Monday, February 1, 2016

অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল

- ধড়াচূড়া পরে সকাল সকাল, কী ব্যাপার?

- টেলিফোনে তো তেমনটাই কথা হয়েছিল স্যার।

- চা চলবে?

- চলবে।

- লিকার কিন্তু। আর সঙ্গে টা বলতে থিন অ্যারারুট।

- চলবে।

- আসলে একা মানুষ তো।  বাড়তি বাজনায় কাজ দেখি না আর। তা সে যাক গে, তা আমার এখানে কী মনে করে?

- আজ্ঞে সে শহর আমি ছেড়েছি।

- ছেড়েছ না তার প্যাঁদানিতে ছাড়তে বাধ্য হয়েছ?

- একরকম তাই।

- তা এখন এখানে কেন?

- স্যার। আমায় আপনি গ্রহণ করুন।

- আমি গ্রহণ করার কে? আমি তো চালে কাঁকড়,  পায়েসে বালির দানা। আমি কী করব?

- কেন? আমায় স্নেহ দেবেন। পড়ার ঘর দেবেন। সে পড়ার ঘরে বিবেকান্দের ছবি। একটা নিষ্পাপ প্রেম দেবেন। আমায় জ্যান্ত করবেন। রাখুন স্যার আমায়।

- আমি এ'সব দেব কী হে? আমি নিজে আজ আছি কাল হাওয়া। ঠাকুর ঠাকুর করে অপেক্ষা করছি। মা ডাকবেন আর আমি ড্যাংড্যাং করে রওনা দেব। আমি তোমায় কিছু কী করে দেব?

- ফেরাবেন না স্যার। সব উজাড় করে নিজেকে সঁপতে এসেছি। স্যার, এবার আমি...এবার আমি....।

- কী? এবার তুমি কী?

- গোলাগুলি নিয়ে অনেক খেলা হল। এবার আমি..আমি বুলেট হতে চাই।

- আরে সে তো গল্প...।

- আমায় আপনার গল্প করে তুলুন স্যার। ফেরাবেন না। ফেরাবেন না। আপনাকে ছুঁয়ে বুলেট হতে দিন।

- দ্যাখো কাণ্ড,  আরে এ সামান্য কথায় ধেড়ে মানুষের কাঁদতে আছে? সামাল দাও। সামাল দাও। তুমি বরং আমার বাগান দেখ। হরিহর রয়েছে। তুমি তাকে অ্যাসিস্ট করবে। তুমি মাটি কোপাবে আর আমি দেখব তোমার ভিতর-মাটি কোপানো যায় কিনা। তবে যা বুঝছি মাটি নরম হয়েই আছে। কোদাল না, খুরপিতেই কাজ হবে। কী? পারবে তো?

- খুব পারব স্যার। খুব পারব।

- ওই দেখো। চোখ যে এখনও ছলছল। বলি এবার তাহলে তোমায় ডায়লগ তোমায় তাক করেই ফায়ার করি তবে? হোয়াই সো সিরিয়াস?

No comments: