি না বাবু?
- স্বাদ নেই।
- কথা বলবি না?
- কথা নেই।
- আমার ছেলে বড় হলে, দেখা করবি আবার ওর সাথে?
- এমন বলিস কেন?
- করবি দেখা? ওর সাথে? যখন ও কথা বলতে পারবে? কথা বলবি না ওর সাথে তখন? দ্যাখ। তুইও বাবু। এও বাবু। দুই বাবু গপ্প করিস, আমি শুনব।
- তোর ছেলে বড় ভালো। বড় মায়া।
- আমি?
- তুই বড় ভালো। বড় মায়া।
- তুই?
- আমি বড় গবেট। বড় গাধা।
- তুই কার গবেট? কার গাধা?
- যাস না। আই অ্যাম ফার টু হেল্পলেস।
- আমিও বাবু। আমিও।
- যাস না।
- যাওয়া তো থাকে বাবু। না যাওয়াটুকু বুঝবি না?
- তুই বড় ধান্দাবাজ মেয়ে। বড় সেয়ানা।
- তুই বড় ভালো বাবু। বড় মায়া।