- মাঝে মাঝে মনে হয় সব ছেড়েছুড়ে চলে যাই।
- বৈরাগ্য?
- বিরক্তি। চাদ্দিকে ঘ্যাচোড়ম্যাচোড়। অমুকে খোঁটা দিচ্ছে। তমুকে ন্যাজে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। কনস্ট্যান্ট। ফেড আপ। কিছু বললে বলে বাতেলা ঝাড়ছে, চুপ থাকলে বলছে ঢ্যামনা।
- অতএব?
- হিমালয়।
- হিমালয়? সব ছেড়েছুড়ে?
- হ্যাঁ। একবস্ত্রে।
- কবে বেরোচ্ছেন?
- ঠাট্টা করতেই পারো, করতেই পারো। নেহাত অনিল ডাক্তারের ওষুধ ছাড়া নিজের হার্টকে ভরসা করতে পারি না তাই। নয়তো কবেই...।
- একটা পন্থা বাতলাতে পারি।
- কীসের?
- ওই হিমালয় যাত্রার।
- সেটা কী?
- ওই মনে আছে? কার্তিক দুনিয়ারর চক্কর মেরে হদ্দ হল, আর গণেশ দুর্গাকে সেন্টারে রেখে হাফ মিটার রেডিয়াসে ঘুরলি খেয়েই কেল্লা ফতে করেছিল?
- তাতে কী?
- শর্টকাট।
- আছে?
- আলবাত। নয়তো বলছি কেন?
- হিমালয় যাওয়ার শর্টকাট?
- যুগোপযোগী শর্ট কাট।
- সেটা কী? বলবে তো!
- ট্যুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরির হিমালয় যাত্রা; ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করা। করে ফেলুন। মোবাইলের জবড়জং ছাড়া প্রতি রাতে বনফুল হাতে বালিশে যাবেন। কোথায় লাগে হিমালয়!
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments