- বৌমা।
- হ্যাঁ মা।
- কিছু মনে করো না...একটা কথা ছিল।
- বলুন না।
- আমরা তো তোমার কোনও কাজেই বাধা দিই না, তবে...।
- তবে?
- বলছিলাম যে...বিধবা মেয়েমানুষের অত বিরিয়ানি বিরিয়ানি করলে সংসারে অমঙ্গল আসে।
- আসে?
- আসে বৈকি মা।
- যদিও মাছ খাওয়াও ঠিক নয়। সে না হয় তবু মেনে নিলাম। তবে অমন ভাবে বিরিয়ানি খাওয়াটা...।
- ওহ। পাপ হচ্ছে?
- রীতিমত।
- আপনার ছেলে কী বলত জানেন? ও বলত অ্যালিটারেশন গরুর ইউরিনের মত।
- কী রেশন?
- অ্যালিটারেশন। এই যেমন কানাইয়ের কাঁথা। শাশুড়ির শাসানি। সব শব্দের শুরুতে একই অক্ষর।
- ও।
- তাই বলছিলাম বিধবার বিরিয়ানিও চোনা। সমস্ত পাপ ধুইয়ে দেওয়া অ্যালিটারেশন। ক্ষতি নেই। বরং অ্যালিটারেশন ক্ষুণ্ণ করলে সে স্বর্গে বসেও কষ্ট পাবে।
- ও। আমি আসি বরং। সন্ধ্যে দেওয়ার সময় হল।
- আসুন। সন্ধ্যে হল। সন্ধ্যে হল।
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments