Skip to main content

Posts

Showing posts from 2010

কলেজ স্ট্রিট'য়ের খাওয়া-দাওয়া

To Read This Post In English Font, Click Here কলেজ স্ট্রিট ঘেঁষে যে চার বছর ' এর মেস- phase কেটেছে , সেই সময়কর ফুড-হ্যাবিট নিয়ে কিছু কথা ব্লগ রেকর্ডে ঢুকিয়ে রাখা উচিত। ফর ফিউচার রেফারেন্স। বিশেষ করে মমতা যদি সত্যিই কলকাতা ' কে লন্ডনে কনভার্ট করতে পারেন (দিদি ' র একটা প্রোগ্রেস থিম আছে না ? কলকাতা কে লণ্ডন , দার্জিলিং কে সুইজারল্যান্ড এবং দীঘা কে গোয়া ?), তাহলে এসব খাওয়ার-দাওয়ার'গুলো ফসিল-স্মৃতি হয়ে যাওয়ার হেভী চান্স আছে। তখন আমি গ্র্যাজুয়েসন করছি ক্যালকাটা উনিভার্সিটি থেকে। থাকছি আমহার্স্ট স্ট্রীট পোস্ট অফিসের উল্টো দিকের এক ছোট্ট গলি সীতারাম ঘোষ স্ট্রীট ' এর এক মেস বাড়িতে। সেই সময় খাওয়া-দাওয়ার প্যাটার্ণ ছিল বেশ সোজা সাপটা। রাত তিন ' টের আগে ঘুমতাম না , তাই বেলা এগারো ' টার আগে ঘুম ভাঙ্গতো না , তাই জলখাবারের কোনও পাট কখনোই ছিল না। কখনো কখনো মেস ' এর নিচের অমিত ' এর চা ' এর দোকান থেকে ডিম-পাউরুটি অবশ্য খাওয়া হত , তবে সাধারণত ব্রেকফাস্ট ব্যাপারটা উহ্যই থাকত। দুপুর ' এর খাওয়া এবং রাত ' এর খাওয়াটা মেস ' য়েই হত।

গুগল ঠাট্টা

(For Those Who Are Not Able To Read Bengali Font, To Read This Post In English Font, Click Here) ইন্টারনেটে একটা মস্করা বহু প্রচলিত আছে। প্রশ্ন: -" How do you spell God?" উত্তর: " G-O-O-G-L-E" রজনীকান্ত (" তুমি নির্মল কর" খ্যাত নয় , " শিবাজী" খ্যাত) নয় , মারাদোনা ' র হাতও নয় , এ যুগ ' এ ঈশ্বরত্ব যদি কাউকে গছানো যায় তবে সে হচ্ছে গুগল। কারণ স্পষ্ট। আমার এক বন্ধু , গুগল ' য়ে কর্মরত হয়েও এই ধারণা ' টা শুনলেই উসখুস করে উঠতো। মাঝেই মাঝেইবলতো "টেকনোলজি কখনো ভগবান হতে পারে না ব্রাদার , মানুষের চ্যালেঞ্জ ফেস করার ক্ষমতাটেকনোলজির নেই"। সেই বন্ধুর নাম সুহেল , সুহেল বারুজ্জ্যে। এই সেদিন সুহেল একটা ছোট্ট একটা মেল পাঠালো:

দ্য গ্রেট কালচারাল দাদাগিরি

To Read This Post In English Font, Click Here লিওপোল্ড ’ এর লালচে আলো মাখা সন্ধ্যের আঁচ , আধ ঘন্টার মধ্যে যেকোনো মগজে ঝিম নামিয়ে দিতে পারে , মাতাল সহকর্মীগুলোর সঙ্গে মুম্বাই ’ এর এই পান-তীর্থে এসে বুঝলাম যে কলকাতার দিবাকর সান্যালের জাজমেন্টটা নেহাত ফালতু নয়। টেবিলে সহকর্মীদের এক ঘেয়ে এলকহোলিক আড্ডাবাজি থেকে উঠে এসে , বার ঘেঁষে একটা আরাম-টুলে বসলুম । গেলাসে মন দেব , এমন সময় কাটোয়া লোকাল ছাপ চাহিদা ভেসে এলো ; “দাদা দেশলাই আছে ?” ।

রোগ-সুন্দর

(To read this post in English font, click here) ভাইরাল , জ্বর-গলা ব্যথা-চোখ লাল-জ্বিভ বিস্বাদ ! তবে এসব যন্ত্রণা সহ্য করেও যখন দেখি সোমবার দুপুরে ; অফিসের থবড়ানি ভোগ না করে , মেডিকাল লিভের দৌলতে ঘরে বসে মন দিয়ে ভি সি ডি ’ তে আইস এজ দেখছি , তখন দিল সুপার খুশ হয়ে যায় । সাবাস ভাইরাল , উইকেন্ডটাকে পাস কাটিয়ে ঠিক রবিবার রাত থেকে গায়ে টেম্পরেচার। কি টাইমিং মাইরি। নাহ , শুধু সেলস টার্গেটি নয় , জীবনে ভগবানও আছেন। বিকেলে বউ সলিড ঝাল ফুচকা নিয়ে আসবে , তাতে নাকি জ্বিভের টেস্ট-বাড ’ রা জেগে উঠবে। এই বডি টেম্পরেচার আর দু দিন টানতে পারলেই হল , বিষ্যুদ-শুক্কুর অফিসে টুকি মেরেই ফের উইকেণ্ড , ক্লাস সিচুয়েশন! অতএব কনক্লুশান ?, রোগ-ভোগ মানে যে হামেশাই টেনশন-দুশ্চিন্তা-কষ্ট তা নয়। প্রাসঙ্গিক দুটি কেস:

Amnesiac হিজিবিজি

একটি দুর্ঘটনা। স্মৃতির এলোমেলো হয়ে যাওয়া এক মানুষের কিছু অসংলগ্নতা , পুরনো খাতার পাতায় কিছু হিজিবিজি। হিজিবিজি সর্বস্ব কাগজটার হাতে চলে আসা একান্তই আকস্মিক। ******** তখন থেকে রুমালের এক কোন মন দিয়ে চিবিয়ে চলেছি । নোনতা , বিস্বাদ। মিডিল টার্ম ফ্যাক্টরাইজেসনে তো এর আগে কখনো থমকে যেতে হয়নি । এই অঙ্কের বইটা কার ? অভিরূপের ? রুমালটা থেকে ভারী বিকট গন্ধ আসছে , কতদিন ধোয়া হয়নি বোধ হয় । রুমাল কে ধুতো ? মা ? রুমাল মা ’ ই ধুতো , স্পষ্ট মনে পড়ছে এলুমিনিয়ামের বালতি , সাদা ফ্যানা , কল ঘর। মা ’ এর মুখ টা আবছা ভাসছে।

১৫ আগস্ট: কথা ,স্মৃতি এবং ৬৩ বছর

৬৩ বছরের আগেকার কিছু অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছিলাম পরিচিত কয়েকজনের কাছে , সাদা - মাঠা কিছু স্মৃতি সাজিয়ে দিলেন কিছু পুরনো , ওপার বাংলা থেকে চলে আসা মানুষ :

আমি, আমার মন

পুরুষ অধ্যায় অফিস ফেরত ক্লান্ত শরীরটাকে ঘেঁসটে কোনো রকমে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে এসে কলিং বেল টিপলাম ; " টিং"! কোনো সাড়া শব্দ নেই ভিতর থেকে! ফের টিং! চুপ! টিং টিং! এবারও চুপ! ঘামে চুপসে গিয়ে এবার মেজাজ চড়তে সুরু করলো! স্বামী গোটা দিন অফিসে দলাই মলাই হয়ে থেবড়ে বাড়ি ফিরছে , আর বউ এই ভর সন্ধ্যে বেলায় পড়েপড়ে ঘুমুচ্ছে! রাবিশ ইনসেনসিটিভ সংসার!

নাম নবমী

To Read This Post In English Font Click Here আমার এক দূর সম্পর্কের দাদু আছেন , মিঠে দাদু বলে পাড়াময় ফেমাস! মাঝে মধ্যেই তিনি আমার সাথে দিন কয় কাটিয়ে যান।বিরাশি বছর বয়েস হলেও তুরীয় মেজাজের ভদ্রলোক! গোলাপ চাষ করে আর দিনে দু পেগ হুইস্কি খেয়ে প্রবল ফুর্তিতে থাকেন। কলকাতার হুরুম হারুম হই হই রই রই থেকে একটু নিজেকে ইনসুলেট করতেই তার আমার কাছে বিহারের এই ছোট্ট সহরে এসে কিছুদিন কাটিয়ে যাওয়া। ভদ্রলোকের মেমরি অতি ধারালো! নিজের বিয়ের মেনু ' তে কি কি পদ ছিল এখনো কর গুনে শুনিয়ে দিতে পারেন। অথচ অদ্ভূত ব্যাপার হলো এতবার আসা সত্ত্বেও আমার ড্রাইভার ধর্মেন্দ্র সিং ' এর নামটি উনি বার বার গুলিয়ে ফ্যালেন।

আই পী এল ২০১০ রিভিউ ৪ :"দাদা টু দাদু" স্পেশাল

দিব্যকান্তি দাশগুপ্ত! কসবায় বাড়ি, শখ ফটোগ্রাফি, চাউমিন বানানো এবং বস্তাপচা সমস্ত ব্লগ পড়া। আমার সঙ্গে আলাপ ব্লগ সূত্রেই। মুদ্রাদোষ হিসেবে সক্কলকে স্যার বলে ডাকেন। ভারী অমায়িক কিন্তু টেম্পরামেণ্টল মানুষ। গতকাল, একটি বাংলা নিউজ চ্যানেলের ফুটেজে দেখি ভদ্রলোক “দাদা থেকে দাদু” ক্যাপশন লাগানো একটা সৌরভ গাঙ্গুলীর ছবি নিয়ে ইডেন গার্ডেনের সামনে দূম দাম চিল্লিয়ে চলেছেন। ভদ্রলোকের মোবাইল নম্বর কাছেই ছিল। ডায়াল করতেই হালুম গলায় ফোনে ধরলেন, “আররে বলুন সার, কি খবর” “দাদা থেকে দাদু”এর ইস্যু তে ক্লারিফিকেশন চাইতেই দিব্যবাবু জানিয়ে দিলেন যে কলকাতার ইনসাল্ট সইতে না পেরেই তিনি দাদা হঠাও ক্যামপেনে এগিয়ে এসেছেন। “ আরে মশাই একের পর এক হার, প্লাস এই ভদ্রলোকের ঠুকঠুক, টলারেট করা যায়? কলকাতার মান ইজ্জত বসিয়ে দিল? ক্যাপ্টেনের কি যোগদান আছে বলুন এই টিমে?শাহরুখবাবুর কাছে মাস-পিটিশন পাঠাতে হবে এই দাদা-রুপি-দাদুকে এলিমিনেট করতে” এহেন প্রচুর কথা আবেগ নিয়ে বোঝালেন, বাঙালির ক্যারেক্টার যে এখনো সত্যি বলতে ডরায় না, সেটা প্রমাণ করতেই হবে, তা সে ন্যানো হোক কি দাদা, সত্যি বলতে গিয়ে নার্ভাস হলে চলবে না! এত

নাভির ডেপ্থ: একটি কবিতার বই

মান্তুদা ইন্টেলেকচুয়াল এনটিটি! তুফান ভাবনা চিন্তায় বেঁচে থাকে! কবিতা টবিতা লেখে, দেরিদা-ক্যাল্ভিনো এসপার-ওসপার করে দুপুর কাটায়। প্লীউরসিস থাকা সত্যেও সিগারেট ধরেছিল স্রেফ কফি হাউসে-ব্রেন'দের সাথে ওঠ-বস করতে হবে ভেবে।। বুর্জওয়া চাকরির মাথায় জুতো মেরে, দি নিউ অন্নপূর্ণা রেস্টুরেন্টে রুটি-মুরগি-কোক সেবন করতে করতে,সর্বহারা কোনো প্রফেশনাল অলি গলি খুঁজতে সর্বদা ব্যস্ত; এই হলো আমাদের মান্তুদা! মান্তুদার এবার একটা কবিতার বই বেরোলো; "নাভির ডেপ্থ"! এর আগে মান্তুদার যে সব ফ্রেশ কবির বই চাউমিন খরচা বাঁচিয়ে কিনেছিল, সেই কবিরাই কিনলো 'নাভির ডেপ্থ'! তিরিশ টাকা ধার ছিল আমার মান্তুদার কাছে, শোধ করলাম বই কিনে! বই বেরোবার মাস খানেক পর মান্তুদার সাথে কলেজ স্ট্রীট'এ দ্যাখা, তখন মাত্নুদা সিনেমাটিক ভঙ্গি তে সিগারেট জ্বালানোর চেষ্টা করছিল কলেজ স্কোয়ারের পাবলিক ঈউরিনালের সামনে! আমাকে দেখেই তৃপ্তির হাসি ডিসপ্লে করে বললে, "পচা, সাইত্রিশ কপি হট কেকের মত উড়ে গ্যাছে রে, আমার পাবলিশার বলেছে সেকেন্ড বেস্ট অল টাইম লিস্টে! তুই পড়লি?" মাথা চুলকে সপাট মিথ্যে কথা চালিয়ে

আই পী এল ৩- রিভিউ : ২

প্রাথমিক কিছু ইনারশিয়া কাঁপানো মুহূর্ত এসে ছিল বটে, তবে এইবার বেশ সব কিছু ঠিকঠাক লাগছে! নাইট রাইডার্স ফের নির্ভয়ে হারের জগতে ফিরে এসেছে. ব্র্যাড হজ দিব্বি ইনিংস জুড়ে সেট হচ্ছেন, সৌরভ সেট হয়ে আউট হচ্ছেন, সাড়ে তিন কোটির বন্ড সাড়ে তিন খানা ইয়র্কার ফেলছেন না; সে এক ঝকঝকে পরিতৃপ্তি! অতুল ওয়াসন ম্যাচ বিশ্লেষণ করছেন, মন্দিরা বেদির অভাব তাতে কিছুটা পূরণ হয়েছে বই কি। সেট ম্যাক্সের বিশ্রী রুচিতে বিজ্ঞাপনের মাঝে ক্রিকেট গুঁজে দেওয়া! স্ট্র্যাটেজি ব্রেকের বুদ্ধিতেও কুলোচ্ছে না, এবার শুরু ওভার'এর মাঝখানে বিজ্ঞাপন! ফাটাফাটি! প্রত্যেক বল অন্তর বিজ্ঞাপন শুরু হবে বোধ হয় পরের বছর থেকে! এবং প্রত্যেক ওভার অন্তর স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউট! তবে এই তাবত সার্কাস মাঝেও সচিন রমেশ তেন্ডুলকার যে কি প্রবল ক্রিকেট-খিদে নিয়ে প্রতি ম্যাচে নেমে আসেন, ভাবতেও অবাক লাগে!২০ বছর..অথচ আজও বে-টাইমিং'এর একটা শট তাকে যন্ত্রনা দেয়। ভাবতে ভালো লাগে যে এই মোদী-মঙ্গুস-মন্দিরা-মাল্য'দের চিত্রহার ভেদ করে, এখনো একটা বেঁটে মারাঠির ব্যাটিং ক্রিকেট কে ক্রিকেটে বেঁধে রেখেছে!

খুঁতখুঁতে

আমার সঙ্গিনীটি ভারী খুঁতখুঁতে! রিয়ালিটি ব্যাপারটা সরেজমিনে পরখ করে নেওয়া তার অভ্যেস! কোলেস্টেরল-কন্ট্রোলে, প্রয়োজনে ড্রপার'এ মেঁপে তেল নিয়ে তিনি রাঁধেন, মোবাইল যাতে অতি-'চার্জিত' না হয়ে যায় সেই জন্যে স্টপ-ওয়াচ ধরে মোবাইল চার্জে লাগান, চোখ বাঁচাতে স্কেল সমেত টিভি থেকে দুরত্ব মেঁপে নেন; এহেন বাস্তববাদী 'খুঁত খুঁত'ইস্ট তিনি! এই মাত্র, সোফা ত্যাগ করে তিনি তার খুঁতখুঁত আঁকড়ে রেখে একবার দেয়াল ঘড়ির দিকে চাইলেন, তারপর যত্ন করে দেখলেন নিজের হাত ঘড়িটুকু এবং তদুপুরি নিজের মোবাইলে সুইচ টিপে মোবায়ীলোস্থ ঘড়িটির দিকে স্থীর দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলেন! তারপর সময়ের reliability কাঁচকলা দেখিয়ে সবেগে ছুড়ে দিলেন লাসিথ মালিঙ্গাইস্টিক প্রশ্ন: " এখন actually ঠিক কটা বেজেছে বলো তো?"

আই পী এল ৩- রিভিউ : ১

আই পী এল ৩ চালু, রঙ্গ তামাশা মন্দ শুরু হয়নি! দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে, ব্লগে আই পী এল মুখী চিন্তা ভাবনা গুঁজে দেওয়ার দায়টুকু আমার আছে! সার্কাসে জ্যান্ত বাঘ বাতিল হয়ে যাওয়ার পর থেকে এমন হিল্লে ইভেন্ট এ দেশে আর দুটি আসেনি। থ্রী চিয়ার্স টু মোদী! থ্রী চিয়ার্স টু মন্দিরা! দু দিন হলো আই পী এল-৩ এর,পোস্ট লেখার সময় দুটি ম্যাচ হয়ে গ্যাছে, তৃতীয় ম্যাচে প্রীতি পাঞ্জাব বনাম দিল্লিবাজদের ঘষা ঘষি চালু। সামগ্রিক কিছু বিপর্যয়মূলক কাহিনী ঘটে গ্যাছে ইতিমধ্যে: ১. এক্সট্রা ইনিংস (যা কিনা অরুনলাল-সিদ্ধু-কোচ্ছারে পাঠান-সচিন'সহ ম্যাচের থেকেও বেশি জমজমাট) মন্দিরা বেদী-হীন! মন্দিরার নুডল স্ট্র্যাপ ও বিশ্লেষণ ছাড়া ক্রিকেট? ছিঃ! এট লিস্ট ওই সোনালী নাগরানী কেও কি রাখা যাচ্ছিল না? শুধু চিয়ার লিডার দেখে সময় কাটবে? ২. নাইট রাইডার্সএর কঠিন ম্যাচ জেতা! আরে, কে কে আর ম্যাচ জিতলে মনোরঞ্জন যোগাবে কে ? ৩. রাসেল আর্নল্ড কমেন্ট্রি করছেন! আমি ভাবছি ইলেকসন লড়ব! কি বস্তু বানিয়েছ গুরু! তবে শুধু বিপর্যয় কেন? ইনোভেশনটুকু কে স্যালুট করতে হবে না? স্ট্র্যাটেজি ব্রেক এখন নতুন আড়াই মিনিটের টুকরো টুকরো

নারী ঘটিত

ছোটবেলায় ইংরেজি স্যার সুব্রতবাবু বলেছিলেন যে, "রোমান্স'এর সব চেয়ে কুইন্ট এসেনসিয়াল কম্পোনেন্ট কি জানিস পচা? আয়রনি (Irony)!" ভারী রোমান্টিক দেশে আমাদের। আজ, রাজ্যসভার মঞ্জুরি পেয়ে নিশ্চিত পদক্ষেপে এগিয়ে গ্যালো মহিলা সংরক্ষণ বিল। একই দিনে বিহারে, ডাইনি সন্দেহে এক মহিলা কে গণপিটুনির চোটে মারা যেতে হলো (খবর সুত্র: NDTV)। একটা লজিকাল প্রশ্ন না খেলালেই নয়, চাকরি যাওয়ার রিস্কটা কি পুরুষ সাংসদরা মেনে নিতে পারবেন? মন থেকে মেনে নিতে পারবেন? বর্তমানে ৫৯ জন মহিলা সাংসদ রয়েছেন লোকসভাতে। এই সংখ্যাটা সোজাসুজি গিয়ে ঠেকবে ১৬০ এর ওপরে! অর্থাত এই বিলটির কল্যানে বর্তমানে সংসদ আছেন (পুরুষ) এমন অন্তত শ-খানেকের বেকারী নিশ্চিত। সহজ ভাষায় প্রতি ৫ জন রাজনীতিক অন্তর একজনের কেরিয়ার কপচে যেতে চলেছে! এই অঙ্কটা কিন্তু বাস্তবিকই বিশেষ সুবিধের নয়। রাজ্যসভা পেরোলেও, এই বিল'এর যাত্রা কিন্তু নেহাত সহজ হবে না! এরপরের রয়েছে লোকসভা, এবং তারপরে থাকলো ক্রিটিকাল-কেলো রাজ্যের বিধানসভাগুলি! দ্যাখা যাক। এইবার প্রশ্ন হচ্ছে যে এই বেকার পুরুষ রাজনীতিকদের পরবর্তী জীবিকা কি হতে পারে ?

জুতো পেটা

বুচুদা আধ বোতল Baygon Spray খেয়ে সুইসাইড করে ফেললো! ডাক্তার Stomach Cancer সন্দেহ করেছিল! Report আসা পর্যন্ত nerve ধরে রাখতে পারলো না! Nervous Breakdown আর Baygon'এর concoction'এ রাত্তিরে নিপাট finish হয়ে গ্যালো। পুলিশ-টুলিশের ঝামেলা চুকিয়ে দু দিন'এর মাথায় যখন নিমতলা মুখো হওয়ার আগে বুচুদার বডি উঠোনে এনে শোয়ানো হলো তখন জানা গ্যালো Final Report'এ বলেছে বুচুদা'র ক্যান্সার হয়ইনি, স্রেফ পেট'এর মধ্যে mega-ulcer গজিয়ে গেছিল! ফুচকা-রোল বাদ দিলে নিশ্চিন্তে fight দিতে পারত। সবাই দাড়িয়ে তখন বুচুদার superfine quality'গুলো কে synopsis করে হাহাকার করতে ব্যস্ত। বুচুদা ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র ছিল, university'র center forward, ভারী সুন্দর নজরুলগীতি গাইত, পাড়ার পিকনিক'এ অর মত চিল্লি চিকেন কেউ বানাতে পারত না! এহেন বুচুদা আধ বোতল Baygon'এ মশা-মাফিক গায়েব! আমি শুধু ভাবছিলাম, বুচুদার টিউসন ছাড়া,অঙ্কে কি সুপার-কেলো আমায় face করতে হবে। এমন সময়, দু দিন ঘাপটি মেরে থাকার পর গোলাপ জ্যেঠু, মানে গোলাপ চাষ খ্যাত বুচুদার বাবা, গম-গম শব্দে উঠোন কাঁপিয়ে দি