Saturday, July 11, 2015

চেঞ্জে যাওয়া

“এই জায়গাটা মন্দ নয়। বেশ ফুরফুরে হাওয়া। চারিদিক সবুজে সবুজ। মনোরম পরিবেশ। থেকে থেকেই হুড়মুড় করে খিদে পেয়ে যাচ্ছে। অবিশ্যি খাওয়াদাওয়ার কোনও অভাব নেই তেমন। যা খাওয়াদাওয়া চলছে তাতে রাজভোগ বললে কম বলা হয়। এই কিছু খেয়ে মনঃপ্রাণ পেট ভরল কি খানিক পরেই থরে থরে অন্য কিছু উপাদেয় খানা হাজির। চাইতেও হচ্ছে না, খাওয়ার দাওয়ার আপনি আসছে।
সবচেয়ে বড় কথা বাপ মায়ের খিটখিট থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে। সারাক্ষণ এটা খাস না, ওটা খাবি না...উফ! তাছাড়া যে ছেলেটা মাঝে মাঝেই এসে কয়েক ঘা লাগিয়ে যেত সে ব্যাটাও এখানে নেই। বড় দুঃখে জীবন কাটছিল বাপ, মা আর সেই বিদঘুটে ছেলেটার খপ্পরে পড়ে। ভাগ্যিস এই নতুন ছেলেগুলো কাল আমায় এই নতুন জায়গায় নিয়ে এলে। ধড়ে প্রাণ এলো এতদিনে।
মুক্তি। মুক্তি। আহা। এমন জল-হাওয়া-খাওয়াদাওয়া। অমরত্ব একেই বলে। আমার এত আনন্দ হচ্ছে যে কী বলবো।
মায়াবী পরিবেশ। আর এই পরিবেশের মখমলে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিচ্ছে সামনের ঐ স্থাপত্যটা। কী অপূর্ব গঠন, কী সাবলীল ভাবে দুই হাত তুলে দাঁড়িয়ে মাঠের মধ্যিখানে। চোখ জুড়িয়ে যায় ওটার দিকে তাকিয়ে। কাল একবার ওটার কাছে গিয়ে পড়েছিলাম; চেটে দেখলাম- বেশ সুঠাম। খুব ভালো লাগছে। কাল আরেকবার ওটাকে চেটে দেখবো ভাবছি।
দ্যাখ দেখি কাণ্ড। আবার এক থালা কাঁঠাল পাতা দিয়ে গেল কে যেন। আরে এই কচি বয়েসে আর কত খেতে পারি রে বাবা? তবে পাতাগুলো যা সরেস মনে হচ্ছে, একটু না চিবিয়ে উপায় নেই”।
**
- এই বলাই!
- হুঁ। কী ব্যাপার?
- পাঁঠাটা হাসছে।
- হাসছে মানে? ধুত্‌।
- মাইরি। তাকিয়ে দেখ। হাড়িকাঠের দিকে তাকিয়ে পাঁঠাটা হাসছে।

No comments: