Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2018

এপাশ ওপাশ

প্রবল বিরক্তি নিয়ে পাশ ফিরে শুলাম। কিন্তু তখনই গোলমালটা পাকালো। কী নিয়ে বিরক্ত হয়েছিলাম? কিছুতেই মনে পড়ল না। পাশবালিশটা জাপটে ধরলাম, মাথা ঠাণ্ডা করতে হবে। কেন বিরক্ত হয়েছিলাম? কার ওপর? কোন বিষয়ে? মহামুশকিল, কিছুতেই মনে পড়ছে না। আর তখনই টের পেলাম যে আরো অনেক কিছু মনে পড়ছে না। এই যেমন শিয়রের খোলা জানালার ও'পাশে অন্ধকার দেখে সময়টা রাত মালুম হচ্ছে বটে কিন্তু এখন ঠিক ক'টা বাজে? নাহ্, খেয়াল করে দেখলাম আমার কোনো হাতঘড়ি নেই। খাটের পাশে একটা টেবিল আছে বটে কিন্তু কিন্তু তার ওপর কোনো ঘড়ি নেই। দেওয়ালে ঘড়ি আছে কি কোনো? বাতি জ্বালার চেষ্টা করব? নাহ, সাহস হল না। ঘড়ি বা স্যুইচ বোর্ড কোথায় আছে সে সম্বন্ধে আমার কোনো ধারনাই নেই কারণ এই ঘরটা আমার আদৌ চেনা নয়। গলা শুকিয়ে আসছিল। জানালা দিয়ে বেশ ফুরফুর হাওয়া আসছে, অথচ আমি ঘেমে উঠছি। তারিখ দূরের কথা, এ'টা বছরের কোন সময় সে'টাও মনে করতে পারছি না। দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম। "ঘুম আসছে না বাবু"? সম্বিত ফিরল পিঠে একটা নরম হাতের স্পর্শে। কণ্ঠ শুনে মনে হয় কোনো বাচ্চা মেয়ে। কিন্তু সে কণ্ঠ কী মিষ্টি, কী নরম। মনের বিরক্তি যেন উবে গেল। একবার মনে

চাঁদু ও দাদু।

- অ্যাই চাঁদু! - এ কী দাদু, আপনি? এত রাত্রে? তাও আবার স্বপ্নের মধ্যে? - তোর কপাল ভালো স্বপ্নে এসেছি। নয়ত বেধড়ক কানমলা খেতে হত। - কী মুশকিল, হলটা কী? - তুই বাঙালিকে পাঁঠা খেতে বারণ করেছিস? - না মানে...ইয়ে। আসলে..। - পাঁঠা আমাদের মা? এ'টা তুই বলেছিস? - ওই যে, গান্ধীজি ছাগলের দুধ খেতেন যে। তাই বলছিলাম...। -  গান্ধীজিকে কোট করে এমন কথা বলবি রে? এ'সব শুনলে বুড়ো মানুষটা তিন মিনিট অহিংসা ভুলে একটানা তোর মাথায় গাঁট্টা কষাতেন। - শোনো...দাদু...প্লীজ..অত উত্তেজিত হতে নেই। - উত্তেজনার এ আর কী দেখলি রে৷ ফের আগডুমবাগডুম বললে আর টেলিপ্যাথেটিকালি কনেক্ট করব না চাঁদু। স্ট্রেট হিমালয়ের গোপন গুহা থেকে নেমে এসে এ বাড়ির কলিংবেল টিপব।

ছাতু আর ফলিডল

- বিট্টা! অ্যাই বিট্টা! - আমায় ডাকছ বাবা? - ন্যাকাউদ্দিন বুরবক্! এ বাড়িতে ক'টা বিট্টা আছে? - হয়েছেটা কী? - তোর লজ্জা করে না জিজ্ঞেস করতে? ব্যাটা রাস্কেল। - পার্ট ওয়ানে কম নম্বর? সে'টা হঠাৎ মনে পড়ল? তবে মাসখানেক আগে বেরোনো রেজাল্ট নিয়ে এখন আবার...। - শাট আপ। দ্য গ্রেট হারু ডাকাতের রক্ত রয়েছে আমার  মধ্যে, আমি কি মার্কশিটকে ডরাই? - বাজারে করে না হয় বাইশ টাকা সরিয়েছি, তার জন্য এই রাতদুপুরে এত তোলপাড়? - চোপ ব্যাটাচ্ছেলে। বাসমতির কাঁকর তুই। এগরোলের কুমড়ো সস। তোকে দেখলেই গা রিরি করছে। ইশ, তোকে বেদম জুতোলে যদি শান্তি পাই। - আরে! তোমার ব্যাঙ্কের কাজ আজ করিনি, একটা ভালো বই পড়ছিলাম। কাল করে দেব। এত ঝ্যামেলার কী আছে। - টাকা রাবড়ি, রাবড়ি টাকা। ব্যাঙ্কফ্যাঙ্ক নিয়ে আমি ভাবিনা। তবে তোর মত এমন হাড়বজ্জাত আমি আগে দেখিনি। - আরে আমি করেছিটা কী? - কী করেছিস? এরপরেও জিজ্ঞেস করতে সাহস পাচ্ছিস? কী করেছিস? - মাইরি, কিছুতেই ধরতে পারছি না। - তা কী করে ধরতে পারবে; গবেটেন্দ্র গাম্বাট বাহাদুর। আমার কপালেই জুটেছে এমন আপদ। - বলবে কী হয়েছে? - আজকের দিনটার কথা খেয়াল আছে? - আজ? সোমবার! - তারিখটা

অঙ্কের মাস্টার আর পেপারওয়েট

- শোনো। - আবার কী? - জরুরী। - রাত দুটোর সময় এমন জরুরী ডাকের মিনিমাম লেভেল হওয়া উচিৎ হার্ট অ্যাটাক। আশা করি তার চেয়ে কম কিছু নিয়ে হুজ্জুতি করবে না। - মিতুল, তুমি বৌ না হারপুন? - তুমি বর না দাঁতব্যথা? - রিয়েলি। জেনুইন প্রশ্ন। - ধ্যাত। - ডিসকাস না করলে ঘুম আসবে না। - কী? - জানো, আজ বিকেলে...টিভি দেখতে দেখতে..চানাচুরের প্যাকেট কেটে চানাচুরের ঝর্না পার্লপেটে ঢালতে ঢালতে...হঠাৎ মনে হলো...। - কী? - মনে হলো..। - বলবে না কান মুলব? - তুমি বৌ না অঙ্কের মাস্টার? - তুমি বর না পেপারওয়েট? - মরুক গে। বলব না। - ন্যাকামো না করে বলে ফ্যালো। - বলতাম না। নেহাত তুমি ঝুলোঝুলি করছ বলে বলছি। - আজ বিকেলে...টিভি দেখতে দেখতে..চানাচুরের প্যাকেট কেটে চানাচুরের ঝর্না পার্লপেটে ঢালতে ঢালতে...হঠাৎ তোমার কী মনে হল? - মনে হল তোমার অভিরূপে সঙ্গে বিয়ে হলেই ভালো হত। অন্তত তোমার ইন্টেলেকচুয়াল ইকুয়াল হল। আমার সঙ্গে ভ্যাবলামি করে দিন গুজরান করতে হত না। - হয়েছে? - আরো মনে হল...। - কী? - তোমাদের ব্যালকনিতে দু'টো নয়নতারা গাছ থাকত। দু'টো বেতের চেয়ার। থুড়ি। মাদুর। - বেশ। আর কিছু? - না। এ'টুকুই

পুজোবার্ষিকী।

অ্যাডাল্ট-পুজোবার্ষিকীর সূচিপত্র: //উপন্যাস// "ফাইলগঞ্জে নাস্তানাবুদ" - বস মুখোপাধ্যায়। "ওয়েটলিস্টের আর্তনাদ" - আইআরসিটিসি গাঙ্গুলি। "পরাজিত আনন্দ" - ট্র‍্যাফিক নন্দী। "গল্পজুড়ে কেলো" - পোড়াতেল ঘোষ। "মানিব্যাগ হত্যা রহস্য" - শপিং কর। "কৌরব গোয়েন্দা" - ছেলেপিলেরদাবী চট্টোপাধ্যায়। "প্যান্ডেল কত দূর" - এনার্জিশেষ মজুমদার। //বড়গল্প// ইতি শরৎ - পলিউশন চট্টোপাধ্যায়। ধুর মশাই - পাহাড়নাসমুদ্র ভৌমিক। //অপ্রকাশিত গল্প// প্রফেসর প্রতিবেশি আর জ্ঞানের গাছ - পুজোপ্ল্যানার রায়। ল্যাদবাবুর হাহুতাশ - হতাশাপূর্ণা দেবী। //ম্যাজিক// হরেকরকম্বা - পিসি সরকার। //খেলাধুলো// ডন আর লাইনে বডি - অচ্ছেদিন সাহা। //সম্পূর্ন কমিক্স// অরণ্যেদেব - লি বুনিপ। (আসিতেছে।  আসিতেছে। আপনার মেজাজের বুকস্টল আলো করে। আসছে)।

চন্দ্রগুপ্ত

- এই যে, আর কতক্ষণ এ'খানে বসবে? - যতক্ষণ, ততক্ষণ। - ও মা, হেঁয়ালি করছ নাকি। রাত এগারোটা বাজে। শেষ লঞ্চ চলে গেছে। জেটি ফাঁকা। দোকান বন্ধ হবে যে। বেঞ্চি উলটে রাখব। এ'বার সরে পড়ো দেখি। - খদ্দের তাড়িয়ে দিচ্ছ গো? ধর্মে সইবে খুড়ো? - ভারী আমার খদ্দের এলেন রে৷ গোটাদিন বেঞ্চি আটকে কী নিলে? দু'কাপ চা আর তিনটে বিড়ি। কত করে বললাম; নাও একবাটি ঘুগনি, নয়তো একজোড়া ডিম সেদ্ধ। সে বালাই নেই। ধুত্তোর। আর এই শোনো, আমায় ধর্মকর্ম শেখাতে এসো না বুঝলে। আমার বৌয়ের ঠাকুরের আসনে শিবে, কালীতে, যীশুতে এক ঘাটে জল খায়, অথচ এত গদগদ ভক্তি ফলিয়েও লাভ কী হয়েছে? সে বেচারি গোটাদিন বাতের ব্যথায় জেরবার। - তুমি কমিউনিস্ট নাকি খুড়ো? - লেনিনপুজোর নিয়মকানুন তো সন্তোষীমার ব্রতকেও হার মানায় হে। নাহ্, পুজোঅর্চনা আমার জন্য নয়। তবে হ্যাঁ, কোয়ালিটি চা আর আলমগঞ্জের সেরা ঘুগনি খেতে চাইলে নদীর ধারে আমার এই ভাঙাচোরা দোকানে না এসে উপায় নেই। - বাবাহ্ খুড়ো। তোমার কী দেমাক। - দেমাকের আর কী দেখলে হে। দেমাক দেখেছি হরেন মাছওলার। নতুন খদ্দের কাতলার কানকো তুলে কোয়ালিটি চেক করতে যেতেই সে কী মুখচোপা। তার কাছে বাজে মাছ পাওয়া গেলে

অলোক দত্তর থেরাপি

টেবিলের ওপর দুদ্দাড় করে একের পর এক ফাইল এসে পড়ছে; আর অলোক দত্ত ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে দেখছেন; ফাইলের ঢিপি তরতর করে বড় হচ্ছে। বড়বাবুর পাঠানো ফাইল; প্রত্যেকটার ওপর হলুদ স্লিপ সাঁটা; ড্যাবা ড্যাবা করে লেখা “আর্জেন্ট, প্রসেস্‌ বাই টুডে”। আজ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরবেন ভেবেছিলেন; সেই মত দু’দিন আগে বড়বাবুকে বলেও রেখেছিলেন, বৌ গড়িয়াহাটে আসবে; জরুরী কেনাকাটি।  কিন্তু টেবিলের বোঝা দেখে বুক ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল দত্তবাবুর। ফাইলের ওপরে লেখা ‘আর্জেন্ট’ শব্দটা বারবার বুকে গোঁত্তা খাচ্ছিল, ও’দিকে এই মাত্র বৌয়ের এসএমএস এলো; “চারটের মধ্যে বেরিও, আমায় যেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা না করতে হয়”। বুকে মৃদু প্যালপিটেশন টের পাচ্ছিলেন দত্তবাবু। গত মাসে গড়িয়াহাটে যাওয়ার প্ল্যান তিন তিনবার ভেস্তেছে। নার্ভাসনেসটা কাটানোর জন্য পাড়ার হরি-চপওয়ালার টইটুম্বুর কড়াইটার কথা ভাবতে শুরু করলেন তিনি। মেঘলা বিকেল, তেলে টইটুম্বুর কড়াই; টগবগিয়ে রিদ্‌ম তৈরি হচ্ছে। সে মনমোহিনী কড়াইয়ে পাশাপাশি ভাসছে বেগুনি আর আলুর চপ; মন-কেমনের সুবাসে বাতাস ভারি হয়ে রয়েছে। স্যান্ডো গেঞ্জি আর নীল লুঙ্গি পরে নির্ভীক রাজপুতের মত বসে হরি সমাদ্দার, চোখ কড়াই

কলকাতা ইন্টেলেক্ট বনাম মুম্বই স্পিরিট

ওই। ওই যে। মুম্বই স্পিরিট আর কলকাতা ইন্টেলেক্ট হাতাহাতি শুরু করল বলে। এক্কেবারে রক্তারক্তি কিছু ঘটবেই এ'বার। মুম্বই জামার হাতা গুটোয় তো কলকাতা পাঞ্জাবির পকেটে ডটপেন গুঁজে হুঙ্কার ঝাড়ে 'আয়ে তোকে মেরে তক্তা করি'। মুম্বই বলে  'অ্যাইসা প্যাদানি দেব যে চার্নক আর চার্বাক গুলিয়ে যাবে', ও'দিকে কলকাতা টি-শার্ট-চে'র খুনে দৃষ্টিতে দুনিয়া জ্বালিয়ে দেওয়ার উপক্রম করে। মুম্বই বাইসেপ ট্রাইসেপ বাগিয়ে, বড়াপাও চেবাতে চেবাতে হুড়মুড় করে তেড়ে আসে। আর কলকাতা চটপট চা-বিস্কুট শেষ করে, একটা মামলেটের অর্ডার দিয়ে দৌড়ে এসে চেল্লায় 'ডাকব পার্টির ছেলে? ডাকব'? অমনি দুম করে নামে বৃষ্টি, ঝমঝমিয়ে। আর তখন মুম্বইয়ের গলার তেজ মিহি হয়ে আসে "ভায়া, এ'বার ট্রেন ধরতে হবে যে। তবে কাল তোমার ছাড় নেই, এক্কেবারে ইস্তিরি করে ছাড়ব, কেমন"? কলকাতা মাথা নেড়ে বলে "সেই ভালো। কালকেই বরং তোমার লাশ ফ্লাশ করে দেব'খন। আজ ভাবছি একটা সাতশো আটশো গ্রামের ইলিশ নিয়ে ফিরব। নয়ত এই ডাউনপোরকে জাস্টিফাই করা যাবে না। চলি, অ্যাঁ"?

হুজুগিস্টস

- কী খবর রে ? - আর বলিস না ভাই, ব্রাজিল সেমিফাইনালের আগেই হেরে গেল, বিশ্বকাপটাই কেমন যেন ম্যাড়মেড়ে হয়ে গেল। - তুই ফুটবল নিয়ে বড় বড় কথা বলছিস? তুই? - না না, এ কী। বড় বড় কথা কই, খারাপ লেগেছে তাই বলছিলাম...। আড়াইশো টাকার চকোলেট বোম কিনেছিলাম ভাই..। পরশু মেজদা ফলস দাঁতটা লেগে যাবে, সে'দিনই সেগুলো ফাটাবো না হয়। - তোদের কথাবার্তা শুনলে গা জ্বলে যায় মাইরি। - ও মা! কেন? তুই বুঝি বেলজিয়ামের ভক্ত? - শোন শোন, আমি ফুটবলের ভক্ত। তোদের মত চার বছরে একবার হুজুগ বেচে খাওয়া পাবলিক নই। - তা বটে, ওয়ার্ল্ড কাপ ছাড়া ফুটবল আর তেমন দেখি কই...তবে...। - যত দ্যাখনাই ফুটবল কেত। ক'টা প্লেয়ারের নাম জানতিস রে বিশ্বকাপ শুরুর আগে? মেসি মেসি করে দেখলাম সে'দিন ফেসবুকে হাউহাউ করে কাঁদলি। লজ্জা করল না রে? বার্সার ক'টা ম্যাচ দেখেছিস গত বছর? - আসলে ওয়ার্ল্ডকাপের ম্যাচগুলো খুব মনে দিয়ে দেখি কিন্তু...। - থাম থাম। প্রেমিয়ার লিগের খবর রাখিস? জাপানিদের ফুটবল সেট-আপ কতটা কম্পিটিটিভ, সে'টা জানিস? খালি আজেবাজে বাতেলা। - তা বটে রে। তবে বড় ভালো লাগছে খেলাগুলো..। - তা স্রেফ তুই হাড়হাভাতে বলে..। যত্তসব উ

অলোকবাবুর ব্যবসা

- আরে, অলোকবাবু! এনেছেন কিছু? - নয়ত এই ভরদুপুরে দেড় ঘণ্টা মিনিবাস ঠেঙিয়ে আসি? বাপরেবাপ। আজ বোধ হয় আটত্রিশ ডিগ্রি চলছে। - দামী জিনিস পকেটে নিয়ে মিনিবাসে এলেন? - দেখুন মিস্টার মিত্র। ট্যাক্সি এক অতি লাটসাহেবি ব্যাপার। আমার গুরুদেব মাঝেমধ্যেই বলেন, ট্যাক্সি ধরার অভ্যাস মানুষকে বখিয়ে দেয়। - সেই তারাপীঠের ভদ্রলোক? - সিদ্ধপুরুষ মশাই। - কই? - কী কই? - বের করুন! মালটা। - ওহ্। এক মিনিট। এই যে। - এ'টা? - আজ্ঞে। - এই নস্যির ডিবেটা? - এ'টাই। - এ'তো রূপোর মাল। সস্তা। - হ্যাঁ, কোনো গবেটের কাছে এর দাম হাজার খানেকের বেশি না। কিন্তু সমঝদারের কাছে, এ জিনিস অমূল্য। - এই, আপনি ইয়ার্কি করছেন? - বাইশ বছর এই লাইনে আছি। মিরজাফরের লুঙ্গি টু নেতাজীর চশমার খাপ; কী না যোগাড় করে দিয়েছি। বার্ডোয়ান রোডের সেই শেঠ আমার কাছে চেয়েছিলেন গান্ধীর এক্সকুইসিট কিছু। গান্ধীর তিনবার দাড়ি কামানো ব্লেড আমি তাকে জোগাড় করে দিইনি? আমি ইয়ার্কি-ঠাট্টার লোক হলে এ'সব হত? - কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নস্যি নিতেন? ধুস, কোথাও পড়িনি..। - গোপন নেশা। বোলপুরের বেস্ট কেপ্ট সিক্রেট। - না অলোকবাবু, মন সরছে না। আমার সে