জুহু চৌপাটির বীচে নামা মানেই ভিড় আর বেশ খানিকটা জঞ্জাল। তবে আধমাইল মত হাঁটতে পারলেই (নভোটেল ছাড়িয়ে) ভিড় পাতলা হয়ে আসে, বীচটাও ও'দিকে খানিকটা চওড়া। আরও এগিয়ে গেলে বেশ নিরিবিলি। পা ছড়িয়ে বসা যায়, জলে পা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ঢেউ-থেরাপিও নেওয়া যায়, অথবা স্রেফ হেঁটে এগিয়ে যাওয়া। রাতের দিকে রোদ্দুরের হ্যাপা নেই, আর নেই মিষ্টি হাওয়ার অভাব। আজ বৃষ্টি না থাকলেও ও'দিকের সমুদ্রের হাওয়ায় দিব্যি জোলো ভাব। অতএব সে' এলাকায় হাফপ্যান্ট মেজাজে মিনিট চল্লিশ হাঁটার ইম্প্যাক্ট সেলুনের চেয়ারে বসে নবরত্ন তেলমালিশ করানোর সমান।
রাত সাড়ে আটটার মধ্যে ডিনার সেরেই বেরিয়েছিলাম, অতএব খাবারদাবারের স্টলে সময় নষ্ট করতে হয়নি। শুধু বাড়ির পাশের পার্কের বদলে আরবসাগরের পাশে হাঁটা। পার্কে হাঁটলে কানে ইয়ারফোনের দরকার পড়ে, সমুদ্রের পাশে সে'সবের দরকার পড়ে না। ফেরার আগে চৌপাটির উল্টোদিকের পানের দোকান থেকে হাইক্লাস কলকাত্তা মিঠা মুখে না দেওয়ার কোনো মানে হয় না। আর বাড়ি ফেরার পথে চারবাংলোর বাজার হয়ে আসা, সে'খান থেকে সামান্য বেলফুল না কিনলেই নয়। একা সমুদ্রদর্শন সেরে বাড়ি ফিরলে সামান্য ঘুষ দেওয়ার দরকার তো পড়বেই।
No comments:
Post a Comment