Sunday, July 5, 2015

সিরিয়াল মার্ডার

-তাহলে এটাই তোমার ফাইনাল ডিসিশন অর্পণ। তুমি আমায় খুন করবেই।
-আমার কী উপায় আছে বল মহুয়া। অ্যাজ আ হাজব্যান্ড এটা আমি কখনও চাইনি করতে। কিন্তু যেহেতু তুমি ডিভোর্স ফাইল করে বসলে আমার আর কোন উপায় নেই। ই নো টু মাচ।
-তোমার কালো বিজনেসের কিছুই আমি ফাঁস করবো না। এই পাগলামি বন্ধ কর। রিভলভারটা সরিয়ে রাখ।
-সরি মহুয়া। তুমি এতটাই জানো যে তোমায় আর বিশ্বাস করা চলে না। তুমি ডিভোর্সের জন্য আর পুশ না করলেও আমি তোমার আর ট্রাস্ট করতে পারি না। সরি মহুয়া।
-প্লীজ অর্পণ।
-সরি মহুয়া।
*দ্রুম দ্রুম*
---
-অর্পণবাবু, তাহলে আপনি বলছেন মহুয়া দেবী অনেকদিন আগেই মারা গেছেন। আর গতকালের গুলি চালানোর কেস্‌টা...।
-আপনার কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকলে আমার কিছু করার নেই ইন্সপেক্টর। ফ্যাক্ট ইজ ফ্যাক্ট। মহুয়ার আত্মা রোজ রাতে আমায় হন্ট্‌ করতে আসে। আমি মার্ডার করার রোল প্লে না করা পর্যন্ত সে গায়েব হতে চায় না। পাক্কা দু'টো বুলেট খরচ করার পর সে গায়েব হয়। অফ কোর্স আই ট্রাই নট টু এইম অ্যাট হার। কিন্তু তবু, ইট্‌জ ট্রমাটিক।
--
-আপনি জানেন আপনি কী বলছেন মহুয়াদেবী?
-বারবার এক কথা কেন জিজ্ঞেস করেন ইন্সপেক্টর? জানোয়ারটা বিয়ে করে আমার সর্বনাশ করেছে। এখন মরেও আমায় শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না। রোজ রাত্রে অর্পণের ভূত আমায় খুন করার ভয় দেখাতে আসে। এবং চেষ্টাও করে মার্ডার করতে। আই জাস্ট হ্যাভ ট প্লে অ্যালং টু মেক হিম বিলিভ যে আমি ভয় পেয়েছি। রোজ একটা ভুতুড়ে রিভলভার বের করে আমায় দু'বার গুলি করে এবং তারপর সে গায়েব হয়। গুলিগুলো ওর মতই হাওয়াবাজ, আমার গায়েও লাগে না। কিন্তু এই ট্রমা আর কতদিন?
--
- ডক্টর, এই খেলনা রিভলভারটা নিয়ে আপনি ওয়ার্ড ভিজিটে যান কেন?
-তুমি এখানে নতুন ডক্টর দীপক, তাই জান না। এই খেলনা রিভলভারটা নিয়ে যাই মেল ওয়ার্ডের চারশো বাইশ নম্বর পেশেন্ট আর ফিমেল ওয়ার্ডের দু'শো বারো নম্বর পেশেন্টের জন্য। ম্যারেড টু ইচ আদার। দাম্পত্য কলহ এমন জায়গায় পৌঁছোয় যে দুজনকেই অ্যাসাইলামে আসতে হয়। একে অপরের প্রতি ঘৃণা এতটাই প্রবল যে একে অপরের অস্তিত্বকে কেউ স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু অ্যাজ আ পার্ট অফ ট্রিটমেন্ট রোজ সন্ধ্যাবেলা দু'জনকে মুখোমুখি আনি ফর আ রোল প্লে। এই রিভলভারটা সে জন্যেই।
-রোল প্লে? ট্রিটমেন্ট?
-ওয়েল। আজ দেখাব তোমায়। ফ্যাক্ট ইজ, ঘৃণার বাঁধন দাম্পত্যকে ভালোবাসার মতই স্ট্রং করতে পারে। ওদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ওদের কনেক্ট ঘৃণার সূত্রে হলেও একে অপরকে দিনে একবার অন্তত না দেখে ওরা থাকতে পারে না; ওদের পাগলামি আরও বেড়ে যায়। কভার্ট ভালোবাসা; যেটার এক্সপ্রেশন পায় নিয়মিত খুন করা আর খুন হওয়ার নাটকে। আর আমায় ওরা কখনও ভাবে ওঝা আর কখনও ইন্সপেক্টর। এভাবেই চলছে। লেট্‌স গো।


---


শাটার আইল্যান্ড সিনেমার কাঁচা অ্যাপ্রিসিয়েশন। 

1 comment:

ani said...

Ami apnar blog er ekjon gunomughdho bhakto. Apni khub i khalo lekhen, chaliye jan.