Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2012

নব যুধিষ্ঠীর-উবাচ

পটভূমি : পাণ্ডবদের বনবাসের এক দিন । তৃষ্ণার্ত যুধিষ্ঠির-দ্রৌপদীর জন্যে জল আনতে গিয়ে একে একে সহদেব , নকুল , অর্জুন ও ভীম নিকেশ হলেন পুকুর-মালিক এক যক্ষ ’ য়ের হাতে । “দ্রৌপদীর সঙ্গে মন দিয়ে দুটি কথা কইবো তার উপায় নেই , চার চারটে ব্রাদার হাপিস সামান্য জল আনতে গিয়ে। ধুত্তুরী বিরত্ব ” রাগে গজ গজ করতে করতে বাধ্য হয়ে যুধিষ্ঠিরবাবু চললেন ভাইদের খোঁজে এবং অবশেষে এসে পৌছোলেন যক্ষের পুকুরের কাছে । পুকুরের কাছে গিয়েই যুধিষ্ঠিরবাবুর চক্ষু ছানাবড়া । পাশাপাশি ভীম , অর্জুন , নকুল সহদেবের লাশ পড়ে আছে । এ কী কেলো! ভীম-অর্জুন না থাকলে দুর্যোধন ঠেঙ্গিয়ে রাজ্য ওয়াপস আনবে কে ? নকুল-সহদেব না থাকলে ফাইফরমাশ খাটবে কোন গাধায় ? এ তো মহা-কেস । তবে পিপাসা ভীষণ পেয়েছিলো । যুধিষ্ঠির বাবু ভাবলেন চাপ নেওয়ার আগে জল-টল খেয়ে একটু ঠান্ডা হওয়া যাক । এই ভেবে যেইনা পুকুরের দিকে পা বাড়িয়েছেন যুধিষ্ঠিরবাবু , অমনি বিকট পলিটিক্যাল গুণ্ডার মত চেহারা নিয়ে যক্ষ হাজির- “  এইয়ো , রোককে , পিছে হঠ! মাগনায় জল খাবি নাকি ?” -“কে ? কে ? ” , থতমত হয়ে পড়লেন যুধিষ্ঠিরবাবু , “ কে মশায় আপনি ?”

পর্ণ-গেট ও স্বর্গ-দুয়ার

দুরু দুরু পায়ে গোমূত বাবু লাল গালিচা মারিয়ে হেঁটে এলেন । চারিদিকে কুয়াশা মাখা ক্লাসি ব্যাপার। কুয়াশা চিরে শুধু এই লাল গালিচার পথ গিয়ে ঠেকেছে একটা বেঢপ সেগুন কাঠের বার্নিশ করা দরজায়। আর কিস্যু নেই কোথাও। আকাশ-মাটি কিছু না। শুধু কুয়াশা , লাল গালিচা আর সেগুন কাঠের দরজা। মরবার পর থেকে তেরোশো বছর ধরে ড্যাঙস-পিটুনি খেয়ে আসছেন গোমূত-বাবু। পোলিটিকাল কেরিয়ারের মাশুল । পরলোকে যে এমন ফ্যাসিবাদ চলছে তা জানলে কী আর এত সহজে মারা যেতেন ? আরে বাবা স্ট্রেট পিটুনি , লোয়ার কোর্ট-হায়ার কোর্ট বলে কোনও বাফার নেই । রাসকালা!অবশ্য আরও সাতশো বছর ডান্ডা-পেটা হওয়ার কথা ছিল গোমূত-বাবুর , তার অন্য সমস্ত রাজনৈতিক সঙ্গীদের মত । কিন্তু হটাত্‍ কোথা থেকে এক হুকুম-নামা এলো , যে নরক-ঠ্যাঙ্গানির মাঝে একটা ছোট্ট এক মাসের স্বর্গ-বিরাম তিনি পাবেন। অন্য কারুর কপালে এমন জ্যাকপট জোটেনি । কিন্তু গোমূত-বাবুর বরাত এমন দরাজ হলো কেনো গোমূতবাবু শত ভেবেও কুল-কিনারা করতে পারছেন না । ওই বার্নিশ করা দরজার ওপারে রয়েছে স্বর্গরাজ্য। সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে দরজার কাছে পৌছলেন গোমূতবাবু এবং নক করলেন । স্যটাক করে খুল

বারুদের গন্ধ

পোড়া বারুদের গন্ধ লিওনের ভারী প্রিয় । যখনই মেশিন গানের গুমম-গুমম-গুমম শব্দ ভেসে আসে , লিওন ছুটে চলে যায় তাদের এক-কামরার এসবেস্টসের ঘরের কোণের এক মাত্র বন্ধ জানলার কোনের ছোটো ফুটোটার কাছে এবং মন ভোরে বারুদের গন্ধ শুষে নেয়। মা বলে এ গন্ধে নাকি বমি আসে , কে জানে বাবা , যখন থেকে লিওন গন্ধ চিনতে শিখেছে , তখন থেকেই বারুদের সুবাস চেনে লিওন । গত অক্টোবর মাসে যখন কিছুদিনের জন্য শহরে যুদ্ধ বন্ধ ছিল , সে ছিল ভারী আনন্দের সময়। সাত বছরের লিওন সেই প্রথম এক টানা সাত দিন বার্লি বা সেনাবাহিনীর বিলি করা শক্ত পাউরুটি না খেয়ে রোজ ভাত খেয়েছিলো । কিন্তু ওই সাত দিনের মধ্যে একটা ব্যাপারেই লিওনের একটু কেমন কেমন লেগেছিলো। কোনও বারুদের গন্ধ ওই কয়দিন নাকে লিওনের নাকে আসেনি । দেশলাই-কাঠির পোড়া আগায় নাক ঠেকিয়ে দেখেছিলো লিওন , সে বারুদের গন্ধ অন্যরকম । দিনে যখন দু ঘন্টার জন্যে কারফিউ ওঠে , তখন লিওন ওদের বাড়ির সামনের অপরিষ্কার ফুটপাথে ঘুর-ঘুর করে আসে-পাশের ঝুপড়ির কিছু সম-বয়েসির সঙ্গে। রাস্তায় যে কামানের ঘষটানির দাগ থাকে , তার থেকে গন্ধ আসে মেটে-তেলের । রাস্তায় চলমান সৈন্যদের ভীড় থেকে ভারী হয

100. And A Brief History of Bong Pen

হনুমানের পাহাড় খুবলে কতটা মস্তি হয়েছিলো ? যুধিষ্ঠীরের অশ্বমেধ যজ্ঞ করে কতটা ফুর্তি হয়েছিলো ? হেক্টরের ট্রয় থেকে হেলেন ঝেড়ে কতটা ছাতি ফুলেছিলো ? ওডেসিয়াসের রাজকার্য চুলোয় দিয়ে বিশ্বময় টই-টই করে বেড়াতে কেমন লেগেছিলো ? সহজ উত্তর হচ্ছে: ব্যাপক! আমি হনুমান , যুধিষ্ঠির , হেক্টর , ওডেসিয়াস কোনটাই নই , তাই বলে আমার কোনও ‘Epic’ কিছুর ওপর কোনও অধিকার থাকবে না , তা কী করে হয়! না হয় সেটা পাতি-লেভেলেই হল , কিন্তু একটু নিজের পিঠে চাপড় মারবো না সেটা কী ভাল দ্যাখায় ? এত ভণিতা যে করলুম তার মূল কারণ হলো , Bong Pen’ এর ৯৯ পোস্ট পেরিয়ে এবার ১০০তম পোস্টের সময় । এই সুযোগে দেদার ভাবে নিজের ঢোল পিটিয়ে নেওয়া উচিত। তা বলে নিজের পিঠ নিজে চুলকোবো ? ধরলাম মাকু ’ কে (ওরফে সুহেল ব্যানার্জী ) । Bong Pen’ য়ের মূল আইডিয়া এই সুহেলেরই । এবং BongPen শুরুর সময়ই ঠিক ছিলো যে ১০০তম পোস্ট লিখবে সুহেলই । ছোটবেলার বন্ধু হিসেবে , আমি শুধু কিছু গোপন ‘ ইনফরমেসন ’ ভিত্তি করে সুহেল কে ব্ল্যাকমেল করে রেখেছিলাম যাতে বংপেনের বিষয়ে কথা ছাড়াও আমার  ব্যাপারেও যেন বেশ গাল-ভারী

ইন্টারনেট গুবলেট

বস্তুত , প্রযুক্তি হিসেবে বাঙালি জাতির কাছে ইন্টারনেট প্রবল ভাবে ব্যর্থ । ইন্টারনেট নামক জন্তুটি যে সহজ সত্য অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছে , সেটি হলো যে বাঙালি জাতির 'পরিবর্তন' কোনও সার্ভার ’ য়ের হাতে নয় , রয়েছে ব্যালটে ও ইসবগুলের স্বাদে । ইন্টারনেটের স্বপক্ষে যাবতীয় যুক্তি , আদপে বাঙালির মূল জাতিগত স্বার্থগুলোতে বারংবার প্রবল আঘাত হেনেছে । তলিয়ে দেখলে , ইন্টারনেট আসলে বাঙালির থেকে বাঙালিয়ানা কেড়ে নেওয়ার একটি নির্মম মহাজাগতিক প্রচেষ্টা মাত্র। হে গুগল-লেহনকারী বঙ্গসন্তান , শান্ত চিত্তে ভেবে বলুন তো এই আন্তর্জালিক মক্কেলটি আপনার কোন ইন্দ্রিয়ে সুড়সুড়ি দিয়েছে যে আপনি এর কেন গোলাম হয়ে থাকবেন ? ভাতঘুম বেঁচে থাক , এই প্রযুক্তির নেশা কাটিয়ে উঠুক বাঙালি , নয়তো অচিরেই তার অস্তিত্ব সাফ হয়ে যেতে পারে। ইন্টারনেটের উপকারিতা কোথায় ? বিশ্ব-ব্যপি যোগাযোগ ’ য়ের সুবিধে ? বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ রেখে আমরা কী করব ? ঘরের কোনে আলতো পেছণ ঠেকিয়ে ভ্রমণ কাহিনী পড়বো , মুড়ি চানাচুর খেতে খেতে কাফকা পড়বো , এর বেশি বিশ্বযোগ ’ য়ে আমাদের কী কাজ ? যোগাযোগের নামে বাঙালীকে বাংল