প্রবল বিরক্তি নিয়ে পাশ ফিরে শুলাম। কিন্তু তখনই গোলমালটা পাকালো। কী নিয়ে বিরক্ত হয়েছিলাম? কিছুতেই মনে পড়ল না। পাশবালিশটা জাপটে ধরলাম, মাথা ঠাণ্ডা করতে হবে। কেন বিরক্ত হয়েছিলাম? কার ওপর? কোন বিষয়ে? মহামুশকিল, কিছুতেই মনে পড়ছে না। আর তখনই টের পেলাম যে আরো অনেক কিছু মনে পড়ছে না। এই যেমন শিয়রের খোলা জানালার ও'পাশে অন্ধকার দেখে সময়টা রাত মালুম হচ্ছে বটে কিন্তু এখন ঠিক ক'টা বাজে? নাহ্, খেয়াল করে দেখলাম আমার কোনো হাতঘড়ি নেই। খাটের পাশে একটা টেবিল আছে বটে কিন্তু কিন্তু তার ওপর কোনো ঘড়ি নেই। দেওয়ালে ঘড়ি আছে কি কোনো? বাতি জ্বালার চেষ্টা করব? নাহ, সাহস হল না। ঘড়ি বা স্যুইচ বোর্ড কোথায় আছে সে সম্বন্ধে আমার কোনো ধারনাই নেই কারণ এই ঘরটা আমার আদৌ চেনা নয়। গলা শুকিয়ে আসছিল। জানালা দিয়ে বেশ ফুরফুর হাওয়া আসছে, অথচ আমি ঘেমে উঠছি। তারিখ দূরের কথা, এ'টা বছরের কোন সময় সে'টাও মনে করতে পারছি না। দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম। "ঘুম আসছে না বাবু"? সম্বিত ফিরল পিঠে একটা নরম হাতের স্পর্শে। কণ্ঠ শুনে মনে হয় কোনো বাচ্চা মেয়ে। কিন্তু সে কণ্ঠ কী মিষ্টি, কী নরম। মনের বিরক্তি যেন উবে গেল। একবার মনে
তন্ময় মুখার্জীর ব্লগ