Skip to main content

ভানুপ্রসাদ

- বাবুজী।
- ভানুপ্রসাদ? এসেছো?
- জী।
- এত দেরী হল?
- অন্ধেরার ইন্তেজার করছিলাম বাবুজী।
- খবর সব...?
- বেফিকর থাকুন বাবুজী।
- দু'জনকেই...?
- জী।
- লাশ?
- উয়ো চিন্তা আপকা নহি।
- দু'জনকেই শেষ পর্যন্ত..।
- ভানুপ্রসাদ যব তক হ্যায়, ইস হভেলি কে ইজ্জৎ পর কোই আঁচ আসবে না বাবুজি।
- ভানু...।
- তবিয়ৎ ঠিক হ্যায় বাবুজী? ছোটেলালকে বলব বড়িমা কে বুলাওয়া দিতে?
- না..না..না। আর কেউ নয়। শুধু তুমি থাকো ভানুপ্রসাদ।
- জী বাবুজী।
- ছোটকুমার..ছোটকুমার বড় নরম মনের ছিল।
- জী বাবুজী। আপনার আঁখো কা তারা।
- ভানু, খুব যন্ত্রণা পেতে হয়েছিল ওকে? ছোট খুব ছটফট করেছিল? আর যন্ত্রণা? প্রচণ্ড?
- হভেলি কা ইজ্জৎ সবসে আগে বাবুজী।
- তাই তো। তাই তো। ইজ্জৎ। হভেলির ইজ্জৎ। রায়চৌধুরী বংশের ইজ্জৎ। আচ্ছা ভানুপ্রসাদ, ওদের বিয়ে হয়ে গেছিল, তাই না?
- আজ সে তিন দিন পহলে।
- মেয়েটা...।
- হভেলি বাবুজী। হভেলি কি ইজ্জৎ।
- তুমি..তুমি কেমন আছ ভানু?
- ম্যায় নৌকর আদমি বাবুজী।
- ভানু?
- ছোটকুমার আমার গোদিতে খেলেছে বাবুজী। আমার থেকে তলোয়ার চলানা শিখেছে। বন্দুক চলানা। বাবুজী, ছোটকুমার ছোটলোকের লেড়কিকে শাদি করিয়ে গলতি করলো। পাপ।করলো। লেকিন বাবুজী, ছোটকুমার ওর বুড়ে ভানুকাকাপে একটাও গোলি ছোঁড়েনি। ছাতি পে তিন গোলি লেকে শুধ দু'বার ভানুকাকা বোলকে সো গয়া বেচারা। ছোটেকুমারের সিনা খুন মে লটপট থা অউর আঁখো মে আঁসু।
- তুমি ঠিক আছো ভানু?
- ছোট ঘরের লেড়কি কে সঙ্গ শাদি! রাম্ রাম্! 
ছোটকুমার কো কীমত চুকানা হি থা।
- আগে...আগে কাকে...? ভানু?
- ছোট ঘরের বেওকুফ লেড়কি। পেহলে উসকো...! দো গোলি, মাথে পে বাবুজি।
- পুত্রবধূ...। ছোটর ভালোবাসার বৌ। কেন মেনে নিতে পারলাম না ভানুপ্রসাদ?
- তোউবা তোউবা বাবুজী। হভেলি কি...।
- ইজ্জৎ। ইজ্জৎ। ছোটঘরের মেয়েকে...কী করে...। তাই তো। তাই তো।
- মুঝে ইজাজত দিজিয়ে বাবুজী। ছোটেলাল কো বুলা দেতে হ্যায়।
- যেওনা ভানুপ্রসাদ।
- মেরা জরুরত অউর কহা?  বাবুজী, আপকে নমক পে পলে বড়ে। বস এটা ইয়াদ রাখবেন,  হাভেলিকা ইজ্জৎ পে আঁচ নহি আনে দিয়া আপকা ভানু। যব তক জিন্দা রহা তব তক্।
- ভানুপ্রসাদ যেওনা। আর পারলে আমায় ক্ষমা কোরো।
- ইয়ে ক্যায়সা বাত হুয়া বাবুজী। ম্যায় ঠেহরা ছোটে ঘর কা আদমী। আপকা হুকুম অউর ইজ হভেলি কা ইজ্জৎ, মেরে লিয়ে অউর কিসি চিজ কা কোই মতলব নহি। বেহয়া লেড়কিটার মা নেই বচপন থেকেই। উয়ো বেশরম বদচলম চলি থি জমিন্দার হভেলি কা ইজ্জৎ মিট্টি মে মিলানে।  বহুত রোয়ি বাবুজী। লেকিন ইয়ে বাপ নে সিরফ্ নমক কি সুনি। সিরফ্ নমক কি সুনি। এক গোলি বঁচা হ্যায়। ইজাজত দিজিয়ে বাবুজি। ইয়ে গোলি কো সিনেমে লেকে উসপার যানা হ্যায়। উসপার, যহা ছোটা আদমির ছোটাসা ঘর আলো করে আজ লেড়কি মইকা আসবে, জমাইরাজা কে সাথ। ইজাজত দিজিয়ে বাবুজী।

Comments

Anonymous said…
Touching.

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু