Sunday, June 1, 2025

সাইকেল থেরাপি



ডেকাথেলন থেকে কেনা সাইকেলটার বয়স প্রায় এক বছর হতে চললো। দিব্যি চলছে। একটা ফ্রি সার্ভিসিং পাওনা ছিল, দিন দুই আগে করিয়ে আনলাম। তা'তে ব্যাপারটা আরও স্মুদ হয়েছে। আমাদের সাইকেলের ব্যবহার ঠিক ফিটনেস এন্থুসিয়াস্ট হিসেবে নয়। বাবা ও'টা চালিয়ে রোজ রীতিমতো বাজারঘাট ঘুরে আসে, পঁচাত্তর বছর বয়সে অবশ্য সে'টাকে জিম হিসেবে ধরে নেওয়া উচিৎ । ছুটির দিন সকালে বা অফিস থেকে ফিরে সন্ধের দিকে আমি মাঝেমাঝে সাইকেল নিয়ে বেরোই, স্রেফ হাওয়া খেতে। ঢিকিরঢিকির স্পীডে ধীরেসুস্থে প্যাডেল করি যাতে ঘামটাম ঝরে না, দু'চার কিলোমিটার দূরেই আরবসাগর, অতএব রাতের দিকে সমুদ্রের হাওয়া টেরো পাওয়া যায়। আমাদের বাড়ির পাশেই একটা তুলনামূলকভাবে নিরিবিলি রাস্তা রয়েছে, নিশ্চিন্তে সাইকেল চালানোর চার কিলোমিটার। সে'টার খান দুই পাক খাওয়া মানে মেজাজ ফুরফুরে।

হাঁটতে গেলে কানে ইয়ারফোনে গোঁজা থাকে।সাইকেলে সে'সব চলে না। সমস্ত ফোকাস রাস্তায়, শোঁশোঁ বেরিয়ে যাওয়া মোটোরসাইকেল গাড়িদের স্পীডে ভড়কে গেলেও চলবে না। পান দোকানে দাঁড়ানো যেতে পারে, কেনা যেতে পারে আইস্ক্রিম; কিন্তু সাইকেল ব্যাপারটা এতই মনোরম যে দাঁড়িয়ে পড়তে ইচ্ছে করে না। সাইকেলটা এমনিতে মাখন, কিন্তু সেই মাখন সাইকেলেও প্যাডেল আর চাকার ঘষটানি মেশানো একটা আরামদায়ক মোলায়েম শব্দ আছে, যে'টা পা বেয়ে উঠে আসে।

গাড়ি হোক, মোটোরসাইকেল স্কুটার হোক কী সাইকেল; যন্ত্রটাকে আপন করে চিনে নিতে পারায় যে কী গভীর আনন্দ। সে'টাকে মনের সুখে ব্যবহার করা এবং সে'টার যত্নআত্তি করা; এক্কেবারে সুপারফাইন কোয়ালিটির তৃপ্তি।

No comments: