Friday, February 19, 2016

গোপন গুলির গল্প

- চারটে গুলি। রোজ রাত্রে। খাওয়ার অন্তত পনেরো মিনিট পরে। দুধে গুলে দিলে সবচেয়ে ভালো। এমনিতে জলে গুলে দিলেও চলবে।

- দুধের রঙ পাল্টাবে না তো?

- রঙ স্বাদ, কিস্যু পালটাবে না। সে জন্যেই তো এটা গোপন ওষুধ।

- কাজ হবে?

- খবরের কাগজের বিজ্ঞাপনটা বোধ হয় ঠিক করে পড়া হয়নি?

- কোন ব্যাপারটা বলুন তো?

- দু'হপ্তার মধ্যে ফল। গ্যারান্টি। নয়তো পয়সা ফেরত।

- হুম।

- আপনি এতটা কনফিডেন্ট যে কী করে...।

- আপনি সাতশো বাহাত্তর নম্বর ক্লায়েন্ট। এর আগের সাতাশো সাতাশটার সাকসেস রিপোর্ট এই হলদে ফাইলে। আর চুয়াল্লিশটা রিপোর্ট এক্সপেক্টেড। কোনটার সাক্সেস নিয়ে আমার সন্দেহ নেই।

- গোপনে  শিক্ষার নেশা ছাড়ানো! যায়? সম্ভব?

- যায়। যায়।

- এই গুলিতে...এই গুলিতে কী আছে?

- কয়েকটা ইনগ্রেডিয়েন্ট বলে দিতেই পারি। সব নয়। তাদেরর প্রেপারেশনও নয়। সে'টা ট্রেড সিক্রেট।

- ইনগ্রেডিয়েন্ট? যেমন?

- যেমন জয়েন্টের র‍্যাঙ্ক। কোচিং সেন্টার। বড় কলেজ। ক্যাম্পাসিং। কে আর এ। রিভউ। এ ছাড়া আরও দশ বারো রকমের এলিমেন্ট।

- শিক্ষার নেশা ছাড়বে বলছেন?

- ওই যে, চারটে গুলি রোজ। অব্যর্থ। অব্যর্থ।

No comments: