Skip to main content

সিরিয়াল মার্ডার

-তাহলে এটাই তোমার ফাইনাল ডিসিশন অর্পণ। তুমি আমায় খুন করবেই।
-আমার কী উপায় আছে বল মহুয়া। অ্যাজ আ হাজব্যান্ড এটা আমি কখনও চাইনি করতে। কিন্তু যেহেতু তুমি ডিভোর্স ফাইল করে বসলে আমার আর কোন উপায় নেই। ই নো টু মাচ।
-তোমার কালো বিজনেসের কিছুই আমি ফাঁস করবো না। এই পাগলামি বন্ধ কর। রিভলভারটা সরিয়ে রাখ।
-সরি মহুয়া। তুমি এতটাই জানো যে তোমায় আর বিশ্বাস করা চলে না। তুমি ডিভোর্সের জন্য আর পুশ না করলেও আমি তোমার আর ট্রাস্ট করতে পারি না। সরি মহুয়া।
-প্লীজ অর্পণ।
-সরি মহুয়া।
*দ্রুম দ্রুম*
---
-অর্পণবাবু, তাহলে আপনি বলছেন মহুয়া দেবী অনেকদিন আগেই মারা গেছেন। আর গতকালের গুলি চালানোর কেস্‌টা...।
-আপনার কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকলে আমার কিছু করার নেই ইন্সপেক্টর। ফ্যাক্ট ইজ ফ্যাক্ট। মহুয়ার আত্মা রোজ রাতে আমায় হন্ট্‌ করতে আসে। আমি মার্ডার করার রোল প্লে না করা পর্যন্ত সে গায়েব হতে চায় না। পাক্কা দু'টো বুলেট খরচ করার পর সে গায়েব হয়। অফ কোর্স আই ট্রাই নট টু এইম অ্যাট হার। কিন্তু তবু, ইট্‌জ ট্রমাটিক।
--
-আপনি জানেন আপনি কী বলছেন মহুয়াদেবী?
-বারবার এক কথা কেন জিজ্ঞেস করেন ইন্সপেক্টর? জানোয়ারটা বিয়ে করে আমার সর্বনাশ করেছে। এখন মরেও আমায় শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না। রোজ রাত্রে অর্পণের ভূত আমায় খুন করার ভয় দেখাতে আসে। এবং চেষ্টাও করে মার্ডার করতে। আই জাস্ট হ্যাভ ট প্লে অ্যালং টু মেক হিম বিলিভ যে আমি ভয় পেয়েছি। রোজ একটা ভুতুড়ে রিভলভার বের করে আমায় দু'বার গুলি করে এবং তারপর সে গায়েব হয়। গুলিগুলো ওর মতই হাওয়াবাজ, আমার গায়েও লাগে না। কিন্তু এই ট্রমা আর কতদিন?
--
- ডক্টর, এই খেলনা রিভলভারটা নিয়ে আপনি ওয়ার্ড ভিজিটে যান কেন?
-তুমি এখানে নতুন ডক্টর দীপক, তাই জান না। এই খেলনা রিভলভারটা নিয়ে যাই মেল ওয়ার্ডের চারশো বাইশ নম্বর পেশেন্ট আর ফিমেল ওয়ার্ডের দু'শো বারো নম্বর পেশেন্টের জন্য। ম্যারেড টু ইচ আদার। দাম্পত্য কলহ এমন জায়গায় পৌঁছোয় যে দুজনকেই অ্যাসাইলামে আসতে হয়। একে অপরের প্রতি ঘৃণা এতটাই প্রবল যে একে অপরের অস্তিত্বকে কেউ স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু অ্যাজ আ পার্ট অফ ট্রিটমেন্ট রোজ সন্ধ্যাবেলা দু'জনকে মুখোমুখি আনি ফর আ রোল প্লে। এই রিভলভারটা সে জন্যেই।
-রোল প্লে? ট্রিটমেন্ট?
-ওয়েল। আজ দেখাব তোমায়। ফ্যাক্ট ইজ, ঘৃণার বাঁধন দাম্পত্যকে ভালোবাসার মতই স্ট্রং করতে পারে। ওদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ওদের কনেক্ট ঘৃণার সূত্রে হলেও একে অপরকে দিনে একবার অন্তত না দেখে ওরা থাকতে পারে না; ওদের পাগলামি আরও বেড়ে যায়। কভার্ট ভালোবাসা; যেটার এক্সপ্রেশন পায় নিয়মিত খুন করা আর খুন হওয়ার নাটকে। আর আমায় ওরা কখনও ভাবে ওঝা আর কখনও ইন্সপেক্টর। এভাবেই চলছে। লেট্‌স গো।


---


শাটার আইল্যান্ড সিনেমার কাঁচা অ্যাপ্রিসিয়েশন। 

Comments

ani said…
Ami apnar blog er ekjon gunomughdho bhakto. Apni khub i khalo lekhen, chaliye jan.

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু