বৃদ্ধ ব্ল্যাকবোর্ড মুছতে গিয়েও আজকাল ক্লান্ত হয়ে পড়েন। নিঃশ্বাস দ্রুত হয় ওঠে, বুকের ভিতর অল্পেই ধড়ফড়ানি শুরু হয়। একটানা কথা বলে যেতে রীতিমত কষ্ট হয় বিরানব্বুই বছর বয়সের প্রফেসর চট্টরাজের।
সেই কবেকার কথা, আজ থেকে ঠিক বত্রিশ বছর আগের ঘটনা। বত্রিশ বছর, ভাবলেও কেমন লাগে। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর কলেজে এসেছিলেন কিছু পুরনো পাওনাগণ্ডা বুঝে নিতে। ঠিক বত্রিশ বছর আগে। ক্যাশিয়ার সামন্ত বেশ কাটখোট্টা ভাবেই বলেছিল যে বকেয়া টাকা আদায়ের আবেদনপত্র শেষ হয়ে গেছে, নতুনভাবে ছাপতে করতে ঘণ্টাখানেক লাগবে। তখন খানিকটা সময় কাটানোর তাগিদেই একটা খালি ক্লাসরুম দেখে ঢুকে পড়েছিলেন প্রফেসর চট্টরাজ। সে'দিন ক্লাসরুমে ঢুকে যে কী হয়ে গেছিল মাথার মধ্যে...।
সেই যে ঢুকেছিলেন , হাজার চেষ্টাতেও সে ক্লাস রুমের বাইরে টেনে আনা যায়নি তাঁকে। কত অনুরোধ, উপরোধ, গলাবাজি জলে গেছে, প্রফেসর চট্টরাজকে ক্লাসরুম থেকে বের করা যায়নি এই বত্রিশ বছরেও। বছর খানেকের মাথায় অবশ্য অবশেষে কলেজ কর্তৃপক্ষ এক রকম হাল ছেড়ে দিয়েই সে ক্লাসরুমের নাম দিয়েছিলেন চট্টরাজের ক্লাসঘর। সেখানেই মজুত তাঁর জীবন ধারণের সমস্ত সরঞ্জাম। তাঁর অতিথি বলতে শুধু ছাত্রের দল, প্রফেসর বন্ধুরা বা উৎসুক খবরের কাগজের রিপোর্টার।
এইভাবেই কেটে গেছে বত্রিশ বছর, বৃদ্ধ প্রফেসর নিজের ক্লাসরুম আলো করে আছেন আজও। সেই ক্লাসরুমের নীল দেওয়াল জুড়ে, চট্টরাজবাবু লাল পেন্টে ড্যাবা ড্যাবা স্টাইলে লিখে রেখেছেন;
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ওই মেজদাদা
- এই যে, চাঁদু৷ ইদিকে এসো দেখি মাল৷ - আমায় ডাকছেন? - ওরে আমার নেকুচাঁদ হুশিয়ার রে৷ রাস্তায় এখন আর আছেটা কে। আয় দেখি ইদিকে। - ...


-
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোর...
-
- দত্তবাবু, কলকাতা বইমেলার স্টল সংখ্যা তিনশো চোদ্দ দশমিক এক পাঁচে আপনাকে স্বাগত জানাই। - স্টল নাম্বার কত? - তিনশো চোদ্দ দশমিক এক পাঁ...
-
ছাতের এক কোণে দাঁড়িয়ে ছিলেন অমলেশ। পাজামা, স্যান্ডো গেঞ্জি আর ডান হাতে আঙুলের ফাঁকে গোল্ডফ্লেক। শেষ ট্রাম যাওয়ার ঝমঝমে আওয়াজের পর্যন্ত অপে...

1 comment:
Taror..
Post a Comment